চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের নব-নির্বাচিত নেতৃবৃন্দকে গণসংবর্ধনা দিয়েছে সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নবাসী।
গতকাল শনিবার বিকেলে সদর উপজেলার সুহিলপুর আলহাজ্ব হারুন আল রশিদ ডিগ্রী কলেজ মিলনায়তনে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক পরিষদ, সুহিলপুরের ব্যানারে এই গণসংবর্ধনা দেয়া হয়।
সংগঠনের উপদেষ্টা ও সিনিয়র শিক্ষক মোঃ রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রানা আহমেদ এবং কবি রুদ্র মোহাম্মদ ইদ্রিসের সঞ্চালনায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সুহিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আজাদ হোসেন হাজারী আঙ্গুর, সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ মোবারক মুন্সী, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত জিএম জহির রায়হান, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির খাঁন দুলাল, জিল্লুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক কৃষ্ণ কুমার দত্ত, সুহিলপুর আলহাজ্ব হারুন আল রশিদ ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক হানিফ মুন্সী, প্রধান শিক্ষক আশরাফুল ইসলাম, জেলা যুবলীগ নেতা আবদুল কুদ্দুস, যুবলীগ নেতা জামাল উদ্দিন নাগর প্রমুখ।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন নোঙর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সভাপতি কামরুজ্জামান খান টিটু, শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব মোঃ ইয়াছিন মিয়া।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অনুভ‚তি ব্যক্ত করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন, সহ-সভাপতি নিয়াজ মোঃ খান বিটু,সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিহাব উদ্দিন বিপু, কোষাধ্যক্ষ মোঃ মোশাররফ হোসেন বেলাল, দপ্তর সম্পাদক শাহজাহান সাজু, আইসিটি সম্পাদক মোঃ মোজাম্মেল চৌধুরী, কার্যকরি কমিটির সদস্য ফরহাদুল ইসলাম পারভেজ ও মীর মোহাম্মদ শাহীন।
আলোচনাসভা শেষে প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দের হাতে সম্মাননা ক্রেষ্ট তুলে দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভা শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ২৫ জুলাই মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরস্থ সিলভার ফর্ক রেস্টুরেন্টের হলরুমে জাতিসংঘের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ECONOMIC AND SOCIAL COMMISSION FOR ASIA AND THE PACIFIC (ESCAP) এর সাথে ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত মতবিনিময় সভায় সভাপত্বি করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র সভাপতি আলহাজ্ব আজিজুল হক।
এতে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রতিনিধি দলের প্রধান মিকিকো তানাকা, ডিরেক্টর এন্ড হেড, সাউথ এন্ড সাউথ-ওয়েস্ট এশিয়া অফিস, ইউনাইটেড ন্যাশনস এসকেপ, রঞ্জন রত্না, ডেপুটি হেড এন্ড সিনিয়র ইকোনোমিক এফায়ারর্স অফিসার, ইউনাইটেড ন্যাশনস, আজহার জয় মর্জিনা ডিউক্রেস্ট, চীফ অব সেকশন, ট্রান্সপোর্ট কানেক্টিভিটি এন্ড লজিস্টিক সেকশন, ট্রান্সপোর্ট ডিভিশন, জোসেফ জর্জ, সিনিয়র রিচার্জ এসিষ্টেন, সাউথ এন্ড সাউথ-ওয়েস্ট এশিয়া অফিস, ইউনাইটেড ন্যাশনস, মোঃ মাজেদুল ইসলাম, ডেভেলপমেন্ট, কোর্ডিন্যাশন অফিসার, ইউএন রেসিডেন্ট, কোর্ডিনেটর অফিস, মোশাররফ হোসেন, ডিরেক্টর ট্রেড ইনভেষ্টম্যান এন্ড ডেভেলপমেন্ট, বিমসটেক সেক্রেটারিয়েট, ঢাকা, মোঃ আরিফুর রহমান, ডিরেক্টর, সাউথ এশিয়া-১, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ঢাকা প্রমুখ।
অপরদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র পক্ষ থেকে আরো উপস্থিত ছিলেন ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি কাজী জাহাঙ্গীর, সহ-সভাপতি হাজী মোঃ বাবুল মিয়া, পরিচালক মোঃ আজিজুর রহমান শামীম, সুব্রত পাল, আলহাজ্ব মমিনুল আলম বাবু, আলহাজ্ব মোঃ শাহ আলম, মোঃ আল মামুন, মোঃ বাবুল মিয়া, মোঃ রফিকুল ইসলাম, মোঃ নুরুজ্জামান ভূঁইয়া, মোঃ জুয়েল খান, চেম্বার সচিব মোঃ আজিম উদ্দিন।
এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন আখাউড়া স্থলবন্দর সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি মোবারক হোসেন ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক ফোরকান খলিফা কাজলসহ অন্যান্য আমদানী ও রপ্তানীকারকবৃন্দ।
উক্ত মতবিনিময় সভায় আখাউড়া স্থলবন্দরের বর্ডার ট্রেড এর বিভিন্ন সমস্যাসমূহ সম্পর্কে প্রতিনিধি দলটি অবগত হয় এবং দু’দেশের প্রতিবন্ধকতা সমূহ সমাধান ও ব্যবসা বাণিজ্য সহজীকরণ করে কীভাবে উভয় দেশের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি করা যায় সে বিষয়ে বিশদভাবে অবগত হয়।
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে মহান বিজয় দিবস ও বুদ্ধিজীবি দিবসের আলোচনা হয়েছে গতকাল বৃহস্পতিবার। প্রেস ক্লাবের আহবায়ক রিয়াজ উদ্দিন জামির সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব জাবেদ রহিম বিজনের সঞ্চালনায় এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আরজু, সৈয়দ মিজানুর রেজা ও খ আ ম রশিদুল ইসলাম, সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল আমিন শাহিন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো: সাদেকুর রহমান ও দীপক চৌধুরী বাপ্পী, ক্লাবের আহবায়ক কমিটির সদস্য ইব্রাহিম খান সাদাত, সদস্য আশিকুল ইসলাম, আবদুন নূর, নিয়াজ মুহম্মদ খান বিটু, মফিজুর রহমান লিমন, এইচ এম সিরাজ প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
নিজ নিজ অঙ্গনে অবদান রাখায় দেশের নয়জন গুণীকে শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্মৃতিপদক দেয়া হয়েছে। ২৪ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার রাতে স্থানীয় শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্ত্বরে “গুনীজন সংবর্ধনা পরিষদ” আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তাদের হাতে এই পদক তুলে দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানে ঢাকার ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ইউনিভার্সেল মেডিকেল সার্ভিসেস লিমিটেড সার্বিক সহযোগিতা করে।
নয়টি ক্যাটাগরিতে পদক পাওয়া গুনীজনেরা হলেন প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ইমেরিটাস অধ্যাপক এ.বি.এম আবদুল্লাহ (চিকিৎসা), নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির উপাচার্য আতিকুল ইসলাম (শিক্ষা), কথা সাহিত্যিক ও প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আনিসুল হক (সাহিত্য), স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব ধনঞ্জয় কুমার দাস (প্রশাসন), পুলিশের অ্যান্টিটেররিজম ইউনিটের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মোঃ মনিরুজ্জামান (আইন-শৃঙ্খলা) এখন টিভির সম্পাদকীয় প্রধান তুষার আবদুল্লাহ (সাংবাদিকতা), শিল্পী ও সংগীত পরিচালক শুভ্র দেব (সংগীত), জাতীয় পুরষ্কারপ্রাপ্ত চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ (সংস্কৃতি, পুরুষ) ও অভিনেত্রী তারিন জাহান (সংস্কৃতি, নারী)।
পদকপ্রাপ্তদের হাতে পদকের পাশাপাশি নানা উপহার তুলে দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
গেস্ট অব অনার ছিলেন, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস এর ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আল-মামুন সরকার, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, সিভিল সার্জন মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডাঃ আবু সাঈদ ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহবুবুল আলম খোকন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও গুনীজন সংবর্ধনা পরিষদের উপদেষ্টা ডাঃ আশীষ কুমার চক্রবর্তী।
বক্তব্য রাখেন গুনীজন সংবর্ধনা পরিষদের সভাপতি এম. আবদুল বাছেদ, সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব ভট্টাচার্য্য, ফ্যাক্টর থ্রি সল্যুশনের সিইও সাহেদ হোসেন।
অনুষ্ঠানে ৮জন গুনী উপস্থিত থাকলেও ব্যক্তিগত কারণে উপস্থিত হকে পারেননি কথা সাহিত্যিক আনিসুল হক। তার পক্ষে পদক গ্রহণ করেন দৈনিক প্রথম আলোর স্টাফ রিপোর্টার শাহাদৎ হোসেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে অতিথিদের উত্তরীয় পরিয়ে দেয়া হয়। পরে শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের উপর একটি প্রামান্যচিত্র প্রদর্শন ও পদকপ্রাপ্ত নয়জনের জীবন ও কর্মের উপর নয়টি পৃথক প্রামান্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানের শেষে ক্লোজআপ ওয়ান তারকা কিশোর সংগীত পরিবেশন করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও বিভিন্ন বিষয়ে বিরোধের জের ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের কালিসীমা পশ্চিম পাড়ায় দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শাহআলমের অনুসারী ও একই ইউনিয়নের বাসিন্দা ও জেলা পরিষদের সদস্য মোঃ বাবুল মিয়ার অনুসারীদের মধ্যে গতকাল সোমবার সকালে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান, সাবেক চেয়ারম্যানসহ ৩৮জনকে গ্রেফতার করেছে তাদেরকে কারাগারে প্রেরণ করে পুলিশ। সোমবার রাতে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। এর মধ্যে ১৫জন নারী ও ২৩জন পুরুষ।
এ ঘটনায় পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে দুটি মামলা দায়ের করেন সদর মডেল থানার এস.আই শওকত এবং একটি মামলা দায়ের করেন জেলা পরিষদের সদস্য মোঃ বাবুল মিয়ার অনুসারী মোঃ খায়রুল।
পুলিশের পক্ষে ১৫১ ধারা ফৌজধারী কার্যবিধি নিবারন মূলক মামলায় ৩৮ জনের বিরুদ্ধে এবং পুলিশ এ্যাসল্ট মামলায় ৭৩জনকে আসামী করা হয়। অপর দিকে খায়রুলের মামলায় ১২৩জনকে আসামী করা হয়।
১৫১ ধারা ফৌজধারী কার্যবিধি নিবারন মূলক মামলায় ৩৮ জন আসামী হলেন, নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শাহ আলম, সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল কাইয়ুম, সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন, ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মেম্বার আরজু মিয়া, সাবেক মেম্বার মোঃ কামাল খাঁ, সাবেক মেম্বার আবদুল কুদ্দুস, ইউনিয়নের বাসিন্দা মনির হোসেন, মজিবুর রহমান, বেদন মিয়া, সফিকুল ইসলাম, হোসেন মিয়া, নূরুল ইসলাম, ইব্রাহিম মিয়া, বাদল মিয়া, মহিউদ্দিন মিয়া, বাছির মিয়া, মনিরুল ইসলাম, তাজু মিয়া, ইদন মিয়া, সিরাজ মিয়া, খায়ের আলী, মোঃ শামীম, আম্বিয়া খাতুন, আসমা বেগম, ববি বেগম, শিখা বেগম, লাভলী বেগম, রেখা আক্তার, রীমা বেগম, পারুল বেগম, পারভীন বেগম, নাদিয়া আক্তার, সাফিয়া খাতুন, নাহিয়া ইসলাম অন্তু, সেলিনা বেগম, রেবেকা সুলতানা ও রিমা বেগম।
স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও বিভিন্ন বিষয়ে বিরোধের জের ধরে নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শাহআলমের অনুসারী ও একই ইউনিয়নের বাসিন্দা ও জেলা পরিষদের সদস্য মোঃ বাবুল মিয়ার অনুসারীদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো।
ইউপি চেয়ারম্যান শাহআলমের গ্রুপে আছেন ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ হোসেন ও ইউপি সদস্য মোঃ আরজু মিয়ার অনুসারীরা।
অপরদিকে জেলা পরিষদের সদস্য বাবুল মিয়ার গ্রুপে রয়েছেন ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ আবদুল কাইয়ূমের অনুসারীরা।
গত কয়েকদিন আগে মোঃ শাহআলম গ্রুপের বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল হক শওকতের ছেলে মিল্লাতকে মারধোর করে বাবুল মিয়ার অনুসারীরা। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মিমাংসা করার চেষ্টা করা হয়। গত রবিবার রাতে পুনরায় বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল হক শওকত এবং তার ছেলে মিল্লাতকে আবারো মারধোর করে বাবুলের অনুসারীরা।
এ ঘটনায় গ্রামে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি মিমাংসার জন্য সোমবার সকালে উভয়পক্ষকে সদর থানায় ডাকা হয়।
এরমধ্যেই বেলা সাড়ে ১১টার সময় দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে উভয়পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। দফায় দফায় সংঘর্ষ চলাকালে দাঙ্গাবাজরা ব্যাপক ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ও উভয়পক্ষের ২০টি বাড়ি ভাংচুর করে। সংঘর্ষ চলাকালে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে লাঠিপেটা, ১ রাউন্ড টিয়ারশেল এবং ৩৭ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
এ ব্যাপারে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসলাম হোসাইন বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আমরা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান, সাবেক দুইজন চেয়ারম্যান, বর্তমান একজন ইউপি সদস্য, সাবেক ইউপি সদস্যসহ ৩৮জনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করেছি। বাকী আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।