চলারপথে রিপোর্ট:
কুমিল্লায় বাথরুমের বালতিতে পড়ে আয়ান নামে ১১ মাসের এক শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।
নিহত আয়ান জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার মুন্সীরহাট ইউনিয়নের ছোটখিল গ্রামের সৌদি প্রবাসী ইলিয়াছ মজুমদারের ছেলে।
আজ ২৮ মে রবিবার দুপুরে কুমিল্লা পদুয়ার বাজার এলাকায় আয়ানের খালার বাসায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, আয়ান জ্বর, সর্দি এবং কাশিতে আক্রান্ত হওয়ায় রবিবার সকালে তার মা চৌদ্দগ্রাম থেকে কুমিল্লার শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. এম.এ মান্নানের চেম্বারে নিয়ে যায়।
ডাক্তার দেখানো শেষ করে আয়ানের খালার বাসা কুমিল্লা শহরের পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড এলাকায় যায় তারা। বাসায় গিয়ে পরিবারের সবাই দুপুরের খাবার গ্রহণের সময় শিশু আয়ান পার্শ্ববর্তী রুমে গিয়ে বাথরুমে ডুকে পড়ে।
এসময় বাথরুমে থাকা পানির বালতিতে পড়ে যায় সে। কিছুক্ষণ পর তার মা এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা আয়ানকে খুঁজতে থাকে।
একপর্যায়ে বাথরুমের বালতিতে আয়ানের নিথর দেহ দেখে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে সবাই। পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী হাসপাতালে নিয়ে গেলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। রবিবার বাদ আছর গ্রামের বাড়ী ছোটখিলে জানাযার নামাজ শেষে তার লাশ দাফন করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে পবিত্র শবে বরাত। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ইবাদত বন্দেগি আর দোয়ার মধ্য দিয়ে রাতটি যাপন করবেন। মাগরিবের নামাজের পর থেকেই মসজিদে হাজির হতে থাকেন মুসল্লিরা। সারারাত নফল নামাজ, পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত, জিকিরসহ অন্যান্য ধর্মীয় কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে মহান আল্লাহর অনুগ্রহ লাভের চেষ্টায় ব্যস্ত থাকবেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। অতীতের পাপ ও অন্যায়ের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা এবং ভবিষ্যৎ জীবনের কল্যাণ কামনা করে মোনাজাত করবেন রাতের শেষ প্রহরে।
মসজিদ ছাড়াও বাড়িতে থেকে নফল নামাজ আদায় ও কোরআন তিলাওয়াত করছেন অনেকে। অনেকে আবার কবরস্থানে গিয়ে স্বজনদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করবেন।
এদিকে, শবে বরাত উপলক্ষে পাড়া-মহল্লাগুলোতে উৎসবের অমেজ তৈরি হয়েছে। মাংস, হালুয়া, রুটিসহ নানান রকমের খাবার তৈরি হয়েছে বাড়িতে বাড়িতে। আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী ও গরিব-দুঃখীর মধ্যে এসব খাবার বিতরণ করা হচ্ছে। অনেক জায়গায় ওয়াজ মাহফিলের আয়োজনও দেখা যাচ্ছে।
অনলাইন ডেস্ক :
এপ্রিলের শেষ দিকে উপজেলা নির্বাচন করার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান (অব.)।
আজ ৪ ফেব্রুয়ারি রবিবার দুপুরে খুলনার ফুলতলা রি-ইউনিয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজে উপজেলার স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।
ইসি আহসান হাবিব খান বলেন, এবার চার ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে শুরু হবে প্রথম ধাপের নির্বাচন। সকলের অংশগ্রহণে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে।
তিনি আরো বলেন, দেশের সকল রাজনৈতিক দল দলীয় প্রতীক ছাড়া নির্বাচন করতে চাইলে বিদ্যমান আইনের পরিবর্তন করতে হবে। অন্যথায় রাজনৈতিক দল বা স্বতন্ত্র প্রতিনিধি নিয়ে নির্বাচনে কোনো বাধা নেই।
ইসি আহসান হাবিব খান বলেন, নাগরিকসেবা প্রদানের ক্ষেত্রে স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্রের গুরুত্ব অপরিসীম। স্মার্টকার্ডে দেশের নাগরিকদের ডিজিটাল তথ্য সংরক্ষিত থাকবে। এর মাধ্যমে নাগরিক সম্পর্কে জানা যাবে। মানুষের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সকল সেবার ক্ষেত্রে এর প্রয়োজন রয়েছে। ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে এই স্মার্ট কার্ড উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে। এর ডাটাবেজ সুরক্ষিত, ব্যক্তির চোখের আইরিশের প্রতিচ্ছবি এবং দশ আঙুলের ছাপ দিয়ে তৈরি।
তিনি আরও বলেন, এই স্মার্ট কার্ড ইতালি, সৌদি আরব, আমেরিকা ও আবুধাবি এই চারটি দেশের প্রবাসীদের বিতরণ করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে আরও ১১টি দেশে বিতরণ করা হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য নতুন করে আলাদা স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র করা হবে।
নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা জানান, খুলনা জেলায় বিভিন্ন পর্যায়ে প্রায় ২০ লাখ ভোটারের মধ্যে প্রায় ১০ লাখ ২০ হাজার ভোটার স্মার্ট কার্ড পেয়েছেন। এবার প্রায় ৯ লাখ ব্যক্তির মধ্যে স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হবে। পর্যায়ক্রমে ফুলতলা উপজেলার ২ হাজার ৯২০ জনের মাঝে স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ করা হবে।
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি ছিলেন আইডিইএ এর প্রকল্প পরিচালক (২য় পর্যায়) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ সায়েম। খুলনার জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন খুলনা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফারাজী বেনজীর আহম্মেদ।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাসব্যাপী ২৮তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা (ডিআইটিএফ)-২০২৪ উদ্বোধন করেছেন। আজ ২১ জানুয়ারি রবিবার সকালে রাজধানীর উপকণ্ঠে পূর্বাচল নিউ টাউনে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) যৌথভাবে এ মেলার আয়োজন করেছে। খবর বাসসের
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মাহবুবুল আলম অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান এএইচএম আহসান। অনুষ্ঠানে ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ এবং স্থানীয় ও বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে গত ১৫ বছরে গৃহীত সরকারি পদক্ষেপের ওপর একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।
মেলায় স্থানীয় টেক্সটাইল, মেশিনারিজ, কার্পেট, প্রসাধনী, ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স, পাট ও পাটজাত দ্রব্য, গৃহস্থালীর পণ্য, চামড়া ও জুতাসহ চামড়াজাত পণ্য, খেলাধুলার সামগ্রী, স্যানিটারি সামগ্রী, খেলনা, স্টেশনারি, ক্রোকারিজ, প্লাস্টিক, মেলামাইন পলিমার, ভেষজ সামগ্রী, টয়লেট্রিস, ইমিটেশন জুয়েলারি, প্রক্রিয়াজাত খাবার, ফাস্ট ফুড, হস্তশিল্প, গৃহসজ্জা, আসবাবপত্র ও অন্যান্য পণ্য প্রদর্শিত এবং বিক্রি হবে।
তুরস্ক, ভারত, পাকিস্তান, সিঙ্গাপুর, হংকং ও ইরানের কোম্পানিগুলো এ বছর তাদের পণ্য প্রদর্শন করবে। মেলায় বিদেশি কোম্পানির ১৬-১৮টি প্যাভিলিয়নসহ ৩৫১টি স্টল রয়েছে।
মেলায় প্রবেশ মূল্য সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য ৫০ টাকা এবং ১২ বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য ২৫ টাকা। সকাল ১০টায় মেলা খোলা হবে এবং সপ্তাহের দিনগুলোতে রাত ৯টায় বন্ধ হবে। সপ্তাহান্তে ছুটির দিনে দর্শনার্থীরা রাত ১০টা পর্যন্ত মেলায় থাকতে পারবেন। মেলায় যাতায়াতের সুবিধার্থে ফার্মগেট থেকে মেট্রোরেল এবং এলিভেট এক্সপ্রেসওয়ের সঙ্গে সংযোগের জন্য বাস পাওয়া যাবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিদ্যুৎ খাতকে অস্থিতিশীল করার অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) এস কে সাকিল আহমেদকে (৩১) গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ঘাটুরা এলাকার ভাড়া বাসা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে সেনাবাহিনীর একটি দল।
গ্রেফতার এস কে সাকিল আহমেদ (৩১) খুলনা সদর উপজেলার আরাজী ভবানীপুরের পাইকগাছা গ্রামের শায়েক তফিল উদ্দিনের ছেলে। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুতের এজিএম (আইটি) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ১৭ বৃহস্পতিবার রাতে তাঁকে চাকরিচ্যুত করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মোজাফফর হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বিদ্যুৎ খাতকে অস্থিতিশীল করার অভিযোগে রাজধানীর খিলক্ষেত থানার এক মামলায় ওই কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছেন সেনাসদস্যরা। তাঁরা বিষয়টি খিলক্ষেত থানা-পুলিশকে জানিয়েছেন। তাঁকে ওই থানায় হস্তান্তর করা হবে।
পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ৩১ অক্টোবর আরইবিতে যোগদান করেন সাকিল আহমেদ। ২০২১ সালের ৭ নভেম্বর তাঁকে ভোলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কার্যালয়ে পদায়ন করা হয়। চলতি বছরের গত ১৫ জুলাই বদলি হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কার্যালয়ে আসেন তিনি।
সাকিলের স্ত্রী মেহজাবিন রহমান বলেন, চলমান দাবি আদায়ের জন্য ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি থেকে চেয়ারম্যানের কাছে ই-মেইলে একটি স্মারকলিপি পাঠানোর কারণে তাঁর স্বামীকে গত ২৯ এপ্রিল সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। ১৪ জুলাই সেই আদেশ বাতিল করা হয়। এরপর গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে তাঁর স্বামীকে চাকরিচ্যুত করা হয়। আজ শুক্রবার সকালে সেনাসদস্যরা এসে তাঁকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যান। এটা কী ন্যায়বিচার হলো, প্রশ্ন তোলেন তিনি।
আরইবির আইন শাখার পরিচালক (প্রশাসন) মো. আরশাদ হোসেন বাদী হয়ে চারজনকে আসামি করে বৃহস্পতিবার রাতে খিলক্ষেত থানায় একটি মামলায় করেন। মামলায় সাকিলসহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির চার কর্মকর্তাকে আসামি করা হয়। অন্য আসামিরা হলেন লক্ষ্মীপুরের ভবানীগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক আলী হাসান মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম (8৮), নারায়ণগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১-এর এজিএম প্রকৌশলী মো. জাফর সাদিক খান (৩২) ও নরসিংদীর বেলাব উপ-আঞ্চলিক কার্যালয়ের লাইন টেকনিশিয়ান মো. মইনুল হাসান (৪৪)।
মামলার সংক্ষিপ্ত এজাহারে উল্লেখ করা হয়, আরইবির অধীন ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সারা দেশের গ্রামাঞ্চলে ১৪ কোটি মানুষকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। গত ২৮ জানুয়ারি বিভিন্ন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারী কেন্দ্রীয় কমিটি পরিচয়ে পরস্পর যোগসাজশে জরুরি সেবা বিদ্যুৎ খাতকে অস্থিতিশীল করার জন্য দেশি ও আন্তর্জাতিক চক্রের সঙ্গে জড়িত হয়ে এবং বিগত সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও প্রভাবশালীদের মদদে অযৌক্তিক দাবিদাওয়ার যড়যন্ত্র করে বিদ্যুতায়ন কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করছে। সমিতির বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছ থেকে জোর করে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। গত ৮ আগস্ট বেলা ১১টায় মামলার চার আসামির নেতৃত্বে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্ররোচনায় সমিতির প্রায় চার হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী আরইবি সদর দপ্তর ঘেরাও করেন। তাঁরা আগের জারি করা বদলি আদেশ স্থগিতসহ নানা দাবিতে হুমকি, আন্দোলন ও প্রাণনাশের ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। গত ২১ সেপ্টেম্বর আবার ঘেরাও কর্মসূচির হুমকির দেওয়া হয়। ১ অক্টোবর আরইবি ব্লকেড কর্মসূচি ঘোষণা করেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার তাঁরা নতুন করে আন্দোলন শুরু করেন এবং বেলা ১১টার দিকে তাঁদের কর্মস্থলগুলোতে বিদ্যুৎ সংযোগ শাটডাউন করে গ্রাহকদের হয়রানি করেন। এতে জনমনে ক্ষোভ ও অস্বস্তি দেখা দেয়। এর মাধ্যমে তাঁরা বিদ্যুৎ খাতে অচল অবস্থা তৈরি করে জনমনে ঘৃণা ও বিদ্বেষ সৃষ্টি করেছেন। তাঁরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে চরমভাবে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলার চেষ্টা চলাচ্ছেন, যা রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল।
অনলাইন ডেস্ক :
মুক্তি পেয়েছেন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রধান জল্লাদ শাহজাহান ভূঁইয়া। আজ ১৮ জুন রবিবার সকাল ১১টা ৪৬ মিনিটে কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।
অস্ত্র ও হত্যা মামলায় ৪২ বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত শাহজাহানের সাজা কমে ৩২ বছর হয়েছে। সেই সাজা খেটে ৭৩ বছর বয়সী শাহজাহান ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পেতে যাচ্ছেন। ১৯৫০ সালের ২৬ মার্চ নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ইছাখালী গ্রামে জন্ম নেওয়া শাহজাহান ভূঁইয়া উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ করে স্থানীয় রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন।
নথি অনুসারে, ১৯৯২ সালের ৮ নভেম্বর ডাকাতির জন্য ১২ বছর এবং ১৯৯৫ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর অপর একটি মামলায় ডাকাতি ও হত্যার জন্য ৩০ বছরের কারাদণ্ড হয় তার। এ ছাড়া, উভয় রায়ে তাকে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদণ্ড হয় তার। শাহজাহান দাবি করেন, তিনি আরো বেশি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছেন। তবে, জেলের রেকর্ডে এই সংখ্যা ২৬।
এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুভাষ কুমার ঘোষ বলেন, ‘হয়তো তিনি ঠিক বলে থাকতে পারেন কিন্তু এখন পর্যন্ত আমাদের রেকর্ডে ২৬টি তথ্যই আছে।’
এই ২৬ জনের তালিকায় আছে সাবেক মন্ত্রী আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলী এবং বঙ্গবন্ধুর খুনি বজলুল হুদা ও শাহরিয়ার রশিদের নাম।
কারা কর্মকর্তারা বলছেন, প্রবিধান অনুসারে শাহজাহানের সাজা ১০ বছরের কিছু বেশি সময় কমানো হয়েছে। যেহেতু শাহজাহানের সঙ্গে কেউ কখনো দেখা করতে আসেনি, তাই কারা কর্তৃপক্ষ তার ওই ২ মামলার জরিমানার ১০ হাজার টাকা পরিশোধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সুভাষ কুমার ঘোষ বলেন, ‘শাহজাহান তার জীবনের একটা বড় অংশ জেলে কাটিয়েছেন। কারামুক্তির খবরে তিনি খুশি হলেও যাওয়ার জায়গা না থাকায় তিনি উদ্বিগ্ন।’ সুভাষ জানান, কারা কর্তৃপক্ষ শাহজাহানকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করবে, যাতে তিনি তার বাকি জীবন সুন্দরভাবে কাটাতে পারেন।
শাহজাহান বিয়ে করেনি এবং তার বাবা-মাও বেঁচে নেই। তারপরও তিনি কারাগার থেকে বের হওয়ার পর গ্রামের বাড়িতে যেতে চান জানিয়ে সুভাষ বলেন, ‘তিনি (শাহজাহান) আমাদের বলেছিলেন যে, বাকি জীবন পৈতৃক গ্রামে কাটানোর ইচ্ছা তার।’