চলারপথে রিপোর্ট :
ঝিনাইদহে স্কুল ও কলেজে ক্লাস ফাঁকি দিয়ে আড্ডা দেওয়ায় ২৪ শিক্ষার্থীকে আটক করেছে সদর থানা পুলিশ। আজ ৪ জুন রবিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ সোহেল রানা জানান, শহরে কিশোর গ্যাং প্রতিরোধ ও কোমলমতি শিক্ষার্থীরা যাতে বিপথগামী হতে না পারে সে জন্য স্কুল টাইম কঠোরভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে। সেই কর্মসূচির আওতায় শহরের বিভিন্ন স্থান ও পার্কে অভিযান চালানো হয়। সেসময় বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের ২৪ শিক্ষার্থীকে আটক করে থানায় আনা হয়। পরে অভিভাবকদের ডেকে তাদের জিম্মায় দেওয়া হয়।
এর আগে গত ১ জুন ঝিনাইদহের বিভিন্ন পার্কে আড্ডা ও গলিতে দেওয়ায় প্রায় ৬০ জন শিক্ষার্থীকে আটক করে পুলিশ। পরে তাদের অভিভাবকদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীনকে বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে উল্লেখ করে বলেছেন, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত দু’দেশের আরও উন্নয়ন।
চীনের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপমন্ত্রী সান ওয়েইডং রোববার গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন।
চীনের মন্ত্রী বলেন, চীন বাংলাদেশের সঙ্গে বিভিন্ন খাতে বিশেষ করে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও হাই-টেক সহযোগিতা জোরদার করতে আগ্রহী। এখানে আরও সহযোগিতার সম্ভাবনা রয়েছে।
চীনের উপমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চীনের প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা জানান। বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা করে তিনি বলেন, প্রায় ১০ বছর আগে তিনি বাংলাদেশ সফর করলেও এবার তিনি বাংলাদেশকে অনেক বেশি উন্নত দেশ হিসেবে দেখেছেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অভূতপূর্ব উন্নয়ন প্রত্যক্ষ করেছে।
প্রধানমন্ত্রী চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে তাঁর ব্যক্তিগত শুভেচ্ছাও জানান। তিনি বলেন, প্রায় ৬ হাজার বাংলাদেশি শিক্ষার্থী চীনে পড়াশোনা করছে এবং তাদের মধ্যে অনেকেই কভিড মহামারি চলাকালে দেশে ফিরে এসেছে। শেখ হাসিনা মহামারির পরে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা চালিয়ে যেতে চীনে ফিরে যেতে সহায়তা করার জন্য চীন সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
এ সময় অ্যাম্বাসাডর এট লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিট) রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশিদ আলম এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র : বাসস
চলারপথে রিপোর্ট :
জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে যোগ দিতে বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর ৭৫ সদস্য দেশ ত্যাগ করেছেন। তারা লেবাননের নেশন্স ইন্টারিম ফোর্স ইন লেবাননে (ইউনিফিল) যোগ দিতে চট্টগ্রাম ত্যাগ করেছেন।
আজ ১৩ অক্টোবর শুক্রবার শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে লেবাননগামী নৌ সদস্যদের বিদায় জানান চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চলের কমান্ডার চিফ স্টাফ অফিসার ক্যাপ্টেন মো. জামাল উদ্দিন চৌধুরী। বাংলাদেশ নৌ বাহিনী কন্টিনজেন্ট ‘ব্যানকন-১৪’-এর আওতায় লেবাননে মোতায়েন করা নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ ‘সংগ্রাম’-এ নৌ সদস্যরা যোগদান করবেন।
এর আগে চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চলের আঞ্চলিক কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল আবদুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী বানৌজা ঈসা খানে লেবাননগামী নৌ সদস্যদের আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় জানান। তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘সততা, নিষ্ঠা এবং পেশাগত দক্ষতার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশ নৌবাহিনী তথা দেশের ভাবমূর্তি সমুন্নত ও উত্তরোত্তর বৃদ্ধি করতে একযোগে কাজ করতে হবে।’
২০১০ সাল থেকে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ লেবাননে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণ করে আসছে। ভূমধ্যসাগরে মাল্টিন্যাশনাল মেরিটাইম টাস্কফোর্সের সদস্য হিসেবে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় নিয়োজিত রয়েছে। বর্তমানে নিয়োজিত সংগ্রাম যুদ্ধজাহাজ লেবাননের ভূখণ্ড অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ অনুপ্রবেশ প্রতিহত করতে দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে চলেছে। পাশাপাশি লেবানিজ জলসীমায় মেরিটাইম ইন্টারডিকশন অপারেশন পরিচালনা, সন্দেহজনক জাহাজ ও উড়োজাহাজের ওপর নজরদারি, দুর্ঘটনাকবলিত জাহাজে উদ্ধার তৎপরতা এবং লেবানিজ নৌবাহিনীর সদস্যদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ করছে।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ৪৩তম ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ। ১৯৮১ সালের এই দিনে প্রায় ছয় বছরের নির্বাসিত জীবন শেষে দেশে ফিরে আসেন তিনি। দিনটিকে দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলন-সংগ্রামের সূচনার স্মারক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করার সময় বিদেশে অবস্থানের কারণে তাঁর দুই মেয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা প্রাণে বেঁচে যান। জাতির ইতিহাসের এ বিষাদময় ঘটনার সময় স্বামী পরমাণুবিজ্ঞানী প্রয়াত ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার কর্মসূত্রে স্বামী ও বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে জার্মানিতে অবস্থান করছিলেন শেখ হাসিনা। পরে দীর্ঘ প্রবাসজীবন শেষে ভারত হয়ে ১৯৮১ সালের ১৭ মে মাতৃভূমিতে প্রত্যাবর্তন করেন তিনি।
দেশে ফেরার আগেই ১৯৮১ সালের ১৪ থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত দলের জাতীয় কাউন্সিলে শেখ হাসিনাকে সর্বসম্মতিক্রমে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। দেশে ফিরে আওয়ামী লীগের পুনর্গঠন ও পুনর্বাসনে নানামুখী কার্যকর উদ্যোগ নেন তিনি। পাশাপাশি জনগণের গণতান্ত্রিক এবং ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অবিরাম সংগ্রাম শুরু করেন।
তাঁরই উদ্যোগে আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মী-সমর্থকের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা দেখা দেয়। দেশবাসীও উজ্জীবিত হয় নতুন প্রেরণায়।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ স্বৈরাচারী শাসকদের বিরুদ্ধে তীব্র গণআন্দোলন গড়ে তোলে। তাঁর নেতৃত্বেই দলটি দীর্ঘ সময় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন-সংগ্রাম অব্যাহত রাখলে ১৯৯০ সালে স্বৈরশাসকের পতন ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হয়। আর মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার আদায়সহ গণতান্ত্রিক আন্দোলন করতে গিয়ে কয়েকবার গৃহবন্দি হয়েছেন শেখ হাসিনা। ওয়ান-ইলেভেনের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই গ্রেপ্তার হয়ে প্রায় ১১ মাস বিশেষ কারাগারে কারাবন্দিও ছিলেন তিনি।
তাঁর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ এ পর্যন্ত চার মেয়াদে ক্ষমতাসীন হয়েছে। প্রথমবার ১৯৯৬ সালের ১২ জুনের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে বিজয়ী হয়ে ২৩ জুন সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। দ্বিতীয়বার ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগসহ মহাজোট চার-তৃতীয়াংশ আসনে বিশাল বিজয়ী হয়ে ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি সরকার গঠন করে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের বিশাল বিজয় নিয়ে ১২ জানুয়ারি সরকার গঠন করে তারা। তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হন শেখ হাসিনা। সর্বশেষ ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারও বিপুল জয়ের পর ৭ জানুয়ারি সরকার গঠনের মধ্য দিয়ে চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হন আওয়ামী লীগ সভাপতি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এক বিবৃতিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণের জন্য সারাদেশে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর সর্বস্তরের নেতাকর্মীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
অনলাইন ডেস্ক :
বিএনপির ডাকা হরতালকে ঘিরে কঠোর অবস্থানে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। চোরাগুপ্তা হামলা ঠেকাতে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের মেয়রকে সড়ক বাতি জ্বালিয়ে রাখতে অনুরোধ করা হয়েছে। সেইসঙ্গে ন্যূনতম চারজনের সমন্বয়ে গঠিত সশস্ত্র আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের রাত্রিকালীন নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করতে বলা হয়েছে। ঢাকার সন্দেহভাজন বাসা বাড়ি, মেস ও হোটেলে তল্লাশি অভিযান অব্যাহত রেখেছে পুলিশ।
এদিকে হরতাল চলাকালে রবিবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সতর্ক অবস্থান নেয় পুলিশ। পাশাপাশি সাদা পোশাকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।
নয়াপল্টনে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে ‘ক্রাইম সিন’ উল্লেখ করে কর্ডন টেপ দিয়ে মুড়িয়ে দিয়েছে সিআইডি। এর দুই পাশে দাঁড়িয়ে আছে পুলিশ। এর ফলে নেতাকর্মীরা কার্যালয়ের ভিতরে প্রবেশ করতে পারবেন না। এদিকে বিএনপি’র কার্যালয়ের সামনেসহ নয়াপল্টনের বিভিন্ন অলি-গলিতে কঠোর নিরাপত্তা বলয় গড়ে তুলেছে পুলিশ।
শনিবার রাতে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, রোববারের হরতালে নাশকতার বিষয়ে জিরো টলারেন্স দেখানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে পুলিশসহ সব ইউনিটকে। একই সঙ্গে সারা দেশে নিরাপত্তা জোরদার করতে বলা হয়েছে। শনিবার মহাসমাবেশে পুলিশ হত্যা, পুলিশ আহত, যানবাহন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে কাজ করছে পুলিশ।
ঢাকা মহানগর পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সন্ধ্যার পর থেকেই ঢাকার বিভিন্ন বাসা বাড়ি, মেস, হোটেলে রেড দিয়ে তল্লাশি করা হয়েছে। রাস্তায় চেকপোস্ট আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় বেশি বসানো হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে টহল ব্যবস্থা। কমপক্ষে চারজন পুলিশকে অস্ত্রসহ টহল দিতে বলা হয়েছে। যে কোনো পরিস্থিতিতে পুলিশকে শক্তিশালী ভূমিকা ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আগাম নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ঢাকার বিভিন্ন বার ও আবাসিক হোটেলগুলোর রেজিস্টার চেক করতে বলা হয়েছে। ঢাকার প্রবেশ পথে বসানো হয়েছে বিশেষ চেকপোস্ট। পুলিশ ও র্যাবের তরফ থেকে বাড়ানো হয়েছে রোবাস্ট পেট্রোল ডিউটি। পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় দায়িত্ব পালন করতে বলা হয়েছে। ঢাকার প্রতিটি রাস্তায় থাকা সড়ক বাতি জ্বালিয়ে রাখতে ইতোমধ্যেই দুই সিটি করপোরেশনের মেয়রকে অনুরোধ করা হয়েছে। যাতে কোনোভাবে অন্ধকারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর চোরাগুপ্তা হামলা হতে না পারে।
গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যেই গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। সেই সঙ্গে বাড়ানো হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তাও। পুলিশের সব সদস্যকে স্ট্যান্ডবাই থাকতে বলা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া বিভাগের উপকমিশনার মো. ফারুক হোসেন বলেন, ‘শনিবারের মহাসমাবেশে সংঘর্ষের ঘটনার পর আমরা আরো সতর্ক অবস্থানে রয়েছি। সাইবার মনিটরিং থেকে শুরু করে নানামুখী তৎপরতা অব্যাহত আছে। রবিবারের হরতালকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কেউ যাতে কোনো ধরনের গুজব ছড়িয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে এজন্য আমরা সতর্ক রয়েছি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ২৪ ঘণ্টা মনিটরিং করা হচ্ছে। ঢাকায় বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা চৌকি। গোয়েন্দা নজরদারিও বাড়ানো হয়েছে আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় বেশি। গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও ব্যক্তির নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এককথায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী শনিবারের ঘটনার পর হরতালকে ঘিরে কঠোর অবস্থানে রয়েছে। একইসঙ্গে পুলিশ সদস্যকে হত্যাকারীদের গ্রেফতারের অভিযান চলছে।’
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের রাজনৈতিক কর্মসূচিকে ঘিরে দুষ্কৃতকারী ও স্বার্থান্বেষী মহল কর্তৃক সন্ত্রাসী হামলাকারীদের গ্রেফতারে জিরো টলারেন্স দেখানো হবে। রবিবারের হরতালে বিষয়ে সতর্ক রয়েছে র্যাব। ইতোমধ্যেই নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। গোয়েন্দা নজরদারির পাশাপাশি টহল বাড়ানো হয়েছে। যারা মহাসমাবেশের নামে বিশৃঙ্খলা ও নাশকতামূলক ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের গ্রেপ্তারে র্যাব কাজ করছে। র্যাবের গোয়েন্দারা গণমাধ্যম থেকে প্রাপ্ত ফুটেজ, সিসিটিভি ফুটেজসহ সংশ্লিষ্ট তথ্যাদি বিশ্লেষণ করে জড়িত দুষ্কৃতকারী ও সন্ত্রাসীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে কাজ করছে।’
প্রসঙ্গত, শনিবার বিএনপির মহাসমাবেশে সংঘর্ষে এক পুলিশ সদস্য নিহত, শতাধিক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। যার মধ্যে ৪২ জন পুলিশ সদস্য চিকিৎসাধীন। অন্তত ১৮ জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। প্রধান বিচারপতির বাসভবন, প্রায় অর্ধশত গাড়ি, কাকরাইল চার্চে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কিশোরগঞ্জের বহুল আলোচিত পাগলা মসজিদের ৮টি দানবাক্সের এবার মিলেছে ১৯ বস্তা টাকা। আজ ৬ মে শনিবার সকাল ৮টায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এটিএম ফরহাদ চৌধুরীর নেতৃত্বে আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতিতে দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছে। এরপর সেখানে রূপালী ব্যাংকের ডিজিএম শাহীদুর রহমান এবং ব্রাঞ্চ ম্যানেজার ও এজিএম রফিকুল ইসলামও উপস্থিত হন।
টাকাগুলো মসজিদের দোতলার ফ্লোরে ঢেলে মূল্যমান অনুযায়ী পৃথক করা হচ্ছে। পাগলা মসজিদ ইসলামিক কমপ্লেক্সের ছাত্র-শিক্ষক এই কাজে অংশ নিয়েছেন। এর আগে গত ৭ জানুয়ারি দানবাক্সে পাওয়া গিয়েছিল ৪ কোটি ১৮ লাখ ১৬ হাজার ৭৪৪ টাকা। সঙ্গে ছিল বিদেশী মুদ্রা এবং সোনা ও রূপার গহনা। এবারও বিদেশী মুদ্রা এবং গহনা পাওয়া গেছে। তিনমাস অন্তর দান বাক্সগুলো খোলার রেওয়াজ রয়েছে। কখনও বিভিন্ন কারণে কিছুটা বিলম্বও হয়। গণনাশেষে এসব টাকা রূপালী ব্যাংকে মসজিদের হিসাবে জমা করা হবে। বিভিন্ন এলাকার মানুষজন মানত হিসেবে পাগলা মসজিদে এসব টাকা ও সোনাদান দান করে থাকেন।