চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরের সীতারামপুর নতুন ব্রিজ সংলগ্ন সড়কের ভূমি অধিগ্রহণকৃত ১২টি চেকের মাধ্যমে, ভূমি মালিকের হাতে ক্ষতিপূরণের ১ কোটি ৭২ লাখ ৪৮ হাজার নয়শত ৬৬ টাকা হস্তান্তর করা হয়েছে। এদিকে ভূমি মালিকগণ টাকা না পেলে জমি ছাড়বেন না এই মর্মে দীর্ঘদিন ধরে সড়কের কাজ বন্ধ ছিল। এবাদুল করিম বুলবুল এম.পি’র সার্বিক প্রচেষ্টায় কোনো রকম হয়রানি ছাড়াই আজ ২৬ মে শুক্রবার দুপুরে উপজেলার সিতারামপুরে নিজ হাতে ক্ষতিগ্রস্ত ভূমি মালিকদের কাছে চেক বিতরণ করেন এবং আজ থেকে আবার বন্ধ থাকা কাজের শুভ সূচনা করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোহাম্মদ এবাদুল করিম বুলবুল এম.পি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলেই দুর্নীতিমুক্ত, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতামূলক সরকার ব্যবস্থার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী দ্রুত অধিগ্রহণের টাকা ক্ষতিগ্রস্ত ভূমি মালিকদের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে। সভাপতির বক্তব্যে নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একরামুল সিদ্দিক বলেন, এই চেক বিতরণে কোনো প্রকারের দুর্নীতি ও হয়রানির শিকার কোনো ভূমি মালিককে হতে হয়নি।
এই ক্ষতিপূরণ পাওয়ার জন্য কেউ কোনো টাকা দাবি করে থাকলে তা সরাসরি অবহিত করার জন্য আহ্বান জানান তিনি। নবীনগর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান বলেন, কোনো দালাল বা তৃতীয়পক্ষ না ধরে ভূমি অধিগ্রহণে ক্ষগ্রিস্ত ব্যক্তি জমির প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের এলএ শাখায় যোগাযোগ করলে অতি সহজে স্বল্প সময়ের মধ্যে ক্ষতিপূরণ পাবেন।
চেক হস্তাস্তরকালে বিশেষ অতিথি ছিলেন নবীনগর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (ভূমি) মাহমুদা জাহান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ সদস্য মো. নাসির উদ্দিন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জাকির হোসেন, নবীনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম নুজু, ত্রাণ সম্পাদক নিয়াজুল হক কাজল,উপ-প্রচার সম্পাদক প্রণয় কুমার ভদ্র সদস্য মো.সুহেল, মডেল প্রেসক্লাব সভাপতি আবু কাউসার, প্রেসক্লাব সিনিয়র সহ- সভাপতি আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া মিনাজ প্রমুখ।
অধিগ্রহণকৃত ভূমি মালিকরা হচ্ছেন, মোহাম্মদ ইয়াকুব আলী, ইয়াসিন মিয়া, জয়নালউদ্দিন, হাসান মিয়া, মকবুল হোসেন, আক্কাস আলী, মোজাম্মেল মিয়া, মাইনুদ্দিন, ওসমান গনি, আব্দুল মোতালিব, রিপন মিয়া, রাবিয়া খাতুন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর ঢেঁড়স চাষ করে বেকারত্ব ঘুঁচিয়েছেন শিবপুর ইউনিয়নের কাজুলিয়া গ্রামের খাইরুল বাসার ও ইব্রাহিমপুর ইউনিয়নের ইব্রাহিমপুর গ্রামের (দ. পাড়া) জয়নাল মিয়া। বেকারত্বের অভিশাপ থেকে তাঁরা এখন তাদের পরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে এনেছেন। স্বল্প সময় ও অল্প খরচে বেশি লাভ হওয়ায় আরও অনেকেই এখন ঢেঁড়স চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, খাইরুল বাশার এ বছর ৪০ শতক এবং জয়নাল মিয়া ২০ শতক জমিতে ঢেঁড়স চাষ করেন। তাঁরা নিজেরাই জমি থেকে ঢেঁড়স উত্তোলন করছেন। আলাপ কালে জয়নাল মিয়া জানান- তার বাবা অসুস্থ্য হওয়ায় ২০২০ সালে চাকরি ছেড়ে চলে আসেন গ্রামের বাড়িতে। এরপর আর ভাল কোন চাকরি না পাওয়ায় বাড়ীর পাশের জমিতে শুরু করেন সবজি চাষ। তিনি এক বিঘা জমি নিয়ে শুরু করেন ঢেঁড়সের চাষ। স্বল্প সময়ে এই ঢেঁড়স চাষ করে বেশ লাভবানও হয়েছেন তিনি। তিনি বলেন- এখানকার মাটি বেশ উর্বর থাকায় তার উৎপাদন খরচও অনেক কম হয়েছে। তার এক বিঘা জমিতে ঢেঁড়স চাষ করতে ৬/৭ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ইতিমধ্যেই ৪০ হাজার টাকার বিক্রি করেছেন। একদিন পরপর জমি থেকে ঢেঁড়স উত্তোলন করতে হয়। এতে তেমন কোন শ্রমিকের (লেবার) প্রয়োজন হয় না। জমি থেকেই পাইকারি ব্যবসায়ীরা কিনে নিয়ে যায়। তিনি আরো বলেন- “ আমি উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরামর্শক্রমে বারি উদ্ভাবিত ‘বারি ঢেঁড়স-১’ জাতের ঢেঁড়সের চাষ করেছি। বাজারে ঢেঁড়সের দাম ভাল থাকায় লাভবানও হচ্ছি। এ বছর ঢেঁড়সের পোকা-মাকড়ের আক্রমণ কম থাকায় খরচও কম হয়েছে ”।
এ ব্যাপারে নবীনগর উপজেলা কৃষি অফিসার জগলুল হায়দার বলেন- “এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকার কারণে ঢেঁড়সে পোকা-মাকড়ের আক্রমণ কম হয়েছে। আর ঢেঁড়সের বিভিন্ন জাতের মধ্যে ‘বারি ঢেঁড়স-১’ এর ফলন ভাল। এটা চাষ করা লাভ জনক। তবে তার মত শিক্ষিত অনেক যুবকরাই এগিয়ে আসছে। আমরা কৃষি অফিস তাদের বিভিন্ন পরামর্শ ও সহযোগিতা করব”।
চলারপথে রিপোর্ট :
দীর্ঘ ৫৭ বছর ধরে কাকডাকা ভোরে, ঝড়-বৃষ্টি-তুফান উপেক্ষা করে যথা সময়ে নবীনগরের পাঠকদের হাতে সংবাদপত্র তুলে দেওয়া সেই লোকমান হেকিম চৌধুরী (৭২) জীবনের শেষ দিনও দুপুর পর্যন্ত পাঠকের হাতে পত্রিকা তুলে দিয়ে রাতেই চিরতরে পাঠকদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে পরপারে চলে গেলেন।
২৯ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার রাতে নবীনগর উপজেলার কনিকাড়া গ্রামের নিজ বাড়িতে তিনি ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না … রাজিউন)।
জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকার নবীনগর উপজেলার একমাত্র সংবাদপত্র এজেন্ট ছিলেন তিনি। দীর্ঘ দিন ধরে তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকলেও মারা যাওয়ার দিনও বিক্রি করেছেন পত্রিকা। মুত্যুকালে স্ত্রী, চার মেয়ে ও এক ছেলে রেখে যান।
আজ শুক্রবার জুম্মা নামাজের পর কনিকাড়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জানাযা নামাজ শেষে চৌধুরী বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হবে বলে জানিয়েছেন তার পরিবার।
জানা যায়, লোকমান হেকিম চৌধুরী নবীনগর লঞ্চ ঘাটে বসে দীর্ঘ প্রায় ৫৭ বছর যাবৎ নবীনগরবাসীকে সংবাদপত্র পড়ার সুযোগ করে দিয়েছেন, সংবাদপত্র ক্রয় করার জন্য লঞ্চ ঘাটে ছুটে আসতো নানা শ্রেনীর সংবাদ পাঠক। ঝড়-বৃষ্টি-তুফান উপেক্ষা করে যথা সময় মানুষের কাছে পত্রিকা পৌঁছে দিয়েছেন তিনি। যাকে নবীনগর প্রশাসনেরসহ সর্বস্তরের মানুষ কাছে চৌধুরী নামে পরিচিত ছিলেন। উনার একমাত্র ছেলে খান জাহান আলী চৌধুরী উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে সাংবাদিকতার পাশাপাশি বাবার ব্যবসা দেখাশোনা করেন। মারা যাওয়ার দিনও পত্রিকা বিক্রি করেছেন লোকমান হেকিম চৌধুরী। বিকেলে ঘুরে ফিরে দেখেছেন নিজের জমি জমা। রাতে একমাত্র ছেলে খান জাহান আলীকে সাথে নিয়ে খাওয়া দাওয়া করে ঔষধ খেয়ে শুয়ে ঘুমিয়ে যায়। এর পর আর জেগে উঠেননি তিনি। নবীনগরের লঞ্চ ঘাটের সামনে উনার সংবাদপত্র এজেন্টের দোকানে সব সময় মানুষের একটা আড্ডা থাকতো। সদা রসিক এবং আড্ডা প্রিয় মানুষ ছিলন। তিনি পত্রিকার একজন সুনামধারী এজেন্ট হিসেবে যথেষ্ট সুনাম অর্জন করেন। উনার কাজের সন্তুষ্টির কারনে উপজেলা প্রশাসন, প্রেসক্লাব, বিভিন্ন সাংবাদিক এবং সামাজিক সংগঠন ভাল কাজের স্বীকৃতি স্বরুপ প্রত্যেক বছরই নানারকম পুরস্কারে ভূষিত করেছেন।
লোকমান হেকিম চৌধুরীর মৃত্যু সংবাদে নবীনগরে শোকে ছায়া নেমে আসে। শোক প্রকাশ করেছেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান বাদল, উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনির, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর ফরহাদ শামীম, নবীনগর থানার ওসি মাহবুব আলম, নবীনগর পৌরসভার সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন আহমেদ, নবীনগর প্রেসক্লাবসহ স্থানীয় সংবাদকর্মী, সামাজিক সংগঠন ও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগর উপজেলায় তিতাস নদীতে ব্রিজের পিলারের সঙ্গে ধাক্কায় নৌকা ডুবিতে সংঘর্ষে নবম শ্রেণির ছাত্রীসহ ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ ০১ মার্চ বুধবার বিকালে শ্রীতারামপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
তাৎক্ষণিকভাবে রাত্রি চৌধুরী (১৫) নামে একজনের পরিচয় জানা গেছে। সে নবীনগর উপজেলার বড়াইল গ্রামের প্রহল্লাহের মেয়ে। সে বড়াইল উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। মৃত্যুর সংবাদে নিহত ছাত্রীর বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। তার মরদেহ দেখার জন্য আত্মীয়স্বজন ও সহপাঠীরা ভিড় করছেন।
পুলিশ ও যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বুধবার দুপুরে ২০-২৫ জন যাত্রী নিয়ে একটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা পার্শ্ববর্তী নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার রায়পুরা ইউনিয়নের বাঁশগাড়ি যাচ্ছিল। পথিমধ্যে শ্রীতারামপুর-গোপীনাথপুর গ্রামের মাঝে তিতাস নদীতে নির্মিত ব্রিজের পিলারের সঙ্গে ধাক্কায় নৌকাটি তলিয়ে যায়। এতে দুইজন মারা যায়।
নিহত রাত্রির মা সন্ধ্যা রানী বলেন, রাত্রি স্কুল ছুটি নিয়ে দাদার বাড়ি বাঁশগাড়ি যাচ্ছিল। নৌকায় ২০-২৫ জন লোক ছিল।
নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন আনোয়ার বলেন, নৌকাডুবির ঘটনায় দুইজন মারা গেছে। একজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। ব্রিজের সঙ্গে ধাক্কায় নৌকাটি ডুবে যায়।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগরে শ্বশুর বাড়ির লোকদের সঙ্গে অভিমান করে ঝুমা আক্তার (২৬) নামে এক গৃহবধূ কীটনাশক পানে আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
আজ ২১ নভেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
২০ নভেম্বর সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ৯টার দিকে নবীনগর পৌরসভার পশ্চিম পাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
ঝুমা আক্তার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের কাছাইট গ্রামের দক্ষিণ পাড়ার আবু লাল মিয়ার মেয়ে।
পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ১০ বছর আগে ঝুমা আক্তারকে নবীনগরের শিবপুর গ্রামের মো. রাশেদ মিয়ার ছেলে সৌদি প্রবাসী ইয়াকুব মিয়া কাছে পারিবারিকভাবে বিয়ে দেন।
বিয়ের পর থেকে নবীনগর পৌরসভার পশ্চিম পাড়া এলাকায় তারা থাকেন। তাদের সংসারে জাকারিয়া নামে একটি ছেলে সন্তান আছে। বিয়ের পর থেকেই ছোটখাটো বিষয় নিয়ে একাধিকবার শ্বশুর-শাশুড়ি ও ছোট জাঁ আফরোজার হাতে মার খেতে হয়েছে। দু’দিন আগেও ঝুমাকে মারধর করেছে তারা৷ এসব বিষয় নিয়ে শ্বশুর বাড়ির লোকদের সঙ্গে অভিমান করে সোমবার রাতে জুমা কীটনাশক পান করে আত্মহত্যা করেন।
ঝুমার বাবা আবু লাল মিয়ার অভিযোগ, শ্বশুর-শাশুড়ি ও ছোট জাঁ ঝুমাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। জুমা কীটনাশক পান করে আত্মহত্যা করেনি, তাকে হত্যার পর কীটনাশক খাওয়ানো হয়েছে।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহবুব আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পারিবারিক কলহের জেরে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে। লাশ ময়নাতদন্ত শেষে নিহতের পরিবারের কাছে দুপুরে হস্তান্তর করেছি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে মৃত্যুর সঠিক কারণ বলা যাবে।
শফিকুল ইসলাম বাদল :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার সলিমগঞ্জ ইউনিয়নের বাড্ডা ও বাড়াইল দুই গ্রামবাসীর মধ্যে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ১জন নিহত ও ২০ জন আহত হয়েছে। আজ ২৯ এপ্রিল মঙ্গলবার বিকালে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে বাড্ডা গ্রামের মুন্সি বাড়ির মৃত শরিফ উদ্দিনের ছেলে আজিজ মিয়া (৬০) নিহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা সলিমগঞ্জ বাজারে গত ৩ এপ্রিল ইসহাক মিয়ার দোকানে পেপসি ক্রয় করতে গিয়ে দোকানদারের সাথে বাড্ডা গ্রামের এক যুবকের ঝগড়া হয়। এতে বাড্ডা গ্রামের জজ মিয়ার ছেলে সহ তিনজন আহত হয়। খবর পেয়ে বাড্ডা গ্রামের লোকজন বাড়াইল গ্রামের একটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় ও কয়েকটি বাড়ি ভাঙচুর করে। এ ঘটনার পর থেকে উভয় গ্রামের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এমনকি দুই গ্রামে লোকজন আলাদা আলাদা ভাবে মিটিং করে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ঝগড়ার প্রস্তুতি নেয়। এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও প্রশাসনের সহযোগিতায় ১ মে বৃহস্পতিবার সমঝোতায় বসার কথা ছিল কিন্তু বাড্ডা গ্রামের লোকজন মঙ্গলবার দুপুরে বাড়াইল গ্রামের লোকজনের উপর শ্রীঘর বাজারে হামলা করে তিনজনকে আহত করে। এই খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে উভয় গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষে বাড্ডা গ্রামের আজিজ মিয়া নিহত হন। এই সময় উভয় পক্ষের ২০ জন আহত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক ঘটনা সত্যতা স্বীকার করে বলেন, উভয় গ্রামের সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে।