চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নবীনগর উপজেলা থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক নবীনগর পত্রিকার পক্ষ থেকে ১৩টি বিভাগে ২৯জন গুনী ব্যক্তিকে গুণীজন সম্মাননা পদক-২৩ প্রদান করা হয়েছে। প্রজন্ম তিতাস ও মরহুম জহিরুল হক খসরু মাস্টার চ্যারিটেবল ট্রাস্ট এর সহায়তায় গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় আশেয়া আমজাদ টাওয়ার মিলনায়তনে এ গুণিজন সম্মাননা পদক প্রদান অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মাননা পদক প্রাপ্তরা হলেন, মুক্তিযুদ্ধ-বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আব্দুস ছালাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাজুল আলম (মরণোত্তর), সমাজসেবা- মোশারফ হোসেন মদন মিয়া, সাধন চন্দ দেব (মরনোত্তর), চিকিৎসা-ডা. আমজাদ হোসেন, ডাঃ শান্তি রঞ্জন সাহা (মরণোত্তর), শিক্ষা-শ্যামা প্রসাদ ভুট্টাচার্য, বিমল কান্তি গুহ, তাজুল ইসলাম, সাহিত্য-দিলদার বেগম রোকেয়া (মরণোত্তর), সরকার জাহানারা ফরিদ, জোবায়ের আহাম্মদ মোমেন, ক্রীড়া-আবদুল আহাদ, শিতাংশু বিকাশ পাল (মরণোত্তর), সংবাদ পত্র প্রসার- লোকমান হেকিম চৌধুরী, লোকজ সংস্কৃতি-বিপিন পাল (মরণোত্তর), দীন মোহাম্মদ, কন্ঠ সঙ্গীত-হাসান আলী খান, হেলাল উদ্দিন ভূঁইয়া (মরণোত্তর), চন্দন আচার্য, যন্ত্রসঙ্গীত-আদ্র কান্তি তাথৈ, নাটক-নকুল চন্দ, মোখলেছুর রহমান (মরণোত্তর), আবদুল ওয়াদুদ, সাংবাদিকতা- মোহাম্মদ আরজু, আবু কামাল খন্দকার, সংগঠক-শংকরী দত্ত, সংগঠন-বিদ্যুৎ সংঘ, মনন।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একরামুল ছিদ্দিক।
ডাক্তার আহম্মেদ হোসেন ফুল মিয়া সভাপতিত্ব করেন।
সাপ্তাহিক নবীনগর এর প্রকাশক সম্পাদক আব্বাস উদ্দিন হেলালের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট শিব শংকর দাস, উপজেলা আওয়ামীলীগ সেক্রেটারী জহির উদ্দিন চৌধুরী সাহান, শফিকুল ইসলাম ।
বক্তব্য রাখেন শংকরী দত্ত, নুরল আলম কাউছার, কান্তিকুমার ভট্টাচার্য, শুক্লা রানী দেব, রিফাতুল হক, শরিফা রাজিয়া প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
“যুব উন্নত দেশ বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে জাতীয় যুব দিবস ২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে আজ ১ নভেম্বর যুব র্যালি, যুব ঋণের চেক ও সনদপত্র বিতরণ এবং আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উপজেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের আয়োজনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর ফরহাদ শামীমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মনিরুজ্জামান মনির।
বিশেষ অতিথি ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদা জাহান, মডেল প্রেসক্লাব সভাপতি মো. আবু কাউসার।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মনজুরুল আলম।
আলোচনা সভা শেষে যুব ঋণের চেক বিতরণ, যুব সংগঠনের নিবন্ধন সনদ প্রদান, যুব প্রশিক্ষণের সনদ বিতরণ করা হয়। সফল আত্মকর্মী হিসেবে একজনকে সম্মাননা ক্রেস্ট, সফল যুব সংগঠক একজনকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। প্রধান অতিথির বক্তব্য উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বলেন- আমাদের বর্তমান সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ গুলির মধ্যে একটি উপজেলাতে যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলা, লেখাপড়ার পাশাপাশি কারিগরি দক্ষতা, কারিগরি প্রশিক্ষণ, সফল উদ্যোক্তা তৈরি করা এবং সফল যুবকদের মাঝে ঋণ বিতরণ করা। সরকারি ঋণ নিয়ে ঘরে বসে না থেকে ঋণের টাকায় স্বাবলম্বী হতে হবে তাহলে আপনার পরিবার ও দেশ উপকৃত হবে। সভাপতির বক্তব্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন- সফল মানুষের সফলতার গল্প শুনতে সকলেরই ভাল লাগে, আজ যে রকম সফল মানুষদের কথা শুনলাম প্রত্যেকেই নিজেদের পরিশ্র্রমের মাধ্যমে আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি সফল উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। তাই সকলকে লেখাপড়ার পাশাপাশি কারিগরি শিক্ষা গ্রহণ করার জন্য উদ্বুদ্ধ করবেন।
দাফন সম্পন্ন
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরের লক্ষীমুড়া গ্রামের নিহত হারুন মিয়ার দাফন সম্পন্ন হয়েছে। রোববার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় মনিপুর বন্দরবাজার বালুর মাঠে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় স্থানীয় হারুন মিয়ার আত্মীয় স্বজনসহ সহস্রাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করে। এর আগে শনিবার (১০ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে হারুন মিয়া নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। পরদিন দুপুরে ময়নাতদন্তের পর হারুন মিয়ার মরদেহে এসে পৌঁছায় তার নিজ এলাকায়। মরদেহ পৌঁছার পর থেকেই স্থানীদের ভিড় বাড়ে তার বাড়িতে। এরপর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। জানাজায় উপস্থিত ছিলেন, বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাজু আহমেদ, পত্তন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম, আওয়ামীলীগ নেতা হৃদয় আহমেদ জালাল, সাবেক মেম্বার সেলিম মিয়া, হোসেন মিয়া, মাওলানা সিরাজ আকরামসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা। নিহত হারুন মিয়ার ভাতিজা সোহেল বলেন, দুধ মিয়া সরাসরি করিম মিয়ার পক্ষে নিয়েছে। যার কারণে আমার চাচা হারুন মিয়া হত্যার শিকার হয়েছে। আমার চাচার হত্যার সাথে দুধ মিয়া জড়িত। দুধ মিয়াসহ যারা আমার চাচাকে হত্যা করেছে তাদের ফাঁসির দাবি জানাই।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ জানান, শান্তিপূর্ণ ভাবে হারুন মিয়ার জানাযা সম্পন্ন হয়েছে। এলাকায় স্বাভাবিক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। অভিযুক্ত আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে তিনি জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
দারিদ্র্যতা হারাতে পারেনি তাকে। কঠোর পরিশ্রম করে আজ সাফলতার স্বাদ পেয়েছে সে। বাড়িতে পড়ার জায়গা না থাকায় চাচার পাঠাগারে বসে পড়ত। কখনো দর্জির কাজ, কাঁথা সেলাই কখনো বা প্রাইভেট পড়িয়ে এসএসসি পরীক্ষায় ‘এ প্লাস’ পেয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সুমাইয়া আক্তার।
সুমাইয়া আক্তার জেলার নবীনগর পৌর শহরের সুহাতা এলাকার জীবন মিয়ার মেয়ে। সে এবার উপজেলার ভোলাচং হাই স্কুল থেকে মানবিক বিভাগ থেকে এ প্লাস এসএসসিতে উত্তীর্ণ হয়েছে।
জানা যায়, সুমাইয়া আক্তাররা দুই বোন। সে বড়, ছোট বোন উন্মে হানি চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী। সুমাইয়ার বাবা পেশায় একজন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালক। তার বাবা প্রায় সময় অসুস্থ থাকেন। সুমাইয়ার মা পারভীন আক্তার গৃহিনীর পাশাপাশি কাঁথা সেলাই করে পরিবার চালান। সুমাইয়া মায়ের সঙ্গে কাঁথা সেলাই করতেন। পাশপাশি দর্জির কাজ করত ও প্রাইভেট পড়াত। বাড়িতে পড়ার জায়গা না থাকায় চাচা স্বপন মিয়ার পাঠাগারে প্রায় সময় বসে নিরবে লেখাপড়া করত সুমাইয়া। কঠোর পরিশ্রমের পাশাপাশি সে প্রতিদিন গড়ে ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা পড়ালেখা করত।
সুমাইয়ার চাচা স্বপন মিয়া বলেন, সুমাইয়াকে কখনো চাপ দেইনি যে এ প্লাস পেতে হবে। তাকে বলতাম সার্টিফিকেটের এ প্লাস না পেয়ে তোমার নিজের মধ্যে এ প্লাস এর যোগ্যতা অর্জন কর। সে সেভাবেই লেখাপড়া করেছে। সুরাইয়া প্রচুর পরিশ্রম করত, কাজের ফাঁকে প্রতিদিন ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা নিয়মিত লেখাপড়া করতো। পাঠাগারে সাধারণত রাতে ছেলেরা আসতো, সে নিজের মতো করে নিরবে বসে পড়ালেখা করতো। তার মধ্যে কোন দ্বিধা থাকত না, সে নিজের মতো করে পড়ার পরিবেশটা তৈরি করে নিতো।
তিনি আরো বলেন, আমাদের পরিবার থেকে এই প্রথম কেউ এ প্লাস পেয়েছে। এটি খুব সম্মানের। আমি তার জন্য সবার কাছে দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করি। সুরাইয়া যেন ভবিষ্যৎতে একজন ভালো মানুষ হয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করতে পারে সেটাই আমাদের প্রত্যাশা। সুমাইয়া গুঞ্জন পাঠাগারের আবৃত্তি বিভাগের পরিচালকও।
সুমাইয়া জানান, আমার চাচা স্বপন মিয়া পড়ালেখার ব্যাপারে সাহায্য সহযোগিতা করেছে। নিয়মিত ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা পড়ালেখা করেছি। স্কুলের শিক্ষকরা আমার পড়ালেখার খোঁজখবর নিতেন। আমি ভবিষ্যতে একজন শিক্ষক হতে চাই। সেই জন্য সকলের দোয়া কামনা করেছেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ভোলাচং হাই স্কুলের শিক্ষক হেলাল উদ্দিন বলেন, সুমাইয়া মানবিক বিভাগ থেকে এ প্লাস পেয়েছেন। এতে আমরা ভীষণ খুশি। সামনে পড়ালেখার সুযোগ পেলে সে আরও ভালো রেজাল্ট করবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার লাউর ফতেহপুর ইউনিয়নের তৃণমূল আওয়ামী লীগের সাথে ঈদ শুভেচ্ছা ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল শনিবার দুপুরে উপজেলার আর এন টি বালিকা উচ্চ বিদ্যায় প্রাঙ্গনে ঈদ শুভেচ্ছা ও মতবিনিময় সভায় লাউর ফতেহপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আবুল কাশেম মোকাদ্দছের সভাপতিত্বে ও উপজেলা পরিষদের বাইস চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সাদেকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ এবাদুল করিম বুলবুল এমপি।
বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দিন চৌধুরী শাহান,জেলা পরিষদ সদস্য নাসির উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ সভাপতি সুজিত কুমার দেব ত্রাণ সম্পাদক নিয়াজুল হক কাজল, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম নজু, উপপ্রচার সম্পাদক প্রনয় কুমার ভদ্র।
প্রধান অতিথি বক্তব্যে এম পি বলেন লাউর ফতেহপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করার জন্য আমার পক্ষ থেকে যা যা করার দরকার আমি তা করব এবং আগামী নির্বাচনে নৌকাকে বিজয়ী করতে হলে আপনারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সকলে মিলে ভোটারদেও স্ব স্ব অবস্থানে গিয়ে বুঝিয়ে ভোট সংগ্রহ জন্য কাজ করতে হবে।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন লাউর ফতেহপুর কমলাকান্ত গুরুচরণ বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি আবদুল্লা আল মাসুম। সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, লাউর ফতেহপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, প্রেসক্লাব সভাপতি শ্যামাপ্রশাদ চত্রবতী, সিনিয়র সহ-সভাপতি আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া মিনাজ, মডেল প্রেসক্লাব সভাপতি মো. আবু কাওসার, সাধারণ সম্পাদক মো.মাজেদুল ইসলাম, বাংলাদেশ সমাচার প্রতিনিধি মো. আলমগীর হোসেন প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
দাঙ্গা-হাঙ্গামার নিরসন ও শান্তি ফেরানোর লক্ষ্যে নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একরামুল সিদ্দিক কাজ করছেন। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি গভীর রাতে নিজ হাতে ত্রাণের খাদ্যসামগ্রী নিয়ে প্রত্যন্ত গ্রামের অসহায় মায়ের দ্বারে দ্বারে যান তিনি।
নবীনগরের দাঙ্গা-হাঙ্গামা নিরসনে কাজ করেন ইউএনও মো. একরামুল সিদ্দিক। যোগদানের পর থেকে তিনি এসব সমস্যার সমাধানে নানামুখী তৎপরতা চালান। কিভাবে এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে আনা যায় সে লক্ষ্যে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেন সরকারি এই কর্মকর্তা। এ বিষয়ে কথা বলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ এবাদুল করিম বুলবুলের সঙ্গে, নেন তার পরামর্শ। স্থানীয় রাজনীতিবিদ, গণ্যমান্য ব্যক্তি, জনপ্রতিনিধি ও পুলিশের সহযোগিতায় গত দুই বছরে অন্তত ১৫টি দাঙ্গা-হাঙ্গামার ঘটনা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করেছেন ইউএনও।
ইউএনও একরামুল সিদ্দিক শুধু যে দাঙ্গা-হাঙ্গামা ঠেকানোতেই মনোযোগ দিয়েছেন তা নয়। উপজেলার শিক্ষার মান বাড়াতে বিভিন্ন স্কুল-কলেজে গিয়ে নিজে ক্লাস নেন এবং ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করেন। তাদের পড়াশোনার মান সম্পর্কে ধারণা নেন এবং তিনি তাদের পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার আহ্বান করেন। সামাজিক রীতিনীতি, নৈতিকতাবোধ নিয়েও ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা দেন।
নবীনগর উপজেলা বীরগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বলেন, ইউএনও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান; তাই তার মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রয়েছে। করোনা মহামারি মতো ভয়াল রাতেও নিজের জীবন বাজী রেখে অসহায় গরিব-দুঃখী মানুষের চিন্তায় প্রত্যন্ত গ্রামে ছুটে গেছেন। তিনি দরিদ্র মানুষের বাড়িতে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিয়ে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিয়েছেন।
নাটঘর ইউপি চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন জানান, তিনি যোগদানের পর থেকে সমস্ত সেক্টরে স্বচ্ছতা ফিরে এসেছে।
ইউএনও একরামুল সিদ্দিক বলেন, আমি সরকারের একজন প্রতিনিধি হিসেবে এই উপজেলায় দায়িত্ব পালন করতে এসেছিমাত্র। সবার সহযোগিতা পেলে নবীনগর উপজেলাকে একটি মডেল উপজেলা হিসেবে গড়ে তোলার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের কল্যাণে যা যা করার প্রয়োজন সেটি করার দৃঢ়প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।