চলারপথে রিপোর্ট :
চলতি ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে এডিপি ও রাজস্ব খাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাপরিষদ ১ম পর্যায়ে ২৯১টি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য প্রায় ১১ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে মর্মে জেলাপরিষদ চেয়ারম্যান, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার আজ ২ জুন শুক্রবার তাঁর কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলোচনায় এই তথ্য প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, গৃহীত প্রকল্পের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি, শহীদ সমাধি, গণকবর, বধ্যভূমি সংরক্ষণ এবং খেতাবপ্রাপ্ত মুিক্তযোদ্ধাসহ সংগঠকদের স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ এবং ওয়ার মেমোরী স্থাপনসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান উন্নয়ন, কবরস্থান ও শ্মশান এবং সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান উন্নয়নসহ গ্রামীণ অবকাঠামোর উন্নয়নে এসব প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। দ্রুত দরপত্র আহবানের মাধ্যমে ঠিকাদার নিয়োগ করে সহসাই প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজ শুরু হবে।
তিনি আরো জানান, জেলার মাননীয় মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের বিশেষ বরাদ্দসহ ২য় পর্যায়ে প্রায় ৫ কোটি ২১ লক্ষ টাকা ব্যয় আরো ১৩৫টি প্রকল্পের শীঘ্রই মন্ত্রণালয় থেকে প্রশাসনিক অনুমোদনের পর বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া শুরু হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পৌর শহরের খৈয়াসার এলাকায় অবস্থিত ৭তলা বিশিষ্ট সালমা-সাঈদ তাহফিজুল কোরআন মাদ্রাসা ভবন থেকে পালাতে গিয়ে ছয়তলার পাইপে আটকে থাকা মোঃ জহিরুল ইসলাম (১০) নামে এক মাদ্রাসা ছাত্রকে উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের লোকেরা।
স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে আজ ৬ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টায় ফায়ার সার্ভিসের ফায়ার ফাইটার আলমগীর হোসাইন জহিরুলকে উদ্ধার করেন।
উদ্ধারকৃত জহিরুল ইসলাম সরাইল উপজেলার আবদুল করিমের ছেলে। শিশু জহিরুল ইসলাম সালমা-সাঈদ তাহফিজুল কোরআন মাদ্রাসার নাজেরা শাখার ছাত্র।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের ফায়ার ফাইটার আলমগীর হোসাইন জানান, মঙ্গলবার দুপুরে স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে আমরা ওই বহুতল বিশিষ্ট মাদ্রাসা ভবনে গিয়ে ছয়তলার পাইপে আটকে থাকে জহিরুল ইসলামকে উদ্ধার করি। দীর্ঘ ১ ঘন্টা উদ্ধার অভিযান চালিয়ে তাকে উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে সালমা-সাঈদ তাহফিজুল কোরআন মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ বায়েজিদ আহমেদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, গত ১ জানুয়ারি এই মাদ্রাসা থেকে পালাতে গিয়ে সবুজ নামে নাজেরা শাখার এক ছাত্র ছয়তলার পাইপে আটকে গিয়েছিলো। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের লোকেরা সবুজকে উদ্ধার করে তার মায়ের কাছে হস্তান্তর করেছিলো।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা প্রশাসনের আয়োজনে আগামী ৫ আগস্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৫তম জন্মবার্ষিকী, ৮ আগস্ট বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯৪ তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন এবং ১৫ আগস্ট স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমমানের ৪৯ তম শাহাদাত বার্ষিকী জাতীয় শোক দিবস পালন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা আজ ২৯ জুলাই সোমবার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত প্রস্তুতিমূলক সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান।
সভায় বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ মোঃ বিল্লাল হোসাইন, ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মাহমুদা আক্তার।
সভায় দিবস গুলো যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের ব্যাপক কর্মসূচী গ্রহন করা হয়েছে।
সভায় জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম.এম মাহমুদুর রহমান, পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আঃ কুদদূসসহ জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা, মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংষ্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে অবৈধভাবে অবাধে চলছে পাওয়ার টিলার, ট্রাক্টর সহ অন্যান্য ইঞ্জিন চালিত যানবাহন। এতে শহরে যানজট সহ দুর্ঘটনা ঘটছে প্রায়শ। কৃষিকাজে ব্যবহৃত যান সড়ক পথে চালাচ্ছে প্রশিক্ষণ বিহীন চালকরা। এতে দুর্ঘটনায় হতাহত হয়েছে মানুষ।
আজ ২৫ সেপ্টেম্বর বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের প্রধান সড়কে অন্যান্য দিনের চেয়ে বেশী যানজটের সৃষ্টি হয়।
এ সময়ে শহরে ট্রাক্টর, পাওয়ার টিলার নির্মাণ সামগ্রী সহ মালবোঝাই করে চলতে দেখা গেছে। বিগত দিনে অবৈধভাবে টোকেন প্রথায় এসব যানবাহন চলতো একশ্রেণীর অসাধু প্রতিরোধকারীদের সহায়তায়।
সম্প্রতি জেলা পুলিশ যানজট নিয়ন্ত্রণে কঠোর অবস্থানে গিয়ে ফুটপাত হকার মুক্ত সহ বিভিন্ন কাজ শুরু করেছে। এতে পথ চলাচলে শহরবাসী স্বস্তি পায়। কিন্তু সড়কে অবৈধযান প্রবেশে তেমন বাধা লক্ষ্য করা যায়নি। এতে বিভিন্ন স্থানে দীর্র্ঘ সময় যানজট হয়েছে। শহরের হাসপাতাল রোডে যানজটে পাওয়ার টিলারের পেছনে আটকে পড়েন ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক নিখিল জীবন চাকমা। এসময়ে অবৈধভাবে পাওয়ার টিলার শহরে চলতে পারে কিনা প্রশ্ন করলে, তিনি জানান, এই শহরে ইঞ্জিনচালিত রিকসা যদি চলতে পারে, তাহলে এসব চলতে দোষ কি? পরে বলেন, আমি নতুন এসেছি এসব বন্ধে আমাদের সময় প্রয়োজন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া কমপ্লেক্স ভবনে হামলাকারিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচার দাবি করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাংবাদিকরা। আজ ২৪ আগস্ট শনিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে জেলার সর্বস্তরের সাংবাদিকদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধন চলাকালে এক প্রতিবাদ সভায় সভাপতিত্ব করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. বাহারুল ইসলাম মোল্লা, সাংবাদিক ইউনিয়ন সভাপতি দীপক চৌধুরী বাপ্পী, প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আরজু, সাবেক সহ-সভাপতি সৈয়দ মো. আকরাম, টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জহির রায়হান, সিনিয়র সাংবাদিক সমকালের স্টাফ রিপোর্টার আবদুন নূর, বাংলা টিভির সাংবাদিক আল-আমীন শাহীন।
এতে অন্যান্যেও মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাদেকুর রহমান, দৈনিক করতোয়ার শাহজাহান সাজু, গ্লোবাল টিভির মফিজুর রহমান লিমন, সময় টিভির বুরে্যা চিফ উজ্জল চক্রবর্তী, আলোকিত বাংলাদেশের ফরহাদুল ইসলাম পারভেজ, বৈশাখী টিভির আল-মামুন, আরটিভির আজিজুর রহমান পায়েল, মাছরাঙা টেলিভিশনের আশিক মান্নান হিমেল, রাইজিং বিডির মাইনুদ্দিন রুবেল, নিশাদুল ইসলাম, সোহেল রানা, মো. মামুন, সোহেল আহাদ প্রমুখ।
এসময় বক্তারা ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া কমপ্লেক্স ভবনে হামলার তীব্র নিন্দা ও দোষীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে বলেন, সাংবাদিকরা বিভিন্ন সময়ে নির্যাতিত, নিগৃহিত হয়েছে, হচ্ছে। আজও সাগর-রুনি হত্যা রহস্যের কোনো কুল কিনারা হয়নি। এবারের আন্দোলনে আমাদের জেলাতেও সাংবাদিকদের উপর নির্মম হামলা হয়েছে। এ অবস্থা থেকে আমরা উত্তরণ চাই। অন্যথায় আমরা রাজপথে নেমে আন্দোলন করবো।
এ সময় মাঠ পর্যায়ে কর্মরত সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়। পাশাপাশি ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া কমপ্লেক্সে হামলার প্রতিবাদে সুশীল সমাজ ও সাংবাদিকদের নিয়ে আগামী শনিবার সমাবেশ করার ঘোষণা দেওয়া হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া, জেলা ছাত্রদল, যুবদলের সাবেক সভাপতি ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শহীদ শেখ মো. হাবিবুল্লাহসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ ও হতাহতদের রোগমুক্তি কামনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৬ সেপ্টেম্বর শুত্রুবার বিকেল ৫টায় কাউতলী রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের হল রুমে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
জেলা বিএনপির সাবেক তাঁতী বিষয়ক সম্পাদক শেখ মো. সাদির সভাপতিত্বে দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল।
বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শেখ মো. হাফিজ উল্লাহ হাফিজ।
প্রধান অতিথি কেন্দ্রীয় বিএনপির অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল বলেন, ২০০৬ সালের ২৭ অক্টোবর শহরের পৌর মার্কেটের সামনে জেলা বিএনপির মিছিলে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের বোমা হামলায় শেখ হাবিবুল্লাহ নিহত হয়। আইনি প্রক্রিয়ায় মামলাটি চলছিল এবং যারা দোষী তারা প্রমাণিত হয়েছিল, বিচার চলাকালীন আওয়ামী সরকার নির্বাহী আদেশে মামলাটি স্থগিত করে দেয়। আইনি প্রক্রিয়ায় বাংলার মাটিতে শেখ হাবিবুল্লাহর হত্যার বিচার অবশ্যই হবে। তিনি জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামকে নির্দেশ দেন মামলাটি সচল করে পুনরায় ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করতে। তিনি সব নেতাকর্মীদের সংযত থেকে জনগণের কল্যাণে কাজ করতে আহবান জানান। তিনি দলের নেতাকর্মীদের হুঁশিয়ার করে বলেন, আওয়ামী সরকার যেভাবে পালিয়েছে আমাদেরকেও যেন এমনভাবে পালাতে না হয় এজন্য জণগনের জন্য কাজ করতে অনুরোধ করেন।
এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন, অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম, আনিসুর রহমান মঞ্জু, এবি এম মমিনুল হক, আলী আজম, মাঈনুল হোসেন চপল, মইনুল ইসলাম, হাসেন আলী, ভিপি লিটন, আলহাজ মনির হোসাইন, মিজানুর রহমান, শামিম মোল্লা, রাশেদ হক, আতিকুল হক জালাল, নাজমুল হুদা সানি, জিয়াউল হক, শেখ আব্দুল্লাহ, ফুজায়েল চৌধুরী রুবেল, সাজিদুর রহমান সাজিদ, রাসেল সরকার, সোলায়মান হোসেন জুয়েল, মো. মামুন, সোহেল, মো. মুক্তি, এখলাস খাব, মীর রিয়াদ প্রমুখ।
দোয়া মাহফিলে পরিবারের পক্ষ থেকে শহীদ শেখ হাবিবুল্লাহর ছোট ভাই শেখ আমানুল্লাহ ন্যায় বিচার পেতে সব নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানান।