অনলাইন ডেস্ক :
সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী মানুষের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছে। কিন্তু জ্বালানি তেল, কয়লা বা গ্যাসের অভাব সারা বিশ্বব্যাপী। এখন কেনাটাই অনেকটা মুশকিল। ক্রয় করাটা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। তারপরও প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। ইতোমধ্যে কাতার ও ওমানের সঙ্গে চুক্তি সই হয়ে গেছে। জলবিদ্যুৎ আমদানিরও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কয়লা কেনার জন্য ইতোমধ্যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে যাতে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো আবার চালু করা যায়। আজ ৪ জুন রবিবার সংসদের বৈঠকে শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, করোনা ভাইরাসের অতিমারি আর ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধের ফলে সমগ্র বিশ্বে যে খাদ্যমন্দা, মুদ্রাস্ফীতি, পরিচালনা ও পরিবহন ব্যয়, বিদ্যুতের ঘাটতি- এটা প্রত্যেকটি মানুষের জীবনকে অসহনীয় করে তুলেছে। বাংলাদেশ সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছে। বিশ্বের এই অস্বাভাবিক পরিস্থিতি আর কতদিন চলবে তা কেউ বলতে পারে না। হয়তো বিশ্ব পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যেতে পারে।
আওয়ামী লীগ দলীয় চট্টগ্রাম-১০ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ডা. আফছারুল আমীনের মৃত্যুতে সংসদে শোক প্রস্তাব আনা হয়। চলতি সংসদের কোনো সদস্যের মৃত্যুতে বৈঠক মুলতবি করার রেওয়াজ রয়েছে। শোক প্রস্তাব গ্রহণের পরের দিনের কার্যক্রম স্থগিত করে সোমবার বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত সংসদের বৈঠক মুলতবি করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
শোক প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে সংসদ নেতা বলেন, সরকার জ্বালানি সংকট মোকাবিলায় উদ্যোগ নিয়েছে। আজকে স্বাধীনতার সুফল মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছাচ্ছে। মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নতি হয়েছে। যদিও ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ, নিষেধাজ্ঞা, পাল্টা নিষেধাজ্ঞা, বিশ্বব্যাপী মুদ্রাস্ফীতি, জ্বালানি তেলের অভাবের কারণে এখন শুধু বাংলাদেশ নয়, উন্নত দেশগুলোও হিমশিম খাচ্ছে। ইউরোপ, আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশে কিন্তু জ্বালানির অভাব হচ্ছে।
সরকারপ্রধান বলেন, লোডশেডিং বা বিদ্যুৎ ব্যবহার সীমিত করা হচ্ছে। খাদ্যপণ্য থেকে শুরু করে প্রত্যেকটি জিনিসের দাম বেড়ে গেছে। উন্নত দেশেও বহু মানুষ চাকরি হারাচ্ছে। এমন একটি অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সারা বিশ্বব্যাপী।
তিনি বলেন, জানি না আর কখনও এ রকম পরিস্থিতি হয়েছিল কিনা। হয়তো প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরে হয়েছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে তো দুর্ভিক্ষ ও মন্বন্তর দেখা দিয়েছিল।
সবাইকে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে সংসদ নেতা বলেন, বিদ্যুৎ ব্যবহারে একটু সাশ্রয়ী হতে হবে। সব জিনিস ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে। খাদ্য উৎপাদনও বাড়াতে হবে। চেষ্টা করে যেতে হবে। বিশ্বের এই অস্বাভাবিক পরিস্থিতি আর কতদিন চলবে তা কেউ বলতে পারে না। হয়তো বিশ্ব পরিস্থতি আরও খারাপের দিকে যেতে পারে। দেশের মানুষের সুরক্ষার জন্য, খাদ্য নিরাপত্তার জন্য যা যা করণীয় তা করে যাচ্ছেন বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
মরহুম আফসারুল আমীনকে স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, তিনি ছাত্রজীবন থেকে ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। প্রতিটি সংগ্রামে তিনি ভূমিকা রেখেছেন। নিবেদিতপ্রাণ ছিলেন। দলের প্রতি তাঁর নিষ্ঠা ও সততা ছিল অতুলনীয়। তিনি মন্ত্রী হিসেবেও অত্যন্ত সাফল্য দেখিয়েছেন।
তিনি বলেন, ৭৫ এর পর ২১টি বছর মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি করা হয়েছে। অনেক মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দেওয়ারও সাহস পেতেন না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সংগ্রামের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা হয়েছে। সেই সংগ্রামে আফরারুল আমিনকে পাওয়া গেছে।
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী সবসময়ই দুর্গতদের সেবা করে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯১ সালের ঘুর্ণিঝড় হয়েছে, মানুষ মারা গেছে। তৎকালীন বিএনপি সরকার জানেইনি যে ঘূর্ণিঝড় হয়েছে। সকলের আগে আমাদের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ছুটে যায়। আমি নিজেও ছুটে যাই। সেই কুতুবদিয়া, মহেলখালী, বাশখালী- মানুষের লাশ, মহিলা ও শিশুর লাশ ভাসছে। তখন আফসারুল আমিনসহ চট্টগ্রামের সকল নেতারা মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। আমরা সাধ্যমতো রিলিফ দেওয়া ও লাশ দাফনের ব্যবস্থা করি। এটা নিয়ে সংসদে প্রধানমন্ত্রী (খালেদা জিয়া) বলেছিলেন, যত মানুষ মরার কথা ছিল তত মানুষ মরেনি। তিনি তখনও জানেননি। তাঁর কাছে কোনো খবর ছিল না। আমি জিজ্ঞাসা করেছিলাম কত মানুষ হলে আপনার তত মানুষ হবে।
শোক প্রস্তাবের ওপর অন্যদের মধ্যে সিনিয়র পার্লামেন্টারিয়ান তোফায়েল আহমেদ, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদ, শিক্ষা উপমন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সরকারি দলের মোতাহার হোসেন, নুরুল ইসলাম নাহিদ, ওয়াসিকা আয়শা খান, জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু ও মসিউর রহমান রাঙা বক্তব্য রাখেন।
অনলাইন ডেস্ক :
খুলনার ডুমুরিয়ায় ট্রাক ও ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকে সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো তিনজন।
আজ ১০ ফেব্রুয়ারি শনিবার বিকালে উপজেলার খর্ণিয়া ইউনিয়নের আঙ্গারদোহা গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- খর্নিয়া ইউনিয়নের আঙ্গারদোহা গ্রামের সাব্বির মোড়ল (২৩), শোভনা ইউনিয়নের জিয়েলতলা গ্রামের ইজিবাইকচালক বিশ্বজিৎ বিশ্বাস (৩০) ও তার শিশুপুত্র অর্ণি বিশ্বাস (৪), গুটুদিয়া ইউনিয়নের বিলপাবলা গ্রামের নিপা ঢালী (২৫) ও তার শাশুড়ি অমরি ঢালাী (৫৫)।
আহতরা হলেন- অন্তিমা বিশ্বাস (২৬) ও অরজিৎ ঢালী(৬)। অন্যজনের পরিচয় জানা যায়নি। তাদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হতাহতরা সবাই ইজিবাইকের যাত্রী।
ডুমুরিয়া থানার ওসি সুকান্ত সাহা দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সাতক্ষীরা অভিমুখী ট্রাকের সঙ্গে খুলনা অভিমুখী ইজিবাইকের সংঘর্ষ হলে ঘটনাস্থলে দুজন এবং হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও তিনজনের মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনা কবলিত ট্রাক ও ইজিবাইক জব্দ করা হয়েছে। তবে চালক ও হেল্পার পালিয়ে গেছে।
অনলাইন ডেস্ক :
আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) আইনের খসড়া তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক।
তিনি বলেন, আইন করার জন্য আমাদের অভিজ্ঞতা এবং জ্ঞানেরও প্রয়োজন। এ আইনের খসড়া করার জন্য আমরা আজকে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সে খসড়ায় কি কি থাকবে, সেটা নিয়ে আজকে আমরা আউটলাইনটা আলাপ করেছি। সেই আউটলাইন অনুযায়ী আমরা কাজ করবো।
আজ ২১ মার্চ বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, আমরা মনে করি আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এআই যেভাবে পৃথিবী বদলে দিচ্ছে, সেটার ব্যাপারে একটা আইন যেরকম সারা পৃথিবীতে চিন্তা করা হচ্ছে বাংলাদেশেও চিন্তা করা উচিত। সেই চিন্তা করার জন্যই আমরা আজকে প্রাথমিকভাবে বসেছিলাম। আজকে আইনের একটা আউটলাইন আমরা করলাম। এ বিষয়টা এত ব্যাপক এক দিনের আলোচনায় শেষ হবে না। এ আইনের মধ্যে যে জিনিসগুলো থাকা উচিত, মনুষ্যত্বের দিক থেকে যে বিষয়গুলো রক্ষা করা উচিত- সেগুলোর বিষয়ে আলোচনা করেছি। সেই আলোচনা শুরু হলো এবং আলোচনা চলবে।
আউটলাইনে কি কি থাকছে- জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, এই মুহূর্তে সেটা আমরা বলতে চাই না। কারণ এটাও পরিবর্তনশীল। বিষয়টা পর্যবেক্ষণ করার জন্য এবং অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য, অন্যান্য জায়গায় কি আইন হচ্ছে সেটা একটু পরীক্ষা করার জন্য এই সময়টুকু নিয়েছি। আমি বিশ্বাস করি এই সময়ের মধ্যে আমরা এই আইনটা তৈরি করতে পারব।
এই আইনের ফলে কি হবে জানতে চাইলে আনিসুল হক বলেন, এটি আমাদের কাছেও জিজ্ঞাস্য। এর কারণ হচ্ছে আমরা কতটুকু নিয়ন্ত্রণ করবো। এই জিনিসটুকু আমি বলতে পারি- মানুষের অধিকার সংরক্ষণের জন্য, সর্বক্ষেত্রে সেটা সংরক্ষণের জন্য, মানুষের সুবিধার জন্য এআইকে যাতে ব্যবহার করা যায় সেই চেষ্টাই আমরা করব।
এরপর ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, অত্যন্ত সময়োপযোগী একটি সিদ্ধান্ত আইনমন্ত্রী মহোদয় গ্রহণ করেছেন। গত ফেব্রুয়ারিতে তিনি আমাকে নির্দেশনা দেন যে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে আমরা কি ভাবছি ও আইন প্রণয়নের ব্যাপারে আমরা কতটা প্রস্তুত। উনার নির্দেশনা পাওয়ার পর আমরা তথ্য প্রযুক্তি উপদেষ্টা মহোদয়ের সঙ্গে আলোচনা করি এবং যারা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে পড়াশোনা করেছেন তাদের সঙ্গে আলোচনা করে আমরা এ সিদ্ধান্তে উপনীত হই যে, ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ, স্মার্ট গভর্নেন্স, স্মার্ট অর্থনীতি করতে হলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে বাইপাস করে কিছু করতে পারবো না।
তিনি বলেন, এখন বড় একটা চ্যালেঞ্জ ও বড় একটা বিতর্ক হচ্ছে, আমরা কতটুকু উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করবো কতটুকু অপপ্রয়োগে নিয়ন্ত্রণ করবো। এ বিষয় নিয়ে আজকে আমরা আইনমন্ত্রী মহোদয়ের কাছে এসেছিলাম। আইনমন্ত্রী মহোদয়ও বললেন একটা আউটলাইন আমরা দাঁড় করিয়েছি। আগামী দিনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার পরিবর্তনটা কত দ্রুত হচ্ছে, এর ব্যবহারটা কতটুকু আমরা আমাদের অর্থনীতির সমৃদ্ধি আনার জন্য, কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য করতে পারি। বিদেশি বিনিয়োগ পাওয়ার জন্য রপ্তানি আয় বৃদ্ধির জন্য এটার কি কি ব্যবহার হতে পারে যেটা উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করবে, উদ্যোক্তাদের নতুন নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করে দেবে।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, একই সঙ্গে বর্তমান বিশ্বে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যে ভয়ানক পরিণতি আশঙ্কা করা হচ্ছে যা বিভিন্ন গবেষক এবং উদ্ভাবক বলছেন, সেটাকে মাথায় রেখে আইনমন্ত্রী মহোদয় আমাদেরকে নির্দেশনা দিয়েছেন। একদিকে উদ্যোক্তাদের সহযোগিতা করা এবং এটার যে অপপ্রয়োগ সেটার প্রতিরোধ করা। আমাদের জনগণ, জাতীয় নিরাপত্তা এবং বিশ্ব নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের কোনো অপপ্রয়োগ যাতে না হয় সেটাকে মাথায় রেখেই আমরা আইনটা প্রণয়ন করব। সেটার জন্য আমরা একটা সময় চেয়েছি। আইনমন্ত্রী আমাদেরকে যথেষ্ট সময় দিয়েছেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আইন দেখেছি, পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের এক্সিকিউটিভ অর্ডার দেখেছি, দক্ষিণ কোরিয়াসহ যেসব দেশ গত ২০১৭ সাল থেকে বিভিন্ন পলিসি, গাইডলাইন, আইন করেছে সেগুলো স্টাডি করছি। পাশাপাশি বাংলাদেশের মেধাবী ছেলে-মেয়ে যারা পড়াশোনা করেছে এবং জানে বোঝে তাদের মতামত নিয়ে এবং স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে পরামর্শ করে মন্ত্রীর কাছে আবার আসবো।
অনলাইন ডেস্ক :
বিশ্ব ইজতেমায় আজ ৭২ জোড়া বর-কনের যৌতুকবিহীন বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। বাদ আসর ইসলামি শরিয়া মেনে এসব বিয়ে পড়ানো হয়।
আজ ৩ ফেব্রুয়ারি শনিবার সকাল থেকে টঙ্গী শহর এবং ইজতেমাস্থল ও এর আশপাশের এলাকা জনসমুদ্রে পরিণত হয়। লাখ লাখ মানুষের পদভারে মুখরিত হয়ে ওঠে টঙ্গীর তুরাগ তীর।
৪ ফেব্রুয়ারি রবিবার আখেরি মোনাজাতের আগ পর্যন্ত মানুষের এ ঢল অব্যাহত থাকবে। লাখো মানুষের ইবাদত বন্দেগির মধ্যে শনিবার বিশ্ব ইজতেমার অন্যতম আকর্ষণ ছিল যৌতুকবিহীন বিয়ে। সম্পূর্ণ ইসলামি শরিয়া মেনে তাবলিগের রেওয়াজ অনুযায়ী ইজতেমার বয়ান মঞ্চের পাশে বসে যৌতুকবিহীন বিয়ের আসর ।
কনের সম্মতিতে বর ও কনে পক্ষের লোকজনের উপস্থিতিতে বিয়ে সম্পন্ন হয়। এজন্য সকাল থেকে অভিভাবকরা হবু দম্পতির নাম তালিকাভুক্ত করান। বিয়ের পর বয়ান মঞ্চ থেকে মোনাজাতের মাধ্যমে সব নব দম্পতির সুখ-সমৃদ্ধিময় জীবন কামনা করা হয় এবং মঞ্চের আশপাশের মুসল্লিদের মাঝে খোরমা-খেজুর বিতরণ করা হয়।
ইজতেমা আয়োজক কমিটির গণমাধ্যম সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান জানান, বাদ আসর ভারতের মাওলানা জোবায়রুল হাসান এই বিয়ে পড়ান।
বিয়েতে মোহরানা ধার্য করা হয় ‘মোহর ফাতেমী’র নিয়মানুযায়ী। এ নিয়ম অনুযায়ী মোহরানা ধরা হয় দেড়শ’ তোলা রুপা বা এর সমমূল্যের অর্থ।
বরিশালের ব্যবসায়ী ফাইজুল হক বলেন, আমি তাবলিগ জামাতের সাথে দীর্ঘদিন ধরে সম্পৃক্ত। আমার খুব ইচ্ছে ছিল বিশ্ব ইজতেমায় এসে বিয়ে করার। আজ আমার সেই আশা পূরণ হয়েছে। সকলের কাছে নতুন জীবনের জন্য দোয়া চেয়েছেন তিনি।
অনলাইন ডেস্ক :
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের চলমান বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করার নির্দেশ দিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।
আজ ২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এডিপি বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় তিনি এ নির্দেশ দেন। তিনি সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করার জন্য প্রকল্প পরিচালক এবং সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।
মন্ত্রী বলেন, জাতীয় অগ্রগতির চেয়ে সামান্য বেশি হলেও মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন অগ্রগতি যথেষ্ট সন্তোষজনক নয়। আগামী ৩০ জুনের মধ্যে এই অগ্রগতি একটি সম্মানজনক পর্যায়ে নিয়ে আসার লক্ষ্যে সবাইকে কাজ করতে হবে।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালযয়ের সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে নিজস্ব অর্থায়নভুক্ত ৩২টি এবং জিওবি ও বৈদেশিক সাহায্যপুষ্ট ৪৮ টি, মোট ৮০টি প্রকল্পের বিপরীতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মোট বরাদ্দ ৬০৮১.৮০ কোটি টাকা। তন্মধ্যে জিওবি ও বৈদেশিক সাহায্যপুষ্ট প্রকল্পে বরাদ্দ ৫১৯২.৬১কোটি এবং নিজস্ব অর্থায়নভুক্ত প্রকল্পে বরাদ্দ ৮৮৯.১৯ কোটি টাকা। মার্চ ২০২৪ পর্যন্ত অর্থ অবমুক্ত করা হয়েছে জিওবি ও বৈদেশিক সাহায্যপুষ্ট প্রকল্পে ৫৮.১৬% এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়িত প্রকল্পে ৫৫.৬১%।
সামগ্রিকভাবে ( জিওবি/বৈদেশিক সাহায্যপুষ্ট এবং নিজস্ব অর্থায়নভুক্ত) প্রকল্পে আর্থিক অগ্রগতি বিবেচনায় সর্বোচ্চ অগ্রগতি রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (৭৪.৫৪%) এবং সর্বনিম্ন অগ্রগতি খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (১১.৫৯%)। মার্চ-২০২৪ পর্যন্ত মন্ত্রণালয়ের সার্বিক অগ্রগতি ৪৩.৩৭% যা গত বছর একই সময় ছিল ৪৪.২৭%। এসময়ে আরএডিপি অনুযায়ী জাতীয় অগ্রগতি ৪২.৩০ %।
আরএডিপিতে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের জিওবি/বৈদেশিক সাহায্যপুষ্ট প্রকল্পে ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে বরাদ্দ ১১ কোটি ৬ লক্ষ টাকা। তন্মধ্যে ১১ কোটি ৪ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা (৯৯.৮৫%) ব্যয় করা হয়েছে এবং এক্ষেত্রে ভৌত অগ্রগতি মার্চ ২০২৪ পর্যন্ত ১০০% যা মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তর/সংস্থা সমুহের মধ্যে সর্বোচ্চ অগ্রগতি। অন্যদিকে খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের জিওবি/বৈদেশিক সহায়তাপুষ্ট প্রকল্পে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আরএডিপি বরাদ্দ ২৪৭ কোটি ৯৮ লক্ষ টাকা যেখানে মার্চ ২০২৪ পর্যন্ত ব্যয় ১৪ কোটি টাকা (৫.৬%) এবং এক্ষেত্রে ভৌত অগ্রগতি মার্চ ২০২৪ পর্যন্ত ৩২% যা মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তর সংস্থাসমূহের এডিপি বাস্তবায়নের মধ্যে সর্বনিম্ন।
সভায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ নবীরুল ইসলাম, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল অবসরপ্রাপ্ত মোঃ সিদ্দিকুর রহমান সরকার, গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আজমত উল্লাহ খান, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুসসহ গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ও এর অধীন বিভিন্ন দপ্তর/সংস্থার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।