অনলাইন ডেস্ক :
ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে কুমিল্লার মেঘনা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) লিটন চন্দ্র দে’র বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে আবুল কাশেম নামে এক ব্যক্তি ৩০ মে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর লিখিত দিয়েছেন।
তাঁর ভাষ্য, ২৫ মে উপজেলার চন্দনপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) উপনির্বাচন চলার সময় আচরণবিধি লঙ্ঘনের মিথ্যা অভিযোগে তাঁকে ৩০০০ টাকার জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক লিটন চন্দ্র দে। কিন্তু তাঁর হাতে দেওয়া রসিদে ৫০০ টাকা লেখা হয়। এ বিষয়ে জানতে চাওয়ায় তাঁকে গালাগালি করেন ওই বিচারক। একই সঙ্গে ছয় মাসের জন্য কারাগারে পাঠানোর হুমকি দেন।
আবুল কাশেম উপজেলার ঠাকুরকান্দি গ্রামের বাসিন্দা। ২৫ মে বিকেলে এক অসুস্থ আত্মীয়কে দেখতে সিএনজি চালিত অটোরিক্সায় করে যাচ্ছিলেন তিনি। সোয়া চারটার দিকে চন্দনপুর ইউনিয়নের তুলাতুলি কাচারীকান্দি গ্রামে পৌঁছান। ওই গ্রামের পূর্বপাশের সড়কে যাওয়ার পর সহকারী কমিশনারের (ভূমি) গাড়ি চালক বলেন, ‘স্যার আপনাকে ডাকেন।’ কাশেমকে সেখান দিয়ে যাওয়ার কারণ জানতে চান ওই কর্মকর্তা। তিনি রোগী দেখতে যাওয়ার কথা জানালে লিটন চন্দ্র দে বলেন, এখন যাওয়া যাবে না। তখন কাশেম বাড়ি ফিরে যাওয়ার কথা জানালেও ছাড়তে রাজি হননি। বলেন, নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় তিন হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
কাশেমের ভাষ্য, ‘সেখানে গাড়ি থামতে বললে আমি এসিল্যান্ড স্যারের কাছে যাই। তিনি আমাকে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছি জানিয়ে ৩০০০ টাকা জরিমানা করেন। কিন্তু রসিদে ৫০০ টাকা লেখা ছিল। বিষয়টি জানতে চাওয়ায় তিনি (এসিল্যান্ড) আমার সঙ্গে অকথ্য ভাষা ব্যবহার করেন ও ছয় মাসের জেল দেওয়ার ভয় দেখান।’ এর প্রতিকার চেয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তিনি।
তবে এমন অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন’ ও ‘মিথ্যাচার’ বলে দাবি করেন লিটন চন্দ্র দে। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে তাঁকে ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ৩০০০ টাকা নেওয়ার অভিযোগ মিথ্যা। সেখানে পুলিশ ও আনসারের অনেক সদস্য উপস্থিত ছিলেন। আমি তাঁকে বলেছি, ৫০০ টাকা জরিমানা না দিলে তিন দিনের সাজা দেওয়া হবে।’
মেঘনার ইউএনও রাবেয়া আক্তার বলেন, এ বিষয়ে কিছু বলতে পারবেন না। তাঁর হাতে এ-সংক্রান্ত কোনো কাগজপত্র আসেনি।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল্লাহ মিয়া রতন শিকদার অভিযোগটি শুনেছেন জানিয়ে বলেন, ‘এমন যদি হয়ে থাকে, অবশ্যই তা খুবই দুঃখজনক। এসিল্যান্ড সাহেবের ব্যাপারে (জমিজমার) খারিজ নিয়েও নানা অভিযোগ আমার কাছে আসছে।’
চলারপথে রিপোর্ট :
পুর্বধলায় জালশুকা বাজারে চান মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডে দুটি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
আজ ১৭ জানুয়ারি বুধবার বেলা সাড়ে এগারোটায় নেত্রকোনা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পুর্বধলা উপজেলার শ্যামগঞ্জের জালশুকায় মো. আব্দুল্লাহর তুলার দোকানে প্রথমে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। পরে স্থানীয়সহ পুর্বধলার ফায়ার সাভিস ও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সকলে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে অল্পক্ষণেই।
এদিকে পাশাপাশি থাকায় তুলার দোকানের সাথে ওবায়দুল হক তালুকদারের ফিস ফিডের দোকানটিও পুড়ে যায়। তবে কেউ আহত হয়নি।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, ময়মনসিংহের গৌরিপুর উপজেলার চরপাড়া গ্রামের ব্যবসায়ী মো. আব্দুল্লাহর তুলার দোকান থেকে আগুনের সুত্রপাত ঘটে। হঠাৎ তুলার দোকানের কর্মচারি দেখেন বিদ্যুৎ এর সুইচ বোর্ডে শব্দ হয়ে ধোঁয়া বের হচ্ছে। তাৎক্ষণিক নিজে দোকান থেকে বেরিয়ে পড়েন সেইসাথে চিৎকার চেঁচামেচি করলে অন্যরাও এগিয়ে আসেন। এদিকে ততক্ষণে পাশের দোকান একই উপজেলার ময়লাকান্দা গ্রামের ওবায়দুল হক তালুকদারের ফিসফিডসহ কীটনাশকের দোকানেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে। পরে স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের খবর দেয় এবং আগুন নিয়ন্ত্রণে সহযোগিতা করে।
এ ব্যাপারে শ্যামগঞ্জ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আশরাফুল ইসলাম জানান, মূলত লেপ তোষকের দোকান থেকেই আগুনের সূত্রপাত ঘটে বলে জানায় স্থানীয়রা। হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
অনলাইন ডেস্ক :
কুয়াকাটায় স্থাপিত দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের (সি-মি-উই-৫) রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য আগামীকাল ১৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে এক ঘণ্টা ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ পরিষেবা বন্ধ থাকবে।
আজ ১৭ এপ্রিল বুধবার বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস পিএলসি এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
এতে বলা হয়, কুয়াকাটায় স্থাপিত দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের (সি-মি-উই-৫) রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য ১৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত এক ঘণ্টা ক্যাবলটির মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ পরিষেবা বন্ধ থাকবে। ফলে গ্রাহকরা সাময়িকভাবে ইন্টারনেটে ধীরগতির সম্মুখীন হতে পারেন বা ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিত হতে পারে।
তবে, একই সময়ে কক্সবাজার ল্যান্ডিং স্টেশন থেকে (সি-মি-উই-৪) সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে ব্যান্ডউইডথ সেবা যথারীতি চালু থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
মুন্সীগঞ্জের মুক্তারপুর-সিপাহীপাড়া সড়কে বেইলি সেতু ভেঙে একটি মালবাহী ট্রাক খালে পড়ে আহত হয়েছেন ট্রাকচালক ও হেলপার। আজ ১৭ অক্টোবর মঙ্গলবার ভোরের দিকে সদর উপজেলার বণিক্যপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, গত কয়েক বছর ধরেই বেশ নড়বড়ে ছিল বণিক্যপাড়া এলাকা বেইলি সেতুটি। বর্তমানে পাশেই আরেকটি কংক্রিটের কালভার্ট নির্মাণ করা হচ্ছে। মঙ্গলবার ভোরে নির্মাণাধীন কালভার্টের জন্য নির্মাণসামগ্রী নিয়ে মুক্তারপুর থেকে একটি ট্রাক আনা হয়। মালবাহী ট্রাকটি সেতু পার হওয়ার সময় হঠাৎ বিকট শব্দে ভেঙে পড়ে সেতুটি। এ সময় ট্রাকটি নিচের খালে পড়ে গেলে চালক এবং তার সঙ্গে থাকে হেলপার আহত হন। তাদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তবে দুর্ঘটনার সময় অন্যকোনো যানবাহন সেতুতে না থাকায় বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
এদিকে ভেঙে পড়া সেতুর পাশে আরেকটি বিকল্প বেইলি সেতু থাকায় জান চলাচল বন্ধ না হলেও যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছে।
মুন্সীগঞ্জ সড়ক ও জনপদের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ নাহীন রেজা জানান, রাতে ওই ব্রিজের নির্মাণ কাজে নিয়োজিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালামাল নিয়ে একটি ট্রাক যাওয়ার সময় বেইলি ব্রিজটি ভেঙে পড়ে। তবে পাশেই বিকল্প আরেকটি বেইলি ব্রিজ সচল রয়েছে। সেটি দিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। এছাড়া নির্মাণাধীন ২২ মিটারের কংক্রিটের কালভার্টটি ৯ মিটার তৈরি হয়েছে। সেই অংশ যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে সড়কটিতে কোনো যানজট নেই।
চলারপথে রিপোর্ট :
কুমিল্লায় পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্স পুলিশসহ অংশীদারি সব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ম্যাজিস্ট্রেটদের সেতুবন্ধ সৃষ্টি করে। এর মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার পথে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা দূর হবে।
বিচার বিভাগের সব অংশীদারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের বিচার পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করা সহজ হবে। ফৌজদারি মামলার ক্ষেত্রে পুলিশকে যথাযথভাবে গ্রেফতার ও তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন । এছাড়াও আসামি গ্রেফতার মালামাল জব্দ বিষয়ে যথাযথ ভাবে আইন অনুসরণ করে কাজ করার জন্য কুমিল্লা জেলার সকল ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবং সংশ্লিষ্টদেরকেনির্দেশনা দেওয়া হয়।
কুমিল্লা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের কনফারেন্স রুমে আজ ১৩ মে শনিবার আয়োজিত ‘পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসি সম্মেলন-২০২৩’ অনুষ্ঠানে বক্তারা এ কথা বলেন।
সম্মেলনে কুমিল্লার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. হেলাল উদ্দিন প্রধান অতিথি ছিলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কুমিল্লা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো.সোহেল রানা।
এছাড়া সভায় কুমিল্লার পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান কুমিল্লা জেলার সিভিল সার্জনের প্রতিদিন ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), কুমিল্লা জেলার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, কুমিল্লা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিভিন্ন পর্যায়ের ম্যাজিস্ট্রেট, কুমিল্লা পুলিশ অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি), কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতা পরিচালকদের প্রতিনিধি, র?্যাব ১১-এর প্রতিনিধি এবং বিজিবি-১০ এর প্রতিনিধি ও কুমিল্লা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিচালক, কুমিল্লা সিনিয়র জেল সুপার, কুমিল্লা জেলার সকল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গণ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটরসহ কুমিল্লা জেলার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আইনজীবী সমিতির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী মানুষের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছে। কিন্তু জ্বালানি তেল, কয়লা বা গ্যাসের অভাব সারা বিশ্বব্যাপী। এখন কেনাটাই অনেকটা মুশকিল। ক্রয় করাটা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। তারপরও প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। ইতোমধ্যে কাতার ও ওমানের সঙ্গে চুক্তি সই হয়ে গেছে। জলবিদ্যুৎ আমদানিরও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কয়লা কেনার জন্য ইতোমধ্যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে যাতে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো আবার চালু করা যায়। আজ ৪ জুন রবিবার সংসদের বৈঠকে শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, করোনা ভাইরাসের অতিমারি আর ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধের ফলে সমগ্র বিশ্বে যে খাদ্যমন্দা, মুদ্রাস্ফীতি, পরিচালনা ও পরিবহন ব্যয়, বিদ্যুতের ঘাটতি- এটা প্রত্যেকটি মানুষের জীবনকে অসহনীয় করে তুলেছে। বাংলাদেশ সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছে। বিশ্বের এই অস্বাভাবিক পরিস্থিতি আর কতদিন চলবে তা কেউ বলতে পারে না। হয়তো বিশ্ব পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যেতে পারে।
আওয়ামী লীগ দলীয় চট্টগ্রাম-১০ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ডা. আফছারুল আমীনের মৃত্যুতে সংসদে শোক প্রস্তাব আনা হয়। চলতি সংসদের কোনো সদস্যের মৃত্যুতে বৈঠক মুলতবি করার রেওয়াজ রয়েছে। শোক প্রস্তাব গ্রহণের পরের দিনের কার্যক্রম স্থগিত করে সোমবার বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত সংসদের বৈঠক মুলতবি করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
শোক প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে সংসদ নেতা বলেন, সরকার জ্বালানি সংকট মোকাবিলায় উদ্যোগ নিয়েছে। আজকে স্বাধীনতার সুফল মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছাচ্ছে। মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নতি হয়েছে। যদিও ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ, নিষেধাজ্ঞা, পাল্টা নিষেধাজ্ঞা, বিশ্বব্যাপী মুদ্রাস্ফীতি, জ্বালানি তেলের অভাবের কারণে এখন শুধু বাংলাদেশ নয়, উন্নত দেশগুলোও হিমশিম খাচ্ছে। ইউরোপ, আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশে কিন্তু জ্বালানির অভাব হচ্ছে।
সরকারপ্রধান বলেন, লোডশেডিং বা বিদ্যুৎ ব্যবহার সীমিত করা হচ্ছে। খাদ্যপণ্য থেকে শুরু করে প্রত্যেকটি জিনিসের দাম বেড়ে গেছে। উন্নত দেশেও বহু মানুষ চাকরি হারাচ্ছে। এমন একটি অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সারা বিশ্বব্যাপী।
তিনি বলেন, জানি না আর কখনও এ রকম পরিস্থিতি হয়েছিল কিনা। হয়তো প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরে হয়েছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে তো দুর্ভিক্ষ ও মন্বন্তর দেখা দিয়েছিল।
সবাইকে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে সংসদ নেতা বলেন, বিদ্যুৎ ব্যবহারে একটু সাশ্রয়ী হতে হবে। সব জিনিস ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে। খাদ্য উৎপাদনও বাড়াতে হবে। চেষ্টা করে যেতে হবে। বিশ্বের এই অস্বাভাবিক পরিস্থিতি আর কতদিন চলবে তা কেউ বলতে পারে না। হয়তো বিশ্ব পরিস্থতি আরও খারাপের দিকে যেতে পারে। দেশের মানুষের সুরক্ষার জন্য, খাদ্য নিরাপত্তার জন্য যা যা করণীয় তা করে যাচ্ছেন বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
মরহুম আফসারুল আমীনকে স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, তিনি ছাত্রজীবন থেকে ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। প্রতিটি সংগ্রামে তিনি ভূমিকা রেখেছেন। নিবেদিতপ্রাণ ছিলেন। দলের প্রতি তাঁর নিষ্ঠা ও সততা ছিল অতুলনীয়। তিনি মন্ত্রী হিসেবেও অত্যন্ত সাফল্য দেখিয়েছেন।
তিনি বলেন, ৭৫ এর পর ২১টি বছর মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি করা হয়েছে। অনেক মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দেওয়ারও সাহস পেতেন না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সংগ্রামের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা হয়েছে। সেই সংগ্রামে আফরারুল আমিনকে পাওয়া গেছে।
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী সবসময়ই দুর্গতদের সেবা করে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯১ সালের ঘুর্ণিঝড় হয়েছে, মানুষ মারা গেছে। তৎকালীন বিএনপি সরকার জানেইনি যে ঘূর্ণিঝড় হয়েছে। সকলের আগে আমাদের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ছুটে যায়। আমি নিজেও ছুটে যাই। সেই কুতুবদিয়া, মহেলখালী, বাশখালী- মানুষের লাশ, মহিলা ও শিশুর লাশ ভাসছে। তখন আফসারুল আমিনসহ চট্টগ্রামের সকল নেতারা মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। আমরা সাধ্যমতো রিলিফ দেওয়া ও লাশ দাফনের ব্যবস্থা করি। এটা নিয়ে সংসদে প্রধানমন্ত্রী (খালেদা জিয়া) বলেছিলেন, যত মানুষ মরার কথা ছিল তত মানুষ মরেনি। তিনি তখনও জানেননি। তাঁর কাছে কোনো খবর ছিল না। আমি জিজ্ঞাসা করেছিলাম কত মানুষ হলে আপনার তত মানুষ হবে।
শোক প্রস্তাবের ওপর অন্যদের মধ্যে সিনিয়র পার্লামেন্টারিয়ান তোফায়েল আহমেদ, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদ, শিক্ষা উপমন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সরকারি দলের মোতাহার হোসেন, নুরুল ইসলাম নাহিদ, ওয়াসিকা আয়শা খান, জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু ও মসিউর রহমান রাঙা বক্তব্য রাখেন।