চলারপথে রিপোর্ট :
হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার মিরপুর বাজারে অভিযান চালিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। আজ ২৪ মে বুধবার দুপুরে ভোক্তা অধিদপ্তর হবিগঞ্জের সহকারী পরিচালক দেবানন্দ সিনহার নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় ফ্রিজে কাঁচা এবং রান্না করা খাবার একসাথে রাখাসহ নানা অভিযোগে ৫ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ১৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
সহকারী পরিচালক দেবানন্দ সিনহা জানান, মিরপুর বাজারে অভিযানকালে ফ্রিজে রান্না করা এবং কাঁচা খাবার একসাথে রাখা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে সরবরাহের অভিযোগে যমুনা হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টকে ৫ হাজার, খাবারে রং মিশ্রণের অপরাধে লোকনাথ সুইটমিটকে ৫ হাজার, বিশ্বজিৎ চা ক্যান্টিনকে ৪ হাজার, মূল্য তালিকা না থাকায় মেসার্স সততা বাণিজ্যালয়কে ৩ হাজার ও আলমগীর পোল্ট্রিকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, জনস্বার্থে এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে। ভ্রাম্যমাণ আদালতকে সহযোগিতা করেন বাহুবল মডেল থানার একদল পুলিশ।
অনলাইন ডেস্ক :
ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের কুখ্যাত আয়নাঘর পরিদর্শন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। রাজধানীর কচুক্ষেত, আগারগাঁও এবং উত্তরা এলাকায় আজ ১২ ফেব্রুয়ারি বুধবার তিনটি গোপন কারাগার পরিদর্শন করেন ড. ইউনূস। যেগুলো শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের সময় টর্চার সেল এবং গোপন বন্দিশালা হিসেবে ব্যবহার হতো।
পরিদর্শনকালে প্রধান উপদেষ্টার সাথে ছিলেন দেশ-বিদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যম, গুম তদন্ত কমিশন ও উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরাসহ আয়নাঘরে গুম হওয়া ভুক্তভোগীরা। পরিদর্শনকালে প্রধান উপদেষ্টাসহ উপস্থিত প্রতিনিধিরা সেখানে ইলেকট্রিক চেয়ারসহ নির্যাতনের জন্য ব্যবহৃত উপকরণ দেখতে পান। ভুক্তভোগীরা তাদের নির্যাতনের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন। এর আগে ১৯ জানুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশন, প্রধান উপদেষ্টার সাথে একটি বৈঠক করেছে। সে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টাকে গুমের ঘটনায় তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে জানানো হয়। আর তখন বন্দিদের সেখানে রাখা হতো তা জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেল বা আয়নাঘর নামে পরিচিত।
শেখ হাসিনার সময়কার এসব টর্চার সেল এবং গোপন কারাগার আয়নাঘর নামে পরিচিত।
কমিশনের সদস্যদের আহ্বানেই ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের টর্চার সেল হিসেবে ব্যবহৃত তিনটি গোপন বন্দিশালা আজ পরিদর্শন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টা গোপন বন্দিশালা পরিদর্শনের সময় তাঁর সাথে ছিলেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
অনলাইন ডেস্ক :
সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয়’ স্কিম বাতিলের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষকদের একটি প্রতিনিধি দলের সাথে বৈঠকে বসেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
আজ ১৩ জুলাই শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ বৈঠক শুরু হয়।
বৈঠকে উপস্থিত আছেন : আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক ও শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী শামসুন্নাহার চাপা। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরীও বৈঠকে উপস্থিত আছেন।
গত ৪ জুলাই এ বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও পরে তা স্থগিত করা হয়। এর কারণ হিসেবে তখন ওবায়দুল কাদেরের রাষ্ট্রীয় কাজে ব্যস্ত থাকার কথা জানা যায়।
সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয়’ কর্মসূচি নিয়ে প্রজ্ঞাপন বাতিল করাসহ তিন দফা দাবিতে ১ জুলাই থেকে শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা একযোগে এই সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করে আসছেন। কর্মসূচির কারণে তালা ঝুলছে শ্রেণিকক্ষ ও অফিসে। এ কারণে ক্লাস–পরীক্ষা হচ্ছে না। প্রশাসনিক ভবনেও কোনো কাজ হচ্ছে না। মঙ্গলবারও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের ফটকে অবস্থান কর্মসূচিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জিনাত হুদা তার বক্তব্যে বলেন, যত দিন সমাধান না হবে, তত দিন আন্দোলন চলবে।
অনলাইন ডেস্ক :
লক্ষ্মীপুরে বাড়ছে শীতের তীব্রতা। উত্তরীয় হিমেল হাওয়ায় কনকনে শীত এখন জেলার মানুষদের কাঁপিয়ে তুলছে। দিনভর সূর্যের দেখা কিছুটা মিললেও সন্ধ্যা নামলেই পুরো এলাকা ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ছে।
এমন পরিস্থিতিতে শীতের দাপটে অনেকটা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এখানকার মানুষ। হিমশিম খেতে হচ্ছে নিম্নআয়ের খেটে খাওয়া মানুষদের। একই সঙ্গে দিন দিন বেড়েই চলেছে ঠাণ্ডাজনিত রোগ বালাই। প্রতিনিয়ত বয়স্ক থেকে শুরু করে নারী-শিশুসহ সব বয়সী মানুষ আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। চিকিৎসকরা বলছেন ঠাণ্ডা এড়িয়ে চলে নিজেদের আরো সচেতন হতে হবে।
আজ ১২ জানুয়ারি শুক্রবার দুপুরে সরেজমিন লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, তৃতীয় তলার শিশু ওয়ার্ডে প্রতিটি বেডে দুজন করে রোগী। ৮টি বেডের বিপরীতে মেঝেতেসহ মোট ২৪ জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন ওই ওয়ার্ডে। তারা ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। এদের কেউ জ্বর, ঠাণ্ডা, আবার কেউ সর্দি-কাশি, নিউমোনিয়া এবং শ্বাসকষ্টে ভুগছেন বলে জানান রোগীর স্বজনরা। ভর্তিকৃত রোগীদের কিছুটা উন্নতি হলেও প্রতিদিনই হাসপাতালে আসছেন নতুন নতুন রোগী। এতে করে হিমশিম খাচ্ছেন হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন ২০-২৫ জন রোগী ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হন। ইনডোর ও আউটডোরে প্রতিদিন শতাধিক রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। গত কয়েকদিন থেকে এমন পরিস্থিতি চলছে বলে জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, লক্ষ্মীপুর সদর, কমলনগর, রামগতি, রায়পুর ও রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ সব হাসপাতালের চিত্র এখন একই রকম। শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় পাল্লা দিয়ে হাসপাতালগুলোতে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষ করে বয়স্কদের তুলনায় উদ্বেগজনক হারে শিশুরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে।
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আনোয়ার হোসেন বলেন, রোগীর চাপে হিমশিম খেতে হচ্ছে। বর্তমানে শিশুদের পাশাপাশি বয়স্করাও শীতকালীন রোগে আক্রান্ত হওয়ার বড় ঝুঁকিতে রয়েছেন। বিশেষ করে শিশুদের গরম কাপড় পরানো, ঘন ঘন মায়ের দুধ সেবন করাসহ তাদের প্রতি বাড়তি নজর রাখা এবং সবাইকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
অনলাইন ডেস্ক :
এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হবে ১২ মে রবিবার। বেলা ১১টা থেকে ফলাফল জানা যাবে।
রেওয়াজ অনুযায়ী, শিক্ষামন্ত্রী বোর্ড চেয়ারম্যানদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফলাফলের অনুলিপি হস্তান্তর করেন। এরপর শিক্ষামন্ত্রী সংবাদ সম্মেলন করে ফলাফলের বিস্তারিত তুলে ধরেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর কাছে সকাল ১০টায় ফলাফল এবং ফলাফলের পরিসংখ্যান হস্তান্তর করা হবে। এরপর বেলা সাড়ে ১২টায় সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বিস্তারিত তুলে ধরবেন।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে ফলাফল প্রকাশিত হয়ে থাকে।
এবারের এসএসসি, দাখিল, এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন।
সারা দেশে ২৯ হাজার ৭৩৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের ৩ হাজার ৭০০টি কেন্দ্রে পরীক্ষা হয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, এসএসসিতে ১৬ লাখ ৬ হাজার ৮৭৯ জন, দাখিলে ২ লাখ ৯০ হাজার ৯৪০ জন, এসএসসি (ভোকেশনাল) ১ লাখ ২৬ হাজার ৩৭৩ জন। আর বিদেশের আট কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ২০২৪ সালের পূর্ণাঙ্গ সিলেবাসে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
সাধারণ শিক্ষা বোর্ডসমূহ: তত্ত্বীয় পরীক্ষা ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ১২ মার্চ এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৩ মার্চ শুরু হয়ে ২০ মার্চ শেষ হয়।
মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড: তত্ত্বীয় পরীক্ষা ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৪ মার্চ এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৬ মার্চ শুরু হয়ে ২১ মার্চ শেষ হয়েছে।
কারিগরি শিক্ষা বোর্ড: তত্ত্বীয় পরীক্ষা ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ১২ মার্চ এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৩ মার্চ শুরু হয়ে ২১ মার্চ শেষ হয়।
ফল পাওয়া যাবে যেভাবে
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট www.dhakaeducationboard.gov.bd-এ Resultকর্নারে ক্লিক করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ইআইআইএন এন্ট্রি করে প্রতিষ্ঠানভিত্তিক রেজাল্ট শিট ডাউনলোড করা যাবে।
এছাড়াও, www.educationboardresults.gov.bd ওয়েবসাইটে ক্লিক করে রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বরের মাধ্যমে রেজাল্ট শিট ডাউনলোড করতে পারবে।
পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর এসএমএসের এর মাধ্যমে ফল সংগ্রহ করা যাবে। এজন্য SSC Board name (প্রথম তিন অক্ষর) Roll Year টাইপ করে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে। উদাহরণ: SSC Dha 123456 2024 Send to 16222
সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহকে অনলাইনের মাধ্যমে প্রান্ত ফলাফল ডাউনলোড করে প্রকাশ করার জন্য www.educationboardresults.gov.bd ওয়েবসাইটের রেজাল্ট কর্নারে ক্লিক করে বোর্ড ও প্রতিষ্ঠানের ইআইআএন-এর মাধ্যমে ফল ডাউনলোড করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংশোধনের জন্য একটি জন্মনিবন্ধন সনদ থাকা সত্ত্বেও আরেকটি জন্মনিবন্ধন সনদ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দ্বারস্থ হওয়ার দিন শেষ। কেননা, এরকম আবেদন আমলে না নেওয়ার জন্য ইসিকে চিঠি দিয়েছে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়।
ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এনআইডি তথ্য পরিবর্তনের জন্য অনেকেই জন্মসনদ নিয়ে আবেদন করেন। কিন্তু সেটা যাচাই করতে গিয়ে দেখা যায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির একাধিক জন্মসদন রয়েছে। এই অবস্থায় করণীয় নির্ধারণে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়ের মতামত চাওয়া হয়। তার পরিপ্রেক্ষিতেই ওই সুপারিশ করেছে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ।
ইসির এনআইডি অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ কে এম হুমায়ূন কবীরকে লেখা জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. রাশেদুল হাসান তিন ধরনের সুপারিশ করা হয়েছে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের লক্ষ্যে ব্যক্তির একাধিক জন্মসনদ থাকায় কোন জন্মসনদটি যথার্থ সে মর্মে প্রত্যয়ন প্রদানের জন্য অনুরোধ করা হয়। ব্যক্তির একাধিক জন্মসনদ বিদ্যমান থাকলে নিম্নলিখিত নির্দেশনা অনুসরণ করার জন্য অনুরোধ করা হলো-
১) একই ব্যক্তির যদি একাধিক জন্মসদন অনলাইনে বিদ্যমান থাকে তাহলে ওই ব্যক্তিকে একটি জন্মসনদ বাতিল করার জন্য নির্দেশনা দিতে হবে। অনলাইনে দুটি জন্ম নিবন্ধন থাকা অবস্থায় ওই জন্ম নিবন্ধনের ওপর ভিত্তি করে এনআইডি দেওয়া যাবে না।
২) একই ব্যক্তির যদি দুটি জন্মসনদ থাকে (একটি অনলাইন এবং অন্যটি ম্যানুয়াল), তাহলে যেটি অনলাইনে অর্থাৎ BDRIS সফটওয়্যারে বিদ্যমান জন্মসনদ অনুযায়ী কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে।
৩) একই ব্যক্তির দুটি অনলাইন জন্ম নিবন্ধন থাকলে যে নিবন্ধনের রেজিস্ট্রেশন তারিখ পূর্বের, সেটি বহাল রাখা হয়।
এনআইডি অনুবিভাগের কর্মকর্তারা জানান, কারো এসএসসি বা সমমানের সনদ বা তার ঊর্ধ্বের কোনো সনদ না থাকলে অষ্টম শ্রেলি, পঞ্চম শ্রেণির সনদের পাশপাশি জন্মসনদকে আমলে নেওয়া হয় এনআইডি সংশোধনের ক্ষেত্রে। এতে অনেকেই এসএসসি পাস করে থাকলেও তা গোপন করে বা এসএসসি পাস করেনি মর্মে স্বীকারোক্তি দিয়ে এবং নতুন করে জন্মসনদ দাখিল করে এনআইডি তথ্য পরিবর্তনের সুযোগ নেন। এখন থেকে কোনো ব্যক্তি জন্মসনদের ভিত্তিতে জাল-জালিয়াতি করে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের আর সুযোগ পাবে না। এক্ষেত্রে যে জন্মসনদটি আগে নেওয়া হয়েছে, এনআইডি সংশোধনের ক্ষেত্রে সেটিই আমলে নেওয়া হবে। সূত্র : বাংলানিউজ।