অনলাইন ডেস্ক :
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের এবারের আসরের ফাইনাল খেলবে ক্রিকেটের দুই পরাশক্তি দল ভারত-অস্ট্রেলিয়া।
৭ জুন ওভালে ফাইনাল ম্যাচে রোহিত শর্মার নেতৃত্বাধীন ভারত এবং প্যাট কামিন্সের নেতৃত্বাধীন অস্ট্রেলিয়া একে অপরের মুখোমুখি হবে। কোনও কারণে খেলায় বিঘ্ন ঘটলে একদিন রিজার্ভ ডে রাখা হয়েছে-১২ জুন।
লন্ডনের দ্য ওভালে অনুষ্ঠিতব্য ফাইনালের জন্য শুক্রবার প্রাইজমানি ঘোষণা করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)।
ফাইনালে যারা চ্যাম্পিয়ন হবে তারা পাবে ১.৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা প্রায় ১৩ কোটি ২২ লাখ টাকা। রানার্স আপ দল পাবে ৮ লাখ মার্কিন ডলার বা প্রায় ৭ কোটি টাকা।
এর আগে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম আসরের ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় নিউজিল্যান্ড। কেন উইলিয়ামসনের নেতৃত্বাধীন দলটি চ্যাম্পিয়ন হয়ে পায় ১.৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
চ্যাম্পিয়ন এবং রানার্স দল ছাড়াও টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেকটি দলকেই পুরস্কারমূল্য দেওয়া হয়।
গত চ্যাম্পিয়নশিপে তৃতীয় হওয়া দক্ষিণ আফ্রিকা পায় ৪ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। চতুর্থ হওয়া ইংল্যান্ড পেয়েছিল ৩ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার।
পঞ্চম হওয়া শ্রীলংকা পেয়েছিল ২ লাখ মার্কিন ডলার। এছাড়া আফগানিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ পায় ১ লাখ মার্কিন ডলার করে।
অনলাইন ডেস্ক :
এশিয়া কাপ খেলতে আজ ২৭ আগস্ট রবিবার সকালে শ্রীলংকার উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। এদিন বিকালে কলম্বো বিমানবন্দরে পৌঁছান সাকিব আল হাসানরা।
বুধবার মুলতানে স্বাগতিক পাকিস্তান বনাম নেপাল ম্যাচের মধ্য দিয়ে শুরু হবে এশিয়া কাপের ১৬তম আসর। ৩১ আগস্ট ক্যান্ডিতে শ্রীলংকার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশের এশিয়া কাপ শুরু হবে।
টুর্নামেন্টে অংশ নিতে রবিবার দেশ ছাড়ার আগে সবার কাছে দোয়া চান পেসার তাসকিন আহমেদ। বিমানবন্দরে গণমাধ্যমকে তাসকিন বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য এশিয়া কাপের ফাইনালে খেলা। আমরা সেভাবেই নিজেদের প্রস্তুত করেছি। আমাদের জন্য সবাই দোয়া করবেন, যাতে আমরা ভালো করতে পারি। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ইচ্ছা তো আছেই, তবে আমরা ভালো ক্রিকেট খেলতে চাই। সবাই নিজেদের সেরাটা দিতে পারলে যে কোনো কিছুই সম্ভব।
এশিয়া কাপ উপলক্ষে গত ৮ আগস্ট থেকে মিরপুরে শুরু হয় বাংলাদেশ দলের অনুশীলন ক্যাম্প।
অনলাইন ডেস্ক :
বাঁচামরার ম্যাচ। এশিয়া কাপে টিকে থাকতে হলে আফগানিস্তানের বিপক্ষে আজ রবিবার জিততেই হবে। দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া এই ম্যাচেই দুর্দান্ত ব্যাটিং করলো টাইগাররা।
মেহেদি হাসান মিরাজ আর নাজমুল হোসেন শান্তর জোড়া সেঞ্চুরিতে ভর করে ৫ উইকেটে ৩৩৪ রানের পাহাড় গড়েছে বাংলাদেশ। অর্থাৎ জিততে হলে আফগানিস্তানকে করতে হবে ৩৩৫।
লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টসভাগ্য সহায় ছিল সাকিব আল হাসানের। প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
ওপেনিংয়ে চমক। নাইম শেখের সঙ্গে ইনিংস উদ্বোধন করতে নামেন মেহেদি হাসান মিরাজ। ৪৭ বলে জুটিতে ফিফটি পূরণ করেন এই দুজন। ১০ ওভারে হয় ৬০ রানের জুটি। নাইম শেখকে বোল্ড করে ওপেনিং জুটি ভাঙেন মুজিব উর রহমান। নাইম ৩২ বলে ৫ বাউন্ডারিতে করেন ২৮ রান।
পরের ওভারে আরও একটি উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্তর বদলে তিন নম্বরে নামেন তাওহিদ হৃদয়। সুবিধা করতে পারেননি। নিজের মুখোমুখি হওয়া দ্বিতীয় বলেই স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন হৃদয় (০)। তার উইকেটটি নেন গুলবাদিন নাইব।
এরপর মিরাজ-শান্তর রূপকথার ব্যাটিং। তৃতীয় উইকেট জুটিতে তারা যোগ করেন ১৯৪ রান। ৬৫ বলে হাফসেঞ্চুরি পূরণ করেন মিরাজ। আফগান পেসার ফজলহক ফারুকিকে ছক্কা হাঁকিয়ে ফিফটি পূরণ করেন শান্ত।
আফগান বোলারদের নিয়ে রীতিমত ছেলেখেলা করেছেন মিরাজ আর নাজমুল হোসেন শান্ত। ওপেনিংয়ে নেমে মিরাজ করেছেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি, ১১৫ বলে। এরপর শান্তও ছুঁয়েছেন তিন অংকের ম্যাজিক ফিগার।
তার আগেই অবশ্য উঠে গেছেন মিরাজ। শান্তর সঙ্গে জুটিতে ১৯৪ যোগ করে রিটায়ার্ট হার্ট হয়ে ড্রেসিংরুমে ফেরেন এই অলরাউন্ডার। ১১৯ বলে ১১২ রানের ইনিংসে মিরাজ ৭টি বাউন্ডারির সঙ্গে হাঁকান ৩টি ছক্কা।
মিরাজ উঠে যাওয়ার পরপরই সেঞ্চুরি পূরণ করেন শান্ত। ১০১ বলে শতরান ছুঁয়েছেন এই বাঁহাতি। শান্তর ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ওয়ানডে সেঞ্চুরি এটি। তার দুর্দান্ত ইনিংসটি সমাপ্তি হয়েছে দুর্ভাগ্যজনক রানআউটে।
এক রান নিতে গিয়ে মাঝপথে চলে গিয়েছিলেন শান্ত। ফেরার সুযোগ পাননি। পা পিছলে পড়ে যান মাঝ পিচে। ১০৫ বলে শান্তর ১০৪ রানের ইনিংসটি ছিল ৯ চার আর ২ ছক্কায় সাজানো।
এছাড়া মুশফিক ১৫ বলে ২৫, সাকিব শেষদিকে নেমে ১৮ বলে অপরাজিত ৩২ আর শামীম পাটোয়ারী ৬ বলে করেন ১১ রান।
চলারপথে রিপোর্ট :
চলতি পথে সড়কের ধারে হঠাৎ দৃষ্টি আটকে যায় পথিকের। থমকে দাঁড়িয়ে দেখেন জাতীয় পতাকার আদলে সাজানো হয়েছে ধানক্ষেত। আগ্রহ নিয়ে তারা এ সৌন্দর্য উপভোগ করেন।
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার রুপনারায়ণকুড়া ইউনিয়নের দেবিপুর গ্রামের সৌখিন কৃষক রনজিৎ সাহার ধান ক্ষেতে এমন চিত্রের দেখা মেলে।
চলতি বোরো মৌসুমে নিজের প্রায় ৬০ শতাংশ জমিতে সবুজ ও বেগুনি রঙের ধানের চারা দিয়ে তৈরি করেছেন বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার প্রতিকৃতি। পার্থক্য শুধু লালের জায়গায় বেগুনি বৃত্ত। নতুন জাতের এ ধানের নাম ‘পার্পল লিফ রাইস’।
কৃষক রনজিৎ সাহা বলেন, প্রথমে সুতা দিয়ে মেপে জমিতে জাতীয় পতাকার গঠন তৈরি করি। এরপর সে অনুযায়ী রোপণ করি দুই জাতের ধানের চারা। দেশ ও পতাকার প্রতি ভালোবাসা প্রকাশে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতেই আমার এই আয়োজন।
পথচারী আলমগীর হোসেন বলেন সবুজ-বেগুনিতে এতো সুন্দর ধানের জমি আর দেখিনি। লোক মুখে শুনে জমি দেখতে এখানে আসা। যিনি এই জাতীয় ধান আবাদ করেছেন তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই।
পথচারী সিরাজুল ইসলাম রুবেল বলেন, ফসলের মাঠে সবুজ-বেগুনিতে জাতীয় পতাকা দেখে আমার খুব ভালো লেগেছে। কাকলী আক্তার বলেন, ধানক্ষেতের চারপাশে সবুজ রঙের ধান আর মাঝখানে বেগুনি রঙের ধান রোপণ করায় দেশের জাতীয় পতাকার আদল হয়েছে। দেখতে খুবই সুন্দর দেখাচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আলমগীর কবীর বলেন, একজন কৃষক দেশের প্রতি ভালবাসার নিদর্শন হিসেবে তার জমিতে জাতীয় পতাকার প্রতিকৃতি ধান ক্ষেতে ফুটিয়ে তুলেছেন। কাজটি সত্যিই প্রশংসার দাবিদার জানিয়ে তিনি বলেন, গত কয়েক বছর ধরে এ উপজেলায় বেগুনি রঙের ধানের আবাদ শুরু হয়। সৌন্দর্য ও পুষ্টিগুণে ভরপুর এ ধানের নাম পার্পল লিফ রাইস। এ ধানের গাছের পাতা ও কাণ্ডের রঙ বেগুনি। তাই এটি রঙিন ধান হিসাবে পরিচিত।
স্পোর্টস ডেস্ক :
লোকশান এড়াতে সুপার ফোরে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে রিজার্ভ ডে রাখা হয়েছিল। কাজেও লেগেছিল দিনটি। কিন্তু এশিয়া কাপের ফাইনালে সম্প্রচার স্বত্ত্বের ব্যবসায় লালবাত্তি জ্বললো। লঙ্কানদের ব্যাটিং বিপর্যয়ে ফেলে ১০০ ওভারের ম্যাচ ২২ ওভারের মধ্যে শেষ করল ভারত। ১০ উইকেটের বিশাল জয়ে রোহিত শর্মার দল ঘরে তুলল এশিয়া কাপের রেকর্ড অষ্টম শিরোপা।
ফাইনালে পা রাখা পর্যন্ত দারুণ ক্রিকেট খেলেছে শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশ-পাকিস্তানকে হারানোর পর ভারতের বিপক্ষে সুপার ফোরের ম্যাচে দুর্দান্ত লড়াই করেছে। সেটাই এশিয়া কাপের ফাইনালের লড়াই জমার আভাস দিয়েছিল। কিন্তু শুরুর আগে শেষ হয়ে কলম্বোর গ্যালারিতে বসা ও টিভি পর্দার দর্শকদের হতাশ করলো তারা।
রোববার কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নামে শ্রীলঙ্কা। বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় এশিয়া কাপের ষষ্ঠ শিরোপা জয়ী শ্রীলঙ্কা। জাসপ্রিত বুমরাহ তুলে নেন কুশল পেরেরাকে।
এরপর স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা শিবিরে বড় ধাক্কা দেন ভারতের পেসার মোহাম্মদ সিরাজ। তিনি নিজের দ্বিতীয় ও দলের চতুর্থ ওভারে বল হাতে নিয়ে চার উইকেট তুলে নেন। একে একে সাজঘরে ফেরান পাথুন নিশাঙ্কা (২), সাদিরা সামারাবিক্রমা (০), চারিথা আশালঙ্কা (০) ও ধনাঞ্জয়া ডি সিলভাকে (৪)।
পরে আরও দুই উইকেট দখলে নেন ২৯ ওয়ানডেতে ক্যারিয়ারে সেরা বোলিং করা সিরাজ। ডানহাতি এই পেসার দাশুন শানাকা (০) ও কুশল মেন্ডিসকে (১৭) বোল্ড করে দেন। ২১ রানে ক্যারিয়ারে সেরা ৬ উইকেট তুলে নেন। বাকি তিন উইকেট হার্ডিক পান্ডিয়া দখল করে লঙ্কানদের ১৫.২ ওভারে ৫০ রানে অলআউট করে দেন।
জবাব দিতে নেমে ভারতের দুই তরুণ ওপেনার শুভমন গিল ও ইশান কিষাণ ৬.১ ওভারে দলকে জয় এনে দিয়েছেন। কিশান ১৮ বলে তিন চারে ২৩ ও শুভমন ১৯ বলে ছয় চারে ২৭ রান করেন। ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে ফাইনালে সর্বোচ্চ ২৬৩ বল হাতে রেখে ১০ উইকেটে জয়ের রেকর্ড গড়েন।
অন্যদিকে এশিয়া কাপের ফাইনালে ওয়ানডে নিজেদের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রানে অলআউট হয়েছে শ্রীলঙ্কা। এর আগে ২০১২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পার্লে ২১তম ওভারে ৪৩ রানে ধসে গিয়েছিল তারা। শ্রীলঙ্কা অল্পের জন্য ওই লজ্জাসহ ওয়ানডের সর্বনিম্ন ৩৫ রানে অলআউটরে লজ্জা থেকে রেহায় পেয়েছে।
চলারপথে ডেস্ক :
বাংলা চলচ্চিত্রের বরেণ্য অভিনেতা, পরিচালক, প্রযোজক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুদ পারভেজ সোহেল রানার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর নেওয়া হচ্ছে।
বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন সোহেল রানার ছেলে মাশরুর পারভেজ।
ছেলে মাশরুর পারভেজ বলেন, আজ ১৭ এপ্রিল সোমবার রাত ১১টা ৫৫ মিনিটের ফ্লাইটে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন বাবা। মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসা করা হবে তার। এবার মূলত চোখ দেখাতে যাবেন তিনি। অন্যান্য অসুস্থতার পাশাপাশি চোখের জটিল সমস্যায়ও ভুগছেন। সব মিলিয়ে ১০ দিন সিঙ্গাপুরে থাকবেন বাবা। নিয়মিত চেকআপ শেষে দেশে ফিরবেন।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালেও তাকে চিকিৎসার জন্য তাকে সিঙ্গাপুরের একই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে ওই বছরের ১১ নভেম্বর ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট করে সুস্থতার খবরটি দেন এই অভিনেতা।