চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩-(সদর-বিজয়নগর) আসনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন চাইবেন লায়ন ফিরোজুর রহমান ওলিও।
আজ ২২ মে সোমবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই কথা জানান।
ফিরোজুর রহমান ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে জয়লাভ করেন। এর আগে তিনি সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়ন পরিষদে টানা পাঁচবার চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সাবেক সদস্য।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ফিরোজুর রহমান। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়ন পরিষদে ৫ বারে ২৬ বছর চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। পরে সদর উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি। এই জনপদের কাছে আমার ঋণ রয়েছে। জীবনের শেষ সময়ে মনের একটি ইচ্ছা জানাতে এখানে উপস্থিত হয়েছি।
তিনি বলেন, কৈশর জীবনে ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের আন্দোলন সংগ্রামে চোঙ্গা হাতে নিয়ে মিছিল করেছি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে খুব কাছ থেকে দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল আমার। আমি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। আমি আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর আসনে দলের কাছে মনোনয়ন চাইব। সে লক্ষ্যে প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমার জীবনের শেষ নির্বাচন হিসেবে আমি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া -৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী। আমার জীবনের এই ইচ্ছাটুকু আপনাদের মাধ্যমে আজ সকলের কাছে প্রকাশ করেছি। আমি ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর কাছে দোয়া ও সহযোগিতা চাই। আগামী সংসদ নির্বাচনে আমি যেন দলীয় মনোনয়ন পাই সে জন্য মহান সৃষ্টিকর্তার রহমত কামনা করি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করছি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সুলতানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ফিরোজুর রহমানের ছেলে শেখ ওমর ফারুক, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী কামরুল হাসান খাঁন, সমাজসেবক মুন্সী শাহআলম প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আনন্দঘন পরিবেশে জাতীয় দৈনিক আমার সংবাদের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে আজ ০২ মার্চ বৃহস্পতিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলানায়তনে কেক কাটা ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি খ. আ. ম রশিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাবেক সহ-সভাপতি ইব্রাহিম খান সাদাতের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আরজু, সাবেক সভাপতি সৈয়দ মিজানুর রেজা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো: সাদেকুর রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো: জসিম উদ্দিন, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বাহারুল ইসলাম মোল্লা, সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি আল আমিন শাহীন, সহ-সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ আকরাম, সাবেক সহ-সভাপতি মফিজুর রহমান লিমন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক দীপক চৌধুরী বাপ্পী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ রিয়াজ আহমেদ অপু, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিহাব উদ্দিন বিপু, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ মোশাররফ হোসেন বেলাল, সাবেক আইটি সম্পাদক মজিবুর রহমান খান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের আইটি সম্পাদক জালাল উদ্দিন রুমি, দৈনিক ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সম্পাদক ফয়জুন নাহার প্রম্খু। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক আজিজুর রহমান পায়েল, মেহেদী নূর পরশ, প্রকাশ দাস, ইফতেহার রিফাত, মোঃ সাইফুল, মোঃ রাসেলসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।
এ সময় বক্তারা, দৈনিক আমার সংবাদের উত্তরোত্তর সফলতা ও সমৃদ্ধি কামনা করেন। পরে কেক কেটে প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রেসক্লাবের সাবেক সহ- সভাপতি ইব্রাহিম খান সাদাত।
চলারপথে রিপোর্ট :
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মাজার জিয়ারত ও ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী সংসদের নেতৃবৃন্দ।
আজ ১০ জুলাই বুধবার দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার মাজার প্রাঙ্গনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
এসময় নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি হাজি হেলাল উদ্দিন, কামরুজ্জামান আনসারী, অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু, সৈয়দ মিজানুর রেজা, কাজী হারিসুর রহমান, গোলাম মহিউদ্দিন খান খোকন, জাতীয় পরিষদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম ভূঞা, উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য কাজী মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, আজিজুল হক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এড. মাহবুবুল আলম খোকন, আবদুল হান্নান রতন, এড. তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মো. মহসিন, তানজিন আহমেদ, সৈয়দ এখতেশামুল বারী তানজিল, কোষাধ্যক্ষ মহসিন মিয়া, আইন সম্পাদক এড. মফিজুর রহমান বাবুল, ত্রাণ সমাজকল্যাণ সম্পাদক আবদুল খালেক বাবুল, বন ও পরিবেশ সম্পাদক শাহআলম আলম, মহিলা সম্পাদিকা ফারহানা সিদ্দিক, সাংস্কৃতিক সম্পাদক জহিরুল ইসলাম, শিল্প বাণিজ্য সম্পাদক স্বপন রায়, যুব ক্রীড়া সম্পাদক এড. শাহানুর ইসলাম, শিক্ষা সম্পাদক অধ্যাপক নুরুন্নাহার বেগম, ধর্ম সম্পাদক অধ্যক্ষ মাওলানা আবুল কালাম, কৃষি সমবায় সম্পাদক এমবি কানিজ, শ্রম সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ ভূঞা, বিজ্ঞান প্রযুক্তি সম্পাদক অধ্যক্ষ মোস্তফা কামাল, উপপ্রচার সম্পাদক মাসুম বিল্লাহ, কার্যকরী সদস্য উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম শিউলী আজাদ, এড. শিব শঙ্কর দাস, আলহাজ¦ নাজির মিয়া, জহিরুল ইসলাম ভূঞা, রফিকুল ইসলাম, কাজী মোরশেদ হোসেন কামাল, এড. লোকমান হোসেন, আলামিনুল হক আলামিন, হাজি বাবুল মিয়া, বাবুল মিয়া, আবুল হোসেন, সাইদুজ্জামান আরিফ। এছাড়া জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন শোভন, বিজয়নগর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আল জাবের উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বুধবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টুর নেতৃত্বে কার্যকরী সংসদের নেতৃবৃন্দ ঢাকা থেকে টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশ্যে রওনা হন।
চলারপথে রিপোর্ট :
জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পৃথকভাবে গণমিছিল ও সমাবেশ করেছে জামায়াতে ইসলামী, হেফাজতে ইসলাম ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
আজ ৫ আগস্ট মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণ থেকে একটি গণমিছিল বের করে জেলা জামায়াতে ইসলামী। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে সংক্ষিপ্ত প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জামায়াতে ইসলামী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আমির ও কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য মাওলানা মোবারক হোসেন।
সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন জামায়াত নেতা মাওলানা আমিনুল ইসলাম, জেলা জামায়াতের সহকারী সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মাদ জুনায়েদ হাসান ও আব্দুল বাতেন, যুব ও আইন বিষয়ক সম্পাদক কাজী সিরাজুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক মো. রাকন উদ্দিন, আইসিটি ও শিক্ষা সম্পাদক রাজিফুল হাসান বাপ্পী এবং ইসলামী ছাত্রশিবিরের জেলা সভাপতি হাসান মাহমুদ ও সেক্রেটারি জুলফিকার হায়দার রাফি প্রমুখ।
সমাবেশে মাওলানা মোবারক হোসেন বলেন, ‘ছাত্র অভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার বিদায় হয়েছে। বিগত ১৬ বছর মানুষের বাকস্বাধীনতা ছিল না। শেখ হাসিনার সরকার ভিন্নমতকে সহ্য করেনি। এই দেশের মানুষ তাদের রক্ত দিয়ে স্বৈরাচারের অবসান ঘটিয়েছে। তবে এখনও তার সহযোগী ও অনুসারীরা ক্ষমতায় রয়ে গেছে।’
এর আগে সকাল ১১টার দিকে হেফাজতে ইসলাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের টি.এ রোড থেকে প্রেসক্লাব পর্যন্ত গণমিছিল ও সমাবেশ করে। এতে নেতৃত্ব দেন সংগঠনের জেলা সভাপতি মুফতি মুবারক উল্লাহ এবং সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আলী আজম।
একই দিন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার উদ্যোগেও পৃথক মিছিল ও সমাবেশ হয়। সংগঠনের সভাপতি মাওলানা আবুল কালাম আজাদ এবং সেক্রেটারি মাওলানা গাজী নিয়াজুল করীম এর নেতৃত্ব দেন। সমাবেশে বক্তারা শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের দাবি জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
৩১ অক্টোবর বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর মিরপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতারের তথ্য জানানো হয়।
গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) রেজাউল করিম মল্লিক।
উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩(সদর-বিজয়নগর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি।
তিনি ২০১১ সালে উপনির্বাচনে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে সাবেক মন্ত্রী-এমপিদের অনেকেই বিভিন্ন হত্যা ও হামলার মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন। অনেকেই আত্মগোপনে রয়েছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ উপলক্ষে আজ ৪ ডিসেম্বর সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এডাবের উদ্যোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
দুপুরে শহর বাইপাস সড়কের সার্কিট হাউজের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সাইফুল ইসলাম।
এডাব, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সভাপতি এস.এম শাহীনের সভাপতিত্বে নারী ও কন্যা শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে বিনিয়োগ করি প্রতিপাদ্য বিষয়ে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আরজু।
এ সময় বক্তারা, নারী নির্যাতন প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহবান জানান। মানববন্ধনে বিভিন্ন এনজিও নারী সংগঠনের প্রতিনিধি অংশ গ্রহণ করেন।