চলারপথে রিপোর্ট :
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, চা শিল্পের সঙ্গে প্রায় দেড় লাখ শ্রমিক রয়েছে যার অর্ধেকের বেশি নারী শ্রমিক। নারী পুরুষ উভয় শ্রমিকদের কল্যাণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, যে কোনো শিল্পের প্রাণ হচ্ছে শ্রমিক। আর তাদের সকল ধরণের সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।
‘চা দিবসের সংকল্প, শ্রমিকবান্ধব চা শিল্প’ এ প্রতিপাদ্য নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় ও বাংলাদেশ চা বোর্ডের বর্ণাঢ্য আয়োজনে ৩য় বারের মতো ‘জাতীয় চা দিবস’ উদযাপন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ৪ জুন রবিবার মৌলভীবাজারের চায়ের রাজধানী খ্যাত শ্রীমঙ্গলের বিটিআরআই উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ‘৩য় জাতীয় চা দিবস উদযাপন ও ১ম জাতীয় চা পুরস্কার’ প্রদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫৭ সালের ৪জুন থেকে ১৯৫৮ সালের ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের চা বোর্ডের প্রথম বাঙালী চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। চা শিল্পে বঙ্গবন্ধুর অসামান্য অবদান ও চা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে তাঁর যোগদানের তারিখকে স্মরণীয় করে রাখতে গত ২০২০ সালের ২০ জুলাইয়ে মন্ত্রী সভার বৈঠকে ৪ জুনকে “ জাতীয় চা দিবস” ঘোষণা করা হয়েছে। এ বছর ৩য় বারের মত যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি উদযাপন করা হচ্ছে।
মস্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ নজরদারি এবং নানামুখী উদ্যোগের ফলে দেশের চা শিল্প আজ টেকসই ও মজবুত অবস্থানে এসেছে। গুণগতমান সম্পন্ন চা উৎপাদন বৃদ্ধি এবং আন্তর্জাতিক গবেষণা কার্যক্রম জোরদার করার লক্ষে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।
চায়ের বাজারে ঠিকে থাকতে হলে চা শিল্পের উন্নয়ন ও প্রসার ঘটিয়ে বিশ্ব বাজারে ব্রাডিং করতে চায়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের এক হয়ে কাজ করতে হবে।
চা শ্রমিকদের বেতন নিয়ে চা শ্রমিক ও চা বাগান মালিকদের মধ্যে যে সমস্যা দেখা দিয়েছিল তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে চা শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধি করে দিয়েছেন এবং চা শ্রমিকরা তা মেনে নিয়েছেন।
প্রতি বছর দেশে চায়ের চাহিদা ৫-৭ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু চা উৎপাদন সে হারে বৃদ্ধি পায় না। এ জন্য চা উৎপাদন বৃদ্ধি করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
চা শিল্পের অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ চা বোর্ড এবং এর অংশীজন হিসেবে চা বাগান মালিক, চা উৎপাদনকারী এবং প্যাকেজিং বিপণন কোম্পানিসহ চা শিল্পে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান/সংগঠনকে প্রদেয় ‘জাতীয় চা পুরস্কার’ চা শিল্পের বিকাশ অগ্রযাত্রাকে আরও বেগবান করতে অনুপ্রাণিত করবে। মন্ত্রী আরও বলেন, চায়ের বহুমুখী ব্যবহার বৃদ্ধি, বিপণন প্রক্রিয়ায় আধুনিকায়ন এবং সর্বোপরি অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশি চায়ের নতুন বাজার সৃষ্টির মাধ্যমে বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করার পথ তৈরি করতে হবে। সে জন্য নতুন নতুন ব্যান্ডিং এর খুবই প্রয়োজন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদ এমপি, সভাপতি অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত কমিটি ও সাবেক চিফ হুইপ বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ, মেজর জেনারেল মোঃ আশরাফুল ইসলাম, এনডিসি, পিএসসি চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ চা বোর্ড।
শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, মিছবাহুর রহমান, মৌলভীবাজার জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সাধারন সম্পাদক জেলা আ’লীগ, কামরান টি রহমান সভাপতি বাংলাদেশীয় চা সংসদ, মো. জসিম উদ্দিন সভাপতি এফবিসিসিআই, শাহ মঈনুদ্দিন হাসান সভাপতি টি ট্রেডার্স এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ।
চা শিল্পে অবদানের জন্য জাতীয় চা দিবসে প্রথম বারের মতো ৮ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় চা পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে দেশের চা শিল্পে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ৮টি ক্যাটাগরিতে বিভিন্ন চা কোম্পানী/ব্যক্তিকে ‘জাতীয় চা পুরস্কার ২০২৩” প্রদান করা হয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ চা বোর্ডের যৌথ উদ্যোগে এ বছর প্রথমবারের মত ‘জাতীয় চা পুরস্কার’ প্রদান করা হয়। এ ছাড়া দিবসটি উপলক্ষ্যে দিনব্যাপী চা মেলার আয়োজন করা হয়। মেলাতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চা প্রদর্শন করা হয়।
দর্শনার্থীদের জন্য দিনব্যাপী চা মেলা উন্মুক্ত ছিল। এ ছাড়াও বঙ্গবন্ধু প্যভেলিয়ন এবং শ্রীমঙ্গস্থ টি মিউজিয়ামে রক্ষিত চা শিল্পের দুর্লভ জিনিসপত্র প্রদর্শন করা হয়।
এ সময় অনুষ্ঠানে চা-শ্রমিক জনগোষ্ঠী, চা-বাগান মালিক ও ব্যবস্থাপকসহ চা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
‘জাতীয় চা পুরস্কার প্রাপ্ত ৮ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান হলো: (১) একর প্রতি সর্বোচ্চ উৎপাদনকারী চা বাগান- ভাড়াউড়া চা বাগান
(২) সর্বোচ্চ গুণগত মানসম্পন্ন চা উৎপাদনকারী বাগান-মধুপুর চা বাগান
(৩) শ্রেষ্ঠ চা রপ্তানিকারক-আবুল খায়ের কনজ্যুমার প্রোডাক্টস লি. (৪) শ্রেষ্ঠ ক্ষুদ্রতায়ন চা উৎপাদনকারী-মো. আনোয়ার সাদাত সম্রাট (পঞ্চগড়)
(৫) শ্রমিক কল্যাণের ভিত্তিতে শ্রেষ্ঠ চা বাগান- জেরিন চা বাগান
(৬) বৈচিত্র্যময় চা পণ্য বাজারজাতকরণের ভিত্তিতে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান/কোম্পানি-কাজী এন্ড কাজী টি এস্টেট লি:
(৭) দৃষ্টিনন্দন ও মানসম্পন্ন চা মোড়কের ভিত্তিতে শ্রেষ্ঠ চা প্রতিষ্ঠান/কোম্পানি-গ্রিন ফিল্ড টি ইন্ডাস্ট্রিজ লি:
(৮) শ্রেষ্ঠ চা পাতা চয়নকারী (চা শ্রমিক)-উপলক্ষী ত্রিপুরা, নেপচুন চা বাগান।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ।
অনলাইন ডেস্ক :
তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলার ঘটনায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের দু’টি মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি রিপনকে (৪৭) আটক করেছে র্যাব-৬ এর একটি দল।
১৯ মে শুক্রবার দুপুরে র্যাব-৬ এর সাতক্ষীরা সদর কোম্পানি থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে ১৮ মে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার নিজ বাড়ির খাটের নিচে বিশেষভাবে তৈরি করা সুড়ঙ্গ থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত রিপন কলারোয়া হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা। তাকে কলারোয়া থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন বলেও জানিয়েছে র্যাব।
সূত্র মতে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলার ঘটনায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের দু’টি মামলায় গত ১৮ এপ্রিল বিএনপি দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ চারজনকে যাবজ্জীবন ও ৪৪ জনকে সাত বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত। এর মধ্যে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত হন রিপন। তবে তিনি পলাতক ছিলেন।
প্রসঙ্গত, ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট সকাল ১০টায় তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ধর্ষণের শিকার এক মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকে দেখতে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে আসেন। সেখান থেকে যশোরে ফেরার পথে সকাল ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে বিএনপির নেতা-কর্মীরা কলারোয়ায় দলীয় অফিসের সামনে একটি যাত্রীবাহী বাস (সাতক্ষীরা-জ-০৪-০০২৯) রাস্তার ওপরে আড় করে দিয়ে তার গাড়ি বহরে হামলা চালায়। এতে আওয়ামী লীগের এক ডজন নেতা-কর্মী আহত হন।
এ ঘটনায় করা মামলায় ২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি তালা-কলারোয়ার বিএনপি দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৫০ জন নেতা-কর্মীকে চার থেকে ১০ বছর মেয়াদে সাজা দেন সাতক্ষীরার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হুমায়ুন কবির। এছাড়া গত ১৪ জুন অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনের অপর দুটি মামলায় চার্জ গঠন করা হয়। যার রায় ঘোষণা করা হয় গত ১৮ এপ্রিল।
চলারপথে ডেস্ক :
পবিত্র মাহে রমজানের দ্বিতীয় জুমাতেও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ দেশের সকল মসজিদে মুসল্লিদের ঢল নেমেছিল। ধনী-গরিব, ছোট-বড় সকলের উপস্থিতিতে কানায় কানায় পূর্ণ ছিল মসজিগুলো।
আজ ৩১ মার্চ শুক্রবার জুমার নামাজের আজানের আগ থেকেই মসজিদে মসজিদে মুসল্লিদের উপস্থিতি শুরু হয়। রাজধানীর বায়তুল মোকাররমে প্রচণ্ড খরতাপ উপেক্ষা করে বিভিন্ন গেট দিয়ে মুসল্লিরা নামাজের জন্য প্রবেশ করেন। বেলা সোয়া ১২টা পার হতেই মুসল্লিদের ঢল নামে জাতীয় মসজিদে। বেলা ১টা বাজতেই কানায় কানায় পূর্ণ হয় মসজিদের ভেতর-বাহির প্রাঙ্গণ। মসজিদের ভেতরে জায়গা না পেয়ে মুসল্লিদের রাস্তায় দাঁড়িয়ে নামাজ পড়তে দেখা যায়। ভেতরে তিল ধারনের জায়গা না থাকায় ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা উত্তর গেটের বাহিরের সিঁড়ি ও রাস্তায় নামাজ আদায় করেন।
বায়তুল মোকাররমে খুৎবা পেশ করেন খতিব মুফতি রুহুল আমীন। নামাজ শেষে মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
এদিকে রমজান মাসের দ্বিতীয় জুমায় রাজধানীর জাতীয় মসজিদ বাইতুল মোকাররম ছাড়াও হাইকোর্ট জামে মসজিদ, লালবাগ শাহী মসজিদ, চকবাজার শাহী মসজিদ, গুলশানের আজাদ মসজিদ, ধানমন্ডি সেন্ট্রাল মসজিদ, সোবহানবাগ মসজিদ, মহাখালীর মসজিদে গাউছুল আজম, বনানী বাজার মসজিদ, মহাখালী বায়তুল মাহফুজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ, মতিঝিল ওয়াপদা মসজিদসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার জামে মসজিদে লাখো লাখো মুসল্লি জুমার নামাজ আদায় করেন। এসব মসজিদের নামাজের খুতবায় রমজানের বিশেষ গুরুত্ব তুলে ধরে বয়ান করা হয়।
এছাড়াও জুমার নামাজ শেষে খতিব ও ইমামগণ দেশ-জাতি ও মুসলিম উম্মার কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করেন।
উল্লেখ্য, বিশ্বের মুসলমানদের কাছে সবচেয়ে ফজিলতপূর্ণ মাসটি হলো মাহে রমজান। আর সপ্তাহের সবচেয়ে ফজিলতপূর্ণ দিনের মধ্যে রয়েছে পবিত্র জুমার দিন।
অনলাইন ডেস্ক :
গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি ক্ষুধা মুক্ত, দারিদ্র্য মুক্ত সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। তাঁর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে অগ্রসর হচ্ছেন। তিনি ২০৪১ সালের মধ্যে একটি প্রযুক্তি নির্ভর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন। আমরা শেখ হাসিনার এই লড়াইয়ে পরস্পরের সাথী হব।
আজ ২ মে বৃহস্পতিবার সকালে পূর্ত ভবনের সেমিনার কক্ষে ৪১তম বিসিএস (গণপূর্ত) ক্যাডারে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা গণপূর্ত অধিদপ্তরে আপনাদের স্বাগত জানাই। দেশপ্রেম থাকলে যেকোনো কাজ করা সম্ভব। ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর দেশ গড়ে তুলতে সবাইকে দায়িত্বশীল হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যেতে হবে।
মোকতাদির চৌধুরী বলেন, মনুষ্য সন্তানদের দ্বারা পৃথিবীর সব কাজই সম্পন্ন করা সম্ভব। যারা চাঁদে যাচ্ছে, ইন্টারনেট আবিষ্কার করেছে, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির নতুন নতুন আবিষ্কারের মাধ্যমে যারা পৃথিবীকে সুন্দরভাবে সাজিয়েছেন, তারা সবাই আমাদের মতো মানুষ ছিলেন। সুতরাং তারা যদি পারেন, আমরা কেন পারব না?
তিনি বলেন, ভবিষ্যত প্রজন্মের কথা চিন্তা করে আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের জন্য যুদ্ধে যাপিয়ে পড়েছিলাম এবং ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে এটি অর্জন করতে পেরেছি। বর্তমান প্রজন্মকেও ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য একটি বাসযোগ্য রাষ্ট্র রেখে যেতে দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিতে হবে। কর্মক্ষেত্রে সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে এবং সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করতে হবে।
ঠিকাদাররা কাজের গুণগত মান বজায় রেখে কাজ সম্পন্ন করছেন কিনা তা সঠিকভাবে তদারকি করতে গণপূর্তের নতুন কর্মকর্তাদের পরামর্শ দেন মন্ত্রী। এসময় প্রত্যেক কর্মকর্তাকে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান তিনি।
গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী শামীম আখতারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব নবীরুল ইসলাম। আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন স্থাপত্য অধিদপ্তরের প্রধান স্থপতি মীর মঞ্জুরুর রহমান।
চলারপথে ডেস্ক :
দেশের শিক্ষাবোর্ডগুলোর পরিকল্পনা ছিল আগামী জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহে ২০২৩ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু করার। তবে বেশিরভাগ কলেজ ও মাদ্রাসায় সিলেবাস শেষ না হওয়ায় এ পরীক্ষা এক মাস পিছিয়ে যাচ্ছে। এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা আগামী আগস্টে নেওয়ার জন্য সরকারের কাছে প্রস্তাব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব কমিটি। শীগ্রই শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানা গেছে।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব কমিটি সূত্রে জানা গেছে, করোনা সংক্রমণের কারণে ২০২০ সালের মার্চ থেকে টানা প্রায় দেড় বছর দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় সশরীরে শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেওয়া বন্ধ ছিল। সে কারণে এলোমেলো হয়ে যায় শিক্ষাপঞ্জি, যা এখনো স্বাভাবিক হয়নি। স্বাভাবিক সময়ে এসএসসি পরীক্ষা শুরু হতো ফেব্রুয়ারিতে। আর এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হতো এপ্রিলে। গত বছর ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের একাদশ শ্রেণিতে ক্লাস শুরু হয় গত বছরের মার্চ থেকে। তারাই এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় বসবেন।
এবার পুনর্বিন্যাস করা পাঠ্যসূচিতে পরীক্ষা হলেও প্রশ্নপত্রের ধরন হবে আগের মতোই। করোনার সময় যেমন বেশি প্রশ্নপত্র থেকে কম প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছিল, এবার সেই সুবিধা নেই। মূলত এসব কারণেই জুলাইয়ে এ বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনা থেকে সরে এল শিক্ষা বোর্ডগুলো।
চলারপথে রিপোর্ট :
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার ভুইগড় থেকে স্বামী-স্ত্রীসহ প্রতারক চক্রের চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। চক্রটি মোবাইল ফোনের পরিচয়ের সূত্র ধরে নানা শ্রেণির লোকজনকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ব্লাকমেইল করে মুক্তিপণ আদায় করত। এ অভিযোগে চক্রটির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গতকাল রবিবার রাতে ফতুল্লা মডেল থানা এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় গ্রেপ্তারকৃতদের কবল থেকে উদ্ধার করা হয় মুক্তিপনের জন্য আটকে রাখা হৃদয় হোসেন (৩২) নামে এক যুবককে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- ফতুল্লা মডেল থানার উত্তর ভুইগড়ের নজরুল ইসলামের ভাড়াটিয়া আঃ হাইয়ের পুত্র মোঃ মোরশেদ আলম (৩৫), তার স্ত্রী পাপিয়া খাতুন (৩৩), কোরবান আলীর ছেলে মো. নয়ন আলী (২৯) ও ফতুল্লা মডেল থানার উত্তর ভুইগড়ের নজরুল ইসলামের ভাড়াটিয়া শাহিন আলমের স্ত্রী কান্তা মনি (২২)।
পুলিশ জানায়, গ্রেফতারকৃতরা দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের ফাঁদে ফেলে মোবাইল ফোনে বাসায় ডেকে এনে নগ্ন করে তরুণী দিয়ে আপত্তিকর ছবি তোলে ও ভিডিও ধারণ করে ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায়ের মত অপরাধ করে আসছিল। রবিবার এই প্রতারক চক্রটি মোবাইল ফোনে কান্তাকে দিয়ে ফোন করে মানিকগঞ্জ থেকে হৃদয়কে ভুইগড়ের বাসায় ডেকে এনে চার লাখ টাকা মুক্তিপন দাবী করে। সংবাদ পেয়ে রাত ১১ টার দিকে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে অভিযান স্বামী-স্ত্রী সহ প্রতারক চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতার করে। এ সময় উদ্ধার করা হয় আটকে রাখা যুবক হৃদয়কে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আজম মিয়া জানান, চক্রটিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। তিনি আরো জানান, চক্রটির হাত থেকে উদ্ধার হওয়া যুবক হ্নদয় হোসেন আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। হ্নদয় মানিকগঞ্জ জেলার সদর থানার আব্দুল মান্নান প্রধানিয়ার ছেলে।