চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ২৫ মে সাম্যের কবি, বিরহ ও বেদনার কবি, বিদ্রোহের কবি, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৪তম জন্মবার্ষিকী। তিনি ছিলেন একাধারে প্রেমিক ও বিদ্রোহী।
উপন্যাস, নাটক, সঙ্গীত আর দর্শনেও নজরুলের অনবদ্য উপস্থিতি বর্ণাঢ্য করেছে বাংলা সাহিত্যকে। কণ্ঠশিল্পী, অভিনেতা, সম্পাদক পরিচয়ের আড়ালে লুকিয়ে থাকা অভিমানী এই মানুষ হৃদয় দিয়ে অনুভব করেছিলেন নিপীড়িত-অসহায়ের আর্তি। অন্যায়ের বিরুদ্ধে তার কবিতা কোটি তরুণের রক্তে জ্বালায় স্ফুলিঙ্গ।
অসাধারণ প্রতিভার অধিকারী এই মানুষটি ১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ (ইংরেজি সাল অনুযায়ী ২৪ মে ১৮৯৯ সাল) ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার আসানসোলের চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। শৈশব-কৈশোর-তারুণ্যের জীবনের পরতে পরতে সংগ্রাম করতে হয়েছে তাকে। জড়িয়েছিলেন নানা পেশায়। ১৯১৭ সালে যোগ দেন সেনাবাহিনীতে। অংশ নেন প্রথম বিশ্বযুদ্ধেও।
এরই মাঝে তৎকালীন প্রভাবশালী কবি-সাহিত্যিকদের সংস্পর্শে আসেন তিনি। ১৯২২ সালে প্রকাশ করেন ধূমকেতু পত্রিকা। ‘আনন্দময়ীর আগমনে’ কবিতার জন্য নজরুলকে দেওয়া হয় এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড। মাত্র ২২ বছর ব্যাপ্তির লেখক জীবনে তিনি রচনা করেছেন প্রায় ৩ হাজার গান, লিখেছেন অসংখ্য কবিতা, ছোটগল্প, উপন্যাস।
সাহিত্যের পাশাপাশি সংগীত ও চলচ্চিত্র পরিচালনা করেছেন নজরুল। নিজের পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘ধ্রুব’তে অভিনয়ও করেছিলেন। তাই শুধু কবি পরিচয়েই আবদ্ধ নন নজরুল। আসানসোলের রুটি বানানো ছেলেটা এখনও বিশাল এক প্রতিষ্ঠান। না থেকেও যার উপস্থিতি প্রতিদিন।
১৯৭২ সালে কবি নজরুলকে সপরিবারে নিয়ে আসা হয় স্বাধীন বাংলাদেশে। এরপর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশেই ছিলেন। ১৯৭৬ সালের ২৯ আগস্ট তৎকালীন পিজি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন এই মহাবিদ্রোহী ও প্রেমিক পুরুষ। কবির ইচ্ছানুসারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে তাকে সমাধিস্থ করা হয়।
জায়েদুল কবির ভাঙ্গি, আঞ্চলিক প্রতিনিধি, গাজীপুর :
আজ শুক্রবার সকালে গাজীপুরের ঢাকা-ময়মনসিংহ এবং ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার জন্য হাজার হাজার মানুষের ঢল নেমেছে। ফলে মানুষের তুলনায় বাস সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে ঘরমুখো মানুষের এখন শেষ ভরসা এখন ট্রাক, পিকআপসহ ছোট যানবাহন। এসব যানবাহনে যেতে গিয়ে দ্বিগুন তিনগুন বা তারচেয়েও বেশি ভাড়া গুনতে হচ্ছে যাত্রীদের। এতে বড় রকমের ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। পুলিশের কাছে অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা।
আজ ৬ জুন শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে গাজীপুর মহানগরের চান্দনা-চৌরাস্ত ও ভোগড়া বাইপাস মোড় এলাকায় সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে অনেকে স্ত্রী-সন্তান ও পরিবারের অন্যদের নিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা বাসের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছেন। কিন্তু তারা বাসে উঠতে পারছেন না।
কারণ বাসে কোন সিটই খালি নেই, লোকে ঠাসা। স্থানীয় পোশাক শ্রমিক জাহানারা বেগম জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরের পর তাদের বেতন-বোনাস হয়েছে। পরদিন শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬টা থেকে স্বামী-সন্তানদের নিয়ে ভোগড়া বাইপাস মোড় এলাকায় গ্রামের বাড়ি রংপুরে যাওয়ার জন্য বাসের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু সাড়ে ৮টায়ও তারা বাসে চড়তে পারেননি। তাই তারা পাশের পেয়ারা বাগান এলাকা থেকে ৮শ’ টাকা ভাড়ায় ট্রাকে উঠেছেন।
স্থানীয় পোশাক কারখানার শ্রমিক দম্পতি সানোয়ার হোসেন-জাহানারা বেগম। তারা জানান, চান্দনা-চৌরাস্তা এলাকায় কিশোরগঞ্জ যাওয়ার জন্য শুক্রবার ৭টা থেকে বাসের অপেক্ষা করছেন তারা। সকাল ৯টায়ও তারা বাসে উঠতে পারছেন না। বিকল্প যান সিএনজি চালিত অটোতে যেতে গেলে দুইশ/ আড়াইশ’ টাকার ভাড়ার স্থলে ৮শ’ টাকা থেকে এক হাজার টাকা ভাড়া চাচ্ছে অটো চালকেরা। শেষে ৫শ’ টাকায় পিকআপে উঠেছেন তারা। তারা জানান, পাশে ডিউটিতে থাকা পুলিশকে জানিয়েও কোন প্রতিকার না পেয়ে পিকআপে উঠেছেন। তাদেও মতো শত শত যাত্রী এমন ভোগান্তির কথা জানিয়েছেন।
সড়কে এসে গাড়ির জন্য তাদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন কেউ কেউ। বিশেষ করে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে পরিবহন সংকট চরমে। এতে ঘরমুখো মানুষকে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে।
গাজীপুর মহানগরের ট্রাফিক ইন্সপেক্টও মো. আক্তারুজ্জামান জানিয়েছেন, আজ শুক্রবার ভোরে চান্দনা-চৌরাস্তা এলাকায় একটি লরি বিকল পয়ে পড়লে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানবাহন আটকা পড়ে গাড়ির দীর্ঘ লাইন সৃষ্টি হয় প্রায় এক ঘন্টা পর লরিটি উদ্ধার করলে যানবাহন চলাচল শুরু হয়। তবে এর এক ঘন্টা পরও গাড়ির চাপ কমেনি। এদিকে মনোযোগ দিতে গিয়ে কারা বেশি ভাড়া নিচ্ছে সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হয়নি। সকাল সাড়ে ৯টার দিকেও গাজীপুরের চান্দনা-চৌরাস্তা এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ঘরমুখো মানুষ ও যানবাহনের প্রচন্ড ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। সরেজমিন ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় দেখা যায়, গাড়ি না থাকায় হাজার হাজার যাত্রী সড়কে দাঁড়িয়ে আছেন। অনেকে ঝুঁকি নিয়ে মোটরসাইকেল, পশুবাহী ট্রাক পিকআপে বাড়ি ফিরছেন।
কালিয়াকৈর পল্লীবিদ্যুৎ এলাকার পোশাক শ্রমিক অনোয়ার হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার ‘‘কারখানা ছুটি হয়েছে দুপুরে। এরপর শুক্রবার সকালে গ্রামের বাড়ি বগুড়ায় যাওয়ার জন্য অটোরিকশায় চন্দ্রায় যাই৷ সেখানে গিয়ে দেখি হাজার হাজার যাত্রী। কোন বাস-গাড়ি খালি নেই। কখন বাস পাব আর কখন বাড়ি পৌঁছব জানি না।’’
নাওজোর হাইওয়ে পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সওগাতুল আলম বলেন, গতকাল ‘‘দুপুরে কলকারখানা ছুটির পর বিকেলে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা মোড় ও সফিপুর এলাকায় যাত্রীদের ঢল নামে। শুক্রবার সকালেও একই অবস্থা চলছে। যানবাহন সঙ্কটে কিছুটা ভোগান্তি হচ্ছে। মহাসড়কে যানবাহনের চাপ রয়েছে।’’
চলারপথে রিপোর্ট :
চোরকে ধরতে অভিযান চালায় পুলিশ। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে চোর উঠে যায় টিনের চালে। সেখানে উঠে হুমকি দেয় আত্মহত্যার। এ অবস্থায় টিনের চাল থেকে চোরকে নামাতে ডাকা হয় ফায়ার সার্ভিস। অনেক চেষ্টার পর সেখান থেকে চোরকে নামিয়ে আনেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। পরে তাকে আটক করে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে গত সোমবার সকালে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া পৌরসভার চালিয়াগোপ এলাকায়।
আটক রিটন মিয়া (৪০) পাকুন্দিয়ার চালিয়াগোপ এলাকার মুর্শিদ উদ্দিনের ছেলে।
জানা গেছে, কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় রিটন মিয়ার নামে মোটরসাইকেল চুরির অভিযোগ রয়েছে। সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে ধরতে সদর মডেল থানা পুলিশ ও পাকুন্দিয়া থানা পুলিশ সোমবার সকালে রিটনের বাড়িতে অভিযান চালায়। অভিযানের খবর পেয়ে চোর উঠে পড়ে টিনের চালে। সেখানে উঠে টিনের একটি টুকরো হাতে নিয়ে নিজ গলায় ধরে রাখে এবং তাকে ধরার চেষ্টা করা হলে টিনের টুকরো দিয়ে গলা কেটে আত্মহত্যার হুমকি দেয়।
পুলিশ সদস্যরা ও এলাকাবাসী চোরকে অনেক বুঝিয়েও টিনের চাল থেকে নামাতে না পেরে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা চোরকে টিনের চাল থেকে নামিয়ে আনেন।
পাকুন্দিয়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মুজিবুর রহমান জানান, পুলিশ খবর দিলে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা সেখানে গিয়ে পুলিশের সাথে যুক্ত হয়ে অভিযান চালিয়ে চোরকে টিনের চাল থেকে নামিয়ে আনে।
পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সারোয়ার জাহান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার একটি মোটরসাইকেল চুরির মামলায় তাকে ধরতে পাকুন্দিয়া থানা পুলিশের সহায়তা চাওয়া হয়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার সকালে রিটনকে ধরতে তার বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে রিটন উঠে পড়ে টিনের চালে। পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে তাকে টিনের চাল থেকে নামিয়ে আনা হয়। পরে তাকে সদর মডেল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
খসড়া তালিকায় নতুন করে ভোটার বেড়েছে ২০ লাখ ৮৬ হাজার ১৬১ জন হয়েছেন বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আজ ২১ জানুয়ারি রবিবার দুপুরে নির্বাচন কমিশনের মিডিয়া সেন্টারে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ খসড়া তালিকা প্রকাশ করেন। তিনি জানান, আগামী ২ মার্চ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি পর্যন্ত নতুন অন্তর্ভুক্তদের নিয়ে মোট ভোটারের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১২ কোটি ১৭ লাখ ৭৫ হাজার ৪৫০ জন।
কমিশনের তথ্য অনুসারে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশে মোট ভোটার ছিল ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৮৯ হাজার ২৮৯ জন। পরবর্তীতে কেন্দ্রে গিয়ে ভোটার হয়েছেন ২০ লাখ ৮৬ হাজার ১৬১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১৩ লাখ ২০ হাজার ৩৯৬ জন, নারী ভোটার সাত লাখ ৬৫ হাজার ৬৯০ জন ও হিজড়া ৭৫ জন।
অনলাইন ডেস্ক :
‘আমাদের কাছে পাবেন অরিজিনাল (এ জে এস কাগজের) গ্লেজিং প্রিন্টের সুতা জলছাপসহ নিখুঁত কাজের মাল। আমাদের কাছে ৫০, ১০০, ৫০০ ও ১০০০ টাকার জাল নোট আছে, যা ব্যাংকের মেশিন ছাড়া খালি চোখে বোঝা অসম্ভব।’ ফেসবুকের একটি গ্রুপে এমন বিজ্ঞাপন দিয়ে চলছিল জাল টাকার কারবার। এই চক্রটি জাল টাকা তৈরির টিকটক ভিডিও বানিয়ে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে প্রচারণা চালাত। তবে মূলত জাল টাকা সরবরাহের নামে প্রতারণা করে অর্থ হাতিয়ে আসছিল তারা।
সম্প্রতি এই চক্রের অন্যতম সদস্য সিফাত শেখকে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থেকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ সময় তার কাছ থেকে দুই লাখ টাকার জাল নোট উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে জাল টাকার কারবার ও এই চক্রের বিস্তারিত।
ডিবির লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার মশিউর রহমান বলেন, সিফাত ও তার সহযোগীরা নিখুঁত জাল টাকা সরবরাহের বিজ্ঞাপন দিয়ে আগ্রহীদের আকৃষ্ট করত। এরপর অগ্রিম টাকা নিয়ে যোগাযোগ বন্ধ করে দিত। ক্রেতাদের দেখানোর জন্য কিছু জাল নোট তারা নিজেদের কাছে রাখত। তবে সেগুলো কাউকে সরবরাহ করত না। এই চক্রে ১০ জনের বেশি সদস্য রয়েছে। তারা কেউ জাল নোট বানায়, কেউ ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দেয়, কেউ ক্রেতার কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করে।
উপকমিশনার জানান, চক্রের সদস্যরা সবাই সাধারণ পরিবার থেকে আসা তরুণ। তবে তারা ফ্যাশনেবল ও বিলাসী জীবনযাপনের চেষ্টা চালায়। মাঝেমধ্যেই তারা কক্সবাজারসহ বিভিন্ন স্থানে বেড়াতে যায়। জাল নোট বিক্রির নামে হাতিয়ে নেওয়া অর্থ তারা মূলত ‘ফূর্তি’র জন্য ব্যয় করে। সিফাতকে গত ২৯ এপ্রিল কক্সবাজার থেকে ফেরার পথেই গ্রেফতার করা হয়।
ডিবি সূত্র জানায়, কেরানীগঞ্জ উপজেলা চত্বরে ফুটপাতে ছয় হাজার টাকা বেতনে পোশাক বিক্রেতা হিসেবে কাজ করে সিফাত। সে ইউটিউবসহ অনলাইনে বিভিন্ন সাইট ঘেঁটে জাল টাকা তৈরি করা শিখেছে। পরে নিজেরা জাল টাকা বানানোর সময় তা ভিডিও করে অনলাইনে ছড়িয়ে দিয়েছে। মূলত সহজে অধিক অর্থ উপার্জন করতে চাওয়া লোভী ব্যক্তিরা তাদের টার্গেট। তারা এক হাজার টাকার ১০০টি জাল নোটের জন্য ১০ হাজার টাকা, ৫০০ টাকার ১০০টি নোটের জন্য ১২ হাজার টাকা, ১০০ ও ২০০ টাকার এক লাখ জাল নোটের জন্য ২০ হাজার টাকা দাম নিত। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা নেওয়ার পর তারা যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।
এই চক্রের একটি ফেসবুক গ্রুপে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন সময়ে জাল টাকার বান্ডিলের ছবি-ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে। ভিডিওতে দেখানো হচ্ছে, জাল টাকায় আসল টাকার সব নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য রয়েছে। ফলে হঠাৎ করে কারও পক্ষে সেটাকে জাল হিসেবে ধরা সম্ভব নয়। গত মাসের একটি পোস্টে বলা হয়েছে, ঈদ উপলক্ষে এ-গ্রেডের নিখুঁত জাল নোট তৈরি করা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দেশের যে কোনো এলাকায় হোম ডেলিভারি দেওয়া হবে। সেজন্য ৫০ ভাগ টাকা অগ্রিম দিতে হবে। কুরিয়ার সার্ভিস বা নিজস্ব প্রতিনিধির মাধ্যমে পাঠানো জাল টাকার চালান হাতে পাওয়ার পর বাকি টাকা দিতে হবে। যোগাযোগের জন্য একটি ফোন নম্বরও দেওয়া আছে।
একটি ফেসবুক পেজে বলা হয়েছে, ‘মালের (জাল টাকা) স্যাম্পল নিজ হাতে চেক করে তারপর অর্ডার করবেন।’
চারদিন আগে লেখক আফসান চৌধুরী ফেসবুকে জাল টাকা বিক্রির বিজ্ঞাপনের একটি স্ক্রিনশট শেয়ার করেন। সেখানে তিনি লিখেছেন– ‘পুলিশ এত কিছু জানে, এটা জানে না? রেট এত ভালো। এক টাকার বদলে নকল আট টাকা।’ তাঁর শেয়ার করা স্ক্রিনশটে লেখা রয়েছে– ‘এক লাখ মালের দাম ১২ হাজার টাকা। সব রকমের নোট। সর্বনিম্ন অর্ডার ৫০ হাজার টাকা।’
এর আগে গত ২৪ এপ্রিল রাজধানীর দক্ষিণ গোড়ান থেকে ফেসবুকে প্রচার চালিয়ে জাল নোটের কারবারে জড়িত চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
চলারপথে রিপোর্ট :
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় সাত ব্যবসায়ীকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
আজ ৯ অক্টোবর সোমবার দুপুরে পৌর শহরের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে মূল্য তালিকা না থাকা, বি এস টি আই এর অনুমোদন ব্যতীত মালামাল বিক্রি এবং অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে খাদ্য তৈরি করার দায়ে এ জরিমানা করা হয়।
অভিযান পরিচালনা করেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শাহ্ সোয়াইব মিয়া। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সেনেটারী কর্মকর্তা মৃনাল চন্দ্র দেবনাথ, কলাপাড়া পুলিশ সদস্যরা।
অর্থদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যবসায়ীরা হলো আমির বেপারী পাঁচ হাজার টাকা, মো.ইব্রাহিম পাঁচ হাজার, আরিফুল ইসলাম দুই হাজার, গাজী আনোয়ার এক হাজার পাঁচশত, আবুবক্কর আড়াই হাজার টাকা, আল মদিনা হোটেল আট হাজার এবং আনিকা হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টকে ছয় হাজার টাকা।