স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় পানিতে ডুবে বোরহান উদ্দিন (০৩) নামে এক শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার খাড়েরা গ্রামে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। শিশুটি খাড়েরা গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে।
নিহতের চাচা লোকমান হোসেন জানান, বোরহান উদ্দিনের বাবা জাহাঙ্গীর হোসেন সম্প্রতি বর্তমান নিজ বাড়ি থেকে কিছু দুরে নিজস্ব জমিতে নতুন বাড়ী বাধার জন্য একপাশে গর্ত করে মাটি কাটেন। বৃহস্পতিবার দুপুরের পর খেলার ছলে শিশু বোরহান উদ্দিন সেখানে গিয়ে গর্তে পরে যায়। বিকেলে শিশু বোরহান উদ্দিনকে পরিবারের লোকজন দেখতে না পেয়ে আশেপাশে খোঁজাখুুজি শুরু করে। কোথাও খুঁজে না পেয়ে এক পর্যায়ে সন্দেহবশত সেখানে গর্তের পানিতে নেমে খোঁজ করলে মেলে শিশু বোরহান উদ্দিনকে। সেখান থেকে উদ্ধার করে উপজেলার কুটি-চৌমুহনীতে অবস্থিত সেন্টাল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশু বোরহান উদ্দিনকে মৃত ঘোষনা করে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক এমপি বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর হবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বে নির্বাচন হবে।
তিনি বলেন, দেশের সর্বোচ্চ আদালত রায় দিয়েছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার অবৈধ। বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে আইন পাশ করে সংবিধান থেকে সেটা বের করে দিয়েছে। আর সেখানে ফিরে যাওয়া যাবে না।
তিনি আজ ২১ জুলাই শুক্রবার দুপুরে কসবা উপজেলার খাড়েরা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
খাড়েরা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আবু আবদুল্লাহ ভূইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিশেষ বর্ধিত সভায় আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের সৃষ্টি করা তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেলে পৌছে দিয়েছেন।
তিনি বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছর বিএনপি-জামায়াত দেশ চালিয়েছেন। তারা চেষ্টা করেছে যেন বাংলাদেশ যেন একটা ব্যর্থ রাষ্ট্র হয়। তারা চেষ্টা করেছে বাংলাদেশের গ্যাস বিক্রি করে দেয়ার জন্য। তারা চেষ্টা করেছে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্য। আমরা ২০০৪ সালের ২১ আগষ্ট ভুলে যাইনি। তারা নির্বাচন করতে চায়না। তারা চায় পেছনের দরজা দিয়ে যদি কেউ তাদেরকে ক্ষমতায় ঢুকিয়ে দেয়। তিনি বলেন, আজকে বড় বড় শত্রুদের মোকাবেলা করতে হবে। আপনারা ঐক্যবদ্ধভাবে জামায়াত-বিএনপির ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধ ভাবে মোকাবেলা করবেন।
তিনি আরো বলেন জননেত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া বাংলাদেশের ভবিষৎ অন্ধকার। বিএনপি যদি আবার ক্ষমতায় আসে বাংলাদেশ আবার একটা নৈরাজ্যের দেশ হয়ে যাবে।
বিশেষ বর্ধিত সভায় অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাউছার ভূঁইয়া জীবন, পৌরসভার মেয়র এমজি হাক্কানী, সাবেক পৌর মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মনির হোসেন, ছাত্রলীগের আহবায়ক আফজাল হোসেন রিমন প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় মাদকবিরোধী অভিযানে ১,৭০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও একটি পুরাতন সিএনজি উদ্ধার করেছে পুলিশ। অভিযানে দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আজ সকালে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিশ্চিত করেছে কসবা থানার পুলিশ।
৭ সেপ্টেম্বর রবিবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা থানাধীন বিনাউটি ইউনিয়নের সৈয়াদাবাদ এলাকায় এ অভিযান পরিচালিত হয়। কসবা থানার এসআই মোঃ কামাল হোসেন ও সঙ্গীয় ফোর্স এ অভিযান পরিচালনা করেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মো. ডালিম (৪৮) ও হানিফ (৪৬)। তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজুর প্রক্রিয়া চলছে।
কসবা থানার ওসি মোহাম্মদ আব্দুল কাদের জানান আসামিদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু করার পক্রিয়া চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় তীব্র স্রোতের কারণে সেতু ধসের আশঙ্কায় কসবা উপজেলার সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। এছাড়াও আরো একটি সেতু ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। তা ধসে গেলে পৌর এলাকার দেবগ্রামের মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা একেবারে বন্ধ হয়ে যাবে।
ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দুই পাশে থাকা বৈদ্যুতিক খুঁটির মাটি সরে যাওয়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে। ফলে কয়েকটি এলাকা বিদ্যুৎহীন রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, পৌর এলাকার দেবগ্রাম ও মোগড়া ইউনিয়নের নয়াদিলের সংযোগস্থলের সেতু বৃহস্পতিবার রাত ৯টা থেকে ঝুঁকির মধ্য পড়ে। সেতুর এক পাশের দেয়াল ধসে পড়লে আতঙ্ক দেখা দেয়। পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা গাছ ফেলে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।
এদিকে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে পৌর এলাকার দেবগ্রামে নতুন নির্মাণ হওয়া সেতুটির এক পাশ থেকে মাটি সরে যায়। এ অবস্থায় একপাশ দিয়ে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। এখানেও দুটি বৈদ্যুতিক খুঁটির নিচ থেকে মাটি সরে গেছে।
এ বিষয়ে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) গাজালা পারভীন রুহি জানান, সেতুর বিষয়ে অবগত রয়েছি। ঝুঁকি থাকায় সেখানে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
তিন বছরের বেশি সময় ধরে বন্ধ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা সীমান্ত হাট চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আজ ১৫ জুন বৃহস্পতিবার দুপুরে সংস্কার কাজের জন্য ভারত-বাংলাদেশের যৌথ ইঞ্জিনিয়ারিং টিম হাটটি পরিদর্শন করেছে।
এসময় বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ারিং টিমের নেতৃত্বে ছিলেন কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সীমান্ত হাট ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য মো. আমিনুল এহসান খান। আর ভারতীয় তিন সদস্যের ইঞ্জিনিয়ারিং টিমের নেতৃত্ব দেন অনুরাগ সেন।
এরআগে ২০২০ সালের মার্চ থেকে করোনা মহামারির কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য কসবা সীমান্ত হাটের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় দুই দেশের হাট ব্যবস্থাপনা কমিটি। সম্প্রতি হাটটি খোলার বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হয়। তবে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় হাটের ভেতরের কিছু অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এগুলো সংস্কারের জন্য প্রাক্কলন করতে দুদেশের ইঞ্জিনিয়ারিং টিম হাট পরিদর্শন করে।
কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আমিমুল এহসান খান জানান, সপ্তাহের মধ্যে হাটের ক্ষতিগ্রস্ত অবকাঠামো সংস্কারে প্রাক্কলন করা হবে। এরপর সংস্কার কাজ শেষ করে দ্রুত সময়ের মধ্যে হাটটি উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে ক্রেতা-বিক্রেতাদের জন্য।
চলারপথে রিপোর্ট :
ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান মামলা ও কারাদন্ড দেওয়ার পরও কসবায় বন্ধ হচ্ছে না পাহাড় কাটা। রাতের আধাঁরে কেটে নেওয়া হচ্ছে পাহাড় ও টিলা ভূমি। এতে করে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্য। ৭ নভেম্বর বৃহস্পতিবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের লতুয়ামুড়া এলাকায় পাহাড় কাটার দায়ে মামুন মিয়া নামের এক ব্যক্তিকে সাত দিনের কারাদন্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত।
এ আদালত পরিচালনা করেছেন প্রথম শ্রেণীর নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্যাট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. গোলাম সরওয়ার।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্যাট ইকরামুল হক নাহিদ এবং তৌহিদুল ইসলাম। তাদেরকে সহযোগীতা করেছেন জেলা পুলিশ ও বিজিবি।
কারাদন্ড প্রাপ্ত মো. মামুন মিয়া কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের লতুয়ামুড়া গ্রামের বাসিন্দা। তাকে গতকাল শুক্রবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেল হাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।উপজেলা ভূমি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কসবা উপজেলার বায়েক ও গোপীনাথপুর ইউনিয়নে পাহাড় রয়েছে। কসবা উপজেলার মাদলা মৌজায় এক দাগেই পাহাড় রয়েছে দুইশ ৩৭ একর। এনিয়ে দুই ইউনিয়নে পাহাড় রয়েছে তিনশ ৭৫ একর। তবে স্থানীয়দের ধারণা ৫০ একরেরও বেশী পরিমান পাহাড় কেটে নেওয়া হয়েছে। এভাবে কাটতে থাকলে এক সময় পাহাড়হীন হয়ে পড়বে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা। জানা যায়, একটি সংঘবদ্ধ চক্র পাহাড় কাটা ও মাটি বিক্রয়ের সাথে জড়িত। তারা প্রকৃতিরখুঁটি পাহাড় ধ্বংস করছে। তাদের সাথে রয়েছে ভূমি অফিসের কিছু অসৎ কর্মকর্তা ও কর্মচারীর যোগসাজশ।
কসবা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. গোলাম সরওয়ার জানিয়েছেন, পাহাড় কাটার দায়ে বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালিয়ে মামুন মিয়া নামের একজনকে সাতদিনের কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ জহিরুল হক কবির বলেন, পাহাড় কাটার দায়ে কারাদন্ডপ্রাপ্ত মামুন মিয়াকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।