অনলাইন ডেস্ক :
ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন মাগুরায় নির্যাতনের শিকার সেই শিশুটি মারা গেছে। আজ ১৩ মার্চ বৃহস্পতিবার দুপুর একটায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে সে (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে জানানো যাচ্ছে যে, মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটি ১৩ মার্চ বৃহস্পতিবার দুপুর একটায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, ঢাকায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছে। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ)-এর সর্বাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রয়োগ এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। শিশুটির বৃহস্পতিবার সকালে তিনবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে, দুইবার স্থিতিশীল করা গেলেও তৃতীয়বার আর হৃদস্পন্দন ফিরে আসেনি।
উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ শিশুটিকে সংকটাপন্ন অবস্থায় ঢাকা সিএমএইচ-এ ভর্তি করা হয়।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছে এবং যেকোনও প্রয়োজনে তাদের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছে।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মহীয়সী নারী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব সবসময় পাশে ছিলেন বলেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাফল্যলাভ সহজ হয়েছে। শুধু ছাত্রজীবন নয়, রাজনৈতিক জীবনেও বঙ্গমাতা সবসময় বঙ্গবন্ধুর ছায়াসঙ্গী হিসেবে ছিলেন।
তিনি বলেন, আমার বাবার সাফল্য যদি আপনারা দেখেন, সেই ছাত্রজীবন থেকে মা পাশে থাকাতে তার (বঙ্গবন্ধু) জীবন কিন্তু সাফল্যের সিঁড়ি বেয়ে ওঠে।
আজ ৮ আগস্ট মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯৩তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব পদক-২০২৩ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গমাতা শুধু নিজের সংসারই চালাতেন না, হাতে যা টাকা-পয়সা আসতো তাও বাবার রাজনীতির জন্য তাকে দিয়ে দিতেন।
জাতির পিতার ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ থেকে উদ্ধৃত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু লেখেন— ‘আব্বা-আম্মা ছাড়াও সবসময় রেণু (বঙ্গমাতা) আমাকে কিছু টাকা পয়সা দিয়েছে। রেণু যা কিছু জোগাড় করতো বাড়ি গেলে এবং দরকার হলেই আমাকে দিত, কোনোদিন আপত্তি করেনি। নিজে মোটেই খরচ করতো না, গ্রামের বাড়িতে থাকতো। আমার জন্য সব রাখতো।’
এভাবে তিনি আমার বাবার পাশে থেকে তাকে সবরকমের সহযোগিতা দিয়েছেন উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু যখন বিএ পরীক্ষা দেন, কলকাতায় তখন দাঙ্গা হচ্ছিল। বঙ্গবন্ধু দাঙ্গা দমনে ঝাঁপিয়ে পড়েন, কিন্তু সে সময় বঙ্গমাতা চলে আসেন বঙ্গবন্ধুর লেখাপড়ায় সহযোগিতা করার জন্য।’
অনেক আত্মীয়-স্বজন সে সময়ে কলকাতায় থাকতেন উল্লেখ করে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘আমার মায়ের ধারণা হয়েছিল, তিনি যদি বঙ্গবন্ধুর পাশে থাকেন বাবা লেখাপড়া করবেন এবং পাস করবেন, যা করেছিলেনও তিনি। এটাও জাতির পিতা তার অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে লিখে গেছেন।’
তিনি বলেন, ‘আমার বাবার সাফল্য যদি আপনারা দেখেন সেই ছাত্রজীবন থেকে মা পাশে থাকাতে তাঁর জীবন কিন্তু সাফল্যের সিঁড়ি বেয়ে ওঠে। শুধু ছাত্র জীবন থেকে নয় রাজনৈতিক জীবনে তিনি সবসময় আমার বাবার পাশে ছিলেন।’
‘বঙ্গমাতা জাতির পিতাকে বলতেন— রাজনীতি করো আমার আপত্তি নেই, কিন্তু পড়াশোনা করতে হবে’ উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘আমার দাদাও বলেছিলেন— যে কাজই করো তোমাকে পড়াশোনা করতে হবে।’
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘বাবা টানা দুই বছর কখনও জেলের বাইরে না থাকলেও মা সবসময় ঘর-সংসার সামাল দিতেন এবং কখনও হতাশ হননি।’
প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক ৬ দফা, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা এবং জাতির পিতার ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ প্রদানসহ জাতির বিভিন্ন সন্ধিক্ষণে বঙ্গমাতার ঐতিহাসিক সময়োচিত পদক্ষেপের মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতা লাভের বিভিন্ন প্রেক্ষাপট প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে তুলে ধরেন।
শেখ হাসিনা এদিন অনুষ্ঠানে নিজ নিজ ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ চার বিশিষ্ট নারী ও জাতীয় নারী ফুটবল দলের মধ্যে ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব পদক-২০২৩’ প্রদান করেন। বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের অবদানকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য আটটি ক্ষেত্রে নারীদের অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রতি বছর সর্বোচ্চ পাঁচ জন নারীকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়।
খেলাধুলার ক্ষেত্রে সাফ ফুটবল-২০২২ এ অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন জাতীয় নারী ফুটবল দল ছাড়াও আরও চার নারী এই পদক লাভ করেন। তারা হলেন- রাজনীতিতে অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন (মরণোত্তর), শিক্ষা, সংস্কৃতি ও খেলাধুলায় নাসিমা জামান ববি ও অনিমা মুক্তি গোমেজ এবং গবেষণায় ডা. সেঁজুতি সাহা (মলিকুলার বায়োলজিস্ট)।
চলারপথে রিপোর্ট :
ভারী বৃষ্টি এবং ভারতের গজলডোবা ব্যারাজের সব গেট খুলে দেয়ায় লালমনিরহাটে বন্যা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। এতে প্রায় ২৫ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে বলে জানানা জেলা প্রশাসক রকিব হায়দার। তিনি জানান, বর্তমানে পানি বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ১৩ আগস্ট বুধবার ভোর থেকে পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে প্রথমে ৭ সেন্টিমিটার ওপরে পৌঁছায়। পরে তা কিছুটা কমে ৪ সেন্টিমিটারে ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
আজ ১৪ আগস্ট বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় আবারো তিস্তার ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। দুপুর ১২টায় পানি আরো ৪ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে নিম্নাঞ্চলের ৩৫টি গ্রামের প্রায় ২৫ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তলিয়ে গেছে রোপা আমনসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষেত। পরিস্থিতি সামাল দিতে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে ৪৪টি স্লুইসগেট খুলে পানি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।
পাউবো সূত্র জানায়, আগামী দুই-তিন দিন এই অঞ্চলে ভারীবর্ষণ ও উজানের ঢল অব্যাহত থাকতে পারে। এতে লালমনিরহাট, রংপুর, নীলফামারী, গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বন্যায় পানিবন্দি পরিবারগুলো চরম দুর্ভোগে পড়েছে। গবাদিপশু, পাখি, বৃদ্ধ শিশু ও প্রতিবন্ধীদের নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তিস্তাপারের হাজারো মানুষ। চারদিকে শুধু পানি আর পানি। ঘরের ভেতর মাচাং বানিয়ে সারা দিনের রান্না একবারে করছেন গৃহকর্মীরা। কেউ কেউ পাশের উঁচু রাস্তার বাঁধে চুলা বসিয়ে রান্না করছেন। বাঁধ আর রাস্তার ধারে পলিথিনের তাঁবু সাঁটিয়ে রাখা হচ্ছে গবাদিপশুগুলো। সবচেয়ে বড় বিপাকে পড়েছেন পানিবন্দি পরিবারের নারীরা। ল্যাট্রিন ডুবে যাওয়ায় বেশ বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে নারীদের।
তিস্তাপারের গোবর্দ্ধন গ্রামের মোবারক হোসেন বলেন, দুদিন ধরে চরাঞ্চলের প্রায় বাড়ি পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পানির কারণে সাপ, পোকামাকড়ের উপদ্রব বেড়েছে। গরু ছাগল রাখার মতো শুকনো জায়গাটুকুও মিলছে না।
আদিতমারী মহিষখোচা ইউনিয়নের গোবর্ধন এলাকার কাচুয়া শেখ বলেন, বন্যার পানিতে ৫ দিন ধরে রান্না করতে পারিনি। গরু-ছাগল ও পরিবারের সদস্যদের উঁচু জায়গায় রেখেছি। ত্রাণ নয়, চাই পানি যেন আর ভারত থেকে না আসে।
তিস্তা তীরের উত্তর গড্ডিমারী গ্রামের মোন্তাজ মিয়া, বলেন, রাস্তাঘাট ডুবে গেছে। আমাদের গ্রামের অধিকাংশ বাড়িতে হাঁটু কিংবা কোমরপানি।
পানির শোঁ শোঁ শব্দে রাতে ঘুমাতে পারিনি। আতঙ্কে থাকি শিশু বাচ্চাদের নিয়ে, কখন কে পানিতে পড়ে যায়। নিদারুণ কষ্ট নিয়ে জীবন কাটছে আামাদের।
ডাউয়াবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মশিউর রহমান বলেন, আমার ইউনিয়নের প্রায় কয়েক হাজারের বেশি পরিবার টানা দুদিন পানিবন্দি। তাদের তালিকা করার পাশাপাশি খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড লালমনিরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী শুনীল কুমার জানান, বৃষ্টি ভারত থেকে নেমে আসা উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি বৃহস্পতিবার আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে তিস্তাপারের নিম্নাঞ্চলে দেখা দিয়েছে বন্যা। তাই এসব অঞ্চলের জনগণকে সতর্ক থাকতে বলা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার, দুপুর ১২ টায় ১৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে তিস্তা। আমরা সার্বক্ষণিকভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি।
তিস্তা ব্যারাজের নিবাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় পানি আরো বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও সকাল ৯টায় পানি আরো ৪ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার আর দুপুর ১২ টায় পানি ১৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানির চাপ সামাল দিতে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি গেট খোলা রাখা হয়েছে। আমরা সার্বক্ষণিকভাবে পরিস্থিতি এবং ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ ও রাস্তাগুলো পর্যবেক্ষণ করছি।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক এইচএম রকিব হায়দার বলেন, পানিবন্দি পরিবারগুলোর মাঝে প্যাকেটজাত শুকনো খাবার ও জিআর চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। খুব দ্রুত বিতরণ শুরু করা হয়েছে। আরও কিছু শুকনো খাবারের জন্য বরাদ্দ চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। পানিবন্দি মানুষগুলোর খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে, যাতে তারা কষ্ট না পায়। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
চলারপথে ডেস্ক :
প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার অংশে রোহিঙ্গাদের সাক্ষাৎ করতে মিয়ানমারের প্রতিনিধি দল কক্সবাজারের টেকনাফে পৌছেছে। প্রত্যাবাসনের তালিকাভুক্ত পরিবারের বাদ পড়া সদস্য রোহিঙ্গাদের বিষয়ে মিয়ানমার থেকে আসা প্রতিনিধি দল যাচাই-বাছাই শুরু করেছে।
আজ ১৫ মার্চ বুধবার সকাল ১০ টায় টেকনাফ সদরের স্থলবন্দরে ভেতরে ভবনে প্রতিনিধি দলের সাথে রোহিঙ্গাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এসময় শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের প্রতিনিধিসহ সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকালে স্পীড বোট যোগে মিয়ানমারের টেকনিক্যাল টিমের ১৭ সদস্যর প্রতিনিধি দল টেকনাফ মিয়ানমার ট্রানজিট জেটি ঘাটে পৌঁছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, নিরাপত্তা মাধ্যমে বাসে করে লেদা-নয়াপাড়া ক্যাম্পের বসবাসকারী ২০ পরিবারের ৭০জন রোহিঙ্গাকে দাফে দাফে টেকনাফ স্থল বন্দরের ভেতরে রেস্টহাউসে পেন্ডলে নিয়ে আসা হয়। এরপর তাদের সেখানে একে একে সবাই জিজ্ঞেসাবাদ করা হবে।
এ বিষয়ে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মো. মিজানুর রহমান জানান, রোহিঙ্গাদের যাচাই-বাচাই করা হচ্ছে। মূলত ২০১৮ সালে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মিয়ানমারকে ৮ লাখ ৮২ হাজার রোহিঙ্গাদের একটি তালিকা দেয়। এরপর মিয়ানমারের ৬৮ হাজার রোহিঙ্গা ফিরতি তালিকা পাঠায়। সেখানে অনেকের পরিবারের মধ্য সদস্য বাদ পরেছে। এ বিষয়টি তাদের (মিয়ানমারকে) অবহিত করা হয়েছি। তারই অংশ হিসেবে তাঁরা (মিয়ানমার) আগ্রহ প্রকাশ করছে, বাদপড়া রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলবেন, কেন বাদ পড়েছেন এবং তাদের দলিলপত্র দেখবেন। তারই অংশে মিয়ানমার প্রতিনিধি দলটি বাংলাদেশে আসা।’
মিয়ানমার প্রতিনিধি দলের সাথে বৈঠক অংশ নিতে আসা টেকনাফের লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নেতা মো. জাফর জানান, ‘ মিয়ানমা থেকে আাসা প্রতিনিধি দলের সাথে সাক্ষাৎ করতে আামদের ডাকা হয়েছে। আমার মতো আরো অনেকে এসেছে। মূলত মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার বিষয়ে তাদের সাথে আমাদের আলোচনা কথা রয়েছে। বৈঠক শেষে বিস্তারিত বলা যাবে।’
অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (উপ-সচিব) খালিদ হোসেন বলেন, ‘মিয়ানমারের ১৭ জনের একটি প্রতিনিধি দল এসেছে। পরে তাদের সাথে রোহিঙ্গাদের বৈঠকে বসার কথা রয়ছে।’
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা শাখার আহবায়ক মোঃ আরিফ নূরুল আমীনকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। ২৬ জুন বৃহস্পতিবার দুপুরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন দীলিপ ও সদস্য সচিব মোল্লা সালাউদ্দিনের স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই অব্যাহতির কথা জানানো হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট প্রমাণের ভিত্তিতে অভিযোগ থাকায় গত ২৩ জুন কারণ দর্শানোর জবাব চাওয়া হলেও কর্ণপাত না করে উল্টো মারাত্মক দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত হওয়ায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা শাখার আহবায়ক মোঃ আরিফ নূরুল আমিনকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হলো। পাশাপাশি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ও সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদল ও তার অধীনস্ত সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদেরকে মোঃ আরিফ নূরুল আমিনের সাথে সকল প্রকার যোগাযোগ না রাখার নির্দেশ প্রদান করা হলো।
২৫ জুন তারিখে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন দীলিপ ও সদস্য সচিব মোল্লা সালাহউদ্দিন এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন দীলিপের সাথে যোগাযোগ করলে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।