অনলাইন ডেস্ক :
চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ থেকে ১ কোটি ৩৭ লাখ টাকার ১৪ কেজি বন্যহাতির দাঁত ও হরিণের চামড়াসহ আবদুল মালেক নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ ২৭ মে শনিবার তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট।
মালেক মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ থানার দীতেশ্বর এলাকার মৃত হাজী আবদুল আলীর ছেলে। শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টায় নগরের শুলকবহরের একটি বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নূরুল আবছার জানান, শুলকবহর এলাকার একটি বাড়ির তৃতীয় তলায় হাতির দাঁত ও হরিণের চামড়া বিক্রি হচ্ছে- এমন খবরে সেখানে অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে আবদুল মালেককে আটক করা হয়। এ সময় তার রুমের খাটের নিচে প্লাস্টিকের বস্তায় চারটি হাতির দাঁত, ছোট বড় ও মাঝারি আকারের ২০টি হাতির দাঁতের খণ্ডাংশ পাওয়া যায়, যার ওজন ১৪ কেজি। এ ছাড়া একটি হরিণের চামড়া উদ্ধার করা হয়।
র্যাব কর্মকর্তা মো. নূরুল আবছার জানান, দীর্ঘদিন ধরে পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে হাতির দাঁত ও হরিণের চামড়া সংগ্রহ করে চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে আসছিলেন আবদুল মালেক। তার কাছ থেকে উদ্ধার মালামালের আনুমানিক মূল্য ১ কোটি ৩৭ লাখ টাকা।
র্যাব জানায়, ১৯৭৬ সালে বাবার সঙ্গে রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়ি এলাকায় হাতির দেখভাল করার জন্য যান তিনি। তার বাবার কয়েকটি হাতি ছিল। ১৯৯৮ সালে তার বাবা মারা গেলে হাতির ব্যবসা দেখভাল করার জন্য তিনি ছয় বছর ধরে রাঙামাটির বাঘাইছড়ির মারিশ্যা এলাকায় থাকতেন। তিনি একজন লাইসেন্সধারী হাতির পালক। ২০১০ সালের পরে লাইসেন্স প্রভিশন হলে তিনি পুনরায় লাইসেন্স করেন। তবে তিনি স্থায়ীভাবে তখন বাঘাইছড়ি থাকতেন না। দু’চার দিন থেকে আবার মৌলভীবাজার চলে যেতেন। তার বৈধভাবে ছোট বড় ১২টি হাতি আছে। তবে স্থানীয় তথ্যানুযায়ী তার আরো ২৪/২৫টি রেজিস্ট্রেশনবিহীন হাতি রয়েছে, যা দিয়ে তিনি বিয়ে বাড়িতে ভাড়াসহ পাহাড়ি এলাকায় গাছ টানার কাজ করেন। পাহাড়ি এলাকা থেকে অবৈধভাবে দীর্ঘদিন ধরে তিনি বিভিন্ন বন্যপ্রাণির চামড়া, হাতির দাঁত সংগ্রহ করে অবৈধভাবে বিক্রির জন্য সংরক্ষণ করে আসছিলেন।
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে মাইশা আফরিন সুবর্ণা (১৪) নামের এক কিশোরী বিয়ের তিনমাসের মাথায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। রোববার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে কিশোরীর মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মাইশা আফরিন সুবর্ণা উপজেলার বুধন্তি ইউনিয়নের বীরপাশা গ্রামের নাসির উদ্দিনের মেয়ে। নাসির উদ্দিন বলেন, তার কিশোরী মেয়ে সুবর্ণা অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। পার্শ্ববর্তী বিন্নিঘাট এলাকার ইদ্রিস মিয়ার ছেলে মনির হোসেন (২২) তার মেয়েকে পছন্দ করতেন। পরে পারিবারিক ভাবে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের টাকার জন্য তার মেয়ে সুবর্ণাকে অত্যাচার করতো মনির। বিয়ের সময় মনিরকে ১ লাখ টাকা যৌতুক দেওয়ার পর সে আরও যৌতুককের টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে তার মেয়েকে তালাক দিবে একথা বলেন মনির। সে কথা শুনে সুবর্ণা শনিবার বিকেলে শোবার ঘরের বাশের তীরের সাথে ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। তিনি আরও বলেন, মনিরের চাপের কারণে তার মেয়ে সুবর্ণাকে বিয়ে দিতে হয়। মনিরের কারনে তার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে।
এ ব্যাপারে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এক কিশোরী গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। মরদেহ উদ্ধারের পর জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছি। থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়া-সিলেট রেলপথের মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে সিলেট থেকে ছেড়ে আসা পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল হয়ে প্রায় দেড় ঘণ্টা আটকা পড়ে। আজ ২২ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার বেলা ১টা ৪৫ মিনিটে গোপাল নগর এলাকায় চলন্ত অবস্থায় ট্রেনটির ইঞ্জিন বিকল হয়।
আকস্মিক এ সমস্যায় বিপাকে পড়েন যাত্রীরা। ভানুগাছ ও শ্রীমঙ্গল স্টেশনের অনেক যাত্রী ট্রেন থেকে নেমে সড়কপথে নিজ গন্তব্যে রওনা দেন।
পরে আখাউড়া জংশন থেকে বিকল্প ইঞ্জিন এনে বিকাল ৩টা ১৫ মিনিটে পাহাড়িকা ট্রেনটি শ্রীমঙ্গলের উদ্দেশ্য ছেড়ে যায়।
ভানুগাছ রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার কবির আহমেদ বলেন, ভানুগাছ রেল স্টেশনের আউটারে রেলগেট এলাকায় চট্টগ্রামগামী আন্তঃনগর পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিন হঠাৎ বিকল হয়ে পড়ে। পরে আখাউড়া থেকে বিকল্প একটি ইঞ্জিন এসে ট্রেনটি নিয়ে যায়। ফলে প্রায় দেড় ঘণ্টা ট্রেনটি রেল লাইনে আটকা ছিল।
অনলাইন ডেস্ক :
এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে আগামীকাল ২৬ নভেম্বর রবিবার। এদিন সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ফলাফল হস্তান্তরের পর বেলা ১১টায় স্ব স্ব কলেজ ও শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইটে একযোগে পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে। এবার শিক্ষার্থীরা কলেজে না গিয়ে ঘরে বসেই ফল দেখতে পারবে।
আন্তঃশিক্ষাবোর্ড জানিয়েছে, কলেজ নোটিশ বোর্ড ছাড়াও বোর্ডের নির্ধারিত ওয়েবসাইটে ও এসএমএসের মাধ্যমে ফল জানতে পারবে পরীক্ষার্থীরা। ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ফল জানতে শিক্ষার্থীকে প্রথমেwww.educationboardresults.gov.bd এ ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।
পরীক্ষার ফল জানবেন যেভাবে
ঢাকা শিক্ষা বোর্ড এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বোর্ডগুলোর সমন্বিত ওয়েবসাইটে (www.educationboardresults.gov.bd) ঢুকে পরীক্ষার্থীর রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর টাইপ করে ফল জানতে পারবেন।
শিক্ষার্থীরা রেজাল্ট শিট ডাউনলোড করতে পারবেন এই ওয়েবসাইট থেকে। তা করতে চাইলে সমন্বিত ওয়েবসাইটের রেজাল্ট কর্নারে ক্লিক করে থেকে ফলাফল ডাউনলোড করা যাবে।
এছাড়া এসএমএসের মাধ্যমেও ফল জানা যাবে। এইচএসসির ফল জানতে HSC লিখে স্পেস দিয়ে শিক্ষা বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০২৩ লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএসে আসবে ফল।
আলিমের ফল পেতে ALIM লিখে স্পেস দিয়ে Mad লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০২৩ লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে।
কারিগরি বোর্ডের ক্ষেত্রে HSC লিখে স্পেস দিয়ে Tec লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০২৩ লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠালে ফিরতি এসএমএসে ফলাফল জানানো হবে।
গত ১৭ আগস্ট এ বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছিল। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে চট্টগ্রাম এবং মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা কিছুদিন পর শুরু হয়েছিল। এবার পুনর্বিন্যাস করা পাঠ্যসূচি অনুযায়ী একটি বাদে সব বিষয়ে পূর্ণ নম্বর ও পূর্ণ সময়ে পরীক্ষা হয়েছে। শুধু তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) পরীক্ষা শেষ সময়ে এসে ১০০ নম্বরের পরিবর্তে ৭৫ নম্বরে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
নোয়াখালী পৌর সদরে বাসায় ঢুকে মা-মেয়েকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে গ্রেপ্তার আলতাফ হোসেনের স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে পুলিশ ঘটনার যে বর্ণনা দিয়েছে, তা নাকচ করেছে নিহতদের পরিবার।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় সুধারাম মডেল থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে নোয়াখালীর পুলিশ সুপার শহিদুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, নিহত নূর নাহার বেগমের সঙ্গে আলতাফের অনৈতিক সম্পর্কের জেরেই এই জোড়া খুন হয়েছে। মা নূর নাহারকে বাঁচাতে গিয়ে খুন হন তাঁর মেয়ে ফাতেমা আজি প্রিয়ন্তী।
তবে আজ ১৫ জুন বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের কাছে পুলিশের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেন নিহত নূর নাহারের স্বামী ফজলে আজিম কচি ও ছেলে রবিউল আলম হৃদয়। তাঁরা ঘটনার অধিকতর তদন্ত দাবি করেছেন।
চাঞ্চল্যকর এ জোড়া খুনের ঘটনায় ফজলে আজিম কচি বুধবার রাতে অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে সুধারাম থানায় মামলা করেন। পুলিশ ধৃত আলতাফ হোসেনকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রাতেই নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস এম মোসলেহ উদ্দিন মিজানের আদালতে হাজির করে। সেখানে আলতাফ ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। সকালে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এ দিন বার্লিংটন মোড় এলাকার ৫ নম্বর ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, যে দোতলা বাড়িতে হত্যাকাণ্ড হয়েছে, সেটির গেটে পুলিশের নির্দেশে নিহতদের স্বজনরা তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন। বর্তমানে পার্শ্ববর্তী এলাকা লইয়ার্স কলোনির একটি বাসায় আশ্রয় নিয়েছেন ফজলে আজিম কচি ও তাঁর নবম শ্রেণি পড়ুয়া ছেলে হৃদয়।
ফজলে আজিম সাংবাদিকদের জানান, বুধবার সন্ধ্যায় যখন পুলিশ সুপার খুনিকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন, সেখানে তাঁরা কথা বলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ তাঁদের কথা বলতে দেয়নি।
সংবাদ সম্মেলন শেষে ওসির কক্ষে পুলিশ সুপার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের সামনেই তাঁদের বক্তব্য নিয়ে হৃদয় প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছিল, একজন মৃত ব্যক্তি সম্পর্কে মিথ্যাচার করা ঠিক নয়। এর জবাবে পুলিশ সুপার তাকে শান্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আলতাফের বক্তব্য তাঁর মোবাইল ফোনে রয়েছে।
ফজলে আজিম আরো বলেন, পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, জনতার হাতে আটকের পর আলতাফ বাড়িতে আরও দুই ব্যক্তিকে দেখার কথা বলেছেন। ওই দুই ব্যক্তি কারা, সেটি বের করা দরকার। তা ছাড়া ঘটনার আগের দিন এক লোক বাসা ভাড়া নিতে এসেছিল। বাড়ির অপর ভাড়াটিয়ার ফোনে সে ব্যক্তির সঙ্গে আমি কথাও বলেছিলাম। তার বিষয়েও খোঁজ নেওয়া দরকার। তিনি তাঁর স্ত্রী ও মেয়ে হত্যার অধিকতর তদন্ত এবং বিচার দাবি করেন।
এর আগে হত্যাকাণ্ডের দিন দুপুরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিজয়া সেন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, মা-মেয়ে খুনের ঘটনায় তিনজন অংশগ্রহণ করে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তাদের মধ্যে একজনকে জনতা ধাওয়া দিয়ে গণধোলাইর পর পুলিশে সোপর্দ করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। পরে অবশ্য পুলিশ সুপারের সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ধৃত আলতাফই এই খুন করেছে।
নিহতদের স্বজনের অভিযোগ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সুধারাম থানার উপপুলিশ পরিদর্শক প্রমোদ চৌধুরী বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে যেসব তথ্য পাওয়া গেছে তাই জানানো হয়েছে। তবে তদন্তে আরও নতুন তথ্য বেরিয়ে আসতে পারে। যদি নতুন কিছু পাওয়া যায় তা পরবর্তী সময়ে জানানো হবে।
সুধারাম থানার ওসি আনোয়ারুল ইসলাম জানান, আসামি আলতাফের কথায় কোনো মিথ্যা আছে কিনা সে বিষয়টি পুলিশ মাথায় রেখে কাজ করছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা যাবে।