চলারপথে রিপোর্ট :
দেশ বরেণ্য শিল্পপতি আব্দুল মোনেমের ৩য় মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় স্মরণ সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার বিকালে উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের ধলেশ্বর গ্রামের রাবিয়া খাতুন স্মৃতি পাঠাগারের উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন রাবিয়া খাতুন স্মৃতি পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা সুপ্রীম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী আকছির এম. চৌধুরী।
আকরাম হোসেনের সঞ্চালনায় আলোচনায় স্মরণ সভায় বরেণ্য এই গুণি ব্যক্তির জীবন ও কর্মের উপর আলোচনা করে বক্তব্য রাখেন, আখাউড়া প্রকৃতি ও পরিবেশ ক্লাবের আহবায়ক সাংবাদিক রুবেল আহমেদ, বেসরকারি গ্রন্থাগার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সাধারণ সম্পাদক কবির হোসেন কানু, স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী নেছার উদ্দিন ভুঁইয়া, আমির চৌধুরী, রনি চৌধুরী, আনোয়ার হোসেন, রতন চৌধুরী, শফিকুল ইসলাম প্রমুখ। বক্তারা বলেন, আমরা জীবনে সবাই সফল হতে চাই, সেরা হতে চাই, বিখ্যাত হতে চাই।
এদের মধ্যে শুধুমাত্র হাতেগোনা কয়েকজন সফলকাম হন। তেমন একজন সফল মানুষ বিশিষ্ট শিল্পপতি আব্দুল মোনেম। তিনি তার সংক্ষিপ্ত জীবনে পৃথিবীতে রেখে গেছেন অনেক কীর্তিগাঁথা যা মানুষ মনে রাখবে সুদীর্ঘ সময়কাল। ভোগ করবে এর সুফল। তার একক প্রচেষ্টায় তিনি শূন্য থেকে শীর্ষ সারিতে আরোহণ করেছেন। তাঁর জীবন থেকে অনেক কিছু শিক্ষা নেওয়ার আছে বলে মন্তব্য করেন বক্তারা।
অনুষ্ঠানে আব্দুল মোনেমের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। পরে মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া পাঠ করা হয়।
উল্লেখ্য, মরহুম আব্দুল মোনেম এর নানার বাড়ি আখাউড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের হীরাপুর গ্রামে। তিনি তার শৈশবের একটি বড় অংশ আখাউড়ায় নানার বাড়িতে কাটিয়েছেন। আখাউড়া পৌরশহরের তারাগনে তার শশুর বাড়ি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হকের ফুফাতো ভাই ছাইদুর রহমান (স্বপন) এবং আখাউড়া উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে উপজেলার মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদের তিনবারের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ মনির হোসেন নির্বাচিত হয়েছেন। আজ ২১ মে মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত কসবা ও আখাউড়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
কসবা উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ছাইদুর রহমান স্বপন (কাপ-পিরিচ প্রতীক) ৮৬ হাজার ৬৯৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাওসার ভূইয়া জীবন ( আনারস প্রতীক) পেয়েছেন ৩৯ হাজার ৯৫৯ ভোট।
বিজয়ী চেয়ারম্যান ছাইদুর রহমান স্বপন (কাপ-পিরিচ প্রতীক) আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হকের ফুফাতো ভাই। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও উপজেলার কুটি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিতেই তিনি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেন।
নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাউসার ভূইয়া জীবন (আনারস প্রতীক) আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হকের সাবেক সহকারী একান্ত সচিব। তিনি কসবা উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক।
অপরদিকে আখাউড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোঃ মনির হোসেন (ঘোড়া প্রতীক) ২৮ হাজার ৩০৯ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি, উপজেলা পরিষদের বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান (আনারস প্রতীক) মোঃ মুরাদ হোসেন ভ‚ইয়া পেয়েছেন ১৪ হাজার ৫৬৩ ভোট।
বিজয়ী চেয়ারম্যান মোঃ মনির হোসেন (ঘোড়া প্রতীক) আখাউড়া উপজেলা উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহবায়ক ও মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদের তিনবারের সাবেক চেয়ারম্যান। অপরদিকে তার নিকটতম প্রতিদ্ব›িদ্ব মোঃ মুরাদ হোসেন ভূইয়া (আনারস প্রতীক) উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক ও উপজেলা পরিষদের বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান।
ভোট গননা শেষে জেলা পুলিশের একটি দায়িত্বশীল সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে যারা জয়লাভ করেছেন- তাদের জোট বাধা না বাধার বিষয়টি পরিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত বিরোধী দল কাকে বলা হবে, সেটি জানতে অপেক্ষা করতে হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
৮ জানুয়ারি সোমবার বিকেলে আখাউড়া উপজেলা সদরের মোটরস্ট্যান্ড এলাকায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা জানান। আনিসুল হক ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা ও আখাউড়া) আসনে টানা তৃতীয়বারের মতো আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন।
৭ জানুয়ারি রবিবার অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৯৮টি আসনের মধ্যে ২২২টিতে জয়লাভ করেছে বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। আর জাতীয় পার্টি জয়লাভ করেছে ১১টি আসনে। এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পেয়েছেন ৬২টি আসন, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি ১টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) ১টি এবং বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি ১টি আসনে জয়লাভ করেছে।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘স্বতন্ত্র যারা জয়লাভ করেছেন, তাদের অবস্থান কী হবে সেটি এখনও নিশ্চিত নয়। তারা নিজেরা জোট করবেন নাকি আলাদা থাকবেন- সেটি যতক্ষণ পর্যন্ত পরিস্কার না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত বিরোধী দল কে, কাকে বলা হবে সেটার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।’
এ সময় আইনমন্ত্রীর সঙ্গে আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক তাকজিল খলিফাসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস উপলক্ষে র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ৩১ মে শুক্রবার সকালে উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে র্যালিটি বের হয়ে প্রধান সড়ক পর্যন্ত গিয়ে ফিরে আসে।
র্যালিতে প্রশাসনের কর্মকর্তা, শিক্ষক, চিকিৎসকসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ অংশ নেয়।
পরে উপজেলা সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাবেয়া আক্তারের সভাপতিত্বে এসময় বক্তব্য রাখেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস.এম. রাহাতুল ইসলাম, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোঃ লুৎফুর রহমান, উপজেলা শিক্ষা অফিসার শাহ ইলিয়াস উদ্দিন, প্রধান শিক্ষক মো. মাহতবাব মিয়া, শিক্ষক দিলিপ দেবনাথ, মোঃ রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
বক্তারা তামাকের কুফল সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন। তামাক ব্যবহারে মানব দেহের ক্ষতি ও অর্থ অপচয় হয়। তামাক প্রতিরোধে আইনের প্রয়োগ বেশি দরকার বলে মনে করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় ও তানজিবুল ইসলাম খাদেম (১৪) নামের এক স্কুলছাত্র গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
আজ ১৪ মে রবিবার সকালে আখাউড়া পৌরশহরের দূর্গাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত তানজিবুল ইসলাম খাদেম ওই গ্রামের আরিফুর রহমান খাদেমের ছেলে। সে আখাউড়া রেলওয়ে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীতে পড়তো। পড়ার কথায় বলায় বাবার সাথে অভিমান করে সে আত্মহত্যা করেছে বলে ধারনা করছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, কিছু দিন পর স্কুলের পরীক্ষা। পড়ালেখায় অমনোযোগি হওয়ায় শনিবার সন্ধ্যায় তানজিবকে তার বাবা পড়তে বসতে বলে। এ নিয়ে বাবার উপর অভিমান করে।
রবিবার সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে বসতঘরের তীরের সাথে রশি দিয়ে গলায় ফাঁস দেয়। ঝুলন্ত অবস্থায় স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
আখাউড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) আসাদুল ইসলাম বলেন প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে পড়াশোনায় অমনোযোগী হওয়ায় বাবা বকা দেওয়ায় অভিমান করে সে আত্মহত্যা করেছে।
মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ বলা যাবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজিবি দিবসকে স্মরণীয় করে রাখার লক্ষ্যে আজ ২০ ডিসেম্বর বুধবার বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া চেকপোষ্ট সীমান্তের শূণ্য রেখায় বিজিবি-বিএসএফ যৌথ রিট্রিট সিরিমনি প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৬০ বিজিবি সুলতানপুর ব্যাটালিয়নের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় বিজিবি আখাউড়া আইসিপি এবং ভারতের ত্রিপুরার ৪২ ব্যাটালিয়ন বিএসএফ আগরতলা আইসিপির মধ্যে যৌথ রিট্রিট সিরিমনি প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিজিবি কুমিল্লা সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল মোঃ শরিফুল ইসলাম মেরাজ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও ৬০ বিজিবি সুলতানপুর ব্যাটালিয়েনের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মুহাম্মদ আশিক হাসান উল্লাহ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, ৬০ বিজিবি সুলতানপুর ব্যাটালিয়েনের উপ-অধিনায়ক মেজর এ এম জাবের বিন জব্বার, পুলিশ সুপার মোঃ সাখাওয়াত হোসেন, বিএসএফ ৪২ ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত কমানডেন্ট কে এস ন্যাগী, আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাবেয়া আক্তারসহ বিজিবি ও বিএসএফ এর বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অতিথিদের আগমনের পর বন্ধুত্বের সেতু বন্ধনের অংশ হিসেবে বিজিবি-বিএসএফ প্যারেড কন্টিজেন্ট দল চমকমপ্রদ ও মনোমুগ্ধকর প্যারেড প্রদর্শন করেন। বিউগলের সুরের সাথে দুই দেশের জাতীয় পতাকা নমিত করা হয়। এসময় সীমান্তের দুই অংশে শত শত দর্শনার্থী দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর প্যারেড উপভোগ করেন এবং করতালির মাধ্যমে তাদেরকে অভিনন্দন জানান।
প্যারেড শেষে বিজিবি কুমিল্লা সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল মোঃ শরিফুল ইসলাম মেরাজ এবং বিএসএফ ৪২ ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত কমানডেন্ট কে এস ন্যাগী পরস্পরকে বিজিবি দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে ফুল ও মিষ্টি উপহার দে।
বিএসএফ ৪২ ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত কমানডেন্ট কে এস ন্যাগী বিজিবি দিবসে শুভেচ্ছা জানান।
বিজিবি কুমিল্লা সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল মোঃ শরিফুল ইসলাম মেরাজ বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রয়েছে। এ ধরনের অনুষ্ঠান আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সর্ম্পক উন্নয়নের একটি মাধ্যম।
তিনি বলেন, এই এলাকায় বর্তমানে সীমান্ত হত্যা প্রায় শূণ্যের কোটায়। গত এক বছরে একটি সীমান্ত হত্যার ঘটনা ঘটে। এটা আমাদের দ্ইু বাহিনীর মধ্যে যে সুসম্পর্ক তারই বহিঃপ্রকাশ। এ ধরনের অনুষ্ঠান দু’দেশের সম্পর্ক উন্নয়ন ও মানুষকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করবে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।
বিএসএফ’র আপত্তিতে আখাউড়া ইমিগ্রেশন ভবন নির্মাণ কাজ বন্ধের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিজিবি কুমিল্লা সেক্টর কমান্ডার বলেন, এটা অচিরেই শুরু হয়ে যাবে। মন্ত্রণালয় পর্যায়ে কথাবার্তা চলছে। অচিরেই এ ব্যপারে সিদ্ধান্ত পেয়ে যাবো।