চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে জাতীয় মহিলা পার্টির আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। ২১ সদস্যবিশিষ্ট ওই কমিটির আহ্বায়ক ফেরদৌসী বেগম নাদিরা ও সদস্য সচিব নিপা আহমেদ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় পার্টি নাসিরনগর উপজেলা শাখার আহবায়ক শাহনুল করিম গরীবুল্লাহ সেলিম।
গত ২৪ মে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জাতীয় মহিলা পার্টির সভাপতি রোমানা আক্তার শ্যামলীর স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে ওই কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়।
কমিটির অন্যান্যরা হলেন- সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক সুবর্ণা চৌধুরী, যুগ্ম আহবায়ক ইয়াসমিন আক্তার ভূঁইয়া, আয়েশা আক্তার, হাবিবা আক্তার, স্বর্ণা বেগম, শায়মা আক্তার, শিলা রায়, রোজী চৌধুরী । সদস্য হলেন শান্তা বেগম, মুন্নি আক্তার, মাসুমা আক্তার, সাবিনা ইয়াসমিন, শেফালী বেগম, সামিহা আক্তার ভূঁইয়া, রোজি আক্তার, আকলিমা আক্তার, ফরিদা আক্তার, সেলিনা আক্তার, স্বর্ণালী আক্তার বিউটি প্রমুখ।
জাতীয় পার্টি নাসিরনগর উপজেলা শাখার আহবায়ক শাহনুল করিম গরীবুল্লাহ সেলিম জানান, আগের যেকোনো সময় থেকে আমার এখন নাসিরনগর উপজেলা ভালো অবস্থানে আছি। এই কমিটি গঠনের মাধ্যমে আরও একধাপ এগিয়ে গেলাম।
এর আগে ২৪ মে নাসিরনগর উপজেলা জাতীয় কৃষক পার্টির ৪৩ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেয় জেলা কমিটি। ওই কমিটির সভাপতি হলেন হবিব পাঠান এবং সাধারণ সম্পাদক মো. সোহরাব মিয়া।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে নিখোঁজ হওয়ার ২০ঘণ্টা পর শিশু সুমাইয়া আক্তারের (৮) মরদেহ উদ্ধার করেছেন স্থানীয়রা। আজ ৬ মে শনিবার সকালে সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার গুনিয়াউক ইউনিয়নের গুনিয়াউক গ্রামের এক নম্বর ওয়ার্ডে ঘরের ছাদ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। সুমাইয়া ওই এলাকার মৃত আছমত আলীর মেয়ে।এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নাসিরনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিবুল্লা সরকার।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ৫ মে শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে নিজ বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয় সুমাইয়া। আত্মীয়-স্বজনসহ আশপাশের বাড়ি-ঘরে খোঁজাখুঁজির পর সুমাইয়াকে না পেয়ে গ্রামের মাইকে নিখোঁজের বিষয়টি জানানো হয়। এরপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকেও তার নিখোঁজের বিষয়টি প্রচার করা হয়।
আজ শনিবার সকালে নিহতের বাড়ির সঙ্গে সংযুক্ত দোকানের ছাদে আম পাড়তে যায় স্থানীয় অন্য এক শিশু। তখন সুমাইয়ার মরদেহ ছাদের ওপর পড়ে থাকতে দেখে সে। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
গুনিয়াউক গ্রামের এক নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. মালেক মিয়া বলেন, সুমাইয়ার বাবা নেই। তার মা হোসনা বেগম নিজ বাড়িতে দোকান ঘর দিয়ে ব্যবসা করে পরিবার চালান। মায়ের দোকান ঘরের ছাদ থেকে আম পাড়তে যায় শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে। এরপর থেকে সে নিখোঁজ। আজ শনিবার সকালে তার লাশ দোকানের ছাদ থেকে নামানো হয়েছে।
নাসিরনগর থানার ওসি মো. হাবিবুল্লাহ সরকার বলেন, জানতে পেরেছি নিজ বাড়ির ছাদে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে সুমাইয়া নামে এক শিশু মারা গেছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে তার মরদেহ দাফনের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগরে তাহমিনা আক্তার (২৬) নামে এক মায়ের বিরুদ্ধে দুই মাস বয়সী শিশু সন্তান সাইমকে পানিতে ফেলে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। ১২ মার্চ রবিবার রাতে উপজেলার পূর্বভাগ ইউনিয়নের চান্দের পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আজ ১৩ মার্চ সোমবার সকালে তাহমিনাকে আটক করেছে পুলিশ।
শিশু সাইম উপজেলার গোকর্ণ ইউনিয়নের নূরপুর গ্রামের মো. খোকন মিয়ার ছেলে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ১১ বছর আগে তাহমিনা ও খোকন মিয়ার পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। এরই মধ্যে তাদের ঘরে চারটি সন্তানের জন্ম হয়। সর্বশেষ ছোট ছেলে সাইম জন্ম নেওয়ার পর তার নাম রাখার সময় খাবারের আয়োজন করে খোকন মিয়া। কিন্তু তাহমিনার বাবার বাড়ির কম লোকজনকে দাওয়াত দেন খোকন। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য হয়। পর দিন রাগ করে বাবার বাড়ি পূর্বভাগ ইউনিয়নের চান্দের পাড়া গ্রামে চলে যান তাহমিনা। সেখানে গিয়ে খোকনকে ফাঁসানোর ফন্দি করেন তাহমিনা।
এরপর ১২ মার্চ রবিবার দিবাগত রাত ১১টার দিকে শিশু সাইমকে বাড়ির পাশের পুকুরে ফেলে দেন তাহমিনা। ওই দিন রাতেই তাহমিনা পাড়ার সবাইকে বলতে থাকেন- খোকন এসে তার শিশু সন্তান সাইমকে নিয়ে পালিয়ে গেছেন। তবে ওই দিন রাতে খোকন গোকর্ণ গ্রামের একটি ইটভাটায় কাজ করছিলেন। পরের দিন সকালে স্থানীয়রা পুকুরে গোসল করতে গেলে শিশুর মরদেহ দেখতে পায়। তখন পুলিশ গিয়ে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে। তাহমিনাকে আটক করে পুলিশ।
নাসিরনগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুল্লাহ সরকার বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাহমিনা আক্তার তার শিশুকে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় তার স্বামী খোকন মিয়া স্ত্রী তাহমিনা আক্তারের বিরুদ্ধে হত্যা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে উপজেলা পরিষদ নিবার্চন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য করার লক্ষ্যে ভোট গ্রহনকারী কর্মকর্তাদের তিনদিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুরু হয়েছে।
আজ ২ মে বৃহস্পতিবার সকালে নাসিরনগর উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে ও স্থানীয় আশুতোষ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা নির্বাচন অফিস প্রিজাউডিং কর্মকর্তা, সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও পুলিং কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের আয়োজন করেন।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে তিন দিনব্যাপী প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী কর্মশালায় ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও জেলা রির্টানিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাদেকুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নিবার্চন সমন্বয়কারী মোঃ ইমরানুল হক ভূইয়া, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রির্টানিং কর্মকর্তা মোঃ শহীদুল ইসলাম ও নবীনগর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ আজগর আলী।
প্রথমদিন প্রশিক্ষণে ১০৩ জন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, ২৪০ জন সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা এবং ৪৪৩ জন পোলিং কর্মকর্তা অংশগ্রহন করেন।
প্রশিক্ষণ কর্মশালায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান ভোট গ্রহন কর্মকর্তাদের অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নিজ নিজ দায়িত্ব, কর্তব্য সততা এবং নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি করণীয় সর্ম্পকে প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রির্টানিং কর্মকর্তা মোঃ শহীদুল ইসলাম জানান, আগামী ৮ মে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এ লক্ষ্যে ১০৩ জন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা,৭১২ জন সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা এবং ১৪২৬ জন পোলিং কর্মকর্তাদের দুই শিফটে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, নাসিরনগর উপজেলায় ৯৩টি কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ভোটার ২ লাখ ৫৬ হাজার ২৬৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৩৫ হাজার ৫শ ১৯ জন ও মহিলা ভোটার ১ লাখ ২০ হাজার ৭শ ৪৫ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গ ২ জন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে আইন-শৃংখলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ২২ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে স্থানীয় উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মো: ইমরানুল হক ভূইয়ার সভাপতিত্বে সভায় উপজেলা চেয়ারম্যান ও আইন শৃঙ্খলা কমিটির উপদেষ্টা ডাঃ রাফিউদ্দিন আহমেদ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ ফজলে ইয়াজ আল হোসাইন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রুবিনা আক্তার, থানার অফিসার্স ইনর্চাজ (ওসি) মো: সোহাগ রানা, অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) জামিল ফোরকান, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো: ইকবাল মিয়া, জেলা পরিষদ সদস্য গোলাম কিবরিয়া হাকিম রাজা, গুনিয়াউক ইউপি চেয়ারম্যান মো: জিতু মিয়া, সদর ইউপি চেয়ারম্যান পুতুল রানী দাস, ফান্দাউক ইউপি চেয়ারম্যান ফারুকুজ্জামান ফারুক, কুন্ডা ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নাছির উদ্দিন ভূইয়া, ধরমন্ডল ইউপি চেয়ারম্যান সফিকুল ইসলাম, চাপরতলা ইউপি চেয়ারম্যান মনসুর আহমদ ভূইয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা কার্ত্তিক চন্দ্র দাস, প্রধান শিক্ষক আবদুর রহিম, উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি আদেশ চন্দ্র দেব, উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক আকতার হোসেন ভূইয়াসহ আইনশৃংখলা কমিটির সসদ্যগণ বক্তব্য রাখেন।
সভায় বক্তারা আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রনের পাশাপাশি মাদক-জুয়া, চুরি-ডাকাতি বন্ধসহ আইনশৃংখলা বিষয়ক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করেন ও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নাসিরনগর উপজেলার লঙ্গণ নদীতে একটির ধাক্কায় তীরে বাধাঁ অবস্থায় আরেকটি নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় একই মায়ের দুই সন্তানের একজন মারা গেছে, অন্যজনকে সংকটাপন অবস্থায় জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। নিহত ওই শিশু গোয়ালনগর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের রুহুল আমিনের ছেলে জুমেল (৪)।
আজ ৭ জুন বুধবার বিকাল ৫টায় নাসিরনগর বাজার গুডাউন ঘাটে গোয়ালনগরের উদ্যেশে যাওয়ার জন্য অবস্থানকালে অন্য একটি নৌকার ধাক্কায় যাত্রীবাহী এ নৌকা ডুবে যায়।
পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, বুধবার বিকালে নাসিরনগর নৌকা ঘাটে গোয়ালনগরে যাওয়ার জন্য যাত্রী ও মালামাল নিয়ে নৌকাটি অপেক্ষা করছিল। এমন অবস্থায় চাতলপাড় থেকে ছেড়ে আসা অন্য একটি নৌকা ঘাটে থাকা ওই নৌকাটিকে ধাক্কা দেয়। পরে বাধাঁ থাকা নৌকাটি ঘাটেই ডুবে যায়। ডুবে যাওয়া অবস্থায় নৌকাটিতে শতাধিক যাত্রী ও মালামাল বোঝাই ছিল।
নৌকায় থাকা নাজমুল হাসান জানান, আমরা ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। এমন সময় অন্য একটি নৌকা ধাক্কা দিলে আমাদের নৌকাটি ডুবে যায়। আমার সাথে অনেক মালামাল ছিল সব ডুবে নষ্ট হয়ে গেছে।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা মোতাহার হোসেন জানান,আরেকটি নৌকার ধাক্কার কারণে নৌকাটি ডুবে গেছে। আমরা খবর পাওয়ার সাথে সাথে ঘটনা স্থলে যাই। দুটি শিশুকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। নৌকাটিও উপরে তোলা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফখরুল ইসলাম জানান, নিহতের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। নৌকাটি উদ্ধার করা হয়েছে। অন্য শিশুটির খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।
এ ব্যাপারে নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুল্লা সরকার বলেন, ঘটনাটি মর্মান্তিক। এ ঘটনায় আইনানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।