চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের সদর উপজেলা ও পৌর কমিটির ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন গতকাল রবিবার বিকালে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিকেল ৫ টায় শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ারের জাতীয় বীর আবদুল কুদ্দুস মাখন পৌর মুক্তমঞ্চ ময়দানে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
সদর উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি একেএম মফিজুর রহমান ভূঁইয়া মামুনের সভাপতিত্বে এবং সদর উপজেলার আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান ভূঁইয়া শিপু ও পৌর স্বেচ্ছাসেবকলীগের আহবায়ক অ্যাডভোকেট কামরুজ্জামান অপুর পরিচালনায় সম্মেলন উদ্বোধন করেন জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট লোকমান হোসেন।
সম্মানিত অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবকলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু, সাধারণ সম্পাদক এ.কে.এম আফজালুর রহমান বাবু।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কৃষিবিদ আ.ফ.ম মাহবুবুল হাসান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগ জাতীয় পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট মার্সেলা সুইটি হালদার। প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক এম. সাইদুজ্জামান আরিফ।
সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আর এই নির্বাচন নির্ধারণ করবে শেখ হাসিনা দেশের সাধারণ মানুষকে আশা আকাঙ্খার প্রতিক হিসেবে দেশকে নেতৃত্ব দিবেন কি না। উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে হলে আগামী নির্বাচনে সকলকে নিরলসভাবে কাজ করতে হবে। উন্নয়ন পেতে হলে শেখ হাসিনা সরকার বার বার দরকার।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৯৮ বোতল ফেনসিডিলসহ তিন মাদক কারবারিকে আটক করেছেন মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সদস্যরা।
আজ ১৬ সেপ্টেম্বর শনিবার এ ঘটনায় মামলা দিয়ে গ্রেফতার দেখিয়ে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার মধ্যরাতে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের খাঁটিহাতা বিশ্বরোড মোড়ে একটি দোকানে অভিযান চালিয়ে তাদের ফেনসিডিলসহ আটক করা হয়।
গ্রেফতাররা হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলের পূর্ব কুট্টাপাড়ার ঈমান আলীর ছেলে মো. আরব আলী (৩৬), সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়নের চান্দিয়ারার মনির মিয়ার ছেলে দুলাল মিয়া (২৯) ও সরাইলের উচালিয়াপাড়ার মৃত হারুন মিয়ার ছেলে জুয়েল মিয়া (৩৩)।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ব্রাহ্মণবাড়িয়া সার্কেলের সহকারী পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, আটককৃত মাদক কারবারিদের মধ্যে আরব আলী একজন চিহ্নিত অপরাধী। সে প্রথমে খাঁটিহাতা বিশ্বরোড মোড়ে পলিথিন বিক্রি করতো। পরবর্তীতে সেখান থেকে টেম্পু চালাতো। এরই মাঝে সে ডাকাত চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। তার বিরুদ্ধে ডাকাতির মামলাও রয়েছে। পাশাপাশি হয়ে যায় সিএনজি শ্রমিক নেতা।
তিনি বলেন, সে বিশ্বরোড মোড়ে সিএনজিচালিত অটোরিক্সার মালামালের দোকান দিয়ে ব্যবসা শুরু করে। এই ব্যবসার আড়ালে মাদক কারবারের সিন্ডিকেট গড়ে তোলে। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে অভিযান চালিয়ে তার দোকান থেকে ৯৮ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। এসময় আরব আলীসহ তার দুই সহযোগীকে আটক করা হয়।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এ কর্মকর্তা আরো বলেন, এর আগেও তার বিরুদ্ধে ডাকাতি, চাঁদাবাজিসহ আটটি মামলা রয়েছে। মাদক উদ্ধারের ঘটনায় শনিবার সদর মডেল থানায় মামলা করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের কাউতলী এলাকায় অভিযান দুই ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। ৫ নভেম্বর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত সায়মন মিয়া (২৪) ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের ভাদুঘর এলাকার শফিক মিয়ার ছেলে ও দাতিয়ার এলাকার আবুল ফায়েজের ছেলে ওমর ফারুক রনি (২০)।
আজ ৬ নভেম্বর বুধবার দুপুরে র্যাব-৯, সিলেট ক্যাম্পের মিডিয়া অফিসার সহকারী পুলিশ সুপার মো. মশিহুর রহমান সোহেলের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের কাউতলী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করা। গ্রেফতার সায়মন মিয়া ডাকাত দলের সর্দার। তার বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। জনস্বার্থে তাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়র ক্যাডার কম্পোজিশনের সুরক্ষা, পদোন্নতি, পদসৃজন, স্কেল আপগ্রেডেশন ও আন্তঃ ক্যাডার বৈষম্য নিরসনসহ বিভিন্ন দাবিতে আজ ২৬ মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন করেছে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি। সকাল সোয়া ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সভাপতি প্রফেসর ড. মো. ইব্রাহিম।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সমিতির সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ হামজা মাহমুদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ এ. এস.এম. শফিকুল্লাহ, প্রফেসর খালেদ খান, আহসান শাহরিয়ার তোফা, মোঃ সাইদুল ইসলাম খান, শায়েলা ইয়াসমিন, মোঃ মোসলেম উদ্দিন, শামসুল হক।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, শিক্ষা ক্যাডার নিয়ন্ত্রিত সরকারি কলেজ সমূহে উচ্চ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা স্তরে প্রায় ৫০ লাখ শিক্ষার্থী অধ্যায়নরত রয়েছে। শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তার সংখ্যা মাত্র ১৬ হাজার। গুরুত্বপূর্ণ এই খাতে ১২ হাজার ৪৪৪ টি পদ সৃজনের প্রস্তাব আটকে আছে ৯ বছর ধরে।
উপরন্ত আমরা লিখিতভাবে আপত্তি জানাবার পরেও বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের তফসিলভুক্ত প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ৫১২টি পদ শিক্ষা ক্যাডারের তফসিল বহির্ভুত করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের নিয়োগবিধি চুড়ান্ত করা হয়েছে। এটি সুষ্পষ্টই শিক্ষা ক্যাডারের অস্তিত্বের উপর আঘাত। আমরা এ সকল কর্মকান্ডকে সরকারের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার শামিল মনে করি। শিক্ষা ক্যাডারকে অন্ধকারে রেখে এই বিধি করার এখতিয়ার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নেই। আমরা শিক্ষা ক্যাডার বিরোধী এসকল কর্মকান্ডের তীব্র প্রতিবাদ জানাই এবং অবিলম্বে এই বিধি বাতিলের দাবি করি।
আমাদের দাবি না মানলে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক আগামী ২ অক্টোবর সারাদেশে একদিনের কর্মবিরতি পালন করা হবে। এতে দৃশ্যমান অগ্রগতি না হলে ১০, ১১, ১২ অক্টোবর টানা তিনদিনের কর্মবিরতি পালন করা হবে।
লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয়, প্রশাসনসহ অন্যান্য সেক্টরের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে অফিস রয়েছে। কিন্তু জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে শিক্ষা ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনের জন্য শক্তিশালী শিক্ষা প্রশাসন গড়ে উঠেনি। দেশের সার্বিক শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীনে শিক্ষা ক্যাডার নিয়ন্ত্রিত জেলা ও উপজেলা শিক্ষা প্রশাসন প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মজলিশপুর ইউনিয়নের আমিরপাড়া আশ্রয়ন প্রকল্পের অসহায় মানুষের মধ্যে সদর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।
আজ ১৬ জানুয়ারি মঙ্গলবার সকালে প্রধান অতিথি হিসেবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখ আমিরপাড়া আশ্রয়ন প্রকল্পের ১২৫টি পরিবারের মধ্যে এই কম্বল বিতরণ করেন।
কম্বল বিতরণের সময় সদর উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট লোকমান হোসেন, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ মোশারফ হোসাইন, সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ সেলিম শেখ বলেন, হঠাৎ করে শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় অসহায় মানুষের কষ্ট বেড়ে যায়।
মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রী অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যাদের জমি ও ঘর নেই তাদেরকে জমিসহ ঘর দিয়েছেন।
মঙ্গলবার সকালে সদর উপজেলার মজলিশপুর আমিরপাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের অসহায় ১২৫ টি পরিবারের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়। শীতবস্ত্রহীন মানুষগুলোর শরীরে কম্বল জড়িয়ে দিতে পেরে হৃদয়ে কিছুটা প্রশান্তির ছোঁয়া পেলাম।
এ সময় তিনি সমাজের বিত্তবান মানুষদেরকে শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানান।