চলারপথে রিপোর্ট :
ভেজালের সঙ্গে কোনো প্রকার আপস করা হবে না উল্লেখ করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান বলেছেন, খাদ্য, বস্ত্র কিংবা প্রসাধনী যাই হোক বাজারে কোনোভাবেই ভেজাল পণ্য বিক্রি করতে দেওয়া হবে না। বাজারে ভেজালবিরোধী অভিযান পরিচালনাসহ অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি তিনি ভোক্তা সাধারণকে তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, আমরা চাই সবাই আইন মেনে ব্যবসা করুক। ভোক্তারা যেন ন্যায্যমূল্যে পণ্য পান। ব্যবসায়ীরা মূল্য ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে ভোক্তাদের স্বস্তি দেবেন এ আশাবাদ করি।
গতকাল ৩ জুন শনিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উজান ভাটি হোটেলে আলোকিত নারী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ভোক্তা অধিকার ও নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূল সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
আলোকিত নারী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. মেহেরুন নিছা মেহেরিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব পীরজাদা শহিদুল হারুন।
অন্যদের মাঝে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার পুলিশ সুপার কবি নুরুল ইসলাম বিপিএম, আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু আসিফ আহমেদ, সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রেহেনা মকবুল, আশুগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক, কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা মুজিবুর রহমান, উপজেলা বিএনপি নেতা নাছির উদ্দিন, কামাল আহমেদ জয় ও উপজেলা যুবলীগ নেতা মতিউর রহমান সরকার প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তবে্য ভোক্তা অধিকারের ডিজি সফিকুজ্জামান আরো বলেন, নকল ও ভেজালে ভরে গেছে বাজার। এখন অধিকাংশ আমদানি করা পণ্যে আমদানিকারকের তথ্য থাকে না। থাকে না মেয়াদও। অথচ সেটি উল্লেখ থাকা বাধ্যতামূলক। এ ধরনের সুনির্দিষ্ট তথ্য পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি ভোক্তাদেরকে নকল ও ভেজাল পণ্যের বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
আশুগঞ্জ প্রতিনিধি :
তিনদিন পর ফের আশুগঞ্জে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ, দোকানপাট-বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ, ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। আজ ১৮ জানুয়ারি বুধবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার দুর্গাপুরে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। খবর পেয়ে প্রথমে আশুগঞ্জ থানা পুলিশ ও পরে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ব্যাপক লাঠিচার্জ, টিয়ারশেল ও শর্টগানের গুলি ছুঁড়ে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষে পুলিশসহ অন্তত অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছেন। এর মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এসময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অন্তত ১৫ জনকে আটক করে। এখনো পুলিশের অভিযান চলছে। এদিকে ফায়ার সর্ভিসের দুটি দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌছে আগুন নিভানোর কাজ করে। দুর্গাপুর গ্রামের জারুর গোষ্ঠি (রাসেল চেয়ারম্যানের গোষ্ঠি গং) এবং বারঘরিয়া (মিজান মেম্বারের গোষ্ঠি গং) গোষ্ঠীর লোকজনের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গত শুক্রবার ও শনিবারের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ১১১ জনের নাম উল্লেখসহ ৩০০- ৪০০ জনের নামে মামলা দায়ের করে। গ্রামের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এরই মধ্যে বুধবার সাড়ে ৭টার দিকে একদল দাঙ্গাবাজ অর্তকিতে দুর্গাপুর বাজারে হামলা চালিয়ে অন্তত ৩০টি দোকান, ৩-৪টি বাড়িঘর ও ২০টির বেশি খড়ের ডিবিতে অগ্নিসংযোগ করে। বেশ কয়েকটি দোকানও ভাংচুর করে। মূহুর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়লে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করলে সংঘর্ষকারীরা সেখানেও বাধা দেয়। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ, টিয়ারশেল ও শর্টগানের গুলি ছুড়ে সংঘর্ষকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে গোটা গ্রামের বিভিন্ন পয়েন্টে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষকারীরা বিভিন্ন স্থানে খড়ের ডিবিতে আগুন লাগিয়ে এক ভীতিকর পরিবেশ তৈরি করে। পুলিশ একদিকে গেলে অন্য দিকে সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মোজাম্মেল হকের নেতৃত্বে অতিরিক্তি পুলিশ এলে বিভিন্ন দিক থেকে টিয়ারশেল, শর্টগানের গুলি ছুড়া শুরু ও ব্যাপক লাঠিচার্জ শুরু করে। এরপর সংঘর্ষকারীরা পিছু হটে এবং বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পুলিশ আরো জানায়, সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন পুলিশসহ কমপক্ষে অর্ধ শতাধিক আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে বাহার নামে একজনসহ কয়েকজনের বল্লমের আঘাতে গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, গায়ে সিএনজির ধাক্কা লাগা নিয়ে উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের জারুর গোষ্ঠি (রাসেল চেয়ারম্যানের গোষ্ঠি গং) এবং বারঘরিয়া (মিজান মেম্বারের গোষ্ঠি গং) গোষ্ঠির লোকজনের মধ্যে গত শুক্রবার ও শনিবার দুদফা সংঘর্ষ হয়। ওই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আশুগঞ্জে ৭২ কেজি গাঁজা ও ৩৭৫টি ইয়াবাসহ মো. কানু মিয়া (৩১) নামে এক মাদক কারবারিকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১৪ এর সদস্যরা।
আজ ১১ মে বৃহস্পতিবার দুপুরে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় র্যাব-১৪ ভৈরব ক্যাম্প।
আটক কানু মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা আলাদাউদপুর গ্রামের মো. আব্দুর রহমান কাদের মিয়ার ছেলে।
বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা গেছে, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল বুধবার রাতে উপজেলার চরচারতলা ইউনিয়নের মহরম পাড়ায় অভিযান চালিয়ে কানু মিয়াকে আটক করা হয়। সে সময় তার কাছ থেকে ৭২ কেজি গাঁজা ও ৩৭৫টি ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা হয়। জব্দ করা হয় মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত একটি সিএনজি চালিত অটোরিক্সাও। এ ঘটনায় কানুর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়াস্থ আশুগঞ্জ উপজেলা কল্যাণ সমিতির সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সভাপতি মিজানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ইখতিয়ার উদ্দিন স্বপন সহ ৭১ সদস্য বিশিষ্ট ৩ বছরের জন্য কমিটি গঠন করা হয়েছে।
গতকাল শনিবার রাতে শহরের মুন্সেফপাড়ায় ‘‘হ্যালো কিচেন চাইনিজ রেস্টুরেন্টে’’ ব্রাহ্মণবাড়িয়াস্থ আশুগঞ্জ উপজেলা কল্যাণ সমিতির আয়োজিত অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন হবিগঞ্জ চুনারুঘাট সরকারি কলেজের প্রফেসর উপাধ্যক্ষ মোঃ মাহবুবুর রহমান মানিক, মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ডা. সঞ্চীব সূত্রধর।
অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনায় ছিল এস এম তোফায়েল আলী রুবেল ও মো. জসিম উদ্দিন বেপারী।
ডা. ইকবাল হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সিনিয়র সহ-সভাপতি ডা. ফাইজুর রহমান ফায়েজসহ আশুগঞ্জ উপজেলার নানা শ্রেনীপেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
সভায় নব গঠিত কমিটির ৭১ সদস্য বিশিষ্ট সকলকে পরিচয় করিয়ে দেন ডা. ইকবাল হোসাইন।
কমিটির সদস্যবৃন্দ হলো: সভাপতি মিজানুর রহমান, সিনিয়র সহ সভাপতি ডাঃ ফাইজুর রহমান ফয়েজ, সহ সভাপতি মোঃ সাজিদ মিয়া, মোঃ ফারুকুল ইসলাম, শেখ মোঃ জালাল উদ্দিন, মোঃ সালাউদ্দিন সরকার, মোঃ রফিকুল ইসলাম, মোঃ এস আলম, মোঃ আহাদ মিয়া, মোঃ শফিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ইখতিয়ার উদ্দিন স্বপন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস এম তোফায়েল আলী রুবেল, মোঃ উবায়দুল হক সুচি, মোঃ জসিম উদ্দিন বেপারী, এম এ মোমেন, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হক সুমন চৌধুরী, মোঃ মোজাম্মেল হক চৌধুরী, এ এইচ এম তারিকুল ইসলাম সোহেল, মোঃ মোখলেছুর রহমান ভূইয়া, মোঃ শাহজাহান, হাজী আসকর দেওয়ান জামাল, মোঃ নাসির খান, মোঃ তাইফুর রহমান তারেক, অর্থ সম্পাদক মোঃ রফিকুল ইসলাম রতন, সহ অর্থ সম্পাদক ইমদাদুল হক, প্রচার প্রকাশনা ও সাংবাদিকতা সম্পাদক সীমান্ত খোকন, আইন সম্পাদক এড. মোঃ বশির আহমেদ, সহ আইন সম্পাদক এড. মোঃ সাইফুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক মোঃ কামাল হায়দার, সহ দপ্তর সম্পাদক এইচ এম আব্দুল্লাহ্ আল মামুন, আপ্যায়ন সম্পাদক আবুল কালাম মাষ্টার, সহ আপ্যায়ন সম্পাদক মোঃ রাজন মিয়া, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এহসানুল আমিন তুষার, সহ তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক তারিফুর রহমান, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক জিয়াউদ্দিন, সহ সমাজ কল্যাণ সম্পাদক ওবায়দুল হক চৌধুরী, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মোঃ শরিফ উদ্দিন সজল, সহ ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আলী আজগর, দূযোর্গ ও ত্রাণ সম্পাদক রাসেল খন্দকার, সহ দূর্যোগ ত্রাণ সম্পাদক এটিএম সামসুজ্জামান জামাল, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক জিয়া হায়দার বাবু, সহ মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক মোঃ জয়নাল আবেদীন, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ জান্নাতুল আলম ভেরুনিকা, সহ মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মোহসেনা আক্তার, শিক্ষা সম্পাদক প্রফেসর এস কে হাবিব, সহ শিক্ষা সম্পাদক এড. মোস্তাক আহমেদ, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক আনিসুল হক রিপন, সহ-ক্রিড়া ও সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম, আইটি বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আবু সায়েদ, সহ আইটি বিষয়ক সম্পাদক রুবেল মিয়া, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক মোঃ ছালাউদ্দিন, সহ স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক মোঃ বাচ্চু মিয়া, কার্য নির্বাহী সদস্য এটিএম ফাইজুল কবির, নিয়াজ মনিরুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম শাহজাদা, ডাঃ মোঃ আক্তার হোসেন, ডাঃ মনির হোসেন, ডাঃ ফয়সাল আল আহসান, ডাঃ মুশফিকুর রহমান পলাশ, ডাঃ ফৌজিয়া জাফরীন টিকলী, ডাঃ ফোরকান উদ্দিন, ডাঃ শামীমা সুমি, মোঃ নাসির উদ্দিন, মকবুল হোসেন, মোঃ নাসির উদ্দিন আহমেদ, মাহবুব আলম সুজন, দেলোয়ার হোসেন দুলাল, জাকির চৌধুরী, মোর্শেদ কামাল, কাউসার আহমেদ।
সংগঠনের পক্ষ থেকে সমিতির সাধারণ সভায় সমিতির গঠনতন্ত্র উপস্থাপন ও অনুমোদন করা হয়।
এ সময় আশুগঞ্জ উপজেলার সকল সদস্যদের আন্তরিক অভিনন্দন জানানো হয়।
সভায় উপস্থিত সকলে একে অপর পেয়ে অনেক উচ্ছ্বসিত।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপ-নির্বাচনে পাঁচ প্রার্থীর তিনজনই জামানত হারাচ্ছেন।
৫ নভেম্বর রবিবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপ-নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম।
তিনি বলেন, নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচনে প্রাপ্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগের কম পেলে প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। উপ-নির্বাচনেও যারা এক ভাগের কম ভোট পেয়েছেন তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপ-নির্বাচনে প্রাপ্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগ ১৩ হাজার ৫৪৪ ভোটের বেশি। তাই জাতীয় পার্টির প্রার্থী আব্দুল হামিদ লাঙল প্রতীকে ৩ হাজার ১৮৬, জাকের পার্টির জহিরুল ইসলাম জুয়েল গোলাপ ফুল প্রতীকে ৫৫১ এবং ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আব্দুর রাজ্জাক আম প্রতীকে ৭৩৯ ভোট পাওয়ায় তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া–২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে ৬৬ হাজার ৩১৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক মৃধা কলারছড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ৩৭ হাজার ৫৭৭ ভোট।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ) আসনের উপনির্বাচনে কয়েকটি ভোটকেন্দ্রে অনিয়মের অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে। আজ ৮ নভেম্বর বুধবার দুপুরে আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে বৈঠকের মাধ্যমে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. রুহুল আমিন তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ৫ নভেম্বর রবিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ) আসনের উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নৌকা প্রতীকে শাহজাহান আলম ৬৬ হাজার ৩১৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক মৃধা কলার ছড়ি প্রতীকে পান ৩৭ হাজার ৫৫৭ ভোট।
তবে, আশুগঞ্জ উপজেলার বড়তল্লা, তালশহর পশ্চিম ও যাত্রাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং নূরানিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা ভোটকেন্দ্রে অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এর প্রেক্ষিতে গতকাল মঙ্গলবার নির্বাচনের ফলাফলের গেজেট স্থগিত করে অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন।
পরে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. রুহুল আমিনকে তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হলে ৮ নভেম্বর বুধবার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) মো. জয়নাল আবেদীনসহ প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা এবং কেন্দ্রগুলোতে দায়িত্ব পালন করা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের বক্তব্য শুনতে বৈঠকের আয়োজন করা হয়।
তবে তদন্তের বিষয়ে জানতে চাইলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. রুহুল আমিন গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি। আগামী তিন দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা রয়েছে।