অনলাইন ডেস্ক :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের অস্থায়ী প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচনের ঘোষিত তফসিল স্থগিত করা হয়েছে। আজ ৫ জুন সোমবার মনোনয়ন জমাদানের শেষ তারিখে নির্বাচনের তফসিল স্থগিত করা হয়।
জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও অস্থায়ী প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচন-২০২৩ এর রিটার্নিং অফিসার মো. আমিনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. মলয় চৌধুরীর পরামর্শে এ তফসিল স্থগিত করা হয়েছে। গত ৩১ মে ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ১৪ জুন জেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে চেয়ারম্যান প্যানেল এর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তফসিলে ৪ জুন মনোনয়ন বিক্রয়ের শেষ তারিখ এবং ৫ জুন বিকেল ৪টা পর্যন্ত মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় নির্ধারিত ছিল।
মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিনে প্যানেল চেয়ারম্যান পদে জেলা পরিষদ সদস্য বাবুল মিয়া, আবুল কালাম আজাদ ও বিউটি কানিজ মনোনয়ন জমা দেন। তবে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী অনিবার্য কারণবশত ঘোষিত তফসিল স্থগিত করা হয়েছে। বিষয়টি সকল জেলা পরিষদ সদস্যদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের পরবর্তী নির্দেশনা অনুযায়ী শীঘ্রই নতুন তফসিল ঘোষণা করা হবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে জেলা পরিষদ সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান প্রার্থী বাবুল মিয়া জানান, আমরা মনোনয়নপত্র জমা দিতে এসে জানতে পেরেছি মন্ত্রণালয় থেকে সাময়িক সময়ের জন্য আমাদের নির্বাচনের তফসিল স্থগিত করা হয়েছে। তবে আমরা মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার ছিল জমা দিয়েছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়নের আব্দুল মোনেম মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ হোসনে আরা বেগমকে জোরপূর্বক কথিত পদত্যাগ প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও স্মারকলিপি প্রদান করেছে শিক্ষার্থীরা।
আজ ৮ সেপ্টেম্বর রোববার বিকেলে শিক্ষার্থীরা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতির কাছে অধ্যক্ষের কথিত পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার চেয়ে একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন। এর আগে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসের সামনে জড়ো হন। এ সময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা জানান, গত ১৯ আগষ্ট কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থী বহিরাগত ছেলে মেয়েদের নিয়ে কলেজে প্রবেশ করে অধ্যক্ষকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে তাদের লেখা একটি কাগজে স্বাক্ষর করতে অধ্যক্ষকে বাধ্য করেন। যা অধ্যক্ষের পদত্যাগপত্র বলে তারা দাবি করে তারা। শিক্ষার্থীরা জানান, এই পদত্যাগ আমরা মানিনা, আমরা অধ্যক্ষকে স্বপদে বহাল চাই।
শিক্ষার্থীরা বলেন, অধ্যক্ষ হোসনে আরা বেগম কলেজে যোগদান করার পর কলেজের সার্বিক শিক্ষার মান বেড়েছে। তিনি কলেজের সার্বক্ষনিক লেখাপড়ার তদারকি করেন। আমরা তাকে স্বপদে বহাল চাই। তাই আমরা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মোহাম্মদ সেলিম শেখের কাছে তাকে দ্রুত স্বপদে বহাল করার দাবি জানিয়েছি।
কলেজ শিক্ষার্থী আফজাল হোসেন, শরীফ উল্লাহ, মুজাহিদ আহমেদ বলেন, কলেজের কয়েকজন শিক্ষক ও শিক্ষার্থী ষড়যন্ত্র করে অধ্যক্ষকে জোরপূর্বক পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর নিয়েছেন। আমরা এই পদত্যাগ মানি না।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মোহাম্মদ সেলিম শেখ বলেন, কলেজ অধ্যক্ষকে পূর্ণবহালের দাবিতে শিক্ষার্থীরা একটি স্মারকলিপি দিয়েছেন। এই বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভর্তুকি মূল্যে কার্ডধারী নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে টিসিবির নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রয় শুরু হয়েছে।
আজ ১৫ মে বুধবার বেলা ১১টার দিকে সদর উপজেলা পরিষদ চত্ব¡রে সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ মোনাব্বর হোসেন কার্ডধারী মানুষের মাঝে বিক্রয় কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
প্রত্যেক কার্ডধারী ৬০ টাকা কেজি দরে ২ কেজি মশুর ডাল, ১০০ টাকা লিটার দরে ২ লিটার সয়াবিন তেল ও ৩০ টাকা কেজি দরে ৫ কেজি চাল পায়।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ মোনাব্বর হোসেন জানান, সদর উপজেলার নিম্ন আয় ও সুবিধাবঞ্চিত কার্ডধারী মানুষের মাঝে টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে।
পৌরসভায় ৪৯ ৫২ জনসহ সদর উপজেলায় ১৬৬১৮ জন নিম্ন আয়ের কার্ডধারী মানুষের মাঝে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির এই পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। বুধবার সদর উপজেলা পরিষদ চত্ত্বর, কালভৈরব, কারখানাঘাট, আনন্দবাজার ও শেরপুর ঈদগাহ মাঠে এই টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে এই কার্যক্রমটি খুবই জনবান্ধব। নিম্ন আয়ের মানুষেরা যেনো সঠিকভাবে এই পণ্য পায়, তার জন্য জোরদার ভাবে তদারকি করা হচ্ছে। কোন ডিলার দুর্নীতি করলে তার বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
‘‘নিজেরা অনিয়ম করব না, কাউকে অনিয়ম করতে দেবো না’’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে বৈষম্য ও অনিয়ম বিরোধী নাগরিক সমাজের কমিটি গঠিত হয়েছে। এ উপলক্ষে এক আলোচনা সভা ২৯ সেপ্টেম্বর রোববার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের ট্যাংকের পাড়স্থ পৌর কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় কমরেড মো. নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন, মো. হুমায়ুন কবীর, আবুল কালাম নাইম, ওমর ফারুক জুন্নুন, শেখ মো. জাহাঙ্গীর প্রমুখ।
সভায় সর্বসম্মতিক্রমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বৈষম্য ও অনিয়ম বিরোধী নাগরিক সমাজ নামক একটি কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটি নিম্নরূপ: সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক জুন্নুন, সহসভাপতি কানু লাল মজুমদার, হুমায়ুন কবীর, আবুল কালাম নাইম, সহ সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক আদিত্ম কামাল, দপ্তর সম্পাদক সফিউল আলম কাজল, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক কোহিনুর আক্তার, প্রচার সম্পাদক রুদ্র মো. ইদ্রিস, প্রবাসী কল্যাণ সম্পাদক কাজী মইনুল ইসলাম, সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক আমির হোসেন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মইনুল ইসলাম মানিক, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক মো. শাহ আলম, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক শাহ আলম পাহলোয়ান, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক নেহার রঞ্জন সরকার, কৃষিবিষয়ক সম্পাদক সোহেল সরকার, বাজার বিষয়ক সম্পাদক এনামুল হক, আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট ছাদেকুর রহমান এবং শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট মো. মোরজান মিয়া।
এছাড়াও ২০জনকে সাধারণ সদস্য করা হয়েছে।
সভায় বক্তারা বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অসাম্প্রদায়িক চেতনা ছড়িয়ে দিতে, সকল অনিয়ম দূর করতে গণসচেতনতা সৃষ্টি এবং সিন্ডিকেটমুক্ত বাজার ব্যবস্থা গড়ে তোলার উপর গুরুত্বারোপ করা হয়। এছাড়া শহরের যানজট নিরসন, ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি প্রতিরোধসহ পাসপোর্ট অফিসকে দালালমুক্ত রাখতে জনসচেতনতামুলক কাজ করবে এই সংগঠন।
বক্তারা বলেন, আমরা নিজেরা অনিয়ম করব না, কাউকে অনিয়ম করতে দেবো না।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১৩ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ সেলিম মিয়া ও মোঃ শামীম মিয়া নামে দুই মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।
গতকাল বুধবার রাতে শহরের দক্ষিণ পৈরতলা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত সেলিম মিয়া জেলার কসবা উপজেলার বাড়াই গ্রামের আবুল কালামের ছেলে ও শামীম মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের কাজীপাড়ার হারুন মিয়ার ছেলে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহকারি পরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার রাতে দক্ষিণ পৈরতলা এলাকায় সেলিম মিয়ার ভাড়া বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
পরে সেলিম মিয়ার বাসা তল্লাশী করে ১৩ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। তিনি বলেন, এ ঘটনায় মাদকদ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।