চলারপথে রিপোর্ট :
মো: আব্দুর রাজ্জাক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া :
অনলাইন ডেস্ক :
শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করেছেন আদালত। আজ ৬ জুন মঙ্গলবার ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানা অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। এরমধ্যে দিয়ে এ মামলায় তাদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে বিচার শুরু হলো।
মামলায় অন্য তিনজন হলেন- গ্রামীণ টেলিকমের এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান।
মঙ্গলবার সকালে শ্রম আদালতে হাজির হন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আদালতে তার পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন ও ব্যারিস্টার খাজা তানভীর আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন বিচারক।
পরে ড. ইউনূস উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, এ আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।
ব্যারিস্টার খাজা তানভীর আহমেদ বলেন, মামলার পরবর্তী কার্যক্রম হিসেবে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য এখন পর্যন্ত তারিখ পাওয়া যায়নি। এটা পরে জানানো হবে।
তিনি বলেন, এ মামলায় ড. ইউনূসের ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি চেয়ে করা আবেদনের ওপর শুনানি শেষ হয়েছে। আমরা আদেশ পাওয়ার অপেক্ষায় আছি।
শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে ড. মুহম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে এ মামলা করেন। মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪-এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়। পরে ওই মামলার আইনগত বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়।
একই বছরের ১২ ডিসেম্বর হাইকোর্ট মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুল জারি করেন। হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আপিল করা হলে জারি করা রুল দুই মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ। মামলার চূড়ান্ত শুনানি শেষে গত বছর ১৭ আগস্ট সেই রুল খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। এরপর ড. ইউনূস আপিল আবেদন করেন। গত ৮ মে ড. ইউনূসের লিভ টু আপিল খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ।
চলারপথে রিপোর্ট :
চুয়াডাঙ্গায় পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে বিনামূল্যে কম্পিউটার ও ড্রাইভিং প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করা হয়েছে।
আজ ৩১ অক্টোবর মঙ্গলবার বেলা ১২টায় শহরের একাডেমি মোড়ের বহুমুখী মানব কল্যাণ সংস্থার কার্যালয়ে ২ মাসব্যাপী এ প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন করা হয়। চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া ও মাগুরা জেলায় একযোগে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক সিদ্দিকুর রহমান।
বহুমুখী মানব কল্যাণ সংস্থার নির্বাহী চেয়ারম্যান আহমেদ পিপুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সাইফুল হক, সংস্থার কোষাধ্যক্ষ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. সাইফুল্লাহ রাসেল, চুয়াডাঙ্গা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক সিদ্দীকা সোহেলী রশীদ ও নির্বাহী সদস্য জেসমিন জাহান মুন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক বিপুল আশরাফ। সমাজসেবা অধিদপ্তর ও বহুমুখী মানবকল্যাণ সংস্থার আয়োজনে চুয়াডাঙ্গায় কম্পিউটার ২ ব্যাচে ৬০ জন, ড্রাইভিং ১ ব্যাচে ৩০ জন, কুষ্টিয়ায় কম্পিউটার ১ ব্যাচে ৩০ জন ও মাগুরায় কম্পিউটার ১ ব্যাচে ৩০ জন, ড্রাইভিং ২ ব্যাচে ৬০ জন বিনামূল্যে ৪৫ কার্যদিবসে এ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করবেন।
অনুষ্ঠানে বহুমুখী মানব কল্যাণ সংস্থার জেলা কমিটির সদস্য রফিক রহমান, পারভীন লায়লা মালিক, বহুলুল কবির, তানভীর নোবেলসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
মিথ্যা বিয়ের আশ্বাসে দিয়ে প্রতারণার ফাঁদে আটকে অবাধে মেলামেশা করে এখন বিয়ে করতে গড়িমসি করায় তৃপ্তি নামের এক তরুণী প্রেমিকের অফিসের গেটের সামনে অবস্থান নেন। ১৫ জানুয়ারি বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই তরুণী অফিসের সামনেই থাকেন। তার একটাই দাবি প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী প্রেমিক আব্দুল খালেক তাকে বিয়ে করতে হবে। অবস্থা বেগতিক দেখে নিজ কর্মস্থল থেকে দৌড়ে পালিয়ে যান প্রেমিক আব্দুল মালেক। ঘটনাটি ঘটেছে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে। অভিযুক্ত প্রেমিক আব্দুল মালেক সমাজসেবা অধিদপ্তরের কম্পিউটার অপারেটর পদে কর্মরত।
আরও পড়ুন
ওবায়দুল কাদেরের ‘ছেলে’ হিরু গ্রেফতার
তৃপ্তির অভিযোগে জানা যায়, পাঁচ বছর আগে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। বিয়ের আশ্বাসে তারা বিভিন্ন আবাসিক হোটেল ও রিসোর্টে থেকেছে। এমনকি তাদের শারীরিক সম্পর্কও হয়েছে। ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে আব্দুল মালেকের পরিবারকে সব কথা জানিয়ে ওই তরুণী বিয়ের দাবি জানান। তার দাবির প্রেক্ষিতে ছেলের পরিবার ৬ মাস সময় নেয়। এই সময় অতিবাহিত হলে তিনি আবার ছেলের বাড়ি যান। তখন আব্দুল মালেক বিয়ে করে তাকে পালকিতে করে নিয়ে যাবে বলে আশ্বাস দেন।
ওই তরুণী আরো বলেন, সম্প্রতি মালেক তাকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করেন। তিনি আর কোনো উপায় না পেয়ে বিয়ের দাবিতে মালেকের কর্মস্থল ঈশ্বরদী উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তর কার্যালয়ে গিয়ে অবস্থান নেন। পরে সেখানে মালেক ও তার পরিবারের লোকজন ওই তরুণীকে লাঞ্ছিত করেন।
আরও পড়ুন
এইচএমপিভিতে আক্রান্ত সেই নারী মারা গেছেন
এ বিষয় আব্দুল মালেক অস্বীকার করেন। তিনি জানান, তৃপ্তির সাথে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। তার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতেই এমন অভিযোগ নিয়ে এসেছে।
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. আতিকুর রহমান বলেন, ওই তরুণী অফিসে এসে অবস্থান করছেন। এটা তো আমাদের অফিসিয়াল কোনো বিষয় না। এবিষয়ে আমাদের কিছু করার নেই। তবে যার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হচ্ছে তিনি আমাদের অফিসেরই একজন। কোনো লিখিত অভিযোগ পেলে আমার ঊর্ধ্বতনদের জানাবো এবং বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেব।
আরও পড়ুন
মেঘনা নদী থেকে অবাধে লুট হচ্ছে বালু
এ ব্যাপারে ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
অনলাইন ডেস্ক :
দেশের সর্বস্তরের জনগণকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন খালেদা জিয়া। বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানান।
তিনি বলেন, চলমান সার্বিক পরিস্থিতিতে দেশের সর্বস্তরের জনগণকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও দেশের সর্বস্তরের জনগণকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বলে জানান তিনি।
চলারপথে রিপোর্ট :
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা থেকে একটি অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ ১২ আগস্ট শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ৯৯৯-এ খবর পেয়ে রাণীহাটী ইউনিয়নের পলুপাড়া গ্রামে সড়কের পাশে পড়ে থাকা পরিত্যক্ত ককটেলটি উদ্ধার করে পুলিশ।
সদর থানার ওসি সাজ্জাদ হোসেন বলেন, কে বা কারা এবং কেন ককটেলটি রেখে গেছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তবে এ ঘটনায় কেউ আটক হয়নি।
সেখানের আশপাশ তল্লাশি করে অন্য কোনো ককটেল বা বিস্ফোরক পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান ওসি।
চলারপথে ডেস্ক :
পঞ্চাশ বছরের পথ চলায় জাতীয় সংসদ অনেক ঐতিহাসিক ঘটনার স্বাক্ষী হয়ে আছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সংসদীয় গণতন্ত্রের কেন্দ্রবিন্দু জাতীয় সংসদ অনেক চড়াই-উৎরাইয়ের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে ভূমিকা রেখে চলেছে। সরকারের জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার মধ্য দিয়ে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় মহান জাতীয় সংসদ অনন্য ভূমিকা পালন করছে।
আজ ৭ এপ্রিল শুক্রবার জাতীয় সংসদ সংসদের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ১৪৭ বিধিতে (সাধারণ প্রস্তাব) আনা প্রস্তাব উত্থাপনকালে সংসদ নেতা এসব কথা বলেন।
এর আগে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ভাষণ দেন। পরে প্রধানমন্ত্রী প্রস্তাব উত্থাপন করলে তার ওপরে সাধারণ আলোচনায় অংশ নেন প্রথম জাতীয় সংসদের সদস্য ও সরকারি দলের আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ ও শেখ ফজলুল করিম সেলিম।
প্রধানমন্ত্রীর উত্থাপিত প্রস্তাবে বরা হয়, ‘বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ৫০ বছর পূর্তির এই মাহেন্দ্রক্ষণে সংসদের অভিমত এই যে, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সংসদীয় গণতন্ত্রের কেন্দ্রবিন্দুরূপে জনগণের জীবনমান উন্নয়ন এবং আশা আকাঙ্ক্ষার সফল বাস্তবায়নে অব্যাহতভাবে কার্যকর ও সক্রিয় ভূমিকা রাখবে এবং এর মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র হবে সুসংহত, শোষণমুক্ত সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হবে, সকলের জন্য সাম্য ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে, সংবিধানের এ অঙ্গীকারসমূহ পূরণে আমরা সকলে একযোগে কাজ করবো, গড়ে তুলবো আগামীর সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত, ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত স্মার্ট বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা- এই হোক আমাদের প্রত্যয়।’
প্রস্তাব উত্থাপনকালে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা জাতির পিতার আদর্শ নিয়ে পথ চলি। তাই ধারাবাহিকভাবে ২০০৮ সালের পরে দেশে গণতন্ত্র অব্যাহত আছে। যার ফলে একটা স্থিতিশীলতা আছে। মাঝে মাঝে আমাদের প্রতিবন্ধকতা, অনেক চড়াই-উৎরাই পার হতে হয়। তারপরও বাংলাদেশকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। আজকে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে, আশা করি ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ এবং জাতির পিতার স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে উঠবে।’
তিনি বলেন, ৫০ বছরের পথ চলায় জাতীয় সংসদ অনেক ঐতিহাসিক ঘটনার স্বাক্ষী হয়ে আছে। সংসদীয় গণতন্ত্রের কেন্দ্রবিন্দু জাতীয় সংসদ অনেক চড়াই-উৎরাইয়ের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র এগিয়ে নিতে ভূমিকা রেখে চলেছে। ৫০ বছরের পথপরিক্রমা অনেক ক্ষেত্রেই মসৃণ ছিল না। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালো রাতে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর বার বার সামরিক ফরমান জারি করে সংবিধানকে ক্ষতবিক্ষত করা হয়েছে। গণতন্ত্র ও জাতীয় সংসদের ওপর আঘাত হেনেছে। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল সামরিক ও স্বৈরশাসনের পালাবদলের মধ্য দিয়ে সংবিধানের চার মুলনীতিতে আঘাত করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার বন্ধে ১৯৭৯ সালে দ্বিতীয় সংসদে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে কালো আইনে পরিণত করা ছিল সংসদীয় ইতিহাসে এক কলঙ্কজনক অধ্যায়। পরবর্তী সময়ে সপ্তম সংসদে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিলের মধ্য দিয়ে ইতিহাসের নিকৃষ্টতম ও নির্মম হত্যাকাণ্ডের বিচারের পথ সুগম করা হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, সরকারের জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার মধ্য দিয়ে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় মহান জাতীয় সংসদ অনন্য ভূমিকা পালন করছে। সংসদের স্থায়ী কমিটিগুলো এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
?প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর মন্ত্রণালয়ের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে স্থায়ী কমিটির সভাপতি পদে মন্ত্রীর পরিবর্তে সদস্যদের নির্বাচিত করা হচ্ছে। বিরোধী দলের সদস্যদের থেকে স্থায়ী কমিটির সভাপতি নির্বাচিত করা হচ্ছে। সিপিএ ও আইপিউতে সভাপতিত্ব ছিল বাংলাদেশের সংসদের প্রতি আন্তর্জাতিক অঙ্গনের আস্থার প্রতীক।
নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশের সংসদ একটি অনন্য দৃষ্টান্ত- একথা উল্লেখ করে সংসদ নেতা বলেন, বর্তমান সংসদে স্পিকার, সংসদ নেতা, সংসদ উপনেতা, বিরোধী দলের নেতা, একজন হুইপ, চারজন স্থায়ী কমিটির সভাপতির ভূমিকা পালন করছেন নারী। জাতীয় রাজনীতিকে নারীদের উৎসাহিত করতে সংসদে নারী আসন ৫০-এ উন্নীত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, গত তিন মেয়াদে জাতীয় সংসদের ধারবাহিক অগ্রযাত্রা, সংসদীয় গণতন্ত্রের স্থায়ীত্ব ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বাংলাদেশের ব্যাপক উন্নয়নের ক্ষেত্র রচনা করেছে। জনগণের জীবনমানের উন্নয়নে আজ বাংলাদেশ বিশ্বের বিস্ময়। দারিদ্র বিমোচন, দুর্যোগ মোকাবিলা, নারীর ক্ষমতায়ন, শিশু মৃত্যুহার হ্রাস ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিশ্বে বাংলাদেশ আজ রোল মডেল।
শেখ হাসিনা বলেন, সংসদীয় গণতন্ত্রের মঞ্চ মহান জাতীয় সংসদ সরকারের সামগ্রিক উন্নয়নে অংশীদার এবং সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অর্জনসমূহ সংসদে আলোচনার মাধ্যমে জাতির সামনে উপস্থাপিত হয়।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর সাড়ে তিন বছরের শাসনকালে দেশের জন্য সবচেয়ে বেশি কার্যকর ভূমিকা পালন করেছিলেন বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, একটি বিরল দৃষ্টান্ত জাতির সামনে রেখে গিয়েছিলেন জাতির পিতা যে, ইচ্ছা থাকলে কত দ্রুত একটা দেশকে পুনর্গঠন, পুনর্বাসন এবং উন্নয়ন করা যায়। আজকে তিনি বেঁচে থাকলে বাংলাদেশ অনেক আগেই উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে উঠতো।
আলোচনায় অংশ নিয়ে গণপরিষদ এবং প্রথম জাতীয় সংসদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু একটি লক্ষ্য নিয়েই রাজনীতি করেছিলেন- দেশের স্বাধীনতা এবং মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর বোন শেখ রেহানা আছেন। বঙ্গবন্ধুকন্যার হাতে আওয়ামী লীগের পতাকা তুলে দেওয়া হয়। সে পতাকা হাতে নিয়ে তিনি যত্ন সহকারে রাষ্ট্র পরিচালনা করছেন।
প্রথম জাতীয় সংসদের আরেক সদস্য আমির হোসেন আমু বলেন, ষড়যন্ত্র নানা দিকে বিস্তৃত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র দেশের উন্নয়ন ও স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।
তিনি সব ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রগতিশীল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, তাঁরা একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে এগিয়ে যেতে চান। কিন্তু সেখানে বাধা আছে। যারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিদেশে চাকরি দিয়েছিল তারা বাধা।
সরকারের উন্নয়নের কথা তুলে ধরে সরকারি দলের এই জ্যেষ্ঠ সংসদ সদস্য বলেন, গ্রামের মানুষ এখন একবেলাও অভুক্ত থাকে না। সংসদ সদস্যরা এর সাক্ষী।
শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, আর যাতে কোনো সামরিক জান্তা ক্ষমতায় আসতে না পারে সেইদিকে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
সংসদ সদস্যদের আলোচনা শেষে রোববার এই প্রস্তাব গ্রহণ করা হবে।