চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কাপড়ের রঙ দিয়ে আইসক্রিম প্রস্তুত করার অপরাধে “জেসি সুপার আইসক্রিম” নামে একটি আইসক্রিম ফ্যাক্টরিকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
আজ ৭ জুন বুধবার দুপুর ১২টায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহকারি পরিচালক মোঃ মেহেদী হাসানের নেতৃত্বে পৌর এলাকার শিমরাইলকান্দি গ্রামে অবস্থিত ওই আইসক্রিম ফ্যাক্টরীকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এ ব্যাপারে অভিযান পরিচালনা পরিচালনাকারী ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহকারি পরিচালক মোঃ মেহেদী হাসান বলেন, বুধবার দুপুরে শিমরাইলকান্দি এলাকায় অবস্থিত “জেসি সুপার আইসক্রিম” ফ্যাক্টরীতে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানকালে দেখা যায় অপরিষ্কার ও অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে ওই ফ্যাক্টরীতে কাপড়ে দেয়ার রঙ দিয়ে আইসক্রিম তৈরি করছে। পাশাপাশি অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে আইপি (আইসক্রিম তৈরীর মূল উপাদান) সংরক্ষণ করে রাখা হয়। প্রতিষ্ঠানটিতে আইসক্রিম তৈরির কর্মীদের কোন ফিটনেস সার্টিফিকেট নেই। পরে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে ওই ফ্যাক্টরিকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ভারতে পালিয়ে থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেছেন, ‘চট করে ঢুকবেন, ফট করে জেলে যাবেন। গর্ব করে তিনি বলতেন, শেখ হাসিনা পালায় না। এখন শেখ হাসিনা মাথা নিচু করে পালিয়ে যান।’
আজ ২৬ অক্টোবর শনিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরে আয়োজিত খেলাফত মজলিসের কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কর্মী সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন খেলাফত মজলিস ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সভাপতি হাফেজ মুহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ নিয়াজী। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, ‘বিগত সময়ে আমাদের কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়নি। গ্রেপ্তার, হয়রানি, গুম সব করা হয়েছে। ১৬ বছরে অত্যাচারের ষোলো কলা পূর্ণ হওয়ার পর শেখ হাসিনা আর সময়ই পায়নি। তাকে পালাতে হয়েছে।’ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে আমার-আপনার ভাই মারা গেছেন। শেখ হাসিনার পরিবারের কেউ মারা যায়নি। শেখ হাসিনার বাবা স্বাধীনতার ঘোষক নন, কিংবা স্বাধীনতাসংগ্রামীও নন। স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় তার বাবা পাকিস্তানে বন্দি ছিল।’
ইসলামী দলগুলোকে ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে আহমদ আবদুল কাদের আরো বলেন, ‘ঐক্যের বিকল্প নাই। একেকটি আসনে ইসলামী দলের একেকজন প্রার্থী দিতে হবে। যে স্বপ্ন বাঁচার, যে স্বপ্ন এগিয়ে যাওয়ার সেটা নস্যাৎ করতে দেওয়া যাবে না। আমরা প্রভাবমুক্ত রাষ্ট্র চাই। আমরা বলতে চাই, বাঙালির কণ্ঠরোধ করা যায়, দমিয়ে রাখা যায় না। শুধু প্রয়োজন হলো জেগে ওঠার।’
এ সময় তিনি এই সরকারকে সব কাজে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারে রমজান আলী (২৮) নামে এক হাজতি গলায় লুঙ্গি পেঁচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
১৯ এপ্রিল বুধবার রাত পৌনে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। রমজান আলী আশুগঞ্জ উপজেলার চরচারতলা গ্রামের মন্নাফ মিয়ার ছেলে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারের সুপার মো. শহিদুল ইসলাম বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, রমজান আলী একটি হত্যা মামলায় তিন বছর ধরে হাজতে আছেন। রাতে লুঙ্গি দিয়ে বাথরুমের ভেন্টিলেটরে ঝুলে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কারা হাসপাতালে পরে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২ হাজার ৫শত জন কৃষকদের মধ্যে প্রনোদনা হিসেবে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে।
আজ ১০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকালে সদর উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সে এই সার ও বীজ বিতরণ করা হয়। সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত মো. ইশতিয়াক ভূইয়া প্রধান অতিথি থেকে কৃষকদের হাতে সার ও বীজ তুলে দেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা কৃষি অফিসার শাহানা বেগমের সভাপতিত্বে সার ও বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার ফাহমিদা সিদ্দিকী হাবিবা, অতিরিক্ত কৃষি অফিসার সালমা সুলতানা, উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা আনোয়ারুল হক চৌধুরী ও সকল ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ এবং বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা কৃষি অফিসার শাহানা বেগম জানান, সদর উপজেলায় প্রনোদনার কর্মসূচির আওতায় ২হাজার ৫শত জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক কৃষককে ৫ কেজি আউশ বীজ, ১০ কেজি ডিএপি সার, ১০ কেজি এমওপি সার দেয়া হয়। পাশাপাশি আউশ ধানের উফশী বীজ ব্রি ধান ৪৮, ব্রি ধান ৮২, ব্রি ধান ৮৫, ব্রি ধান ৯৮ জাতের উন্নতমানের বীজও কৃষকদের মাঝে বিতরণ করা হয়।
তিনি জানান, এ বছর পহেলা বৈশাখের আগেই সঠিক সময়ে কৃষকদের মাঝে আউশ ধানের বীজ এবং সার বিতরণ করা হয়েছে। যাতে কৃষকগণ সঠিক সময়ে বীজতলা করতে পারেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণার অংশ হিসেবে আজ ৩ জানুয়ারি বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভাষন দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিকেল ৩টায় স্থানীয় নিয়াজ মুহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিতব্য জেলা আওয়ামীলীগ আয়োজিত এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি ভাষন দেবেন। এদিকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষন উপলক্ষে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে জেলা আওয়ামীলীগ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও পৌর সভার সাবেক মেয়র মোঃ হেলাল উদ্দিন বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণার অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার বিকেল ৩টায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বক্তব্য রাখবেন। প্রধানমন্ত্রী জনসভা করতে আমরা ইতিমধ্যেই অনুমতি নিয়েছি। জনসভা সফল করতে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী বলেন, দুপুর ২টা থেকে নিয়াজ মুহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জনসভা শুরু হবে। বিকেল ৩টায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখার কথা রয়েছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী জনসভায় দলের প্রার্থীদের কথা বলবেন এবং বিশেষ করে উন্নয়নের কথা তিনি অবশ্যই বলবেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মানুষ যাতে শান্তিতে থাকতে পারেন আইন-শৃংখলার কথা বলবেন।
তিনি বলেন, জনসভাকে সফল করতে আমরা ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। জনসভায় দলীয় প্রার্থীদের উপস্থিত থাকতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। জনসভায় ১৫/২০ হাজার লোকের জনসমাগম হবে বলে তিনি জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার বিভিন্ন পূজামন্ডপে গিয়ে শারদীয় দুর্গাপূজার শুভেচ্ছা বিনিময় ও মন্ডপ পরিদর্শন করছেন।
আজ ২২ অক্টোবর রবিবার রাতে আনন্দময়ী কালিবাড়ি পূজামন্ডপসহ বিভিন্ন পূজামন্ডপ পরিদর্শন করেন।
এ সময় জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার পূজা চলাকালীন সময়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে কেউ যাতে কোন বিভেদ সৃষ্টি করতে না পারে সেদিকে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার মেয়র মিসেস নায়ার কবির, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ সেলিম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইকবাল হোছাইন, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের আহবায়ক সুনীল চন্দ্র দেব, আনন্দময়ী কালিবাড়ি পূজা মন্ডপের নেতৃবৃন্দের মধ্যে আশীষ পাল, উত্তম রায়, সাবেক উপজেলা শিক্ষা অফিসার প্রবীর চন্দ্র দেব, সাংবাদিক নেতা পীযুষ কান্তি আচার্য্য, এড. রাখেশ রায়সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
পরিদর্শনকালে পূজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দ ও সনাতনী ধর্মলম্বীদের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে মতবিনিময় ও শারদীয় শুভেচ্ছা বিনিময় করেন