চলারপথে রিপোর্ট :
‘গায়েবি’ মামলায় নির্বিচারে গ্রেফতার, মিথ্যা মামলা পুলিশের হয়রানি ও ১০ দফা দাবি বস্তবায়নের দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জনসমাবেশ করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপি।
আজ ২৭ মে শনিবার দুপুরে শহরের মৌড়াইল এলাকায় এ জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে জনসমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টামণ্ডলির সদস্য ও সাবেক সাংসদ সদস্য মনিরুল হক চৌধুরী।
এতে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির কুমিল্লা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া, বিএনপির কুমিল্লা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক সায়েদুল হক সাঈদ, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাফেজুর রহমান মোল্লা কচি প্রমুখ।
এ সময় প্রধান অতিথি মনিরুল হক চৌধুরী বলেন, আমাদের এই আন্দোলন অহিংস, গণতন্ত্র, জনগণের অংশগ্রহণমূলক। আমরা বিশ্বাস করি আওয়ামী লীগের এদেশে অনেক ভূমিকা রয়েছে। তারা জনবিরোধী দল হিসেবে নিজেদেরকে চিহ্নিত করবে না। আমরা আশা করি জনগণের বিপুল পরিমাণ ভোটে জিতব। আর আওয়ামী লীগের অবস্থা গাজীপুরের নির্বাচনেই দেখতে পেয়েছি। আমরা দেশের জন্য বিদেশমুখী। আমাদের থেকে আওয়ামী লীগ আরো বিদেশমুখী।
এর আগে বিভিন্ন স্থান থেকে মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে উপস্থিত হন। সমাবেশে নির্ধারিত স্থানে প্রশাসনের অনুমতি না দেওয়ায় তিনি এ ঘটনার নিন্দা জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার বিভিন্ন পয়েন্টে যানজট নিরসন ও ফুটপাতের হকার উচ্ছেদে অভিযান শুরু করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশ।
আজ ১৮ সেপ্টেম্বর বুধবার সকাল থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা ও ছাত্রদের নিয়ে পুলিশের এ যৌথ অভিযান শুরু হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা পুলিশ সুপার মো: জাবেদুর রহমান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রশাসক মো: রুহুল আমিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: ইকবাল হোসেন, সদর থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) মো: মোজাফ্ফর হোসেন, পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী সুমন দত্তসহ প্রশাসন ও পৌর কর্মচারীরা।
অভিযানে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে যেসব লাইসেন্সবিহীন অটোরিকশা ও সিএনজি চালিত অটোরিকশা প্রবেশ করেছে এগুলোকে জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া সড়কের দু’পাশে যেসব ভ্রাম্যমাণ হকার রয়েছে তাদেরকে উচ্ছেদ করা হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রশাসক মো: রুহুল আমিন বলেন, যৌথ অভিযান অব্যাহত থাকবে। অচিরেই ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর যানজট মুক্ত করা হবে।
অভিযান শেষে জেলা পুলিশ সুপার মো: জাবেদুর রহমান বলেন, যানজট মুক্ত শহর গড়তে অবাধে অবৈধ রিকশা চলাচল করতে দেওয়া হবে না। অবৈধ যানচলাচলের সাথে যারা জড়িত থাকবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক যুদ্ধাহত বীরমুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আজ ২ অক্টােবর সকাল ৯ টার দিকে শহরের বাগান বাড়িস্থ বাসভবনে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
আল-মামুন সরকার দলের তৃণমূল পর্যায় থেকে উঠে আসা একজন রাজনীতিবিদ। ১৯৬৯ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগে যোগদানের মাধ্যমে তিনি রাজনীতিতে যোগ দেন। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ ছাত্র-ছাত্রী সংসদের ভিপি ছিলেন। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কৃষকলীগের সাবেক আহ্বায়ক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান। তিনি সমাজসেবায় রাষ্ট্রীয় সম্মাননা পেয়েছেন। বর্তমানে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন।
আল-মামুন সরকার ১৯৮৯ সালে ভারতের দিল্লিতে অনুষ্ঠিত এশীয় যুব সম্মেলনে বাংলাদেশের বেসরকারি প্রতিনিধি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন। তাছাড়া তিনি ২০১৫ সালে জাতিসংঘের ৭০তম সাধারণ পরিষদ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৭ সদস্য বিশিষ্ট বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগদান করেন।
২০১৭ সালে তিনি একজন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে অর্থমন্ত্রণালয়ের এনবিআর প্রদত্ত সম্মানজনক ‘ট্যাক্স কার্ড’ লাভ করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে বিভিন্ন আন্তঃনগর ট্রেনের ১৫টি আসনের ৬টি টিকেটসহ আমিন মিয়া (৩২) নামের এক টিকেট কালোবাজারিকে আটক করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ি।
আজ ১৯ ফেব্রুয়ারি সোমবার সকাল ৯টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশনে অভিযান পরিচালনা করে তাকে আটক করা হয়। আটককৃত আমিন মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের পৌর এলাকার পুনিয়াউট গ্রামের বাচ্চু মিয়ার ছেলে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, টিকেট কালোবাজারি আমিন মিয়াকে আন্তঃনগর বিভিন্ন ট্রেনের আসনের টিকেট নিয়ে স্টেশনে উচ্চ দামে বিক্রি করার জন্য ডাকাডাকি করছিলো। সন্দেহ হলে তার দেহ তল্লাশি চালিয়ে ৬টি টিকেটের ১৫টি আসন পাওয়া যায়। আটককৃত আমিন মিয়া স্বীকার করেছেন সে টিকেট কালোবাজারি করেন। তার বিরুদ্ধে আগেও টিকেট কালোবাজারি একটি মামলা রয়েছে। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও তিনি জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
তিতাস সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদের সহসভাপতি ও নাটাই উত্তর ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক মো. আতিকুল ইসলাম আর নেই। দুরারোগ্য ব্যধিতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ ৪ মার্চ সোমবার সকাল ৮ টায় তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন।
এসময় তার বয়স হয়েছিলো ৪০ বছর।
মৃত্যুকালে তিনি বাবা, মা, ৪ ভাই, ২ বোন, স্ত্রী, এক পুত্র সহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
সোমবার বাদ আসর সদর উপজেলার থলিয়ারা পশ্চিম পাড়া পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে।
থলিয়ারা পশ্চিম পাড়া মসজিদ প্রাঙ্গণে জানাযায় বক্তব্য রাখেন ও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সদর উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অ্যাড. লোকমান হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা মো মনির হোসেন, বঙ্গবন্ধু পরিষদ সদস্য সচিব এটিএম ফয়েজুল কবির, যুবলীগ নেতা আলী আজম, জসীম উদ্দিন, জেলা ছাত্রলীগ সহসভাপতি সাইদুল ইসলাম, তিতাস সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদের সহসভাপতি শিপনুর রহমান, প্রভাষক মোমিন খান, কোষাধ্যক্ষ আনিসুল ইসলাম, তিতাস আবৃত্তি সংগঠন সহকারী পরিচালক সুজন সরকার, ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক রেজাউল হক, যুগ্ম আহবায়ক সাকিল মিয়া, যুবলীগ নেতা জসীম, হাবিব, বশির ও জহির মেম্বার।
সংস্কৃতিকর্মী ও যুবলীগ নেতা আতিকুল ইসলামের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিতাস সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদের পক্ষ থেকে তিনদিনের শোক কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে।
কর্মসূচির মধ্যে থাকবে মঙ্গলবার বিকেলে শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরে তিতাস সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদের কার্যালয়ে কালো পতাকা উত্তোলন, কালোব্যাজ ধারণ, শুক্রবার সকালে শোকসভা ও রমজানে বিশেষ প্রার্থনা, ইফতারের আয়োজন।
চলারপথে রিপোর্ট :
সাংগঠনিক আবৃত্তি চর্চায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ প্রবর্তিত ‘গোলাম মুস্তাফা আবৃত্তি পদক’ অর্জন করায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাহিত্য একাডেমির সভাপতি, বিশিষ্ট কবি, সংগঠক ও গবেষক জয়দুল হোসেনকে সংবর্ধনা প্রদান করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন সাহিত্য-সংস্কৃতি ও সামাজিক সংগঠনের সদস্যরা।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত বর্ণাঢ্য এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে কবি জয়দুল হোসেন সংবর্ধনা পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, বরেণ্য আবৃত্তিশিল্পী ও প্রশিক্ষক গোলাম সারোয়ার।
কবি জয়দুল হোসেন সংবর্ধনা পরিষদের আহ্বায়ক ও বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক মো মনির হোসেন-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বঙ্গীয় সাহিত্য-সংস্কৃতি সংসদ জেলা শাখার সভাপতি, বিশিষ্ট কবি ও নাট্যকার আবদুল মান্নান সরকার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো: বাহারুল ইসলাম মোল্লা, নারীনেত্রী বেগম ফজিলাতুন্নাহার, জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারের সহকারী পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম লিমন, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সদস্য সচিব এটিএম ফয়েজুল কবির, সাহিত্য একাডেমির সহ-সভাপতি মানিক রতন শর্মা, বাংলাদেশ বেসরকারি গণগ্রন্থাগার পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সভাপতি কবি আমির হোসেন, নতুনমাত্রা পাবলিকেশনের স্বত্বাধিকারী, কবি ও সাংবাদিক আল আমীন শাহীন, ভাষা ও সাহিত্য অনুশীলন কেন্দ্রের সহ-সভাপতি মমিনুল আলম বাবু, নদী প্রাণ ও প্রকৃতি সুরক্ষা বিষয়ক সংগঠন তরী বাংলাদেশ-এর আহ্বায়ক শামীম আহমেদ, আবরনীর নির্বাহী পরিচালক, আবৃত্তিশিল্পী হাবিবুর রহমান পারভেজ, সমাজকর্মী কমরেড নজরুল ইসলাম, তিতাস আবৃত্তি সংগঠনের সহকারী পরিচালক সুজন সরকার, কবির কলমের সভাপতি কবি হুমায়ুন কবির, সোনালি সকালের সভাপতি ফাহিম মুনতাসির।
কিচিরমিচির সম্পাদক মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ ও আবৃত্তিশিল্পী ফারদিয়া আশরাফী নাওমীর সঞ্চালনায় সভায় স্বাগত বক্তব্য উপস্থাপন করেন জেলা খেলাঘর আসরের সাধারণ সম্পাদক নীহার রঞ্জন সরকার। ধন্যবাদ বক্তব্য রাখেন সাহিত্য একাডেমির সাধারণ সম্পাদক মোঃ নুরুল আমিন। অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় কবি জয়দুল হোসেনকে নিবেদিত কবিতা পাঠ করেন তিতাস সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদের উপদেষ্ট, কবি মোঃ আব্দুর রহিম ও সাহিত্য একাডেমির সদস্য রিপন দেবনাথ। অনুষ্ঠানে কবি জয়দুল হোসেন রচিত বিভিন্ন কবিতার দলীয় আবৃত্তি পরিবেশন করে সাহিত্য একাডেমি, তিতাস আবৃত্তি সংগঠন, ভাষা ও সাহিত্য অনুশীলন কেন্দ্র, আবরনি আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্র এবং সোনালি সকাল সংগঠনের আবৃত্তিশিল্পীবৃন্দ। এছাড়াও দলীয় নৃত্য পরিবেশন করে সুরসম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনের নৃত্য শিল্পীর দল। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সংবর্ধিত অতিথি কবি জয়দুল হোসেনকে ফুলের শুভেচ্ছা ও উপহার সামগ্রী প্রদান করেন।
সংবর্ধনা শেষে কবি জয়দুল হোসেন তার অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন- বাংলা সাহিত্যের আদি নিদর্শন চর্যাপদ যা মূলত কবিতা। পৃথিবীর অনেক ভাষার আদি নিদর্শনী কবিতা। ফলে বলা যায় মানুষের সাহিত্য সাধনার প্রথম থেকেই কবিতা রচনা তথা কাব্যচর্চা হয়ে আসছে। বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে সাংগঠনিক আবৃত্তি চর্চা শুরু হয় আশির দশকে। সমসাময়িক সময়ে আমি জেলার সাহিত্য-সংস্কৃতির চর্চা শুরু করি। সেই সঙ্গে আবৃত্তি চর্চাও। আমি নিজে কখনো আবৃত্তি না করলেও অন্যদেরকে দিয়ে আবৃত্তি করিয়েছি। কেননা আমি তখন থেকেই বুজতে পেরেছিলাম যে কবিতার লেখার মাধ্যমে, আবৃত্তি চর্চার মাধ্যমে মানুষের মাঝে দেশপ্রেম, সমাজ সচেতনতা ও চেতনা ছড়িয়ে দেয়া যায়। আবৃত্তি দিয়ে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করা যায়। সাংগঠনিকভাবে আবৃত্তি চর্চা করলে যে পুরস্কার পাওয়া যায়, এই বিষয়টি আমার আগে থেকে জানা ছিল না। তাই পুরস্কারে আমার নাম ঘোষণা করা হলে তখন থেকেই বিষয়টি নিয়ে আমি সন্দিহান ছিলাম। যা নিয়ে আমি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলেছি।
বক্তব্যে তিনি আরো বলেন- আমি কখনো পদক বা পুরস্কারের জন্য কোন কাজ করিনি, কোনো লেখা লেখিনি, আবৃত্তি চর্চা করিনি, সাংগঠনিক কাজও করিনি। আমি জীবনে যা করেছি তা নিজের মনের তাগিদে করেছি। দায়িত্ব ও চেতনা বোধ থেকে কাজ করেছি। সংগঠন করেছি নিজের আদর্শের জায়গা থেকে। তিনি অন্যদেরকেও নিজের নাম ছড়ানোর জন্য কাজ না করে, দেশ ও মানুষের জন্য কাজ করার কথা বলেন। বক্তব্যে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চার উর্বর ভূমি উল্লেখ করে সকলকে এই ভূমিতে সোনার ফসল ফলানোর জন্য আহ্বান জানান। তিনি তাকে সংবর্ধনা প্রদান করার জন্য আয়োজকদের এবং উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন- টেলিভিশনে ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে যেভাবে পারস্পরিক যুদ্ধের জনপদ, সংঘর্ষের জনপদ হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে, আমি মনে করি এটা উচিত নয়। কেননা এই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আছে সুদীর্ঘ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। সে ঐতিহ্যের টানেই বারবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছুটে আসতে মন চায়। তিনি বলেন জয়দুল হোসেন আবৃত্তি পদকে ভূষিত হলেও আমরা তাঁকে এই ছোট্ট গণ্ডিতে সীমাবদ্ধ রাখতে চাই না। কেননা তাঁর দীর্ঘ জীবনে যা যা অবদান, সেই তুলনায় একটি সুনির্দিষ্ট বিষয়ে পুরস্কার খুবই ছোট্ট একটি অর্জন। তবে, যে কোনও পুরস্কার মানুষকে আলোকিত করে, দায়িত্বশীল করে। জয়দুল হোসেন তাঁর আলোয় সমাজ ও শিল্প সাহিত্যকে আরো আলোকিত করেছেন এবং ভবিষ্যতেও করবেন বলে আমার বিশ্বাস।