চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবন ও সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল ৭ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি অনুমোদন দেন।
বৃহস্পতিবার রাতে ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক (সহ-সভাপতি পদ মর্যাদা) মোঃ জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত প্রেসবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটিতে শাহীনুর রহমান শাহীনকে আহবায়ক ও সমীর চক্রবর্তীকে সদস্য সচিব করা হয়।
৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটিতে ৫জনকে যুগ্ম আহবায়ক করা হয়েছে। এরা হলেন এলভিন লস্কর, সাজিদ আহমেদ, রেজাউল হক শীষ, আবদুল গাফফার রিমন ও সাইফুল ইসলাম ফাহিম।
কমিটিকে আগামী ১ মাসের মধ্যে আহবায়ক কমিটিকে পূর্নাঙ্গ কমিটি করে কেন্দ্রীয় দপ্তরে জমা দেয়া নির্দেশ দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রদলের সদ্য বিদায়ী কমিটির সদস্য সচিব মোঃ মহসিন হৃদয়ের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি নতুন কমিটি গঠনের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ২৮ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সকালে রেলপথ অবরোধ করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিক্ষুব্ধ জনতা। ঢাকা- ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলপথে একটি বিশেষ ট্রেন চালু ও বেশ কয়েকটি আঃন্তনগর ট্রেনের যাত্রা বিরতি, ট্রেনের আসন বাড়ানো, টিকিট কালোবাজারি বন্ধের দাবিতে এই অবরোধ করা হয়। সকাল সোয়া দশটায় সম্মিলিত সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের ব্যানারে সাধারণ মানুষ এই অবরোধ কর্মসূচি পালন করে। এ সময় ঢাকাগামী আন্তনগর সুবর্ণ এক্সপ্রেস আখাউড়া স্টেশনে প্রায় আধঘন্টা আটকা পড়ে। পরে প্রশাসনের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে অবরোধ তুলে নিলে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
জানা গেছে, জেলা নাগরিক ফোরাম গত সাত আট বছর ধরে এই দাবিতে আন্দোলন করে আসছিল। জেলা সদরের বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এক হয়ে শুক্রবার এই আন্দোলনে নামেন। খবর পেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং সদর মডেল থানার ওসিসহ প্রশাসনের লোকজন ছুটে এসে আন্দোলনকারিদের সাথে কথা বলেন।
বিক্ষোভকারীরা জানান, দেশের পূর্বাঞ্চলের রেলপথে ব্রাহ্মণবাড়িয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন। যেখান থেকে সরকার প্রতিবছর বিপুল অংকের রাজস্ব পেয়ে থাকে। অথচ সে হিসেবে বাড়েনি যাত্রী সেবার মান। এসব রেলপথে চলাচলের জন্য যে পরিমাণ ট্রেন যাত্রা বিরতি করছে তা নগন্য। এতে জেলাবাসিকে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
জেলাবাসী দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন আন্তঃনগর ট্রেনের ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশন যাত্রাবিরতীর দাবি জানিয়ে আসলেও কর্তৃপক্ষ কেবল আশ্বাসেই দিন অতিবাহিত করেছে। ফলে বাধ্য হয়েই তাদেরকে রেলপথ অবরোধের মতো কঠোর কর্মসূচি হাতে নিতে হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা আরো জানান, দ্রুত সময়ের মধ্যে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত না এলে আগামী দিনে আরো কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত মো. ইসতিয়াক ভূঁইয়া বলেন, ‘এসব দাবির বিষয়ে জেলা প্রশাসক আগেই সংশ্লিষ্টদেরকে অবহিত করেছেন। আজকের এ আন্দোলনের বিষয়েও অবহিত করা হবে। আমাদের আশ্বাসে ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে আন্দোলনকারীরা অবরোধ প্রত্যাহার করেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভূমিকম্প ও অগ্নিকান্ড বিষয়ক মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ১০ মার্চ রবিবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে প্রধান অতিথি হিসেবে মহড়ার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান।
মহড়ায় উপস্থিত ছিলেন পৌর সভার মেয়র নায়ার কবীর, ৬০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মুহাম্মদ আশিক হাসান উল্লাহ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর এ.এস. এম শফিকুল্লাহ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ ইকবাল হোসেন প্রমুখ।
মহড়ায় দুর্যোগকালীন সময়ে করনীয় বিষয় নিয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করা হয়। মহড়া চলাকালীন সময়ে সংশ্লিষ্টরা জানান, এই মহড়া বাস্তবিক ক্ষেত্রে অনেকটাই কাজে আসবে। মহড়ায় আইন-শৃংখলা বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
স্টাফ রিপোর্টার :
একটি ভেজাল গুড় কারখানায় অভিযান চালিয়ে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেছে নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ ১৯ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পৌর এলাকার উত্তর পৈরতলায় এই অভিযান চালানো হয়।
জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারি কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট রিন্টু বিকাশ চাকমার নেতৃত্বে এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফারহান ইসলামসহ একটি দল উপস্থিত ছিলেন।
জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফারহান ইসলাম জানান, আমরা মিষ্টির গাদ দিয়ে গুড় তৈরি করা হচ্ছে এমন খবরের ভিত্তিতে উত্তর পৈরতলার সাদেক মিয়ার কারখানায় অভিযান চালাই। কিন্তু আমরা যাওয়ার আগেই তারা মিষ্টির গাদ গুলো প্রসেসিং করে ফেলে।
কারখানায় গিয়ে দেখতে পাই চিনি পুড়িয়ে খাওয়ার উপযোগী নয় এমন রঙ, হাইড্রোজ ও সেকারিন মিশিয়ে ভেজাল খেজুরের গুড় তৈরি করা হচ্ছে। তারা পঁচা ও মেয়াদোর্ত্তীন গুড়ে এসব উপাদান ব্যবহার করে খেজুরের গুড় তৈরি করছিল।
কারখানা থেকে ১২০ কেজি ভেজাল গুড়, ১০০ কেজি ভেজাল তিললাই (কদমা) ও অননুমোদিত রঙ, হাইড্রোজ এবং সেকারিন জব্দ করা হয়। এছাড়া কারখানায় ৩৫ বস্তা চিনি পাওয়া যায়।
অভিযানকালে কারখানার মালিক সাদেক মিয়াকে পাওয়া যায়নি তবে তার স্ত্রী বাহিজা বেগমকে নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩ লংঘন করায় এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
তিনি বলেন, এই কারখানা থেকে ভেজাল গুড় তৈরি করে শহরের আনন্দ বাজারে তাদের নিজস্ব দোকানে বিক্রয় করা হয়। শীতের মৌসুমে খেজুরের গুড়ের চাহিদা বেশি থাকায় তারা এই অসাধু উপায়ে ভেজাল গুড় তৈরি করে বিক্রি করে আসছিল।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলে সম্প্রদায়ের দাবির মুখে সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের সীতানগরের কাজলা বিলের প্রাকৃতিক জলাশয়ে অবৈধ দখলবাজদের দেয়া বাঁধটি অপসারণ করা হয়েছে।
আজ ৩ জুলাই সোমবার দুপুরে সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্র্যাট মোঃ মোশারফ হোসেন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে অবৈধ বাঁধটি অপসারণ করেন।
এ সময় প্রাকৃতিক জলাশয়ে অবৈধভাবে বাঁধ দেয়ার অপরাধে দখলদার কিলন মিয়াকে ১লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। দীর্ঘদিন পর জলাশয়টি উম্মুক্ত করে দেয়ায় জেলে সম্প্রদায়ের লোকদের মধ্যে স্বস্তি নেমে এসেছে।
স্থানীয়রা জানান, বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই সিতানগর গ্রামের কাজলা বিলের উম্মুক্ত জলাশয়ে বাঁধ নির্মান করেন একটি প্রভাবশালী চক্র। এতে করে মুক্ত জলাশয়ে মাছ শিকার করা থেকে বঞ্চিত হচ্ছিলেন সিতানগর ও কাশিনগর গ্রামের শতাধিক জেলে পরিবার।
উপায়ন্তু না দেখে গ্রামবাসী জলাশয়টি উন্মুক্ত করে দেয়ার জন্য সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত আবেদন করে।
পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের পক্ষ থেকে জলাশয়টি উন্মুক্ত করে দেয়ার জন্য দখলদার কিলন মিয়া ও গৌর সাহাকে একাধিক নোটিশ দেয়া হয়।
নোটিশ পেয়েও তারা জলাশয়টি উম্মুক্ত করে না দেয়ায় সোমবার দুপুরে বিলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্র্যাট মোঃ মোশারফ হোসেন। তিনি জলাশয়ে থাকা বাঁধটি অপসারন করে দেন ও কিলন মিয়াকে ১লাখ টাকা জরিমানা করেন।
এ ব্যাপারে সুহিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ওয়ার্ডের সদস্য নিশিকান্ত ঋষি জানান, গ্রামের শতাধিক পরিবার এই বিলের সাথে জড়িত। প্রভাবশালী গৌর সাহা এবং কিলন মিয়া এই বিলের মধ্য বাঁধ নির্মান করেন। এতে এলাকার জেলে স¤প্রদায়ের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছিল। জেলেদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করে জলাশয়টি উম্মুক্ত করা হয়।
এ ব্যাপারে অভিযান পরিচালনাকারী সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মোশারফ হোসেন বলেন, দখলদাররা জলাশয় দখলের বিষয়টি স্বীকার করায় পরিবেশ সংরক্ষন আইন ১৯৯৫ এর আলোকে দখলদার কিলন মিয়াকে একলাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এখন থেকে জেলেরা উম্মুক্তভাবে জলাশয় থেকে মাছ শিকার করতে পারবেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহম্মদ হোসেন বলেছেন, বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিতে চাইলে নেবে। তবে আগুন-সন্ত্রাস করলে বিএনপি-জামায়াত জনগণের কাছ থেকে রক্ষা পাবে না। তাদের শেষ পরিণতি ভোগ করতে হবে।
১৩ অক্টোবর শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে জেলা আওয়ামী লীগের প্রয়াত সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরকারের স্মরণে আয়োজিত শোক সভায় এ কথা বলেন তিনি। শহীদ ধীরেন্দ্র নাথ দত্ত ভাষা চত্বরে এ সভার আয়োজন করা হয়।
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে আহম্মদ হোসেন বলেন, বিদেশে ঘুরে লাভ নেই, বিদেশিরা ক্ষমতায় উঠাতে পারবে না। দেশের মূলশক্তি হচ্ছে জনগণ। তারা সিদ্ধান্ত নেবে কারা ক্ষমতায় থাকবে।
তিনি বলেন, মাছ যেমন পানি ছাড়া বাঁচতে পারে না, তেমনি একটি গণতান্ত্রিক দল নির্বাচন ছাড়া বাঁচতে পারে না। এ কথা বিএনপির অনুধাবন করা উচিত।
দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আহম্মদ হোসেন বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সৈনিকেরা যুদ্ধে গিয়ে হেরে আসেন না, হারতেও জানেন না। সামনে অগ্নি পরীক্ষা, সেই পরীক্ষায় আবার জিততে হবে। চ্যালেঞ্জিং এই সময়ে মরে যাব, তবে গণতন্ত্রকে খুন করতে দেব না। পাকিস্তান মার্কা স্বাধীনতা আনতে দেব না। সরকার বহির্ভূত কোনো সরকার আসতে দেব না।
সভায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্থানীয় সংসদ সদস্য র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম শিউলি আজাদ, পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবির, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম ভূঁইয়া, স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু।
এছাড়া সভায় জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।