নির্বাচন ব্যবস্থার পরিবর্তন দেখতে চাই: জিএম কাদের

রাজনীতি, 24 May 2023, 886 Views,

চলারপথে ডেস্ক :
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে না বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচনে যে পদ্ধতি অনুসরণ করে নির্বাচন হচ্ছে, তা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে বলে আমরা মনে করছি না। আমরা নির্বাচন ব্যবস্থার পরিবর্তন দেখতে চাই।

banner

আজ ২৪ মে বুধবার বিকালে রংপুর ও লালমনিরহাট জেলায় ৫ দিনের সফরে এসে রংপুর সার্কিট হাউজ প্রাঙ্গণে গণমাধ্যম কর্মীদের সামনে এসব কথা বলেন তিনি।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, এক সময় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আমরা সব দল আন্দোলন করেছিলাম, নির্বাচনও বর্জন করেছি। আবার তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের জন্য জাতীয় পার্টি ও আওয়ামী লীগ নির্বাচন বর্জন করেছিল। আমরা এ দুটি ব্যবস্থার বাইরে আসতে চাই। সকলে মিলে, প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞদের সাথে আলাপ করে নতুন নির্বাচন পদ্ধতি বের করতে হবে।

জিএম কাদের একটি নির্বাচন পদ্ধতি তৈরি করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকা নির্বাচনে সরকারের ইচ্ছামতো জয়-পরাজয় নির্ধারিত হচ্ছে। এটি কোনো নির্বাচন হতে পারে না। জনগণ যেন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে এ লক্ষ্যে নতুন একটি নির্বাচন পদ্ধতি তৈরি করতে হবে। এক্ষেত্রে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে।

জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে আমাদের অবস্থান, সাংগঠনিক শক্তি ও সমর্থন বিবেচনা করে কারও সাথে জোট করতে হলে করব কিংবা সার্মথ্য থাকলে এককভাবে নির্বাচন করব। আমরা এ নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেইনি। বর্তমানে আমরা দেশের রাজনীতি পর্যবেক্ষণ করছি। আমাদের দেশ শাসনের অতীত অভিজ্ঞতা আছে, আমরা ৩০০টি আসনে প্রার্থী দেব ঠিক করেছি। এ লক্ষ্যে সংগঠনকে শক্তিশালী ও সংগঠিত করছি।

তিনি আরো বলেন, দেশের ডলারের ভয়াবহ সংকট তৈরি হয়েছে। আমি মনে করি এটি রাজনৈতিক সংকটকে আরও ঘনীভূত করবে। ডলার সংকট বর্তমান সরকারের কাছে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটির কারণে সামাজিক স্থিতিশীলতা বিনষ্ট হতে পারে, দেশে বড় ধরনের রাজনৈতিক সংকট তৈরি হতে পারে। এটি সরকারকে সতর্কভাবে নিয়ন্ত্রণ করা দরকার, তা না হলে তাদের বড় ধরনের মাশুল গুনতে হবে।

তিনি আরো বলেন, ১৯৯১ সালের পর বিএনপি ও আওয়ামী লীগ বারবার দেশের ক্ষমতায় এসেছে। তাদের ওপর দেশের মানুষ সন্তুষ্ট নয়। তাই বিকল্প দল হিসেবে তারা জাতীয় পার্টিকে সমর্থন দেবে বলে প্রত্যাশা করছি।

এক সময় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আমরা সব দল আন্দোলন করেছিলাম, নির্বাচনও বর্জন করেছি। আবার তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের জন্য জাতীয় পার্টি ও আওয়ামী লীগ নির্বাচন বর্জন করেছিল। আমরা এ দুটি ব্যবস্থার বাহিরে আসতে চাই। সকলে মিলে, প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞদের সাথে আলাপ করে নতুন নির্বাচন পদ্ধতি বের করতে হবে।

Leave a Reply

জাতির কাছে ক্ষমা চাইলেন জামায়াতের আমির…

অনলাইন ডেস্ক : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান Read more

বাঞ্ছারামপুরে স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি

চলারপথে রিপোর্ট : ৬ দফা দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য Read more

সাবেক সিইসি হাবিবুল আউয়াল গ্রেফতার

অনলাইন ডেস্ক : সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল Read more

রাইস কুকারে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মা-মেয়ের মৃত্যু

অনলাইন ডেস্ক : মাগুরার সদর উপজেলার টিলা গ্রামে রাইস কুকারে Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি

চলারপথে রিপোর্ট : সরকারি মেডিকেল কলেজ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় Read more

নাসিরনগরে মৎস্য আড়তে অভিযান, নিষিদ্ধ পিরানহা…

চলারপথে রিপোর্ট : বিক্রির জন্য রাখা নিষিদ্ধ পিরানহা মাছ জব্দ Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিন চাঁদাবাজ গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার খাটিহাতা (বিশ্বরোড) গোলচত্বর নামক এলাকায় চাঁদাবাজির Read more

সড়ক মেরামতের সপ্তাহ না পেরোতেই উঠে…

চলারপথে রিপোর্ট : সড়ক মেরামতের এক সপ্তাহ না পেরোতেই ইতিমধ্যে Read more

কসবায় গাঁজাসহ গ্রেফতার ১

চলারপথে রিপোর্ট : আজ ২৪ জুন মঙ্গলবার সকালে এস আই Read more

শাস্তি পেলেন ঋষভ পন্ত

অনলাইন ডেস্ক : আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট Read more

বাংলাদেশে গুগল পে এর উদ্বোধনী

অনলাইন ডেস্ক : বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণর ড. আহসান এইচ মনসুর Read more

যে কাজে নেক আমল নষ্ট হয়

ইসলাম ডেস্ক : মানুষের জীবনের সবচেয়ে মারাত্মক ক্ষতিকারক দিক হলো Read more

নবগঠিত কমিটি বাতিলের দাবিতে ঝাড়ু মিছিল

রাজনীতি, সরাইল, 15 January 2025, 335 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইল উপজেলা সদ্য ঘোষিত বিএনপির কমিটি বাতিলের দাবিতে পদবঞ্চিত অর্ধশতাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদধারী সাবেক নেতারা ক্ষোভে রাজপথে নেমে ঝাড়ু মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করেছে।

banner

আজ ১৫ জানুয়ারি বুধবার দুপুর ১২টার দিকে সরাইল উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন মাস্টারের নেতৃত্বে একটি ঝাড়ু মিছিল বের হয়ে উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বক্তব্য রাখেন সরাইল উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি জহির উদ্দিন আহমেদ, বিএনপি নেতা ও ছাত্রদলের সাবেক ভিপি মো. উসমান মিয়া, বিএনপি নেতা মো. হোসেন মিয়া, যুবদলের সাবেক সভাপতি ও সদ্য প্রকাশিত কমিটির যুগ্ম সম্পাদক-২ নাজমুল আলম খন্দকার মুন্না, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সদর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে উপজেলা বিএনপি’র যে পকেট কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে তা আমরা মানিনা, মানাবো না। বিএনপি’র এ কমিটিকে পারিবারিক, অরাজনৈতিক, চুর, ডাকাতে ভরা। আপনারা যারা দীর্ঘদিন রাজপথে ছিলেন, দীর্ঘদিন কারা বরণ করে এ জাতীয়বাদী দল বিএনপি কে বাঁচানোর জন্য আমরা আবার ঐক্যবদ্ধ হব। আমরা যেভাবে শেখ হাসিনাকে এই বাংলা থেকে বিতরিত করেছি। সেই ভাবে আনিছ ঠাকুর ও তপুর অবৈধ কমিটিকে সরাইল থেকে বিতরিত করব।

উল্লেখ্য, গত বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর সরাইল উপজেলা বিএনপির সভাপতি হিসেবে আনিসুল হক ঠাকুর ও অ্যাডভোকেট নুরুজ্জামান লস্কর তপুকে সাধারণ সম্পাদক করে ১০১ সদস্য নতুন কমিটি গঠন করা হয়। এই অনুমোদিত কমিটি চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি প্রকাশ করে বর্তমান উপজেলা কমিটি। এরপর থেকে পদবঞ্চিত নেতাকর্মীদের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য ঘোষিত কমিটির সভাপতি আনিসুল হক ঠাকুরের মোবাইল ফোনে কয়েকবার কল দেওয়া হলেও বন্ধ পাওয়া যায়।

প্রসঙ্গত, এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় একই দাবিতে উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন মাস্টারের সমর্থকরা বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছয়টি আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন ৫৪ প্রার্থী

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, রাজনীতি, 30 November 2023, 946 Views,
ফাইল ছবি

চলারপথে রিপোর্ট :

banner

দ্বাদশ নির্বাচনকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৬টি আসনে ৫৪ জন প্রার্থী মনোয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১-(নাসিরনগর) ৯ প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এরা হলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য বি.এম. ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম।

বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি রোমা আক্তার ও বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ.টি.এম মনিরুজ্জামান সরকার।

জাতীয় পার্টি থেকে শাহানুল করিম, সদ্য বহিস্কৃত বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা (স্বতন্ত্র প্রার্থী) সৈয়দ এ.কে এমরামুজ্জামান, জাকের পার্টির জাকির হোসেন চৌধুরী, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের ইসলাম উদ্দিন, ওয়ার্কার্স পার্টির মোহাম্মদ বকুল হোসেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মান্নান।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগঞ্জ) ১০ প্রার্থী মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন। প্রার্থীরা হলেন আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য শাহজাহান আলম সাজু, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঈনউদ্দিন মঈন (বিদ্রোহী স্বতন্ত্র), অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদ (জাতীয় পার্টি), অ্যাড. জিয়াউল হক মৃধা (স্বতন্ত্র), ছৈয়দ জাফরুল কদ্দুস (বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন), মাইনুল হাসান, (তৃণমূল বিএনপি), রাজ্জাক হোসেন (ন্যাশনাল পিপলস পার্টি), আবুল হাসনাত (ইসলামী ঐক্যজোট), জহিরুল ইসলাম জুয়েল (জাকের পার্টি), কাজী মাসুদ আহম্মেদ (বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি)।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩-(সদর-বিজয়নগর) আসন:এই আসনে মোট ১২ জন মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন। এরা হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, ফিরোজুর রহমান ওলিও (বিদ্রোহী স্বতন্ত্র), রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া (জাতীয় পার্টি), সেলিম কবির (জাকের পার্টি), সৈয়দ নূরে আজম ( ইসলামী ফ্রন্ট), আব্দুর রহমান খান ওমর (জাসদ), মাওলানা মজিবুর রহমান হামিদি (বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন), জহিরুল হক চৌধুরী (স্বতন্ত্র), কাজী জাহাঙ্গীর (স্বতন্ত্র), সৈয়দ মাহমুদুল হক আক্কাস (ন্যাশনাল পিপলস পার্টি), সোহেল মোল্লা (বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টি), জামাল রানা (বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন)।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪-(কসবা-আখাউড়া) ৬ প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর হলেন- আওয়ামী লীগের প্রার্থী দুইবারের সংসদ সদস্য ও আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক। তারেক এ.আদেল (জাতীয় পার্টি), জাহাঙ্গীর আলম (জাকের পার্টি), শাহীন খান (ন্যাশনাল পিপলস পার্টি), বজলুর রহমান মিলন (বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টি), সৈয়দ জাফরুল কদ্দুস (বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন)।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর): ১১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আওয়ামী লীগের ফয়জুর রহমান বাদল মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তবে একই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী (বিদ্রোহী) হিসেবে ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ.কে.এম মমিনুল হক সাঈদ ও কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের ধর্ম বিষয়ক উপ কমিটির সদস্য ব্যারিষ্টার নজরুল ইসলাম ভূইয়া মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়া অন্য প্রার্থীরা হলেন, মোবারক হোসেন দুলু (জাতীয় পার্টি), অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আক্তার হোসেন সাঈদ (জাসদ), মেহেদী হাসান (ইসলামী ঐক্যজোট) মো. জামাল সরকার (বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি), মো. মোস্তাক (স্বতন্ত্র), মো.জামসেদ মিয়া (জাকের পার্টি) ও ছৈয়দ জাফরুল কদ্দুস বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, মুফতী হাবিবুর রহমান (তৃণমূল বিএনপি)।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬-(বাঞ্ছারামপুর) এ আসনে মোট ৬ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন। এরা হলেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব.) এ.বি তাজুল ইসলাম। অ্যাডভোকেট আমজাদ হোসেন (জাতীয় পার্টি), আব্দুর আজিজ (জাকের পার্টি), সফিকুল ইসলাম (স্বতন্ত্র), কবির মিয়া (বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টি), সফিকুল ইসলাম (ন্যাশনাল পিপলস পার্টি)।

বিজয়নগরে বিএনপির দোয়া ও ইফতার মাহফিল

বিজয়নগর, রাজনীতি, 29 March 2025, 152 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

banner

আজ ২৯ মার্চ শনিবার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের চকবাজার এলাকায় আয়োজিত ইফতার পূর্ব আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি।

কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ হোসেন আহামেদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক এ বি এম মমিনুল হক, সাবেক কোষাধ্যক্ষ মোঃ জসিম উদ্দিন রিপন, বিজয়নগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি জমির হোসেন দস্তগীর, সদস্য মামুনুর রশীদ, আব্দুল জলিল সরকার, সিরাজুল ইসলাম, রেহান উদ্দিন, মোঃ বাচ্চু মিয়া,কামাল উদ্দিন,বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি সামসুল আলম সরদার, ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন, ইউনিয়ন বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক তালাত মাহমুদ পলাশ ভুঁইয়া, বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল আহামেদ।

আলোচনা সভা শেষে ইফতার ও দোয়া মাহফিলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও দীর্ঘায়ু কামনায় এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনাসহ কেন্দ্রীয় বিএনপি’র অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল এর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

দোয়া পরিচালনা করেন কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মৌলানা বিল্লাল হোসেন।

সভা পরিচালনা করেন বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস ভূঁইয়া ও বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মাতলুব সরকার।

স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন আবদুস সাত্তার ভূইয়া

আশুগঞ্জ, রাজনীতি, সরাইল, 4 January 2023, 2766 Views,

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপনির্বাচন

স্টাফ রিপোর্টার:
আগামী ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপনির্বাচনে অংশ নিতে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন জাতীয় সংসদ ও বিএনপি থেকে পদত্যাগ করা উকিল আবদুস সাত্তার ভূইয়া। গতকাল বুধবার বিকেলে জেলা নির্বাচন অফিসে তিনি তার মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। জেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ জিল্লুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। উকিল আবদুস সাত্তার ভূইয়া এই আসন থেকে ৫ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। সর্বশেষ তিনি গত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। দলীয় সিদ্ধান্তে গত ১১ ডিসেম্বর তিনি বিএনপির অন্যান্য এমপিদের সাথে জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগ করেন। পরে গত ২৩ ডিসেম্বর বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ করেন।
বিএনপি থেকে পদত্যাগ করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করার পর গত রোববার রাতে (১ জানুয়ারি) বিএনপি থেকে পদত্যাগকারী উকিল আবদুস সাত্তার ভূইয়াকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। রোববার রাতে দলটির ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তি থেকে এই তথ্য জানা গেছে। দল থেকে বহিষ্কারের পর গত ২ জানুয়ারি সোমবার দুপুরে সরাইল উপজেলা বিএনপি ও আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপি পৃথক সংবাদ সম্মেলন করে সরাইল ও আশুগঞ্জ উপজেলায় উকিল আবদুস সাত্তার ভূইয়াকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করা হয়।
বিএনপির নেতা-কর্মীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, উকিল আবদুস সাত্তার ভূইয়া ১৯৭৯ সালে প্রথম তৎকালীন কুমিল্লা -১ (নাসিরনগর ও সরাইলের একাংশ) বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া -১ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে তিনি বিএনপিতে যোগদান করেন। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগঞ্জ) আসন থেকে ১৯৯১ সালে, ১৯৯৬ সালে অনুষ্ঠিত ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনসহ দুটি নির্বাচনে ও সর্বশেষ ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি দীর্ঘ ২৭ বছর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সভাপতি ছিলেন। ২০০১ সালে অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উকিল আবদুস সাত্তার ভূইয়া দলের মনোনয়ন পাননি। ওই আসন থেকে চারদলীয় জোটের শীর্ষ নেতা ও ইসলামী ঐক্যজোটের তৎকালীন মহাসচিব মুফতি ফজলুল হক আমিনীকে মনোনয়ন দেয়া হয়। নির্বাচনে বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করলে উকিল আবদুস সাত্তার ভূইয়াকে টেকনোক্রেট কোটায় প্রতিমন্ত্রী করা হয়।

ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণে সময় বেঁধে দিল ইসি

রাজনীতি, 29 December 2023, 455 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে ২ জানুয়ারির মধ্য ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি সম্পন্ন করার জন্য মাঠ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

banner

আজ ২৯ ডিসেম্বর শুক্রবার নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের উপ-পরিচালক মো. আলা উদ্দিন আল মামুন সারা দেশে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নির্দেশনাটি পাঠিয়েছেন।

নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ ২ জানুয়ারির মধ্যে অবশ্যই সম্পন্ন করতে হবে। সে প্রেক্ষিতে পরিবর্তিত তারিখ প্রেরণ করে প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করার জন্য নির্দেশিত হয়ে অনুরোধ করা হলো।

আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ভোটগ্রহণের জন্য দায়িত্ব পালন করবেন চার লাখ ছয় হাজার ৩৬৪ জন প্রিজাইডিং অফিসার, দুই লাখ ৮৭ হাজার ৭২২ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং পাঁচ লাখ ৭৫ হাজার ৪৪৩ জন পোলিং অফিসার। মোট ৯ লাখ ৯ হাজার ৫২৯ জন ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করবেন। ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে স্কুল-কলেজের শিক্ষক, ব্যাংক কর্মকর্তাসহ সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাকে নিয়োগ করেছে ইসি।