তিনফসলি জমি ও মাছ রক্ষায় পানিতে নেমে মানববন্ধন

জাতীয়, 30 May 2023, 973 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
প্রভাবশালীদের দখলে চলে যাচ্ছে একের পর এক বিল। অপরিকল্পিতভাবে কাটা হচ্ছে মাছের ঘের। নষ্ট হচ্ছে ফসলি জমি। ধবংস হচ্ছে দেশীয় মাছ ও জীববৈচিত্র্য।

ভূমির শ্রেণি পরিবর্তন আইন থাকলেও প্রভাবশালীরা এই আইনের তোয়াক্কা না করে অপরিকল্পিতভাবে কেটে যাচ্ছেন একটার পর একটা মাছের ঘের। আর এই বিল, দেশীয় মাছ, জীববৈচিত্র্য, তিনফসলি জমি রক্ষা ও অপরিকল্পিতভাবে মাছের ঘের কাটার প্রতিবাদে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।

আজ ৩০ মে মঙ্গলবার উপজেলার কলাবাড়ি ইউনিয়নের বুরুয়া দক্ষিণপাড়া এলাকার নারী-পুরুষ বুরুয়া বিলে হাঁটুপানিতে নেমে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।

এ সময় গৃহিণী চায়না হালদার, নয়নতারা মন্ডল, আধুরী বৈদ্য, সবিতা মজুমদার, কৃষক মঙ্গল বিশ্বাস, অরবিন্দ দত্ত, পরিতোষ হাজরা, বুদ্ধিমন্ত বিশ্বাস, পরিতোষ মজুমদার, মৃণাল বৈদ্য বক্তব্য রাখেন।

বুদ্ধিমন্ত বিশ্বাস বলেন, এই বুরুয়া বিলে গত ৪০ বছর ধরে আমি দেশীয় মাছ ধরে সংসার চালাই। এখন এখানে ঘের করা হলে আমার অন্য পেশায় গিয়ে সংসার চালানো কষ্টসাধ্য হয়ে পড়বে। আমার মতো আরো অনেকে এই বিল থেকে দেশীয় মাছ ধরে সংসার চালায়। তাই আমরা এলাকাবাসী চাই না এখানে ঘের কেটে এই দেশীয় মাছ ধবংস করা হোক।

চায়না হালদার বলেন, এই বিল থেকে ঘাস কেটে আমরা আমাদের গরুকে খাওয়াই। এখন এখানে ঘের কাটলে এই বিলে আর ঘাস পাওয়া যাবে না। আর ঘাস পাওয়া না গেলে আমাদের গরু পালনে সমস্যায় পড়তে হবে।

কৃষক মৃণাল বৈদ্য বলেন, এলাকার চিত্ত মজুমদার, স্বপন মজুমদার, দিলীপ মজুমদার, মনোতোষ মজুমদারসহ কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি মিলে বুরুয়া বিল দখল অপরিকল্পিতভাবে মাছের ঘের তৈরি করছে। এভাবে মাছের ঘের তৈরি করলে দেশীয় মাছ, জীববৈচিত্র্য ধবংস হয়ে যাবে।

মাছের ঘের তৈরি কমিটির সাধারণ সম্পাদক মনোতোষ মজুমদার বলেন, ‘এই বিলে আমাদের প্রায় ১০০ বিঘা জমি আছে। এই জমি বছরের প্রায় অধিকাংশ সময়ই পানিতে ডুবে থাকে। আমরা সকলে মিলে বিলের কিছু এলাকায় বাঁধ দিয়ে এই পানি নামানোর জন্য একটি স্লুইস গেট নির্মাণের চেষ্টা করছি। এভাবে বাঁধ দিয়ে স্লুইস গেট নির্মাণের মাধ্যমে পানি নামালে আমাদের জমিগুলো আর অনাবাদি থাকবে না। এ জন্য আমরা কয়েকজন মিলে এখানে মাছের ঘের তৈরি করছি।’

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, ‘দেশীয় মাছ, জীববৈচিত্র্য ও ফসলি জমি রক্ষার জন্য আমরা নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। এ ছাড়া ভূমির শ্রেণি পরিবর্তন আইন মেনে পরিকল্পিতভাবে যাতে মাছে ঘের কাটা হয় সে জন্য আমরা প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছি।’

Leave a Reply

ঈদুল ফিতরে ৫ দিন, ঈদুল আযহায়…

অনলাইন ডেস্ক : আগামী বছরের (২০২৫ সাল) সরকারি ছুটির তালিকা Read more

৩০ লাখ টাকা করে পাবে ছাত্র…

অনলাইন ডেস্ক : বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে প্রত্যেক শহীদ পরিবারকে পুনর্বাসনের জন্য Read more
ফাইল ছবি

২০২৫ সালের সরকারি ছুটির তালিকা প্রকাশ

অনলাইন ডেস্ক : ২০২৫ সালের সরকারি ছুটির তালিকা অনুমোদন করেছে Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভূমিকম্প ও অগ্নিকান্ড বিষয়ক মহড়া…

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দূর্যোগ প্রশমন দিবস উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দেশীয় অস্ত্র-নগদ টাকা উদ্ধারসহ দুই…

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গত ২৪ ঘন্টায় গ্রেফতারী পরোয়ানার আসামীসহ Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অনির্দিষ্টকালের জন্য…

চলারপথে রিপোর্ট : পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তাদের বরখাস্তের প্রতিবাদে ও Read more

আন্দোলনে নিহত তানজিল মাহমুদ সুজয় এইচএসসি…

চলারপথে রিপোর্ট : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর Read more

পল্লীবিদ্যুতের ১০ জেলা কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুৎ, বিদ্যুৎ…

চলারপথে রিপোর্ট : বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কয়েকটি জেলার ১০ Read more
ফাইল ছবি

শেখ হাসিনাকে গ্রেফতারে ট্রাইব্যুনালের পরোয়ানা

অনলাইন ডেস্ক : পদত্যাগের পর দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া আওয়ামী Read more

ভারত ৪৬ রানে অলআউট

অনলাইন ডেস্ক : ঘরের মাঠে বাংলাদেশের বিপক্ষে দাপট দেখিয়েছিল ভারত। Read more

কসবায় ২০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি বিদ্যুৎ…

চলারপথে রিপোর্ট : অস্ত্র মামলায় ২০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত মো. মোস্তাফিজুর Read more
ফাইল ছবি

৮ জাতীয় দিবস বাতিল করে আদেশ…

অনলাইন ডেস্ক : আটটি জাতীয় দিবস বাতিল করে আদেশ জারি Read more

দুই লাখ গাছ লাগাবেন মেয়র আতিক

জাতীয়, 3 May 2023, 1063 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ঢাকা নগরীর তাপমাত্রা সহনশীল রাখতে আগামী দুই বছরে দুই লাখ গাছ লাগানোর ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। এছাড়া কল্যাণপুরে জলাধারে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) বালু দিয়ে ভরাটের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।

আজ ৩ মে বুধবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ঢাকার তাপমাত্রা সহনশীল বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থা অ্যাড্রিয়েন আর্শট-রকফেলার ফাউন্ডেশন রেজিলিয়েন্স সেন্টারের (আর্শট-রকফেলার) সঙ্গে ডিএনসিসি যৌথভাবে কার্যক্রম পরিচালনার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ ঘোষণা দেন।

যৌথ এই কার্যক্রমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ডিজাস্টার সায়েন্স অ্যান্ড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স বিভাগও যুক্ত থাকবে। এ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য মেয়র আতিকুল ইসলামের মেয়ে বুশরা আফরিনকে উত্তর সিটি করপোরেশনের ‘চিফ হিট অফিসার’ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, তাপপ্রবাহ একটি নীরব ঘাতক। এটি সবার ক্ষতি করছে। জলবায়ু পরিবর্তনের এই বিরূপ প্রভাবে বেশি ক্ষতির মুখে আছে আমাদের নারী ও শিশুরা। এজন্য সবার একত্রে কাজ করতে হবে। আমরা প্রত্যেক কাউন্সিলরকে গাছগুলো দেব। কাউন্সিলররা এলাকার সব স্তরের মানুষকে নিয়ে কমিউনিটি গঠন করে গাছগুলো লাগাবে। সবাই গাছগুলো নিজেদের মনে করলে এটি বাস্তবায়ন সহজ হবে।

আধুনিক পদ্ধতিতে বীজ আলু উৎপাদনের এক প্রকল্পে গাবতলী এলাকায় কল্যাণপুর জলাধারের ৩৬ বিঘা জমি ভরাট করেছে বিএডিসি। গত ২৯ মার্চ সংস্থাটিকে এক চিঠিতে ডিএনসিসি বলেছে, কল্যাণপুর জলাধারসংলগ্ন বিএডিসির প্রায় ১১৭ একর জায়গা ড্যাপের নকশা অনুযায়ী জলাধারের আওতাভুক্ত। সেখানে ভারী স্থাপনা হলে জলাধারের উন্নয়ন কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হবে।

এ বিষয়ে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, কল্যাণপুরে জলাধারে মিরপুর, মোহাম্মদপুর, শ্যামলী, আদাবরে সাড়ে সাত লাখ লোকের জন্য ইকো-পার্কের মেজরমেন্ট করছি। তখন সরকারি একটি সংস্থা বালু ভরে দিচ্ছে। এটা কীভাবে সম্ভব। এখানে আলু চাষের জন্য শীতকালে তো জায়গা আছেই। আট মাস পানি থাকবে এবং চারমাস বীজের চাষ করা যাবে।

তিনি বলেন, আমাদের ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। কোনো ধরনের জলাধার দখল করা যাবে না। জলাধার আইন আছে, কিন্তু সরকারি প্রতিষ্ঠান যদি আইন না মানে তাহলে আমরা কই যাব। অবিলম্বে যে বালু দিয়ে তারা ভরাট করেছে সে বালু যেন তারা নিয়ে যায়। না হলে আমি অবশ্যই আইনের আশ্রয় নেব।

এছাড়া তিনি ছাদ কৃষিতে ১০ শতাংশ হোল্ডিং ট্যাক্স মওকুফ, বৃষ্টির পানি পুনর্ব্যবহার করে পরবর্তীসময়ে বাগানে ব্যবহার করতে ফুটপাতে ওয়াটার রিসার্জেবল স্টেশন স্থাপনের পরিকল্পনার কথা জানান।

সভায় সভাপ্রধান ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান। এছাড়া ঢাবি উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মাকসুদ কামাল, ব্রিটিশ ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ ডেপুটি হাইকমিশনার ম্যাট ক্যানেল, অ্যাড্রিয়েন আর্শট-রকফেলার ফাউন্ডেশনের পরিচালক ও সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ক্যাথি বাঘম্যান ম্যাকলিওড, অ্যাড্রিয়েন আর্শট-রকফেলার ফাউন্ডেশনের হিট অ্যান্ড সিটি ডিপ্লোমেসি বিভাগের প্রধান উপদেষ্টা মরিসিও রোডাস, শক্তি ফাউন্ডেশনের ক্লাইমেট চেঞ্জ প্রোগ্রামের প্রধান সোহানি হক ইলিয়াস, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা ও নবনিযুক্ত চিফ হিট অফিসার বুশরা আফরিন বক্তব্য দেন।

সৌদির যেকোনো বিমানবন্দরে ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারবে বাংলাদেশ

আন্তর্জাতিক, জাতীয়, 23 August 2023, 1072 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বিমান চলাচল সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। এর ফলে দেশের যে কোনো বিমানবন্দর থেকে সৌদি আরবের যে কোনো বিমানবন্দরে ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারবে বাংলাদেশের এয়ারলাইন্সগুলো।

আজ ২৩ আগস্ট বুধবার সচিবালয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক অনুষ্ঠানে এ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।

২০১২ সালের সৌদির সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে শুধুমাত্র জেদ্দা, রিয়াদ, দাম্মাম ও মদিনা বিমানবন্দরে ফ্লাইট পরিচালনা করা যেতো। আজকের চুক্তির পর শুধু এই চারেই সীমাবদ্ধ থাকলো না আকাশপথ।

এক বিজ্ঞপ্তিতে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় জানায়, বাংলাদেশ পক্ষে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী এবং সৌদি আরবের পক্ষে সৌদি জেনারেল অথরিটি অব সিভিল এভিয়েশনের প্রেসিডেন্ট আব্দুল আজিজ আল দুয়াইলেজ সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।

নতুন স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে পরিচালিত ফ্লাইটের ফ্রিকোয়েন্সি বৃদ্ধি পাবে। বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে প্রতি সপ্তাহে ৪৯টি যাত্রীবাহী এবং কার্গো ফ্লাইট পরিচালিত হতো। নতুন চুক্তিতে ফ্লাইট সংখ্যা বাড়িয়ে ৭০ করা হয়েছে।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্ব ও নির্দেশনায় দেশের এভিয়েশন শিল্প বিকশিত হয়ে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত হচ্ছে। গত সাড়ে চৌদ্দ বছরে সারা দেশে বিমান পরিবহন অবকাঠামোর যুগোপযোগী উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ, যাত্রীসেবা বৃদ্ধি, কারিগরি ও জন দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের এভিয়েশন খাত উন্নত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বর্তমান সরকার বাংলাদেশকে অন্যতম এভিয়েশন হবে রূপান্তরের লক্ষ্যে কাজ করছে। বাংলাদেশ এবং সৌদি আরবের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের ফলে দুই দেশের এভিয়েশন খাতে পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্র আরো বৃদ্ধি পাবে। এটি দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সহযোগিতার সব ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের পর্যটনের পরিকল্পিত উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী পর্যটন মহা-পরিকল্পনা প্রণয়ন সম্পন্ন হয়েছে। এর ফলে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পে নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এ সম্ভাবনা কে কাজে লাগাতে বাংলাদেশের পর্যটন খাতে দুই দেশের সহযোগিতার অনেক ক্ষেত্র রয়েছে। আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র হিসেবে সৌদি আরব বাংলাদেশের পর্যটন খাতে বিনিয়োগ করলে তাকে আমরা স্বাগত জানাবো।

সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সৌদি আরবের বন্ধুত্ব অত্যন্ত দৃঢ়। সৌদি আরবে একটি বড় বাংলাদেশি সম্প্রদায়ের বসবাস রয়েছে, যারা দুই দেশের উন্নয়নেই ভূমিকা রাখছেন। নতুন সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী বিমান চলাচলের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় দুই দেশই এর সুফল পাবে।

সৌদি আরবের মন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের আন্তরিক আতিথেয়তা এবং চমৎকার প্রাকৃতিক পরিবেশের কারণে এ দেশের পর্যটনের বিকশিত হওয়ার বড় সুযোগ রয়েছে। যেকোনো পর্যটক বাংলাদেশের আতিথেয়তাকে আজীবন মনে রাখবে। সৌদি আরব ভবিষ্যতে বাংলাদেশের পর্যটনের উন্নয়নে সহায়তা করবে।

অনুষ্ঠানে সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রী ড. তৌফিক বিন ফাউজান আল রাবিয়াহ ছাড়াও বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ঈসা ইউসেফ ঈসা আল দুলাইহান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন, বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমানসহ দুই দেশের বিভিন্ন পর্যায়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

২৮ অক্টোবর বিএনপির পতন যাত্রা শুরু হবে: তথ্যমন্ত্রী

জাতীয়, রাজনীতি, 19 October 2023, 740 Views,
ফাইল ছবি

অনলাইন ডেস্ক :
বিএনপি ২৮ অক্টোবরকে সরকারের পতন যাত্রা ঘোষণা করেছে উল্লেখ করে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আসলে ২৮ তারিখ বিএনপির পতন যাত্রা শুরু হবে। আর ২৮ তারিখ কিংবা কয়েক দিন পর তাদের ঘোষণা করতে হবে, আগামী নির্বাচনের পর তারা তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলবেন।

এই ঘোষণা বিএনপিকে করতে হবে।

আজ ১৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিলের (ডিএসইসি) সদস্যদের সন্তানদের মেধাবৃত্তি ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সহযোগিতায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ডিএসইসি।

অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ১৮ অক্টোবর বুধবার ঢাকা শহরে দুটি বড় সমাবেশ হয়েছে। দুটি সমাবেশের মধ্যে দূরত্ব ছিল মাত্র দুই কিলোমিটার। দুই কিলোমিটারের মধ্যে দুটি বড় সমাবেশ হয়েছে এবং ঢাকা শহরে কোনো গণ্ডগোল হয়নি। রাজনীতির চর্চা এমনই হওয়া উচিত। কিন্তু নয়াপল্টনের সামনে যে সমাবেশ হলো, সেখানে মির্জা ফখরুল সাহেব বললেন, ২৮ তারিখ তারা সমাবেশ করবেন। সরকারের পতনের যাত্রা তখন থেকে শুরু হবে। এখন মানুষ হাস্যরস করে বলে, এটা এবারের ২৮ তারিখ নাকি আগামী বছরের ২৮ তারিখ, নাকি তার পরের বছরের ২৮ তারিখ।

আজকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আগামী ২৮ অক্টোবরের আগেই সরকারকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপি কিছু দিন আগে বলেছিল, অক্টোবর মাসে হচ্ছে ফাইনাল খেলা। আমরা আশা করেছিলাম, অক্টোবর মাসের শুরু থেকে তারা ফাইনাল খেলার দিন-তারিখ ঘোষণা করবেন। তারপর বললেন, পূজার পরে। এখন দেখলাম সেটি ২৮ অক্টোবর নিয়ে গেছে। খুব সহসা ২৮ অক্টোবর তারা নির্বাচনের পরে আন্দোলনের ঘোষণা দেবেন। আগামী নির্বাচনের পরে বিএনপি আবার একটি আন্দোলনের কর্মসূচি দেওয়ার ঘোষণা ২৮ তারিখ দেবে বলে মানুষ ধারণা করছে। আমরা প্রায় ১৫ বছর ধরে এই আন্দোলনের হুমকির মধ্যে আছি। বাস্তবতা হচ্ছে, বিএনপির কর্মীরা ছাড়া জনগণের সেখানে কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলার প্রসঙ্গ তুলে ধরে তিনি বলেন, ফিলিস্তিনের হাসপাতালে চালানো হামলায় কয়েকশ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। শত শত শিশু মারা গেছে। তাদের কবর দেওয়ার জন্য জায়গাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে। সব দেশ প্রতিবাদ জানিয়েছে। এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও সেই হামলার প্রতিবাদ জানিয়েছে। ফ্রান্স থেকে শুরু করে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ এটার প্রতিবাদ জানিয়েছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বুধবার প্রতিবাদ জানিয়েছেন, এর আগেও জানিয়েছেন। আমি সরকারের তথ্যমন্ত্রী হিসেবে প্রথম থেকে এই হত্যাযজ্ঞ ও যুদ্ধের বিরুদ্ধে কথা বলে আসছি। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বুধবার বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। সবাই এর প্রতিবাদ জানাচ্ছে। কিন্তু বিএনপি একটি কথা এই প্রসঙ্গে বলেনি। তারা শুধু বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য, তারেক জিয়ার শাস্তি নিয়ে ব্যস্ত। আজকে যে পুরো পৃথিবী এর বিরুদ্ধে কথা বলছে সেই বিষয় তাদের কানে পৌঁছায় না। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক, আশ্চার্যজনক এবং প্রতিবাদ না জানিয়ে বিএনপি কার্যত এই বর্বরতার পক্ষ অবলম্বন করেছে। শিশু হত্যার পক্ষ অবলম্বন করেছে।

ফিলিস্তিনি ইস্যুতে নিশ্চুপ থাকছে বিএনপি, তাহলে বিএনপি কী ইহুদি ও ইসরায়েলের পক্ষ অবলম্বন করছে প্রশ্ন ছুড়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির সঙ্গে জামায়াতও এই বিষয়ে নিশ্চুপ। স্লোগান দেয় আল্লাহর আইন চাই এবং সৎলোকের শাসন চাই। আজকে বিএনপির সঙ্গে জামায়াতও নিশ্চুপ। অর্থাৎ এরা ধর্মকে ব্যবহার করে মানুষের কোমল হৃদয়ে আঘাত হানে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য। এরা হচ্ছে ধর্ম ব্যবসায়ী। আজকে তাদের নীরবতা ইহুদি ও ইসরায়েলকে সমর্থন করার সামিল।

তিনি আরও বলেন, আমরা কেউ রাজনীতির বাইরে নই। কেউ রাজনীতি না করলেও রাজনীতির একটি প্রভাব প্রত্যেকের জীবনে রয়েছে। সেজন্য আমি মনে করি, আমাদের শিশুদের ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের কর্ণধারদের সঠিকভাবে বেড়ে উঠার জন্য সুস্থ রাজনীতি দরকার। অসুস্থ রাজনীতি সমাজকেও অসুস্থ করে দেয়। সাংঘর্ষিক রাজনীতি এবং সবকিছুতে না বলার রাজনীতির যে সংস্কৃতি আমরা চালু করেছি, এটি রাজনীতিকে অসুস্থ করে দিচ্ছে। সেটি আমাদের সমাজের ওপর প্রভাব ফেলছে। আজকে যারা নতুন প্রজন্ম, ভবিষ্যতে দেশ চালাবে, তাদের ওপর প্রভাব ফেলছে।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, রাজনীতিতে মেধাবীরা আসছে না। রাজনীতি থেকে মেধাবীরা দূরে সরে যাচ্ছে। কিন্তু রাজনীতির মঞ্চ তো সেজন্য খালি থাকছে না। মেধাবীরা রাজনীতিতে না আসায়, মেধাহীনরা রাজনীতির মঞ্চ দখল করছে। মেধাহীনরা সংসদেও যাচ্ছে, দেশও পরিচালনা করছে। সেজন্য মেধাবীদের রাজনীতিতে আসা প্রয়োজন। মেধাবীরা যদি রাজনীতিতে না আসে, তাহলে মেধাহীনরা রাজনীতিতে জায়গা করে নেয়। যারা সুযোগ সন্ধানী তারা রাজনীতিতে জায়গা করে নেয়।

তিনি বলেন, রাজনীতি যে একটা ব্রত, দেশসেবা, সমাজসেবা, দেশ পরিবর্তন, সমাজ পরিবর্তন, সমাজ উন্নয়ন, রাষ্ট্রের উন্নয়নের। রাজনীতি কোনো পেশা নয়, বরং একটি ব্রত। সেটি অনেক রাজনীতিবিদরা জানেন না বা মনে করেন না। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করেছে। এই কল্যাণ ট্রাস্ট এখন সাংবাদিকদের একটি ভরসার স্থলে হয়ে দাঁড়িয়েছে। আগে দুস্থ কিংবা অসচ্ছল সাংবাদিকদের এই কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে সহায়তা করা হতো কিংবা কারো মৃত্যু হলে তার পরিবারকে সহায়তা করা হতো। আমরা ইতোমধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এই কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে সাংবাদিকদের পরিবারের সদস্যদের এককালীন বৃত্তি দেওয়া হবে। এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়ে গেছে এবং বিধিমালাও চূড়ান্ত হয়েছে।

অনুষ্ঠানে বৃত্তি পাওয়া শিশু-কিশোরদের উদ্দেশে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, যারা আজকে পুরস্কৃত হয়েছো, তোমাদের জীবনকে সংগ্রাম হিসেবে নিতে হবে। জীবন সংগ্রামে তোমরা অন্যদের পথ প্রদর্শক হবে এবং তোমরা নিজেরা স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছাবে, তোমাদের হাত ধরে দেশও স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছাবে।

ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিলের সভাপতি মামুন ফরাজীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসান হৃদয়ের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ হোসাইন, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত প্রমুখ।

পানি শোধনাগারে মিলছে বিশুদ্ধ পানি ও শিশুদের লেখাপড়ার খরচ

জাতীয়, 5 November 2023, 519 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
জলবায়ু পরিবর্তন প্রভাবজনিত কারণে সমুদ্রপৃষ্টের উচ্চতা বৃদ্ধি পাওয়ায় খুলনার দাকোপ উপজেলার ভূগর্ভস্থ পানি অতি লবণাক্ত। এই এলাকায় নিরাপদ ও সুপেয় পানির জন্য হাহাকার দেখা যায়। সুপেয় পানির অভাবে দাকোপ উপজেলার অনেক মানুষই বাধ্য হয়ে ডোবা নালার পানি পান করেন। ফলে ডায়রিয়াসহ নানা পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হন তারা। এলাকাবাসীর সুপেয় পানির অভাব মেটাতে গত সেপ্টেম্বর মাসে চালু করা হয় ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট। ইউএনডিপি ও ইউএনসিডিএফ এর সহায়তায় লোকাল গভর্নমেন্ট ইনিশিয়েটিভ অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (লজিক) প্রকল্পের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার বিভাগ বাস্তবায়ন করছে পানির ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের কাজ।

দাকোপের বানিশান্তা ইউনিয়নের আমতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টটি স্থাপন করা হয়েছে। বানিশান্তা যৌনপল্লীর ৬০ জন ছাত্র-ছাত্রীসহ ২টি স্কুলের প্রায় ৩৫০ জন ছাত্র-ছাত্রী প্ল্যান্ট থেকে বিনামূল্যে পানি পাচ্ছেন। এছাড়া ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের মাধ্যমে দৈনিক ১০ হাজার লিটার সুপেয় পানি উৎপাদন করে এটিএম কার্ড ও ভ্যানের মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গায় মাত্র প্রতি লিটারে ৫০ পয়সা দামে যৌনপল্লির ১০০ টি পরিবার সহ প্রায় ২ হাজার ৫০০ জনের জন্য পানি সরবরাহ করা হয়। এই প্ল্যান্টটি দেখাশোনার জন্য পতিতালয়ের এক মা’কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

প্ল্যান্টের আয় দিয়ে প্ল্যান্টটির খরচসহ আবাসিকে থাকা পতিতালয়ের স্কুল পড়ুয়া বাচ্চাদের পড়াশোনার জন্য ব্যয় করা হচ্ছে। যাতে করে পতিতালয়ের ছেলেমেয়েরা পড়াশোনা শিখে পতিতালয়ের জীবন থেকে বের হয়ে সরকারের উন্নয়নের মূল স্রোতোধারায় ভূমিকা রাখতে পারেন।
লজিক প্রকল্প থেকে বলা হয়, প্রতি লিটার পানি ৫০ পয়সা করে বিক্রি করা হলে মাসে মোট ৫০,০০০-৭০,০০০ টাকা আসতে পারে। এ টাকার পুরোটাই শিশুদের লেখাপড়ার জন্য ব্যয় করা হবে। এতে একদিকে যেমন এলাকাবাসীর বিশুদ্ধ পানির অভাব মিটছে তেমনি শিশুদের পড়াশোনার খরচও আসছে।

পতিতালয়ের একজন নারী বলেন, ‘আমাগে ভালো খাবার পানির ব্যবস্থা কেবলমাত্র পোকুরের (পুকুরের) পানি। ফাল্গুন-চৈত্র মাসে সব শুকিয়ে যায় তখন আমরা খাবার পানির জন্যি খুব কষ্ট পাই। এহন (এখন) এই পেলান (প্ল্যান্ট) হয়ে আমাগে পানির জন্যি কষ্ট করতে হয় না। আমরা ছেলে পুলেদের লেহাপড়ার খরচ জোগাতে পারতাম না। পানি বিক্রির টাকা দিয়ে এহন আমগে ছেলে পিলেদের লেহাপড়ার খরচ দিতে পারি।’

আরেকজন নারী বলেন, ‘আমাগে এহানে খাবার পানির কষ্ট খুব। লবন পানির জন্তি (জন্য) আমরা হনক পথ হেঁটে পুকুরের পানি নিয়ে এসে খাতাম। এহন লজিক প্রকল্পের প্ল্যানের পানি খাচ্ছি। শরিল খারাপ করে না আর ।’

লজিক প্রকল্পটি মূলত ইউএনডিপি বাংলাদেশ, ইউএনসিডিএফ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, সুইডেন এবং ডেনমার্ক সরকার দ্বারা সমর্থিত একটি যৌথ উদ্যোগ। এটির লক্ষ্য হল নির্বাচিত জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন সমাধানের পরিকল্পনা ও অর্থায়নের জন্য দুর্বল সম্প্রদায়, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান এবং সুশীল সমাজ সংস্থাগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি করা। এই বিশেষ প্ল্যান্টটি ইউএনসিডিএফের সহায়তায় পিবিসিআরজি (PBCRG) বা পারফরমেন্স বেসড ক্লাইমেট রেসিলিয়েন্ট গ্রান্ট দ্বারা অর্থায়ন করা হয়।

দাকোপের শুধু বানিশান্তাতেই নয় স্থানীয় সরকার বিভাগের মাধ্যমে বাস্তবায়িত ইউএনডিপি ও ইউএনসিডিএফের আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতায় লজিক প্রকল্পের মাধ্যমে দাকোপ এলাকায় বাস্তবায়িত জলবায়ু সহনশীল মোট ৬৪টি প্রকল্পের মধ্যে ৪৬টি প্রকল্পই খাবার পানির জন্য স্থাপন করা হয়েছে এবং কৃষি কাজের পানির জন্য ২টি খাল খনন করা হয়েছে। যার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার প্রায় ৮ হাজার মানুষ বিশুদ্ধ পানির সুবিধা পাচ্ছে এবং প্রায় ১ হাজার মানুষ ৫শ বিঘা জমিতে দুটি করে ফসল ফলাতে পারছে।

ডোবার পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

জাতীয়, 19 October 2023, 545 Views,
ফাইল ছবি

চলারপথে রিপোর্ট :
কুমিল্লার হোমনায় ডোবার পানিতে ডুবে মিনহাজ নামে ৪ বছরের শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সে নিলখী ইউনিয়নের লালবাগ গ্রামের ফারুক মিয়ার ছেলে। আজ ১৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার এ ঘটনাটি ঘটে।

পরিবার ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, দুপুর ১২টার দিকে নিহত মিনহাজ খেলা করার সময় বাড়ির পাশের ডোবার পানিতে পড়ে ডুবে যায় মিনহাজ।

স্বজনরা খোঁজাখুঁজি করে বাড়ির পাশের ডোবার পানিতে তাকে ভাসতে দেখে। দ্রুত উদ্ধার করে হোমনা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

উপজেলা মেডিক্যাল অফিসার ডা. রাহিদূজ্জামান সূর্য জানান, হাসপাতালে আসার আগেই ওই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। হোমনা থানার ওসি জয়নাল আবেদীন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।