চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় দুই স্ত্রী ও একাধিক সন্তান রেখে অন্যের নববধূকে নিয়ে উধাও হয়েছে রানা হরিজন (৩৪) নামে এক যুবক। ওই নববধূকে (১৬) প্রেমের ফাঁদে ফেলে পালিয়েছে রানা। এ সময় নগদ অর্থ ও স্বর্ণালংকারও নিয়ে যায়।
রানা হরিজন আখাউড়া উপজেলা কার্যালয়ে পরিচ্ছন্নতা কর্মচারী হিসেবে কর্মরত। সে হরিজন কলোনির বাসিন্দা গাবুল হরিজনের ছেলে।
২২ রবিবার দুপুর ১২টার দিকে পৌরশহরের হরিজন কলোনিতে সংবাদ সম্মেলন করে এমন অভিযোগ করেন নববধূর মা।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে নববধূর মা বলেন, কলোনির বাসিন্দা গাবুল হরিজনের ছেলে রানা হরিজন ইতোপূর্বে দুইটি বিয়ে করেছেন এবং তাদের সংসারে একাধিক সন্তানও রয়েছে।
তিনি বলেন, তার দুই মেয়েকে উচ্চশিক্ষা (অনার্স পাশ) দিয়ে পাত্রস্থ করেছেন। ছোট মেয়ে প্রীতি রাণী আখাউড়া রেলওয়ে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে পড়াশোনা করছে; কিন্তু স্কুলে যাওয়া আসার পথে আমার মেয়েকে উত্ত্যক্ত করতে থাকে ওই বখাটে রানা হরিজন। আখাউড়া ইউএনও অফিসের কর্মচারী হওয়ায় প্রভাব দেখিয়ে তাকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার পাশাপাশি বিয়ে করতে বলে রানা। এসব বিষয়ে সামাজিক সালিশে রানাকে একাধিকবার সতর্কও করা হয়েছে।
নববধূর মা আরো বলেন, রানা হরিজনের অত্যাচারের কারণে পড়াশোনা বন্ধ দিয়ে তার মেয়েকে সম্প্রতি অন্যত্র বিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিয়ের ১৪ দিন পর তার মেয়ে বেড়াতে আসলে রানা হরিজন ফুঁসলিয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে তাকে নিয়ে উধাও হয়ে যায়। এ সময় নগদ ৯০ হাজার টাকা ও আড়াই ভরি স্বর্ণালংকারও সঙ্গে নিয়ে যায়।
যদিও গাবুল হরিজন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, আমার ছেলে ওই মেয়েকে নিয়ে পালিয়েছে সত্য। এখন কোথায় আছে আমরা কেউ জানি না। তবে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি।
আখাউড়া থানার ওসি আসাদুল ইসলাম বলেন, খবর নিয়ে যতদূর জানা গেছে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। বিয়ে হওয়ার পরেও মেয়েটি সে তার প্রেমিক রানার হাত ধরেই পালিয়েছে। তবে তাদের উদ্ধার করার জন্য পুলিশের একটি দল চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অংগ্যজাই মারমা বলেন, রানাকে আইনের আওতায় আনতে পুলিশকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় আরফিন ভূঁইয়া নামে এক স্কুল ছাত্রকে মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আরফিন ভূঁইয়া উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের হীরাপুর শহীদ নোয়াব মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর ছাত্র। সে ওই ইউনিয়নের বড় কুড়িপাইকা জমাদ্দার বাড়ির আল আমিন ভূঁইয়ার ছেলে।
আজ ২৫ সেপ্টেম্বর সোমবার সকালে স্কুলে যাওয়ার পথে এ মারধরের ঘটনা ঘটে। আহত আরফিনকে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় আরফিনের দাদা ওহিদ ভূঁইয়া বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
লিখিত অভিযোগ ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, কিছু যুবক প্রায়ই স্কুলের সামনে ছাত্রীদেরকে উত্যক্ত করে। রবিবার সকালে ওই বিদ্যালয়ের এক ছাত্রসহ কয়েকজন যুবক ছাত্রীদেরকে উত্যক্ত করলে আরফিনসহ কয়েকজন ছাত্র প্রতিবাদ করে।
এতে ওই যুবকরা ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের সাথেও খারাপ আচরণ করে। সোমবার সকালে আরফিন ভূইয়া স্কুলের যাওয়ার পথে ৪/৫ জন যুবক তাকে বেদম মারধর করে। এক পর্যায়ে আশে পাশের লোকজন এগিয়ে এলে যুবকরা চলে যায়।
জানতে চাইলে অহিদ ভূঁইয়া বলেন, ছাত্রীদেরকে উত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় বখাটেরা আমার নাতিকে মারধর করেছে। নাদিম, রোমান, হৃদয়, শাকিল ও অন্তরকে আমার নাতি চিনতে পেরেছে।
এ ব্যাপারে হীরাপুর শহীদ নোয়াব মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বলেন, মোঃ সাজ্জাত হোসেন বলেন আরফিন ভূঁইয়া আমার স্কুলের ছাত্র। অত্র বিদ্যালয়ের ১০ ম শ্রেণীর ছাত্র হৃদয়সহ বহিরাগতরা আরফিনকে মারধর করেছে বলে অভিযোগ পেয়েছি। এ ঘটনায় হৃদয়ের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে শাস্তিমুলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসাদুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় নাসিমা আক্তার নামে এক নারীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে তার ছেলে। আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সকালে উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের আনন্দপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত নাসিমা আনন্দপুর গ্রামের মিজান মোল্লার স্ত্রী। ঘটনার পর পর খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধারসহ ঘাতক ছেলে সিয়ামকে আটক করে। প্রাথমিকভাবে সে হত্যার সাথে জড়িত বলে স্বীকার করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে নাসিমা তার ছেলে সিয়াম ও নাতি ওমর ফারুককে সাথে নিয়ে ঘুমিয়ে যায়। শুক্রবার সকাল নাসিমার ক্ষতবিক্ষত মরদেহ দেখতে পায় ঘরের লোকজন। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকাজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্তের এক পর্যায়ে নাতি ওমর ফারুকের কাছ থেকে জানতে পারে তার মামা সিয়াম মাকে ধারালো অস্ত্র চেহাইট দিয়ে আঘাত করে খুন করে। পরে পুলিশ সিয়ামকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে তার মাকে খুন করেছে বলে জানায়। সে প্রায়ই বাড়ি থেকে বের হয়ে যেত। তাকে বারবার ফিরিয়ে আনার ক্ষোভ থেকে মাকে সে হত্যা করেছে বলে সে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে।
আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ছমিউদ্দিন জানান, হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছেলেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার দেয়া তথ্য মতে হত্যায় ব্যবহৃত বটিসহ বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করা হয়। তিনি আরো জানান, নিহত নাসিমার সাথে তার ভাইয়ের একটি মামলা চলমান রয়েছে যার রায় হবে আগামী রবিবার। প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে এই হত্যাকাণ্ড কি না অথবা এর সাথে আর কেউ জড়িত আছে কি না তার তদন্ত চলছে। মরদেহ জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়া উপজেলায় এক গৃহবধু হত্যা মামলার পলাতক ২ আসামীকে আটক করেছে পুলিশ।
আটককৃতরা হলো পৌরশহরের চন্দনসার এলাকার আরিফ হোসেন প্রকাশ জিকু (৩৫) ও তার স্ত্রী মোছাঃ মর্জিনা বেগম প্রকাশ সূচী (২৮)। মঙ্গলবার রাতে কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব থেকে আটক করা হয়।
আটককৃতদেরকে বুধবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
আখাউড়া থানা সূত্রে জানা গেছে, ২২ জুন সকালে পৌরশহরের চন্দনসার এলাকায় আরিফ হোসেন প্রকাশ জিকুর স্ত্রীর সঙ্গে কথাকাটির জেরে সেলিম মিয়ার মেয়ে সুমা আক্তার (২৪) কে বেদম মারধর করে জিকুর পরিবারের লোকজন।
পরদিন বিকালে জেলা শহরের একটি হাসপাতালে সুমা আক্তার মারা যায়। এঘটনায় সেলিম মিয়া বাদী হয়ে ৪ জনকে আসামী করে আখাউড়া থানায় মামলা দেয়। পুলিশ ওই রাতেই ২ জনকে আটক করে।
আখাউড়া থানা ওসি মোঃ আসাদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় শীতার্ত অসহায় ও দুস্থ মানুষের উষ্ণতা দিতে সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে পাশে দাঁড়াল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ সদস্য ও সাংবাদিক মো: সাইফুল ইসলাম। আজ ১২ জানুয়ারি শুক্রবার বিকেলে তার নিজস্ব অর্থায়নে দুইশত কম্বল অসহায় ও দুস্থদের মাঝে বিতরণ করা হয়।
এই সময় জেলা পরিষদ সদস্য মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, আখাউড়ায় ঠাণ্ডা বাতাসের দাপটে শীত জেঁকে ধরেছে সবাইকে। হিম ঠাণ্ডা আর কুয়াশায় নাকাল জনজীবন। শীতের এই তীব্রতা বেশি কাবু করে নিয়েছে মানুষকে।
কম্বল বিতরণকালে সকলের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমি আপনাদের ঘরের সন্তান। এই শীতে আপনারা কষ্ট করবেন, তা মেনে নেয়া যায় না। আপনাদের প্রতি বুকভরা ভালোবাসা, শ্রদ্ধাবোধ, সম্মান ও সহমর্মিতা নিয়ে আমি এখানে এসেছি, পরিবারের সদস্য হিসেবে আপনাদের পাশে দাঁড়াতে। এ সময় তিনি সকলের দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করেন।
আখাউড়া প্রতিনিধি :
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দল গোছাতে শুরু করেছে আখাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগ। স্থানীয় সংসদ সদস্য ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের নির্দেশে নির্বাচনমুখি নানা কর্মকান্ড পরিচালনা করছে আওয়ামীলীগ। দলের সাংগঠনিক অবস্থা তুলে ধরতে আজ ১৬ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পৌরসভা ভবনের তৃতীয় তলায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী।
উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল লিখিত বক্তব্য পাঠ করে দলের সাংগঠনিক অবস্থা তুলে ধরেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, দলকে শক্তিশালী করতে নবীন প্রবীনের সমন্বয়ে পৌরসভাসহ প্রতিটি ইউনিয়নের মেয়াদোত্তীর্ণ আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মহিলালীগসহ সহযোগি সংগঠনগুলোর নতুন কমিটি গঠনের কাজ চলছে। এতে তৃনমূলের নেতাকর্মীদের মাঝে জাগরণ সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের নেতৃত্বে অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে আখাউড়ায় আওয়ামীলীগ অনেক বেশি শক্তিশালী। আইনমন্ত্রীর নেতৃত্বে আখাউড়ায় ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। শহর থেকে গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে।
সমাজের দর্পন হিসেবে সরকারের এসব উন্নয়ন গণমাধ্যমে তুলে ধরার জন্য তিনি সাংবাদিকদের প্রতি আহবান জানান।
এসময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক তাকজিল খলিফা কাজল দাবী করেন, আখাউড়ায় আওয়ামীলীগে কোন গ্রুপিং বা বিভেদ নাই। দলের নবীন-প্রবীণ সকল নেতাকর্মীকে মূল্যায়ন করেই জাতীয় নির্বানকে সামনে রেখে দলীয় কর্মকান্ড চলছে।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মোঃ সেলিম ভূঁইয়া, মোঃ মনির হোসেন বাবুল, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মোঃ আব্দুল মমিন বাবুল, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসরিন সফিক আলেয়া, পৌর যুবলীগের সভাপতি মনির খান, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাব উদ্দিন বেগ শাপলু, সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন নয়ন প্রমুখ।