অনলাইন ডেস্ক :
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, সরকারের গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রচার করে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে, এমন ২৩৯টি অনলাইন নিউজ পোর্টালের ডোমেইন বরাদ্দ বাতিল করাসহ লিংক বন্ধ করার জন্য ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মাধ্যমে বিটিআরসিকে অনুরোধ করা হয়েছে।
আজ ৩১মে বুধবার জাতীয় সংসদে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হকের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এ কথা জানান। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
মন্ত্রী বলেন, অনলাইন সংবাদপত্রের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সরকারের পরিকল্পনা আছে। কোনো অনলাইন সংবাদপত্রে বা অনলাইনভিত্তিক পোর্টালে মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রচারের অভিযোগ পাওয়া গেলে তা বন্ধের পদক্ষেপ নেওয়া হয়ে থাকে।
সংসদ সদস্য বেনজীর আহমদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ জানান, ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক, সাপ্তাহিক ও মাসিক পত্রিকার সংখ্যা মোট ১ হাজার ১৫৮। এর মধ্যে দৈনিক পত্রিকা ৫২২টি, সাপ্তাহিক পত্রিকা ৩৪৭টি ও মাসিক পত্রিকা ২৮৯টি।
তিনি বলেন, সরকারি বিজ্ঞাপন বর্তমানে চলচ্চিত্র প্রকাশনা অধিদপ্তর থেকে কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয় না। তাই বিজ্ঞাপন বাবদ সরকারি ব্যয় বা রাজস্ব আয়ের সঠিক তথ্য এ অধিদপ্তরে সংরক্ষিত নেই।
তিনি আরো বলেন, তবে ‘এ’ শ্রেণিভুক্ত জাতীয় দিবসের ক্রোড়পত্র প্রকাশের বিল থেকে ১৫ শতাংশ ভ্যাট, ১০ শতাংশ সরকারি কর, ৪ শতাংশ আয়কর ও ২ শতাংশ সার্ভিস চার্জ আদায় বাবদ ২০২১-২২ অর্থবছরে ঢাকা জেলা থেকে প্রকাশিত পত্রিকা থেকে মোট ২ কোটি ৫৩ লাখ ২৭ হাজার ৯৫৭ টাকা রাজস্ব আদায় করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বরগুনার আমতলীতে নানাবাড়ি বেড়াতে গিয়ে আবদুল্লাহ (৪) নামের এক শিশু পানিতে ডুবে মারা গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে আজ ২১ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে বরগুনার আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের গোজখালী কালীবাড়ী গ্রামে।
জানা গেছে, আমতলী পৌর শহরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসুগী এলাকার বাসিন্দা আনেচ চৌকিদারের পুত্র সলেমান স্ত্রী-সন্তান নিয়ে চট্টগ্রামে থাকেন। সম্প্রতি সলেমান তার স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে আমতলী আসেন।
বৃহস্পতিবার সলেমানের শ্বশুর মন্নান হাওলাদার ও শাশুড়ি রওশন আরা আবদুল্লাহকে সাথে নিয়ে তাদের বাড়িতে বেড়াতে নিয়ে যান। আজ দুপুরে নাতি আবদুল্লাহ খেলার ছলে বাড়ির পুকুরের পানিতে পড়ে ডুবে যায়। পরে দ্রুত তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আমতলী থানার ওসি কাজী সাকোওয়াত হোসেন তপু বলেন, পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যুর বিষয়টি শুনেছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় চলতি মৌসুমে আগাম জাতের আমন ধান কাটতে শুরু করেছে কৃষকরা। মাঠে মাঠে ধানের সোনালি শীষে ভরে উঠেছে কৃষকের ক্ষেত। বাতাসে ঢেউ তুলছে সোনালি ধানের শীষ। এদিকে আগাম ধান কাটা-মাড়াই কাজে কৃষকরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। ইতিমধ্যে আগাম আমন ধান কাটা শুরু হলেও আগামী ৮-১০ দিন পর পুরো দমে শুরু হবে ধান কাটা। একাধিক কৃষক জানান, এ মৌসুমের শুরুতে টানা বৃষ্টি ও আকস্মিক বন্যায় কৃষকদের ব্যাপক ক্ষতি হলেও তারা হাল ছড়েনি। পুনরায় জমি আবাদ করে ধানের আশানুরূপ ফলন হওয়ায় কৃষক-কৃষাণির চোখে-মুখে দেখা দিয়েছে আনন্দের ঝিলিক। বর্তমানে বাজারে ধানের দাম নিয়েও সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন কৃষকেরা। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ উপজেলায় চলতি মৌসুমে আমন আবাদে প্রায় ৪ হাজার ১শ ১০ হেক্টর জমিতে লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়। আমন ধান রোপণের জন্য উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের পক্ষ থেকে প্রত্যেক কৃষককে ৫ কেজি বীজ ধান, ১০ কেজি এমওপি এবং ১০ কেজি ডিওপি সার প্রণোদনা দেওয়া হয়। রোপনকৃত জমিতে ব্রি-৭৫, ৮৫, ৮৭, ৯৩, ৯৫, ৯৬, ৯৭, ১০৩ জিআর ২২সহ নানা জাতের উন্নতফলনশীল ধান আবাদ করেন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় পৌর শহরের তারাগন, দেবগ্রাম, উপজেলার মোগড়া, মনিয়ন্দ, ধরখার এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, মাঠে মাঠে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে আমন ক্ষেতে সবুজে সমারোহ হয়ে আছে। ইতিমধ্যে জমিতে ধানের শীষ বের হয়ে পাকতে শুরু করেছে। আবার কোন কোন জমিতে আগাম ধান শুরু হয়েছে। ধানকে ঘিরে স্থানীয় কৃষকরা নানা রকমের স্বপ্ন বুনছেন। সকাল বিকাল তারা যেন ব্যস্ত সময় পার করছেন। এদিকে জমিতে ফলন ভালো করতে নিয়মিত কৃষি কর্মকর্তারা তদারকি করেন। সেইসাথে তারা রোগ বালাইয়ের প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে কৃষকদেরকে ধান জমিতে কঞ্চি ও গাছের ডাল পুতে পাখি দিয়ে পোকা মাকড় দমনে উৎসাহিত করেন। এ মৌসুমে আমনের বাম্পার ফলনের আশা করছেন তারা।
কৃষি বিভাগ আরও জানায়, আগাম জাতের আমন ধান কেটে ওই জমিতে বাড়তি ফসল হিসাবে আলু, বেগুনসহ শীতকালীন সবজি ও সরিষা চাষ করতে পারবে কৃষকরা। বাড়তি ফসল করলে এতে তারা লাভবান হবেন। কৃষক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, নানা প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে এ মৌসুমে তিনি ৫ বিঘা জমিতে উচ্চ ফলনশীল জাতের বীজ দিয়ে আমন ধান রোপন করা হয়। সব জমিতে ধানের শীষ এসেছে এবং পাকতে শুরু করেছে। এরমধ্যে আগাম জাতের ১ বিঘা জমির ধান কাটা হয়েছে। এতে বিঘায় ২০ মন ধানের ফলন পেয়েছি। আগামী ১০-১২ দিনের মধ্যে বাকি জমির ধান কাটা হবে। বাজারে যদি ধানের দর ভালো থাকে তাহলে বিক্রিতে লাভবান হবো। আখাউড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তানিয়া তাবাসসুম গণমাধ্যমকে বলেন, আমন ধান আবাদে সরকারিভাবে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় এ উপজেলায় কৃষষদেরকে পাঁচ কেজি করে উফসী ধানের বীজ, ১০ কেজি ডিএপি সার ও ১০ কেজি এমওপি সার দেওয়া হয়। আমন ফলন বৃদ্ধিতে মাঠ পর্যায়ে থেকে কৃষকদের বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ প্রদান করা হয়। উপজেলার সর্বত্রই আমনের ধানের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছি।
অনলাইন ডেস্ক :
দুর্যোগ মোকাবিলা এবং দুর্গত মানুষের পাশে থাকার জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়সহ সকল মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান এই তথ্য জানিয়েছেন।
আজ ২৬ মে রবিবার সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আন্তঃমন্ত্রণালয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সমন্বয় কমিটির সভা শেষে এই তথ্য জানান তিনি।
প্রতিন্ত্রী বলেন, ৮ লাখের বেশি মানুষ ইতোমধ্যে আশ্রয় কেন্দ্রে এসেছেন। বাকিদের আসার জন্য আহবান জানানো হচ্ছে। উপক‚লীয় অঞ্চলে আপাতত স্কুল খোলা থাকবে; তবে ক্লাস বন্ধ থাকবে। এছাড়া সন্ধ্যা থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু টানেলও বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, রেমালের প্রভাবে সাতক্ষীরা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত পুরো এলাকাটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। এজন্য আমরা সবাইকে নিয়ে আজকে সভা করেছি। সেভাবে প্রস্তুতি নিয়েছি।
তিনি বলেন, আমাদের মেডিকেল টিমগুলো প্রস্তুত রয়েছে। সেনাবাহিনী যেকোনো দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। ফায়ার সার্ভিসও প্রস্তুত রয়েছে। পেছনের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এই ঘূর্ণিঝড়কে আরো শক্তভাবে মোকাবিলা করার জন্য আমরা সমস্ত প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। আশা করি নির্দেশনাগুলো যেভাবে দিচ্ছি সবাই যদি সে অনুসারে পালন করে, এই দুর্যোগ পূর্বের মতো সক্ষমভাবে মোকাবিলা করতে পারব।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় রিমালের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ৯ নম্বর মহাপবিদসংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অফিসের বিশেষ বিজ্ঞপ্তি-১০ এ বলা হয়েছে, উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’ উত্তর দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে একই এলাকায় (১৯.৫০ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯.৪০ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে।
এটি আজ ২৬ মে সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪০০ কি.মি. দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৬০ কি.মি. দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৩০ কি.মি. দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৯৫ কি.মি. দক্ষিণে অবস্থান করছিল।
ঘূর্ণিঝড়টি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে আজ (রোববার) সন্ধ্যা/মধ্যরাত নাগাদ মোংলার কাছ দিয়ে সাগর আইল্যান্ড (পশ্চিমবঙ্গ) খেপুপাড়া উপকেূল অতিক্রম করতে পারে। বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগের প্রভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি শুরু হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় অসহায় শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করেছেন বিজিবি। আজ ৮ জানুয়ারি বুধবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী গোসাইস্থল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ও বিকেলে একই ইউনিয়নের চন্ডিদ্বার শেখ ফজলুল করিম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে সুলতানপুর ৬০ বিজিবির পক্ষ থেকে এলাকার দুই শতাধিক অসহায়, দরিদ্র মানুষের মাঝে এসব কম্বল বিতরণ করা হয়।
কম্বল পেয়ে আনন্দিত অসহায় পরিবারের লোকজন।
কম্বল বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন সুলতানপুর ৬০ বিজিবি অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল এ এম জাবের বিন জব্বার।
এসময় সুলতানপুর ৬০ বিজিবি সহকারী পরিচালক মোঃ মতিউর রহমান ও গোসাইস্থল বিওপি ক্যাম্প কমান্ডার সুবেদার মোঃ আলমগীর হোসেনসহ অন্যান্য কর্মকর্তাগণ এবং এলাকার উপকারভোগী লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
৬০ বিজিবি অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল এএম জাবের বিন জব্বার বলেন, বিজিবি সবসময় অসহায় শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণসহ বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক কাজ করে থাকে। ভবিষ্যতে এ ধরনের কল্যাণমূলক কাজ চলমান থাকবে।