চলারপথে রিপোর্ট :
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা শহরে গ্যাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণে একজন নিহত ও ২ জন আহত হয়েছে। সিয়াম হোসেন (১১) কে ঢাকায় নেয়ার পথে আজ ২৪ মে বুধবার সকালে তার মৃত্যু হয়েছে। এলাকায় এখন শোকের মাতম। মিজান হোসেন (১৪) ও মুন্না হোসেন (২৫) কে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
ভেড়ামারা থানা ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার সময় ভেড়ামারা শহরে বোর্ড স্কুলের পাশে মাইক্রোবাস ষ্ট্যান্ডের সামনে মুন্নার বিসমিল্লাহ গ্যাসের দোকানে কাজ করার সময় গ্যাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ঘটে।
এ ঘটনায় শহরের কাচারী পাড়া এলাকার তাহাজ উদ্দিনের ছেলে সিয়াম হোসেনের (১১), কাচারী পাড়ার শাহীন হোসেনের ছেলে মিজান হোসেন (১৪) ও কলেজ পাড়া এলাকার কিসমত ড্রাইভারের ছেলে মুন্না হোসেন (২৫) আহত হয়। আহতদের কে প্রথমে ভেড়ামারা হাসপাতালে ভর্তি করলে তাদের আশংকা জনক হলে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। সিয়াম হোসেনের অবস্থা আরো অবনতি হলে তাকে ঢাকায় নেয়ার পথে বুধবার সাকালে মৃত্যু হয়েছে। মিজান হোসেন ও মুন্না হোসেন কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, ভেড়ামারা শহরে বোর্ড স্কুলের পাশে মাইক্রোবাস ষ্ট্যান্ডের সামনে মুন্নার বিসমিল্লাহ গ্যাসের দোকানে গ্যাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় ৩ জন আহত। আহতদের মধ্যে সিয়াম হোসেন বুধবার সকালে তার মৃত্যু হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
মো: আব্দুর রাজ্জাক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া :
অনলাইন ডেস্ক :
শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করেছেন আদালত। আজ ৬ জুন মঙ্গলবার ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানা অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। এরমধ্যে দিয়ে এ মামলায় তাদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে বিচার শুরু হলো।
মামলায় অন্য তিনজন হলেন- গ্রামীণ টেলিকমের এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান।
মঙ্গলবার সকালে শ্রম আদালতে হাজির হন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আদালতে তার পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন ও ব্যারিস্টার খাজা তানভীর আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন বিচারক।
পরে ড. ইউনূস উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, এ আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।
ব্যারিস্টার খাজা তানভীর আহমেদ বলেন, মামলার পরবর্তী কার্যক্রম হিসেবে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য এখন পর্যন্ত তারিখ পাওয়া যায়নি। এটা পরে জানানো হবে।
তিনি বলেন, এ মামলায় ড. ইউনূসের ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি চেয়ে করা আবেদনের ওপর শুনানি শেষ হয়েছে। আমরা আদেশ পাওয়ার অপেক্ষায় আছি।
শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে ড. মুহম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে এ মামলা করেন। মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪-এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়। পরে ওই মামলার আইনগত বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়।
একই বছরের ১২ ডিসেম্বর হাইকোর্ট মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুল জারি করেন। হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আপিল করা হলে জারি করা রুল দুই মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ। মামলার চূড়ান্ত শুনানি শেষে গত বছর ১৭ আগস্ট সেই রুল খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। এরপর ড. ইউনূস আপিল আবেদন করেন। গত ৮ মে ড. ইউনূসের লিভ টু আপিল খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ।
চলারপথে রিপোর্ট :
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোঃ শাহরিয়ার আলম বলেন, শেখ হাসিনা এবং নরেন্দ্র মোদির নেতৃতে গত ১ দশকের বেশি সময় ধরে ভারত বাংলাদেশ সম্পর্ক একটি নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে।
মুক্তিযুদ্ধের সময় ত্রিপুরার মানুষের সহায়তা আমাদেরকে আমৃত্যু বন্ধুত্বের বন্ধনে আবদ্ধ করেছে।
আজ ১১ এপ্রিল মঙ্গলবার দুপুরে আখাউড়া চেকপোষ্ট দিয়ে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে যাওয়ার সময় সীমান্তের শূণ্য রেখায় সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, এশিয়ান কনফ্লুয়েন্স (সিভিল সোসাইটি) পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোতে কাজ করে তাদের আমন্ত্রণে আগরতলা যাচ্ছি। আগরতলার পলো টাওয়ার হোটেলে একটি সভা হবে। সভায় ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের একজন মন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, ত্রিপুরার ম‚খ্যমন্ত্রী থাকার কথা রয়েছে।
সভায় এই অঞ্চল দিয়ে ব্যবসা বাণিজ্য বৃদ্ধি, মানুষের যাতায়াতের সুবিধার বিষয়ে আলোচনা করবো। তছাড়া রেল যোগাযোগ, সড়ক যোগাযোগে বিনিয়োগ হচ্ছে এগুলো আপডেট করবো।
সামনের দিনে আরও কিছু কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। তিনি আরও বলেন সীমান্তের ১০০ মিটারের ভেতরে সাধারণত কোন স্থাপনা করার নিয়ম নাই। কিন্তু ভারত-বাংলাদেশ উভয় উভয়ের উপর নির্ভরশীল। তাই আমরাও ছাড় দিয়েছি।
ভারতও ছাড় দিয়েছে। বাংলাদেশের সাথে উত্তর-প‚র্ব ভারতের ৭টি রাজ্যের বাজার তৈরি হয়েছে। তাদের ক্রমবধর্মান উন্নতি হচ্ছে। এটাকে আমাদের বাজারের সাথে সম্পৃক্ত করতে চাই। এজন্য কানেক্টিভিটির কোন বিকল্প নাই। সেটার উপায় খোঁজা, দেখা।
এ পর্যন্ত দু’পক্ষের সরকার যতটুকু করেছে এটা কতটুকু প্রভাব ফেলেছে সেখান থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে সামনের দিনে কাজ করা। এমন একটি ধারণা নিয়ে যাচ্ছি।
বিএসএফ’র আপত্তির কারণে আখাউড়া ইমিগ্রেশন ভবনের নির্মাণ কাজ ৬ বছর ধরে বন্ধ থাকা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আপডেট আছে। শিগ্রই দেখবেন। অপেক্ষা করেন সমাধান দেখবেন।
এসময় মন্ত্রীর সফরসঙ্গী ছিলেন নাঈম রাজ্জাক এমপি, সহকারি পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হক, মোঃ আল আমিনুল ইমাম, পরিচালক স্টেট মিনিস্টার অফিস।
ভারতে প্রবেশকালে সীমান্তের শূণ্য রেখায় তাঁকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান ত্রিপুরাস্থ বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশনার আরিফ মোহাম্মদ। এর আগে তিনি ঢাকা থেকে সড়ক পথে আখাউড়া চেকপোষ্টে এসে পৌঁছেন। এসময় তাঁকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগ্যজাই মারমা, আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসাদুল ইসলাম।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন আখাউড়া স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক) মোঃ আতিকুল ইসলাম, আখাউড়া ইমিগ্রেশন পুলিশের ইনচার্জ স্বপন চন্দ্র দাস প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর সড়কের কুলপালা গ্রামে মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে চুয়াডাঙ্গা খাদ্য গুদামের দুই কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। আজ ৩০ জুলাই রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- চুয়াডাঙ্গা খাদ্য গুদামের খাদ্য পরিদর্শক নজরুল ইসলাম (৫৮) ও উপ-খাদ্য পরিদর্শক সাইদুর রহমান (৩৫)। দুজন একটি মোটরসাইকেলে চুয়াডাঙ্গা থেকে মেহেরপুরের দিকে যাচ্ছিলেন।
নিহতদ্বয়ের বাড়ি পাশের মেহেরপুর জেলায়। নিহত নজরুল ইসলাম মেহেরপুর পৌর এলাকার বাসস্ট্যান্ড পাড়ার ইউনুস আলী শেখের ছেলে এবং নিহত সাইদুর রহমান মেহেরপুর সদর উপজেলার বুড়িপোতা গ্রামের আনসার আলীর ছেলে।
আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব বিপ্লব কুমার নাথ জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে মেহেরপুরের দিক থেকে একটি প্রাইভেটকার দ্রুতগতিতে চুয়াডাঙ্গার দিকে আসছিল। প্রাইভেটকারটি চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার কুলপালা গ্রামে পৌছুলে প্রাইভোটকারের একটি চাকা পাংচার হয়ে চুয়াডাঙ্গা থেকে মেহেরপুরের দিকে যাওয়া একটি মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। ওই মোটরসাইকেলে ছিলেন নজরুল ইসলাম ও সাইদুর রহমান। দুজনই ঘটনাস্থলে মারা যান। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে নিয়ে গেছে।
ওসি আরো জানান, নিহতদ্বয়ের ব্যাপারে আইনগত পরবর্তী কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বঙ্গবন্ধু মানবাধিকার ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার প্রধান বাহক ছিলেন। তিনি গণতান্ত্রিক সমাজের ভিত্তি হিসেবে স্বাধীন বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
পাশাপাশি তিনি সমাজের প্রান্তিক ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর ন্যায়বিচারের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে আইনি সহায়তা প্রদানের গুরুত্ব অনুধাবন করেন এবং সমাজে অবিচার ও অসমতা মোকাবিলায় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিলেন।
আজ ২৯ ফেব্রুয়ারি বুধবার রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ‘স্ট্রেংদেনিং ক্যাপাসিটি অব জুডিসিয়াল সিস্টেম ফর চাইল্ড প্রোটেকশন ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় শিশু সংবেদনশীল আদালত কক্ষের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।
ন্যায়বিচার ও সমতার নীতির প্রতি বঙ্গবন্ধুর অতুলনীয় দূরদৃষ্টি, সাহস ও নিষ্ঠা বাঙালি জাতির অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির পথপ্রদর্শক উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু প্রথমেই নব্য স্বাধীন দেশের আইনি কাঠামো প্রতিষ্ঠাকে অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন, যাতে সকলের নাগরিক অধিকার সু-প্রতিষ্ঠিত হয় ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত হয়।
আইনমন্ত্রী বলেন, নতুন অভিযাত্রায় বঙ্গবন্ধু বিশ্বমানের একটি সংবিধান প্রণয়নকে অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন এবং মাত্র ১০ মাসের মধ্যে তা সম্ভব করে তুলেছিলেন। এই সংবিধানে গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, সমাজতন্ত্র এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের নীতি নির্ধারণ করা হয়, যা দেশের আইন ও বিচার ব্যবস্থার শক্তিশালী ভিত্তি তৈরি করে।
মাত্র সাড়ে তিন বছরের শাসনামলে বঙ্গবন্ধু সংবিধান প্রণয়ন ছাড়াও সকল নাগরিকের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিভিন্ন আইনের সংস্কার ও নতুন নতুন আইন প্রণয়নের উদ্যোগের কথা তুলে ধরে আইনমন্ত্রী বলেন, শিশুদের নাগরিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক, স্বাস্থ্য এবং সাংস্কৃতিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় ১৯৮৯ সালে জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদ প্রণয়ন করা হয়। এরও ১৫ বছর আগে ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু শিশু আইন প্রণয়ন করেন, যা বাংলাদেশে শিশু অধিকার ও শিশু সুরক্ষার ভিত্তি হিসেবে কাজ করছে।
আনিসুল হক আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিশুদের কল্যাণে যুগান্তকারী বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করে অতুলনীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তাঁর দূরদর্শী নেতৃত্বে ২০১৩ সালে শিশু আইন প্রণয়ন করা হয়, যা শিশুদের সুরক্ষা, অধিকার ও কল্যাণ নিশ্চিত করার জন্য একটি আইনি কাঠামোর ভিত্তি স্থাপন করেছে। শিশুদের কল্যাণ ও সুরক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর অক্লান্ত প্রচেষ্টা আমাদের সকলের নিকট অনুসরণীয় এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। তাঁর সরকারের আমলে প্রণীত শিশু আইনের বিভিন্ন ধারায় আইনের সাথে সংঘাতে জড়িত শিশু, আইনের সংস্পর্শে আসা শিশু ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুর অধিকার রক্ষাসহ শিশুর বিরুদ্ধে সহিংসতা রোধে পদক্ষেপ গ্রহণের কার্যকর বিধান সন্নিবেশ করা হয়েছে। এই আইনের কার্যকর বাস্তবায়ন নিশ্চিতকরণে পর্যাপ্ত লজিস্টিক সাপোর্ট, পৃথক আদালত কক্ষ, উপযুক্ত পরিবেশ এবং প্রশিক্ষিত জনবল প্রয়োজন। একই সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রাসঙ্গিক জ্ঞান ও দক্ষতাও সমান গুরুত্বপূর্ণ।
অনুষ্ঠানে ইউনিসেফ বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ শেলডন ইয়েট বলেন, ইউনিসেফ সুরক্ষা ও পরিচর্যার প্রয়োজন রয়েছে, এমন সকল শিশুর ক্ষেত্রে অপ্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থার প্রয়োগে বিশ্বাস করে। আইনের সাথে সংঘাতে জড়িত শিশুদের স্বাধীনতা হরণ এবং আটকাবস্থা শুধু শেষ উপায় এবং যতটা সম্ভব কম সময়ের জন্য ব্যবহার করা উচিত।
আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রকল্প পরিচালক শেখ হুমায়ুন করীর বক্তৃতা করেন।
অনলাইন ডেস্ক :
আগামী বছরের (২০২৫ সাল) সরকারি ছুটির তালিকা অনুমোদন করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। এতে আগামী বছরের পবিত্র ঈদুল আযহায় ছয় দিন ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সরকারি ছুটি পাঁচ দিন করা হয়েছে। এছাড়া শারদীয় দুর্গাপূজার ছুটি দুই দিন করা হয়েছে। এর মধ্যে দুই ঈদে সাধারণ ছুটি একদিন করে। আর ঈদের আগে, পরে মিলিয়ে বাকি দিনগুলো নির্বাহী আদেশে ছুটি থাকবে। শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সাধারণ ছুটি বিজয় দশমীর দিন। তার আগে নবমীর দিন নির্বাহী আদেশে ছুটি থাকবে।
আজ ১৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবার তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক।
সূত্রমতে এই তথ্য জানা গেছে। বর্তমানে ঈদের ছুটি তিন দিন। তবে কোনো কোনো বছর নির্বাহী আদেশে তা বাড়ানো হয়েছিল।
এ ছাড়া এ বছর পূজা উপলক্ষে বর্তমান সরকার নির্বাহী আদেশে ছুটি একদিন বাড়িয়েছিল। এ রকম পরিস্থিতিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ছুটির বাড়ানোর প্রস্তাব করে। এটি অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ।