চলারপথে রিপোর্ট :
জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার বলেছেন, ‘৬৬ ঐতিহাসিক ৬ দফা আন্দোলনের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্রসহ সকল রাজনৈতিক অপশক্তির চক্রান্তকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার বিজয়কে নিশ্চিত করতে হবে।
ঐতিহাসিক ৭ জুন ‘৬ দফা দিবস’ উৎযাপন উপলক্ষে গতকাল বুধবার আশুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি এই আহবান জানান।
বর্ষিয়ান আওয়ামীলীগ নেতা, আশুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী ছফিউল্লাহর সভাপতিত্বে এবং রুবেল সিকদারের সঞ্চালনায় সভায়, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নাসের আহম্মেদ, অধ্যক্ষ শাহাজান আলম সাজু, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা হেবজু মিয়া, হাজী ছাইদুর রহমান, ইলিয়াছ মিয়া ও মোশারফ হোসেন মুন্সি প্রমুখ নেতৃবৃন্দ বক্তৃতা করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
একই বিদ্যালয়ে পাশাপাশি দুটি ভবন। একটি নির্মাণের চার বছর পর আরেকটি নির্মাণ করা হয়। পুরাতন ভবনটির সব ঠিক থাকলেও পরবর্তীতে নির্মাণ করা ভবনটি মাত্র ১৭ বছরে জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। ভবনের পিলারে পলেস্তারা খসে পড়ে দেখা দিয়েছে ফাটল এবং বের হয়ে এসেছে রড। বিদ্যালয়ের ছাদ থেকেও খসে পড়ছে পলেস্তারা। ছাদের বেশ কয়েকটি জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় নতুন ভবনের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি দেওয়া হলেও মেলেনি কোনো সাড়া। ঝুঁকি নিয়ে চলছে বিদ্যালয়ের পাঠদান।
এমন চিত্র ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের খড়িয়ালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আশুগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের খড়িয়ালা পূর্বপাড়ায় ১৯৬৮ সালে খড়িয়ালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। বিদ্যালয়ে ২৪৭ জন শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে। এর মধ্যে ছেলে শিক্ষার্থী ১০৮ ও মেয়ে শিক্ষার্থী ১৩৯ জন আছে। বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ও একজন সংযুক্তি শিক্ষকসহ পাঁচজন আছেন।
২০০১-২০০২ অর্থ বছরে বিদ্যালয় চত্বরের পূর্বদিকে একটি পাকা ভবন এবং ২০০৫-০৬ অর্থবছরে পশ্চিমদিকে আরেকটি পাকাভবন নির্মাণ করা হয়। দুটি ভবনই পিলারের ওপর দাঁড়িয়ে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ২০০৫-২০০৬ সালে নির্মাণ করা বিদ্যালয়ের পশ্চিমদিকের ভবনের নিচের পিলার, বিমের পলেস্তরা খসে পড়েছে। বেশ কয়েকটি জায়গায় রড বের হয়ে গেছে। পশ্চিমদের ভবনে শ্রেণিকক্ষ, বারান্দা, দপ্তরের ছাদের ওপর একাধিক জায়গায় ফাটল আছে। খসে পড়ছে পলেস্তরা। এর মধ্যেই প্রধান শিক্ষক হাসিনা বেগমসহ অন্য শিক্ষকরা ঝুঁকি নিয়েই সেখানে পাঠদান চালিয়ে যাচ্ছেন। পশ্চিমদিকের জরাজীর্ণ ভবনে দুটি শ্রেণিকক্ষ, একটি দাপ্তরিক কাজ ও শিক্ষকদের বসার জন্য একটি কক্ষ এবং শৌচাগার আছে।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পশ্চিমদিকের ভবনে সকাল ৯টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত প্রাক প্রাথমিকের এবং সাড়ে ১২টা থেকে সোয়া ৪টা পর্যন্ত পঞ্চম শ্রেণির পাঠদান চলে। পাশের ভবনে দ্বিতীয় থেকে চতুর্থ শ্রেণির পাঠদান চলে। প্রধান শিক্ষক হাসিনা বেগম গত বছরের শেষ দিকে বিদ্যালয়ের জরাজীর্ণ ভবনের কথা উল্লেখ করে নতুন ভবনের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি লিখেন। একাধিকবার সংশ্লিষ্ট দপ্তরে ভবনটির দুরবস্থার কথা জানালেও কোনো কাজ হয়নি। অনেকটা ঝুঁকি নিয়েই সেখানে পাঠদান চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষকরা।
পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী আবদুল হাই, রোমান মিয়া, জোনাকি আক্তার জানায়, ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে ক্লাস করতে তাদের ভয় লাগে। ছাদের রড বের হয়ে গেছে। স্কুলের ছাদ থেকে সিমেন্ট খসে খসে পড়ে। সিঁড়ির দেওয়ালও ভেঙে গেছে। সিঁড়ির দিকের ফাটল দেখলে ভয় লাগে। ভয় নিয়ে আমরা ক্লাস করি।
স্থানীয় হানিফ মিয়া বলেন, চার বছর আগে নির্মাণ করা ভবন ভালো আছে। পরে নির্মাণ করা ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। জরাজীর্ণ ভবনে আতঙ্ক নিয়ে চলে শিক্ষা কার্যক্রম।
খড়িয়ালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাসিনা বেগম বলেন, সর্বশেষ ২০২২ সালের শেষের দিকে বিদ্যালয়ের একটি ভবনের জরাজীর্ণের অবস্থা উল্লেখ করে নতুন ভবনের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি দিয়েছি। আগেও বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার চিঠি দেওয়া হয়েছে। পাঠদান চালানোর জন্য বিকল্প কোনো ভবন নেই। তাই বাধ্য হয়েই জরাজীর্ণ ভবনে শ্রেণির কার্যক্রম এবং দাপ্তরিক কার্যক্রম চালাতে হয়।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা খোরশেদ আলম বলেন, জেলা ও সব উপজেলার জরাজীর্ণ ভবনের তালিকা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। নতুন প্রকল্প বাস্তবায়নের তালিকায় এ বিদ্যালয়ের নামও আছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আশুগঞ্জ উপজেলায় ওয়ান শ্যুটারগানসহ মোঃ রাসেল মিয়া (৪২) নামে এক যুবকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এছাড়া পৃথক অভিযানে ৭টি ককটেল, দেশীয় অস্ত্র ও ৩টি চুরি করা গরুসহ ও একটি ট্রাক আটক করা হয়েছে।
সকালে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ককের সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ টোলপ্লাজা এলাকায় থেকে পৃথক অভিযানে এসব আটক করা হয়।
আটক রাসেল নরসিংদী জেলার সদর উপজেলার চিনিসপুর গ্রামের মৃত মোঃ ফিরোজ মিয়ার ছেলে।
আশুগঞ্জ থানা পুলিশ জানায়, আজ ২৪ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টায় ভাড়া করা মোটরসাইকেল যোগে ভৈরবের দিকে যাওয়ার সময় ঢাকা-সিলেট মহাসড়ককের সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর আশুগঞ্জ টোলপ্লাজা থেকে ১ টি ওয়ান শ্যুটারগান ও ১টি রাবার কার্তুজসহ রাসেলকে আটক করা হয়। এর আগে সকাল সাড়ে ৬টার দিকে টোল প্লাজা এলাকায় দায়িত্ব পালনের সময় ১টি গরুর ট্রাককে পুলিশের সন্ধেহ হলে এর গতিরোধ করা হয়।
এসময় ট্রাকটি দ্রুত উল্টো দিকে ঘুরিয়ে রেলগেইট এলাকায় থামিয়ে ট্রাকে থাকা লোকজন পালিয়ে যায়। পরে ট্রাকে তল্লাশী চালিয়ে ৩টি চোরাই গরু, ৭টি অবিস্ফোরিত ককটেল, ২টি রামদা ও ০৬টি লোহার পাইপ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় চুরি করা গরু বহনকারী ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে।
আশুগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইকবাল হোসাইন বলেন, আটক অস্ত্রধারী ও মালামালের বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের প্রক্রিয়া চলছে। তিনি বলেন, অবৈধ অস্ত্র, মাদক ও অন্যান্য অপরাধ কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে আশুগঞ্জ থানা পুলিশের সাঁড়াশি অভিযান চলছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ থেকে চুরি হওয়া প্রায় ৫ টন চালসহ চোর চক্রের ২ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসময় তাদের হেফাজত হতে চুরির কাজে ব্যবহৃত দুটি ট্রাক ও চাল বিক্রির নগদ ১২ লক্ষ ২৭ হাজার ২শ টাকা উদ্ধার করা হয়।
আশুগঞ্জ থানা পুলিশ চট্টগ্রাম জেলার খুলশী থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে আজ ৭মার্চ বৃহস্পতিবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। আটককৃতরা হলেন নোয়াখালী জেলার সেনবাগ উপজেলার কোরবানপুর গ্রামের অলি উল্লার ছেলে মোঃ রিপন মিয়া(৩৬) ও ফেনী জেলার দাগনভূঁইয়া উপজেলার আব্দুর নবী গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে মফিজুর রহমান(৫৫)।
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ নাহিদ আহাম্মেদ জানান, গত ১ মার্চ দুপুরে আশুগঞ্জ উপজেলার সোনারামপুর খান এগ্রো ফুড এবং সোহাগপুর লাল মিয়া এগ্রো ফুড থেকে মেসার্স আল-মদিনা পরিবহন সংস্থার মাধ্যমে মোঃ ফারভেজ (২৮) ও মোঃ শাহীন (২৫) ও তাদের সহযোগি হেলপারসহ অজ্ঞাতনামা ৫/৬ জন ৭৫০ বস্তা চাল (৩০ টন) নিয়ে চট্টগ্রাম ও ফেনী জেলার উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে গন্তব্যস্থলে না গিয়ে প্রতারনার মাধ্যমে চুরি করে নিয়ে যায়। গত ৪ মার্চ আল-মদিনা পরিবহন সংস্থার স্বত্বাধিকারী মোঃ জিল্লুর রহমান বাদী হয়ে আশুগঞ্জ থানার মামলা দায়ের করে।
পরে আশুগঞ্জ থানা পুলিশ ফেনী জেলার দাগনভূইয়া ও চট্টগ্রাম জেলার খুলশী থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মামলায় অভিযুক্ত রিপন মিয়া (৩৬) ও মফিজুর রহমান (৫৫) কে গ্রেফতার করে। এসময় তাদের হেফাজত হতে চুরি হওয়া ৪৭শ কেজি চাল-যার মূল্য ২লক্ষ ৪৬হাজার ৩শ টাকা ও চুরি করা চাল বিক্রির নগদ ১২লক্ষ ২৭ হাজর ২শ টাকা উদ্ধার করা হয়। এছাড়া চুরির ঘটনায় ব্যবহৃত দুইটি ট্রাক (ঢাকা মেট্রো-ট-১৪-৩৬৯৮) ও (ফেনী-ট-১১-০৯৩৪) জব্ধ করা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে আটককৃতদের আদালতে মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়। বাকী আসামীদের গ্রেফতারে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হচ্ছে বলে ওসি জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জে যুবলীগ নেতার পায়ের রগ কেটে চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার অন্যতম প্রধান আসামি সাচ্চু মিয়াকে (৫৫) গ্রেফতার করেছে র্যাব-৯ সদস্যরা।
গতকাল ৩০ সেপ্টেম্বর শনিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের পৌরসভা ৫নং ওয়ার্ড এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
আসামিকে জেলার আশুগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
গ্রেফতার সাচ্চু মিয়া আশুগঞ্জ উপজেলার তালশহর এলাকার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবু সামার ছেলে।
আজ ১ অক্টোবর রবিবার দুপুরে র্যাব-৯ থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গত ১৪ আগস্ট রাত সোয়া ৯টার দিকে তালশহর নতুন বাজার জিল্লুর রহমান ব্রিজে যুবলীগ নেতা জনি মিয়ার (৩৫) ওপর হামলা চালায় সাচ্চু মিয়া ও তার সহযোগীরা। এসময় তারা জনি মিয়ার দুই পাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাত করে কুপিয়ে আহত করে। এসময় জনির চাচাত ভাই আউয়াল মিয়ার ওপর হামলা চালায় তারা। পরবর্তীতে স্থানীয়রা দুজনকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদেরকে ঢাকায় নিতে বলেন। পথে জনি মিয়ার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা মোকসেন মিয়া বাদী হয়ে আশুগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও তার ছেলে উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যানসহ ১৫ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়।
মামলার পর র্যাব-৯ চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শুরু করে এবং গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করে।
পরবর্তীতে শনিবার বিকেলে প্রধান আসামি সাচ্চু মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরআগে এ মামলায় আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন তালশহর গ্রামের আজহার শেখের ছেলে আজিম শেখ (৩৫) ও একই গ্রামের মৃত তাজুল ইসলামের ছেলে আব্দুল্লাহ (৩২)।
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি নাহিদ আহমেদ বলেন, পায়ের রগ কেটে হত্যার মামলার প্রধান আসামিকে র্যাব গ্রেফতার করে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। আমরা তাকে আদালতে পাঠিয়েছি।
স্টাফ রিপোর্টার :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপনির্বাচন আগামী ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। গত ১৬ জানুয়ারি সোমবার এ নির্বাচনে অংশ নেওয়া পাঁচ প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। তবে ১৭ জানুয়ারি মঙ্গলবার দুই স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রতীক পরিবর্তন করা হয়েছে।
উপনির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম স্বতন্ত্র দুই প্রার্থীর প্রতীক পরিবর্তন করে তাদের মধ্যে নতুন প্রতীক বরাদ্দ দেন। এর মধ্যে বিএনপি থেকে পদত্যাগ করে উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার ‘ডাব’ প্রতীক পরিবর্তন করে ‘কলার ছড়ি’ প্রতীক ও অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টি থেকে বহিষ্কৃত নেতা অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধার ‘সিংহ’ প্রতীক পরির্বতন করে ‘আপেল’ প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সোমবার স্বতন্ত্র দুই প্রার্থীর মধ্যে বরাদ্দ করা ‘ডাব’ ও ‘সিংহ’ প্রতীক দেশের দুটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের প্রতীক। ‘ডাব’ প্রতীক হচ্ছে বাংলাদেশ কংগ্রেস নামে একটি রাজনৈতিক দলের। যার নিবন্ধন হয়েছে ২০১৯ সালের ৫ মে। এই দলের বর্তমান চেয়ারম্যান হচ্ছেন অ্যাডভোকেট কাজী রেজাউল হোসেন এবং মহাসচিব অ্যাডভোকেট ইয়ারুল ইসলাম।
আর ‘সিংহ’ প্রতীক হচ্ছে জাতীয় গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম) নামে একটি দলের। যার নিবন্ধন হয়েছে ২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি। এই দলের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব হুমায়ূন পারভেজ খান। এর আগে সোমবার উপনির্বাচনে অংশ নেওয়া ৫ প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। এর মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়াকে ‘ডাব’ প্রতীক, স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক মৃধাকে ‘সিংহ’ প্রতীক, আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু আসিফ আহমেদকে ‘মটর গাড়ি (কার)’ প্রতীক, জাতীয় পার্টির প্রার্থী আব্দুল হামিদ ভাসানী ‘লাঙ্গল’ প্রতীক ও জাকের পার্টির জহিরুল ইসলাম জুয়েল ‘গোলাপ’ ফুল প্রতীক পান।
এ ব্যাপারে উপনির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম জানান, ডাব ও সিংহ প্রতীক হচ্ছে দেশের দুটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের প্রতীক। জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের দৃষ্টিগোচর না হওয়ায় ডাব ও সিংহ প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। তবে, মঙ্গলবার বরাদ্দকৃত প্রতীক দুটি সংশোধন করে উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়াকে ‘কলার ছড়ি’ প্রতীক ও জিয়াউল হক মৃধাকে ‘আপেল’ প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তারা উভয়ই বিষয়টি মেনে নিয়েছেন।
উল্লেখ্য, উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন থেকে পাঁচ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। সর্বশেষ তিনি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে বিএনপির দলীয় প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী হয়েছিলেন। তিনি বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ছিলেন। গত ১১ ডিসেম্বর তিনি জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগ করায় আসনটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। পরে উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া বিএনপির চেয়ারপার্সনের পদ থেকে পদত্যাগ করে উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।
উপনির্বাচনে এই আসনে আওয়ামী লীগ দলীয় কোনো প্রার্থী দেয়নি। কিন্তু আওয়ামী লীগের তিনজন নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। পরে দলীয় সিদ্ধান্তে তারা তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন।