চলারপথে রিপোর্ট :
পৈত্রিক সম্পত্তি আত্মসাৎ করায় ভাইদের ওপর প্রচণ্ড অভিমান জমে মুজিবুর রহমানের। সেই অভিমান থেকে স্বেচ্ছা নির্বাসনে যান কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার এই বাসিন্দা। এরপর একে একে ১৬টি বছর জঙ্গলেই কাটিয়ে দিয়েছেন। সেখানে জরাজীর্ণ এক ডেরা তৈরি করে শিয়াল-সাপ-বিচ্ছুর সঙ্গে অর্ধাহার-অনাহারে কাটিয়েছেন বন্য জীবন।
মুজিবুর রহমানের স্বেচ্ছা নির্বাসনের বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশের পর ঘটনাস্থলে ছুটে যান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। এরপর মুজিবুর রহমান শুনিয়েছেন তার মানবেতর জীবনযাপনের গল্প।
উপজেলার ১০নং গুনাইঘর দক্ষিণ ইউনিয়নের মাশিকাড়া গ্রামের উত্তরপাড়ার পাশের একটি জঙ্গলে মুজিবুর রহমানে দেখা মিলেছে। বিশাল জঙ্গলের ঝোপঝাড় পেরিয়ে মধ্যভাগে গিয়ে দেখা যায় পলিথিনের ছাউনির একটি ছোট ডেরায় বসে আছেন ৬০ বছর বয়সী মুজিবুর রহমান।
প্রশাসনের লোকজন আসার খবরে ডেরা থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি। এরপর জানিয়েছেন, সাজানো সংসার ধ্বংস হবার গল্প। তিনি জানান, সৎ ভাইরা পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করায় অভিমানে জঙ্গলেই ঠাঁই নিয়েছেন তিনি। জঙ্গলে থাকায় পাততে পারেননি সংসারও।
মুজিবুর রহমান আরও জানান, তার বাবা লাল মিয়ার প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পর দ্বিতীয় বিয়ে করেন। দ্বিতীয় সংসারের একমাত্র সন্তান তিনি। বাবার প্রথম সংসারে ফরিদুল ইসলাম ও জহিরুল ইসলাম নামে তার দুই ভাই রয়েছে। বাবা লাল মিয়া রেলওয়েতে চাকরি করতেন। বড় ভাই ফরিদুল আলম পরিবার পরিকল্পনা বিভাগে চাকরি করতেন।
ষাটোর্ধ্ব এই ব্যক্তি আরও জানান, তিনি কাঁচপুর মালেক জুট মিলে চাকরি করে সৎ ভাই জহিরুল ইসলামকে বিএ পাশ করান। সেই জহিরুল ইসলামই তার পৈত্রিক সম্পত্তির ১০৫ শতাংশ জমির ৮৫ শতাংশ লিখে নেয়। এরপর তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। ভাইয়ের ওপর রাগে অভিমানে ২০০৭ সাল থেকে জঙ্গলে ডেরা বানিয়ে সেখানে ঠাঁই নেন তিনি।
মুজিবুর রহমান জানান, বিয়ে করে বউ রাখার ঘর নেই, তাই বিয়েটাও করতে পারেনি। অর্ধাহারে, অনাহারে, রোদ-বৃষ্টি-ঝড়ে, আর শেয়ালের হাঁকডাকের মধ্যেই খুপড়ির মধ্যে পড়ে থাকতেন তিনি।
তিনি বলেন, কখনও ভাত আর আলু সিদ্ধ করে লবণ-মরিচ দিয়ে, কখনও শুকনো খাবার খেয়ে থেকেছি। শিয়াল-সাপ-বিচ্ছু কখনও আমার ক্ষতি করেনি। ক্ষতি যা করার মানুষ করেছে।
এসব বিষয়ে কথা বলার জন্য মুজিবুর রহমানের ভাইদের পাওয়া যায়নি। তবে মুজিবুরের ভাই ফরিদুল আলমের ছেলে আল-আমিন বলেন, আমার কাকা খুব অভিমানী। আমার দাদার জায়গা জমি এখনও ভাগ হয়নি। তবে জহিরুল ইসলাম চাচা কিছু জমি তার নিজের নামে লিখে নিয়েছে। মুজিবুর চাচার পাওনা বুঝিয়ে দিতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিগার সুলতানা জানান, মজিবুর রহমানকে তার পৈত্রিক জমির কাগজপত্র নিয়ে এসিল্যান্ডের সঙ্গে দেখা করার জন্য বলা হয়েছে। কাগজপত্র ঠিক থাকলে তার পাওনা জমি তাকে উদ্ধার করে দেওয়া হবে। অন্যথায় তার আবাসনের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।
এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যান ও কুমিল্লা (উত্তর) জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ তার চোখের চিকিৎসা করাতে ১০ হাজার টাকা প্রদান করেন। একই সঙ্গে তাকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।
অনলাইন ডেস্ক :
জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমির (নায়েম) মহাপরিচালক মো. নিজামুল করিমকে কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
বিসিএ (সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের ওই কর্মকর্তাকে নিজ বেতন ও বেতনক্রমে প্রেষণে চেয়ারম্যান নিয়োগ দিয়ে ২ ডিসেম্বর মঙ্গলবার আদেশ জারি করা হয়েছে।
এতে উল্লেখ করা হয়, তিনি নিজ বেতনক্রম অনুযায়ী বেতন ভাতা নেবেন এবং তিনি পদ সংশ্লিষ্ট ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা পাবেন। বোর্ড কর্তৃপক্ষ বিনা ভাড়ায় বাসস্থানের ব্যবস্থা করলে তিনি কোনো বাড়ি ভাড়া ভাতা নিতে পারবেন না। সরকারি বাসায় বসবাস করলে বাড়িভাড়াসহ সব ধরনের সরকারি পাওনা নিজ দায়িত্বে ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে সংশ্লিষ্টখাতে জমা দেবেন।
তিনি স্ব-স্ব ক্ষেত্রে প্রযোজ্য বাধ্যতামূলক ভবিষ্য তহবিল, গোষ্ঠী বিমা ও অন্যান্য তহবিল চাঁদা দেবেন। বোর্ড কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট বিধি অনুযায়ী তার লিভ সেলারি ও পেনশনের চাঁদা দেবেন। সরকারের প্রচলিত ও প্রণীতব্য বিধি বিধান ও আদেশ অনুসারে তার চাকরি নিয়ন্ত্রিত হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, সরকার ‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যমূলক ব্যবহার আইন-২০১০’, ‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার বিধিমালা, ২০১৩’ এবং ‘পাট আইন, ২০১৭’ প্রণয়ন করেছে।
আজ ২২ মে বুধবার দিনাজপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জেলার পাট চাষী, মিল মালিক, ব্যবসায়ী এবং পাটখাত সংশ্লিষ্ট অংশীজনের সাথে মতবিনিময়সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘এ আইনগুলো সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের নিমিত্ত মাননীয় সংসদ সদস্য/জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান/সংশ্লিষ্ট সিটি করপোরেশনের মেয়র/পৌরসভার মেয়রকে উপদেষ্টা এবং জেলা প্রশাসকদের আহ্বায়ক করে ৪১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়া দিনাজপুর, নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, কুষ্টিয়া, শেরপুর জেলাসহ চাল উৎপাদন প্রবণ ১৮টি জেলার চালকলসমূহে পাটের বস্তার ব্যবহার নিশ্চিতকরণের জন্য বিশেষ কর্মসূচি চলমান রয়েছে।
উল্লেখিত আইন বাস্তবায়নে জেলা চেম্বার, ব্যবসায়ী প্রতিনিধি, চালকল মালিক সমিতি, চালকল মালিক এবং ধান, চাল, গম, ভুট্টা, সার ও চিনিসহ মোট ১৯টি পণ্যের উৎপাদনকারী ও সরবরাহকারীদের সহযোগিতা কামনা করছি। সেই সাথে সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বলবো এ আইন বাস্তবায়নে আপনারা ধীরে ধীরে কঠোর হন।’
তিনি আরো বলেন, ‘দেশের অর্থনীতিতে পাটের হারানো ঐতিহ্য পুনরুদ্ধার এবং পরিবেশ বান্ধব পাটজাত পণ্যের বহুমুখী ব্যবহারের জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা গ্রহণ করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা অনুশাসন প্রদান করেছেন। তিনি পাটের উৎপাদন ও বহুমুখী পাটপণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধির করতে দিক নির্দেশনা দিয়েছেন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন ও দিক নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’
পাট অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী দেশে বছরে প্রায় ৮০-৮৫ লক্ষ বেল পাট উৎপাদিত হয় জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এর মধ্যে কাঁচা পাট হিসেবে কম/বেশী ১০ লক্ষ বেল এবং পাটজাত পণ্য হিসেবে কম/বেশী প্রায় ৫ লক্ষ মেট্রিক টন বিদেশে রপ্তানি করে বছরে প্রায় ১ হাজার মিলিয়ন মার্কিন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছি যা আমার বিবেচনায় অপ্রতুল।’ পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি বৃদ্ধি করে আরো বেশি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে ভূমিকা রাখতে তিনি সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা প্রদান করেন।
মতবিনিময়সভায় পাট চাষী, ব্যবসায়ী ও অন্যান্য অংশীজনরা বিভিন্ন সমস্যা ও চ্যালেঞ্জসমূহ তুলে ধরেন।
দিনাজপুরের বিভিন্ন উপজেলা থেকে সরকারি কর্মকর্তা ও পাট চাষীরা ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রীর কাছে পাট ও পাট বীজের দাম ও অন্যান্য বিষয়ে তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন।
জেলা প্রশাসন, দিনাজপুর এর সহায়তায় পাট অধিদপ্তর কর্তৃক আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদের হুইপ ও দিনাজপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ইকবালুর রহিম, দিনাজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য জাকারিয়া জাকা, নীলফামারী-৪ আসনের সংসদ সদস্য সিদ্দিকুল আলম, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুর রউফ, পাট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জিনাত আরাসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, চেম্বার অব কর্মাস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের প্রতিনিধি, অটো রাইস মিল ব্যবসায়ী, পোল্টি ফিড ব্যবসায়ী, বস্তা ব্যবসায়ী, জুট মিল মালিক প্রতিনিধি, চালকল মালিক প্রতিনিধি এবং পাট চাষিবৃন্দ।
অনলাইন ডেস্ক :
বৈশ্বিক জলবায়ু তহবিল থেকে বাংলাদেশ ১০০ কোটি ডলার পাচ্ছে। এ অর্থ শুধু জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে ব্যয় করা যাবে। অর্থ বরাদ্দের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবে সুন্দরবন রক্ষা প্রকল্প। এ-সংক্রান্ত প্রকল্প নেওয়ার ক্ষেত্রে পরিবেশ ও জলবায়ুবিষয়ক ব্যাপকভিত্তিক পরিকল্পনা ডেলটা প্ল্যানের সঙ্গে সমন্বয় করার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে আজ ১২ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার এসব নির্দেশনা ও পরামর্শ দেন তিনি। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলন কক্ষে বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী।
বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন নির্দেশনা এবং একনেক বৈঠকের অন্যান্য বিষয় তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি বলেন, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁর ঢাকা সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে জলবায়ু তহবিল নিয়ে আলোচনা হয়। ১০০ কোটি ডলার পাওয়ার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট।
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, জলবায়ু সম্পর্কিত ‘উচিত প্রকল্প’ করে তাদের বুঝিয়ে অর্থ আনতে হবে। এ অর্থ পেতে কোনো নির্ধারিত সময়সীমা নেই। তবে দুই-তিন বছরের মধ্যে যখন যা লাগে, তারা দেবে। ডেলটা প্ল্যানের সঙ্গে মিল রেখে প্রকল্প নিতে হবে, যাতে একই ধরনের একাধিক প্রকল্প না থাকে।
প্রধানমন্ত্রীর অন্যান্য নির্দেশনা সম্পর্কে এম এ মান্নান জানান, বন্যার ক্ষতি এড়াতে প্রয়োজনীয় পয়েন্টে আরও বেশি কালভার্ট নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। যেখানে পানির চাপ বেশি, সেখানে নতুন করে কালভার্ট নির্মাণ করা হলে আর সড়ক ভাঙবে না। সেতু নির্মাণে উচ্চতার বিষয়ে আবারও সতর্ক করেছেন তিনি। সেতুর নকশার বিষয়টিও মনে করিয়ে দেন, যাতে প্রকল্পের মাঝপথে সেতু ভাঙতে না হয়। এ ছাড়া বাণিজ্য-সংক্রান্ত মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য আইনমন্ত্রীকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
আগস্টে রেকর্ড মূল্যস্ফীতি ডিম-মুরগির কারণে
আগস্টে খাদ্যপণ্যে রেকর্ড মূল্যবৃদ্ধি-সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আগস্টে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতির কারণ ছিল ডিম ও মুরগি। এ দুটি পণ্যের দর বৃদ্ধির প্রভাবে এত বেশি মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে। মূল্যস্ফীতির বিষয়টি সরকারের নজরে রয়েছে। উচ্চ মূল্যস্ফীতি থেকে স্বাভাবিক মূল্যস্ফীতিতে ফিরে আসা সম্ভব হবে বলে আশাবাদী তিনি।
এ বিষয়ে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেছেন, ‘মূল্যস্ফীতির চক্রে পড়েছি আমরা।’ প্রতি বছরই আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে মূল্যস্ফীতি বাড়ে। নভেম্বর থেকে আবার কমে আসে। তিনি আরও বলেন, ‘বর্ষার কারণেও মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়েছে। তবে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আমদানি শুল্ক কমানো, কৃষিতে ভর্তুকি, সুদের হার বাড়ানোসহ সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। এসব কারণে মূল্যস্ফীতি দুই অঙ্কের ঘরে যায়নি।’
১৯ প্রকল্প অনুমোদন
একনেকে বিভিন্ন খাতের ১৯টি উন্নয়ন প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। এসব প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১৮ হাজার ৬৬ কোটি টাকা। এ ব্যয়ের মধ্যে ৫ হাজার ৫৫৫ কোটি টাকা বিদেশি ঋণ, বাস্তবায়নকারী সংস্থাগুলোর ৪৫০ কোটি এবং বাকি ১২ হাজার ৬০ কোটি টাকা সরকারের নিজস্ব জোগান।
অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে ১২টি নতুন এবং সাতটি সংশোধিত। এ ছাড়া নতুন করে ব্যয় না বাড়িয়ে সময় বাড়ানোর প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে একটি প্রকল্পের। সবচেয়ে বেশি ৪ হাজার ২৮৩ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে মোংলা বন্দরের সুবিধাদি সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন প্রকল্পে। এ অর্থের ৩ হাজার ৭৮২ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে চীন সরকার। নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ। আগামী ডিসেম্বরে কাজ শুরু এবং ২০২৭ সালের ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দর পরিদর্শন করেছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন এজেন্সির (জাইকা) একটি প্রতিনিধি দল।
আজ ৫ ফেব্রুয়ারি সোমবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর পর্যন্ত ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দলটি বন্দরের স্থাপনাগুলো ঘুরে দেখেন। প্রতিনিধি দলটির নেতৃত্ব দেন তাকেশী শিমোমোরা।
প্রতিনিধি দলটি আখাউড়া স্থলবন্দরের বিভিন্ন অবকাঠামো, বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম ও যাত্রী পারাপার কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। মূলত বন্দরের কী কী অবাকাঠামোগত উন্নয়নে অর্থায়ন করা যায়- সেটি যাচাইয়ের জন্যই জাইকার প্রতিনিধি দলের এ পরিদর্শন।
এ সময় আখাউড়া স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান, আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট পুলিশের ইনচার্জ হাসান আহমেদ ভূঁইয়া এবং আখাউড়া স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা আব্দুল কাইয়ুম তালুকদার উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বোচাগঞ্জ-দিনাজপুর সড়কের বোচাগঞ্জে ট্রাকের চাপায় মোটর সাইকেল আরোহী খালা ও ভাগিনা নিহত হয়েছেন। আজ ১১ অক্টোবর বুধবার দুপুর ১টার দিকে বোচাগঞ্জ উপজেলা পরিষদ প্রধান ফটকের সামনে সেতাবগঞ্জ বাজার হতে বাড়ীতে যাওয়ার পথে খালা ও ভাগিনা এই দুর্ঘটনায় নিহত হয়।
নিহতরা হলেন, চম্পা রানী রায় (২২) বোচাগঞ্জ-দিনাজপুর সড়কের সেতাবগঞ্জ পৌরসভাধীন জালগাঁও গ্রামের স্বদেব চন্দ্র রায়ের মেয়ে এবং শিশু জয় (৫) তার বোনের ছেলে একই উপজেলার আনোড়া গ্রামের বিশ্বজিতের ছেলে।
স্থানীয়রা ও পুলিশ জানায়, বোচাগঞ্জ-দিনাজপুর সড়কে সেতাবগঞ্জ পৌরসভাধীন উপজেলা সড়কে মাল বোঝাই ট্রাক দিনাজপুর অভিমুখে যাওয়ার পথে মোটরসাইকেল আরোহী চম্পা রানী রায় ও তার বোনের ছেলে শিশু জয় (৫)কে সাথে নিয়ে সেতাবগঞ্জ বাজার থেকে বাড়ী ফিরছিলেন। পথিমধ্যে চলন্ত ট্রাকটি মোটরসাইকেল আরোহীকে ধাক্কা দিলে তারা দুইজনে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলে নিহত হয়। এলাকাবাসীরা শিশু জয়কে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। এই ঘটনায় ট্রাক, ট্রাক ড্রাইভার ও হেলপারকে আটক করে বোচাগঞ্জ পুলিশে সোপর্দ করে।
বোচাগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ আবু বক্কর সিদ্দিক রাসেল এই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ট্রাক ড্রাইভার ও হেলফার পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে।