চলারপথে রিপোর্ট :
ভোলার তজুমদ্দিন থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে পাঁচ জুয়াড়িকে আটক করেছে। আটক ৫ জনের বিরুদ্ধে জুয়া আইনে মামলা দায়ের করা হয়। পরে তাদের জেল হাজতে প্রেরণ করে পুলিশ।
থানা সূত্রে জানা গেছে, তজুমদ্দিন থানার এস আই রাসেদুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ১১ টায় চাচড়া ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড’র আনন্দ বাজারের পুর্ব পাশে গিয়াস উদ্দিনের মুদি দোকানের মধ্যে প্রকাশ্যে জুয়া খেলার সময় তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলো, উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের বালিয়াকান্দি গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে সোহাগ (২৫), আব্বাসের ছেলে ঈমন (১৯), মান্নানের ছেলে জসিম (৩৭), সামছুল হকের ছেলে আলাউদ্দিন (৪৫) ও মনোয়ার আলীর ছেলে আলাউদ্দিন (৪৬)।
এসময় গ্রেফতার ব্যক্তিদের জুয়া খেলার স্থান হতে নগদ টাকা, জুয়া খেলার খোলা তাস আলামত হিসেবে জব্দ করা হয়। পরদিন বৃহস্পতিবার সকালে আটক ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে কোর্টে চালান দেয়া হয়।
থানার অফিসার ইনচার্জ মাকসুদুর রহমান মুরাদ জানান, প্রকাশ্য জুয়া খেলা রোধে জুয়া আইনে মামলা করা হয়।পাঁচ আসামীকে আদালতে প্রেরণ করা হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
তরুণরা এই দেশ স্বাধীন করতে পেরেছে, তারা এটা মনের মতো করে গড়তে পারবে বলে মন্তব্য করেছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি বলেন, তরুণদের মধ্যে যে সৃজনশীলতা রয়েছে, সেটাকে কাজে লাগাতে পারবে। এখন আমাদের কাজ হলো তারা যে স্বাধীনতা অর্জন করে নিয়ে এসেছে তা আমাদের রক্ষা করা।
আজ ৮ আগস্ট বৃহস্পতিবার ফ্রান্স থেকে দেশে ফিরেছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বেলা ২টা ১০ মিনিটের দিকে তিনি ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান। এরপরই তিনি বিমানবন্দরে এসব কথা বলেন।
শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘তরুণদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। এরা এ দেশকে রক্ষা করেছে। তরুণরা দেশকে পুর্নজন্ম দিয়েছে।’
এসময় কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘আজকে আমার আবু সাঈদের কথা মনে পড়ছে। যে আবু সাঈদের কথা দেশের প্রতিটি মানুষের মনে গেঁধে আছে। আবু সাঈদের গুলি খাওয়ার পর থেকে আর কোন তরুণ হার মনেনি। তারা বুক পেতে গুলি খেতে ভয় করেনি।’
‘আমাদের এই স্বাধীনতা রক্ষা করতেই হবে। আর এই বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার অর্থ হলো তার নিজের পরিবর্তন।’, বলেন তিনি।
শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘দেশবাসীর ওপরে বিশ্বাস রাখেন, ভরসা রাখেন, দেশের কোনো জায়গায় হামলা হবে না।’
চলারপথে রিপোর্ট :
গাজীপুরের শিরিরচালা এলাকা থেকে অপহরণের ৬ দিন পর অপহৃত তিন মাস বয়সী শিশুকে উদ্ধার করেছে জেলা পুলিশ। এসময় তিন অপহরণকারীকে গ্রেফতার করা হয়। আজ ৮ এপ্রিল শনিবার তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলা-কারাগারে পাঠানো হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টা থানার বাউশি এলাকার মজলুর স্ত্রী আলপনা উরফে রুবিনা (২৫), রুবিনার বড়বোন একই জেলার দুর্গাপুর থানার হাবিআলী এলাকার আবুল কাশেমের স্ত্রী ফাতেমা (৩৫) ও ফাতেমার ছেলে রফিকুল ইসলাম (১৯)।
দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার কাজী শফিকুল আলম জানান, গাজীপুরের জয়দেবপুর থানাধীন শিরিরচালা এলাকায় মো: ফিরোজ হোসেন তার স্ত্রী ও তিন মাসের শিশু ফাতেমা এবং শাশুড়িকে নিয়ে ওই এলাকায় জনৈক মাজহারুল ইসলামের বাড়িতে দুই মাস ধরে ভাড়া থাকেন। ফিরোজ হোসেন রাজমিস্ত্রির কাজ ও তার স্ত্রী একটি গার্মেন্টে চাকরি করেন। তাদের বাড়ি ঝিনাইদহ জেলার মহেষপুর থানার বিশ্বনাথপুর গ্রামে। গত ২ এপ্রিল প্রতিদিনের মতো মেয়েকে শাশুড়ির কাছে রেখে স্বামী ও স্ত্রী কর্মস্থলে গেলে একই বাড়ির ভাড়াটিয়া আলপনা (রুবি) সুযোগ বুঝে শিশুটিকে অপহরন করে নিয়ে যায়। পরে শিশুটির পিতা (ফিরোজ হোসেন) বাদী হয়ে জয়দেবপুর থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করলে এর পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে গত ৭ এপ্রিল গভীর রাতে গাজীপুরের শ্রীপুর থানাধীন মুলাইদ পশ্চিম পাড়া এলাকার সুবেদ আলীর ভাড়া বাসা থেকে কন্যা শিশুটিকে উদ্ধার ও বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করে অপহরনকারীদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নন্দিতা মালাকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: রবিউল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো: মিরাজুল ইসলাম, জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) অফিসার ইনচার্জ মো: দেলওয়ার হোসেন, জয়দেপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহাতাব উদ্দিনসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মাসুদ পারভেজ বলেছেন, বিচার বিভাগের সাথে পুলিশের নাড়ির সর্ম্পক রয়েছে। তিনি বলেন সামনে জাতীয় নির্বাচন দূরত্ব সৃষ্টি না করে সকলের সমন্বয়ে কাঁেধ কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে হবে।
আজ ২ ডিসেম্বর শনিবার বিকাল সাড়ে ৩টায় চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সম্মেলন কক্ষে পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেট সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আফরীন আহমেদ হ্যাপীর সঞ্চালনায় তিনি আরো বলেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লক্ষ শহীদ, ২ লক্ষ মা-বোনদের সম্ভ্রম হারান, জাতীয় চার নেতা এবং বিজয়ের মাসসহ সব মিলিয়ে একটি ইতিহাস এবং আমরা যে একটি স্বাধীন দেশ পেয়েছি তা মনে রাখতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করতে যেসব আলোচনা করেছি তা বাস্তবায়ন করতে হবে, বাস্তবায়ন করলেই আলোচনা বা সাধারণ মানুষের ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে। আমরা স্বাক্ষীদের দ্রুত স্বাক্ষী গ্রহণ করে বিপুল পরিমান মামলা নিস্পত্তি করে গত জানুয়ারি ২০২৩ থেকে ডিসেম্বর ২০২৩ইং পর্যন্ত ২২ কোটি টাকার মাদক ও বিভিন্ন আলামত ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছে। তিনি সকলের চোখ-কান খোলা রেখে সুন্দর একটি দেশ সাধারণ মানুষকে উপহার দেয়ার আহবান জানান।
এ সময় বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন, ২৫ বিজিবির অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল সৈয়দ আরমান আরিফ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোঃ ইকবাল হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জজ কোর্ট পিপি অ্যাডঃ মাহবুবুল আলম খোকন, সিভিল সার্জনের পক্ষে ডাঃ মাহমুদুল হাসান, সমাজ সেবার উপ-পরিচালক মোঃ আবু আব্দুল্লাহ ওয়ালী উল্লাহ, জেলা সুপার মোঃ শহিদুল ইসলাম, সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসলাম হোসেন, আদালতের পুলিশ পরিদর্শক কাজী দিদারুল আলম প্রমুখ।
এসময় অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ফরহাদ রায়হান ভূইয়া, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আসমা জাহান নিপা, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জহিরুল আলম, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাদেকুর রহমান, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ সামিউল আলম, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাকিবুল হাসান রকি, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ শাখাওয়াত হোসেন, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট স্বাগত স্বাম্য, সহকারী জজ ওমর ফারুক, এপিপি অ্যাডঃ নাজমুল হোসেন, সহকারী পুলিশ সুপার নবীনগর সার্কেল মোঃ সিরাজুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল মোঃ বিল্লাল হোসেন পিপিএম এবং জেলার প্রতিটি থানার অফিসার ইনচার্জ ও বিভিন্ন সেক্টরের অফিস প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।
বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সম্মেলনে কয়েকটি এজেন্ড বাস্তবায়নের জন্য পেশ করেন এর মধ্যে বিগত ২১ মার্চ ২০২৩ইং এর পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেট এর জেন্ডা সমূহের পর্যালোচনা।
ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে সাক্ষ্য গ্রহণ এবং আদালত কর্তৃক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার আইন ২০২০ নিয়ে আলোচনা, এমসি সংক্রান্ত পূর্বের সিদ্ধান্তের অগ্রগতি, পুরাতন মামলার সাক্ষী হাজির করা বিষয়ে আলোচনা, সাক্ষী নিয়ে আলোচনা, প্রবেশন কর্মকর্তা রিপোর্ট এ নতুন মামলা হয়েছে কিনা সে বিষয়ে প্রতিবেদন দেয়া, জিডি, ইউডি-১৫১ এর রিপোর্ট প্রেরণ করা, বন্ধের দিন হাজতখানা থেকে ওকালতনামা সংগ্রহ এবং বন্ধের দিন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট সাময়িক সময়ের জন্য কার্যক্রম পরিচালনা, মামলা ফাইলিং এবং আসামীর আত্মসর্মপনের সময়ে এন আই ডি ব্যবহার করা, স্পেশাল পাওয়ার এ্যাক্ট এর আওতায় গোডস্ উদ্ধার এ মামলা হচ্ছে না এবং মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হচ্ছে না কেন সর্ব বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
সভার পূর্বে পবিত্র কোরআন তেলওয়াত করেন মোঃ শহীদুল হক, গীতা পাঠ করেন আশিক।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসন ও বিএসটিআই, কুমিল্লার উদ্যোগে গতকাল মঙ্গলবার বিকালে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালিত হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহরিয়া হাসান খান এবং প্রিন্স সরকারের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার রামরাইলে অবস্থিত আয়েশা ফিলিং স্টেশনকে ৩০ হাজার টাকা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ঘাটুরায় অবস্থিত মেসার্স তিতাস ফিলিং স্টেশনকে ২০ হাজার টাকা এবং শহরের লাকী বাজারের দি নিউ ঝলক জুয়েলার্সকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, আয়েশা ফিলিং স্টেশন এবং মেসার্স তিতাস ফিলিং স্টেশনের ব্যবহৃত ডিসপেন্সিং ইউনিটসমূহের অনুকূলে বিএসটিআই হতে বৈধ ভেরিফিকেশন সনদ হালনাগাদ না থাকায় “ওজন ও পরিমাপ মানদন্ড আইন-২০১৮” অনুযায়ী আয়েশা ফিলিং স্টেশনকে ৩০ হাজার টাকা এবং মেসার্স তিতাস ফিলিং স্টেশনকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অপরদিকে লাকী বাজারের দি নিউ ঝলক জুয়েলার্সের ব্যবহৃত ডিজিটাল ওজনযন্ত্রের অনুকূলে বিএসটিআই হতে বৈধ ভেরিফিকেশন সনদ না থাকায় “ওজন ও পরিমাপ মানদন্ড আইন-২০১৮” অনুযায়ী তাদেরকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযানকালে প্রসিকিউটর হিসেবে বিএসটিআই, কুমিল্লা অফিসের কর্মকর্তা প্রকৌ: আরিফ উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন। জনস্বার্থে এই ধরনের অভিযান চলমান থাকবে বলে জানানো হয়।