চলারপথে রিপোর্ট :
জেলাপরিষদ চেয়ারম্যান, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার গতকাল রবিবার সরাইল উপজেলার প্রাচীনতম ও ঐতিহ্যবাহী অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় পরিদর্শন করেছেন।
এ সময় বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সেলিনা আক্তার সহ শিক্ষক মন্ডলী তাঁকে স্বাগত জানান।
এ সময় শিক্ষকবৃন্দ বিদ্যালয়ের শিক্ষক সঙ্কট সহ শিক্ষকদের স্টাফ বাথরুম নির্মাণের অপরিহার্যতা ও জাতির পিতার মুর্যাল স্থাপন সহ বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরে তাঁকে অবহিত করেন যে, বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে ৭শত শিক্ষার্থীর বিপরীতে ১৭টি সহকারী শিক্ষকের পদ থাকা সত্তেও, মাত্র ৭জন শিক্ষক কর্মরত রয়েছেন। ফলে শিক্ষার্থীদের নিয়মিত পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে।
জেলার প্রাচীনতম বিদ্যালয়টির এই দূর্দশা শুনে জেলাপরিষদ চেয়ারম্যান বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ‘‘শিক্ষা খাতকে’’ সর্বাধিক গুরুত্ব ও বাজেট বরাদ্দ দিয়ে আসছেন। তাই উপজেলা সদরের অন্যতম এই বিদ্যাপীঠের এই সঙ্কট থাকার কথা নয়। তিনি বিদ্যালয়ের শিক্ষক সঙ্কট দূরীকরণ সহ অন্যান্য সমস্যা দূরীকরণে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। স্টাফদের বাথরুম নির্মাণ ও জাতির পিতার মুর্যাল স্থাপনে শীঘ্রই জেলাপরিষদ থেকে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে মর্মে তিনি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে আশ^্যস্থ করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে ধরন্তী বিলে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ রবির হোসেন নামে (১৭) এক কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ ২৪ জুন শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় দমকল বাহিনীরা সদস্যরা বিল সংলগ্ন তিতাস নদী থেকে তার মরদেহটি উদ্ধার করে।
সে কালিকচ্ছ ইউনিয়নের ধরন্তী গ্রামের জলিল মিয়ার ছেলে।
সরাইল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো: তরিকুল জানান, শুক্রবার রাতে রবির তার ভাইকে সঙ্গে নিয়ে ধরন্তী বিলে মাছ ধরতে গিয়ে বিলের পানিতে তলিয়ে যায়। পরে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরে শনিবার (২৪ জুন) সকালে দমকল বাহিনীর সদস্যরা তিতাস নদীতে অভিযান চালিয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে। কিশোরের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে ভূমি দখলে চলছে জালজালিয়াতির তেলেসমতি। ৩৫ বছর আগে পিতার বিক্রি করে যাওয়া বিভিন্ন দাগে ০.৫২০ একর জায়গা তথ্য গোপন করে নামজারি ও একটি সিন্ডিকেটের কাছে বিক্রি করে দেন হারু মিয়া গংরা। ওই সিন্ডিকেটের সদস্য মূল তথ্য গোপন করে নাম খারিজ করেন। ক্রেতার উত্তরাধিকারীদের আপত্তির শুনানী শেষে গত ১০.০৯.২৩ খ্রি. তারিখে ১০৩১/২৩-২৪ নম্বর নামজারি মোকদ্দমা মূলে সৃজিত ১০৭৩ নম্বর খতিয়ান বাতিল ও নামঞ্জুর করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাছরিন সুলতানা। ব্যর্থ হয়ে অভিযোগকারী হযরত আলী গংদের বিরুদ্ধে একাধিক মিথ্যা মামলা ও উচ্চ আদালতে রীট করে হয়রানির অভিযোগ ওঠেছে।
হারু মিয়া উপজেলার গোগদ গ্রামের আরজু মিয়ার ছেলে। দলিল, দখল, কাগজপত্র ও এসি ল্যান্ড অফিস সূত্র জানায়, গোগদ গ্রামের হারু মিয়ার পিতা আরজু মিয়ার কাছ থেকে ১৯৮৯ খ্রিষ্টাব্দে ৩৩৮২ নম্বর ও ১৯৯১ খ্রিষ্টাব্দে ২১৮৩ নম্বর সাফকাবলা দলিল মূলে বিভিন্ন দাগের মোট ০.৫২০ একর জায়গা ক্রয় করেন একই গ্রামের কালু মিয়া। ক্রেতা বিক্রেতা দু’জনই মারা গেছেন। জীবিত থাকাবস্থায় জায়গার নাম খারিজ করেননি কালু মিয়া। তাই বিএস রেকর্ডে আরজু মিয়ার নাম থেকে যায়। ভূমি দস্যু একটি চক্রের সহায়তায় সুযোগটি কাজে লাগিয়ে আরজু মিয়ার ছেলে হারু মিয়াসহ ওয়ারিশগণ তথ্য গোপন করে ১৯৫৬/১৫-১৬ নম্বর মোকদ্দমা ওয়ারিশসূত্রে নামজারি করে ৮১৪ নম্বর খতিয়ান সৃজন করেন। ৮১৪ নম্বর খতিয়ানের মালিকগণ তড়িগড়ি করে গত ২০.১২.২০২২ খ্রিষ্টাব্দ তারিখের ১৯২১০ নম্বর দলিলমূলে নামজারি মোকাদ্দমা নম্বর ১০৩১/২৩-২৪ এর আবেদনকারীদের কাছে জায়গা হস্তান্তর করেন। বিএস রেকর্ডিয় মালিক কর্তৃক প্রায় ৩৫ বছর পূর্বে বিক্রয় পূর্বক স্বত্ব ত্যাগকৃত ভূমির ওয়ারিশ কর্তৃক পুনরায় নামজারি করার আইনগত কোন সুযোগ নেই। তাই কালা মিয়ার ছেলে হযরত আলীসহ অন্যান্য ওয়ারিশগণ গত ৩১ আগস্ট ২০২৩ খ্রি. তারিখে নামজরি মোকাদ্দমা ১০৩১/২৩-২৪ এর আবেদন নম্বর ৫২৯৭৩০ এর বিরুদ্ধে আপত্তি দাখিল করে অত্র মোকাদ্দমাটি পুনরুজ্জীবিত করেন। উভয় পক্ষের অংশগ্রহণে দীর্ঘ শুনানী শেষে গত ৩০ অক্টোবর ২০২৩ খ্রি. তারিখে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট নাছরিন সুলতানার আদালতে আদেশ হয়, রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন, ১৯৫০ এর ১৫০ ধারার বিধানমতে প্রথম পক্ষের/ আপত্তিকারীর আপত্তি মঞ্জুর করা হলো এবং ফাতেমা বেগম গং এর নামীয় ১৯৫৬/১৫-১৬ নম্বর নামজারি ও জমাভাগ মামলামূলে সৃজিত ৮১৪ নম্বর খারিজ খতিয়ান বাতিল করে ওই খারিজ খতিয়ানের ভূমি পূর্বের মূল বি.এস খতিয়ান সমূহে সংযোগ করে রেকর্ড সংশোধনের আদেশ প্রদান করা হলো। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা ও কানুনগো (ভারপ্রাপ্ত) এ অফিসকে আগামী তিন দিনের মধ্যে রেকর্ড সংশোধন করার জন্য বলা হলো। এই আদেশের পর আলফাজ আলী ও হযরত আলী গংরা ৩৫ বছর আগে পিতা কালু মিয়ার ক্রয়কৃত জায়গার নামজারির আবেদন (নামজারি মোকদ্দমা নম্বর-৪০৭৮/২০২৩-২৪) করেন। শুনানীর জন্য তারিখ ধার্য হয়। নোটিশ জারি হয়। বাদীরা শুনানীর জন্য হাজির হন। বিবাদী অনুপস্থিত। কোন আপত্তি দাখিল হয়নি। বিধি মোতাবেক সকল পক্রিয়া সম্পন্ন ও ডিসিআর-এর মাধ্যমে সরকারী রাজস্ব জমা দেয়ার পর আলফাজ আলী গংদের নামে গত ১৬.১১.২০২৩ খ্রি. তারিখে ১০৯৭ নম্বর খতিয়ান সৃজন হয়। হযরত আলী বলেন, সাফকাবলা দলিলমূলে বাবার ক্রয়কৃত জায়গায় বাড়িঘর নির্মাণ করে ৩৫ বছর ধরে নির্বিঘ্নে বসবাস করছি। তথ্য গোপনের মাধ্যমে নামজারি করে মালিকানা দাবী করছেন হারু ফাতেমা গংরা। আপত্তি দেয়ার পর শুনানী শেষে তাদের সৃজিত খতিয়ান বাতিল হয়ে গেছে। আমাদের নামজারি আবেদন গৃহিত হয়েছে ও অনুমোদিত হয়ে ১০৯৭ খতিয়ান সৃজন হয়েছে। ফাঁকে ঘায়েল করতে আমাদের বিরুদ্ধে মারধর, নারী নির্যাতন ও ধানকাটার অভিযোগে একের পর এক মিথ্যা বানোয়াট মামলা করছেন। মামলা করার পর আর আদালতে যান না। তদন্তে মিথ্যা প্রমাণ হচ্ছে। নারাজ দিচ্ছেন। খারিজ হয়ে যাচ্ছে। সর্বশেষ সৈয়দ সারোয়ার নামের এক ব্যক্তি আদেশের প্রায় ২ মাস পর আর নামজারির প্রায় ৩১ দিন পর উচ্চ আদালতে মিথ্যা বানোয়াট তথ্য উপস্থাপন করে একটি রীট পিটিশন করেছেন। গোপনে আমাদেরকে পক্ষ করে আবারও তথ্য গোপন করে গত ২৭.১২.২৩ খ্রি. তারিখে ওই জায়গার উপর ষ্ট্যাটে-টাসকো আদেশ এনেছেন। এ গুলো করছেন শুধু আমাদেরকে হয়রানি করার জন্য।
এ বিষয়ে জানতে হারু মিয়ার মুঠোফোনে ফোন দিলে বলেন, ঝামেলা এখনো শেষ হয়নি। আমি এখন ব্যস্ত আছি। কথা বলতে পারব না। পরে কথা বলব। সরাইল উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাছরিন সুলতানা বলেন, দিন তারিখ ধার্য করেছি। তাদেরকে নোটিশ করেছি। হাজির হয়ে সময়ও প্রার্থনা করেছেন। সময়ও দিয়েছি। আদেশের এক মাস পর মিথ্যা তথ্য দিয়ে উচ্চ আদালতে রীট করেছেন। আমি ষ্টে-টাসকোর অর্ডার পেয়েছি। দেখেছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে ৮ কেজি গাঁজাসহ মোঃ মোরশেদ আলম ওরফে আতিকুল ইসলাম (৩৮) ও মোঃ হাসান মিয়া (৩৪) নামে দুই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গত মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের ইসলামাবাদ গ্রাম থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত মোরশেদ আলম ওরফে আতিকুল ইসলাম উপজেলার সৈয়দটুলা গ্রামের খন্দকার মোঃ শফিকুর রহমানের ছেলে এবং হাসান মিয়া একই গ্রামের তালিব হোসেনের ছেলে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ এমরানুল ইসলাম বলেন, তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ ১৬ আগস্ট বুধবার দুপুরে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলায় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথমধাপে জাল ভোট দেয়া ও ভোটারদের প্ররোচিত করার দায়ে চারজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড প্রদান করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।
আজ ৮ মে বুধবার দুপুরে উপজেলার কাটানিসার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্র এবং উপজেলা সদরের অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্র থেকে তাদেরকে আটক করে কারাদন্ড দেয়া হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ সেলিম শেখ এবং নবীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট তানভীর ফরহাদ শামীম পৃথক ভ্রাম্যমান অভিযান চালিয়ে তাদেরকে কারাদন্ড প্রদান করেন।
দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের কাটানিসার গ্রামের মোড়াহাটির রজব আলীর ছেলে শাকির মিয়া (৩৯) একই গ্রামের সাচ্চু মিয়ার ছেলে হৃদয় মিয়া (২৮), ইয়াকুব আলীর ছেলে মোঃ রাকিব হোসেন (২৪) এবং উপজেলা সদরের রুসমত আলীর ছেলে তামিম মিয়া (২৬)।
এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ সেলিম শেখ জানান, বুধবার দুপুরে কাটানিসার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে অবৈধ ভাবে গোপন কক্ষে গিয়ে অন্যের ব্যালট পেপারে সিল মারার সময় শাকির মিয়াকে হাতেনাতে আটক করা হয়।
শাকির ভোট কেন্দ্রে পুলিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করছিলেন। একই কেন্দ্রে অপর পুলিং এজেন্ট মোঃ হৃদয় মিয়াকে ভোটারদের ভোট প্রদানের জন্য প্ররোচিত করার সময় আটক করা হয় এবং একই কেন্দ্রের ৪০০ গজের মধ্যে ভোটারদের ভোট দেয়ার জন্য অন্যায়ভাবে প্ররোচিত করার সময় মোঃ রাকিব হোসেনকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে শাকির মিয়াকে ১৫ দিন, হৃদয় মিয়াকে ১০ দিন ও রাকিব হোসেনকে ৭ দিন বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়।
অপর দিকে নবীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট তানভীর ফরহাদ শামীম জানান, বুধবার দুপুরে সরাইল অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে জাল ভোট দেয়ার সময় তামিম মিয়া (২৬) নামে এক যুবককে আটক করা হয়।
তামিম মিয়া আবদুল মান্নান নামের এক ব্যক্তির জাল ভোট দিতে গিয়ে কেন্দ্র আটক হয়। বিষয়টি জানতে পেরে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি আলহাজ্ব মঈন উদ্দিন মঈন এম.পি বলেন, জনগণের কামলা দেওয়ার প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে জনগণ আমাকে ৫ বছরের জন্য কামলা হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছেন। আমি যদি ভাল কাজ করি তবে পরবর্তীতে আমার প্রমোশন হবে। আর আমি যদি কাম না করে কামচোরা হয় তবে পরবর্তীতে আমাকে জনগণ সরিয়ে দিবে। আমি শতভাগ কাজ করব ইনশাল্লাহ।
১৫ জানুয়ারি সোমবার বিকালে সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে বিভিন্ন দপ্তরের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি মঈন উদ্দিন মঈন সরাইল উপজেলায় ল’ ইন অর্ডারে যারা আছেন তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমি আম জনতার এমপি। দল মত নির্বিশেষে সকলে আমার এলাকায় রাতে বাড়িতে শান্তিতে ঘুমাবে। সরাইল-আশুগঞ্জ আমার এলাকায় কাউকে হয়রানি করা যাবে না। যদি কারও বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকে সেটা ভিন্ন কথা।
তিনি উপস্থিত কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে আরো বলেন, আপনারা আপনাদের মতো কাজ করে যাবেন। আপনাদের কাজে আমি ইন্টারফেয়ার করব না। তবে, আমার এলাকায় কারও খবরদারি চলবে না। যারা ইলেক্টেড তাদের মর্যাদা অক্ষুন্ন রেখে আপনারা কাজ করবেন। কারও সাথে আমার সম্পর্কের অবনতি হউক এটা আমি চাই না। অনৈতিকভাবে আপনাদের উপর কেউ প্রভাব বিস্তার করলে কিংবা আপনাদের কাজে বাধাঁ দিলে, আমি এটা টলারেন্স করব না।
এলাকার রাস্তা-ঘাটের উন্নয়নে কাবিখাসহ সরকারি স্তূপ বরাদ্দের ব্যাপারে তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, এখানে কোনো ঘুষ লেনদেন চলবে না। আমি শিক্ষকের সন্তান। আমার দাদাও ছিলেন একজন শিক্ষক। কোনো হারামের টাকা যেন আমার এখানে না যায়। আর কোনো কন্টাক্তারের ফাইল নিয়ে আমার এখানে আসা আমি লাইক করব না। ফাইনাল ম্যাসেজ হিসেবে সকলের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আই ওয়ান্ট হান্ড্রেট পারসেন্ট ওয়ার্ক। ওয়ার্ক টুগেদার টু সি সরাইল আশুগঞ্জ মডেল অব বাংলাদেশ।’
সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: মেজবা উল আলম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত মতবিনিময় সভায় সরাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব রফিক উদ্দিন ঠাকুর, সরাইল উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) নাছরিন সুলতানা, সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম, সরাইল উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রোকেয়া বেগম, ভাইস চেয়ারম্যান মো: আবু হানিফ মিয়া, সরাইল উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মো: ইসমত আলী ও আওয়ামী লীগ নেতা মো: মাহফুজ আলীসহ সরাইল উপজেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা- কর্মচারীবৃন্দ, জনপ্রতিনিধিবৃন্দসহ অন্যান্য স্তরের বিশেষ ব্যক্তিবর্গ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।