চলারপথে রিপোর্ট :
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মোঃ রহমাতুল মুনিম গত মে মাসের ৬ তারিখ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থল শুল্ক ষ্টেশনে স্থাপিত ব্যাগেজ স্ক্যানার উদ্বোধন করেন। আখাউড়া চেকপোস্ট দিয়ে আগত এবং বহিঃগমণকারী যাত্রীদের ব্যাগেজ চেকিং করার জন্য এই যন্ত্রটি স্থাপন করা হয়। ব্যাগেজ চেকিংয়ের পাশাপাশি কেউ মাদক কিংবা অবৈধ পণ্য বহন করছে কিনা সেটিও চিহ্নিত করা এর উদ্দেশ্য। কিন্তু উদ্বোধনের পর এক মাস পেরিয়ে গেলেও স্ক্যানার মেশিনে ব্যাগেজ চেকিং করা হয় না। স্ক্যানার বসানো কক্ষটি বেশির সময়ই থাকে তালাবদ্ধ। এতে এ চেকপোষ্ট দিয়ে পারাপার হওয়া যাত্রীদের ব্যাগেজ স্ক্যানিং কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে। শুল্ক কর্মকর্তাদের ইচ্ছার উপরও নির্ভর করছে চেকিংয়ের কার্যক্রম। ফলে কেউ মাদক বা অবৈধ কোন পণ্য নিয়ে আসা যাওয়া করছে কিনা তা চিহ্নিত হয় না।
আখাউড়া ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা গেছে, আখাউড়া আন্তর্জাতিক চেকপোষ্ট দিয়ে প্রতিদিন গড়ে এক হাজার পর্যটক আসা যাওয়া করে। এতদিন স্থল শুল্ক স্টেশনে ব্যাগেজ চেকিংয়ের কোন যন্ত্র না থাকায় শুল্ক কর্মকর্তারা যাত্রীদের ব্যাগেজ চেকিং করে আসছেন। সঠিকভাবে চেকিং কার্যক্রম করার লক্ষ্যে এক মাস আগে ব্যাগেজ স্ক্যানার মেশিন স্থাপন করা হয়। কিন্তু স্ক্যানার মেশিন উদ্বোধনের পরও এক মাস ধরে অজ্ঞাত কারণে ব্যাগেজ চেকিং কার্যক্রম করা হচ্ছে না।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, স্ক্যানার মেশিনের কক্ষটি তালাবদ্ধ। এক ঘন্টা অবস্থানকালে কোন যাত্রীর ব্যাগেজ স্ক্যান করতে দেখা যায় নি।
এ ব্যপারে জানতে চাইলে আখাউড়া স্থল শুল্ক ষ্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা হাবিবুল্লাহ খান বলেন, স্ক্যানার কক্ষের রংয়ের কাজসহ কিছু কাজ এখনও শেষ হয়নি। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বিল্ডিংটি আমাদেরকে বুঝিয়ে দেয়নি। তবে স্ক্যানার মেশিন ঠিক আছে। আমরা মাঝে মধ্যে স্ক্যান করি। বিল্ডিংটি বুঝিয়ে দিলে আশা করি আগামী মাস থেকে পুরোপুরি স্ক্যানিং করতে পারব।
অনলাইন ডেস্ক :
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুলের উপর বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকিরসহ ১৯ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করেছে সরকার। বিমানের পাইলটসহ ৭০ জন গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় বার্নিংসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মোট দেড়শ জনের মতো আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সেনাবাহিনী, নৌ, বিমান ও ফায়ার সার্ভিসের তত্ত্বাবধানে উদ্ধার কাজ চলছে। আগামীকাল ২২ জুলাই মঙ্গলবার শোক দিবস ঘোষণা করা হয়েছে।
আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সরকারি ডাক্তার সাইদুর রহমান হাসপাতালে চিকিৎসা কার্যক্রম তদারকি করছেন। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী সংবাদ সম্মেলনে জানান, চিকিৎসার প্রয়োজনের সকল ব্যবস্থা সরকার করবে।
এদিকে আন্ত বাহিনী গণসংযোগ পরিদপ্তর সূত্র জানায়,
১. কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল:
– আহত:-০৮
– নিহত:-০০
২. বার্ন ইনস্টিটিউট:
– আহত:- ৭০
– নিহত:-০২
৩. সিএমএইচ-ঢাকা
– আহত:- ১৪
– নিহত:- ১১
৪. কুর্মিটোলা জেনারেল হসপিটাল:
– আহত:- নাই
– নিহত:-০২
৫. লুবনা জেনারেল হাসপাতাল এন্ড কার্ডিয়াক সেন্টার, উত্তরা:
– আহত:-১১
– নিহত:-০২
৬. উত্তরা আধুনিক হসপিটাল:
– আহত:-৬০
– নিহত:-০১
৭. উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতাল
– আহত: ০১
– নিহত: ০০
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবা-আখাউড়ার দুই বারের সাবেক সংসদ সদস্য, বাংলাদেশের সংবিধানের অন্যতম প্রণেতা, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এম.পি’র পিতা, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, মরহুম অ্যাড. সিরাজুল হক বাচ্চু মিয়া এঁর ২১তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে শনিবার সকালে উপজেলা আওয়ামীলীগ ও সহযোগি সংগঠনের আয়োজনে রেলওয়ে স্টেশন চত্বরে আলোচনা সভা ও মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আখাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরীর সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মোঃ মনির হোসেন বাবুল, মোঃ সেলিম ভূইয়া, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি এড. আব্দুল্লাহ ভূইয়া বাদল, উত্তর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, দক্ষিণ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ জালাল উদ্দিন, মোগড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম.এ. মতিন, যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল মমিন বাবুল, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাব উদ্দিন বেগ শাপলু, সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন নয়ন প্রমুখ।
এ সময় বক্তরা বলেন, সিরাজুল হক বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের সহচর ছিলেন। তিনি ছিলেন বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার প্রধান কৌসুলি। বক্তারা সিরাজুল হক বাচ্চু মিয়ার বিভিন্ন স্মৃতিচারণ করে তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। পরে মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
মানবিক সহায়তার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ নৌ-বাহিনী কক্সবাজারের সেন্টমার্টিন দ্বীপের দরিদ্র ও অসহায় বাসিন্দাদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করেছে।
আজ ৮ ফেব্রুয়ারি শনিবার নৌ-বাহিনীর কমান্ডার বিএন ফ্লিটের তত্ত্বাবধানে বানৌজা সমুদ্র অভিযান জাহাজের মেডিকেল টিম সেন্টমার্টিন দ্বীপের বিএন ইসলামিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে দিনব্যাপী মেডিকেল ক্যাম্প পরিচালনা করে।
এ ক্যাম্পেইনে শিশু, নারী ও পুরুষসহ কয়েকশো দ্বীপবাসী চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করেন। এসময় চিকিৎসা সেবা গ্রহণকারীদের মাঝে বিনামূল্যে প্রয়োজনীয় ওষুধও বিতরণ করা হয়।
বাংলাদেশ নৌ-বাহিনীর অভিজ্ঞ চিকিৎসক দল এই কার্যক্রম পরিচালনা করেন এবং স্থানীয় জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা প্রদান করেন। এসময় কোস্টগার্ডের প্রতিনিধিও ক্যাম্পেইনে অংশগ্রহণ করে।
অনলাইন ডেস্ক :
ট্রেন দুর্ঘটনা রোধে ‘রেলওয়ে সেফটি ডিভাইস’ উদ্ভাবন করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন নাটোরের নলডাঙ্গার মাধনগরের মো. আবদুল্লাহ আল কাফি (১৮)। তিনি পশ্চিম মাধনগর জোয়ানপুর গ্রামের কৃষক বাবা মো. মাহবুব আলম হোসেন ও মা মোছা. পল্লব কান্তি সরদারের একমাত্র ছেলে।
শিক্ষার্থী কাফি পাবনা পলিটেকনিক ইনিস্টিউটের ইলেকট্রনিকস বিভাগের তৃতীয় সেমিস্টারের ছাত্র। ট্রেনে নাশকতা ও দুর্ঘটনার বিষয়টি মূল গুরুত্ব দিয়ে এই ডিভাইসটি উদ্ভাবন করেন তিনি।
ট্রেন দুর্ঘটনা রোধে উদ্ভাবনী চিন্তা মাথায় নিয়ে কাজ শুরু করে, কিছুদিনের মধ্যেই আসে উদ্ভাবনের সফলতা। ট্রেন দুর্ঘটনা পুরোপুরি রোধে তৈরি করে ফেলেন একটি পূর্ণাঙ্গ ‘রেলওয়ে সেফটি ডিভাইস’।
কাফির বাবা মো. মাহবুব আলম, মা পল্লব কান্তি সরদার ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি মোস্তাফিজুর রহমান রকিসহ অনেকে জানান, রেলওয়ে সেফটি ডিভাইসটি দেখতে শত শত নারী-পুরুষ ভিড় করছে। ডিভাইসটি আরো গবেষণা করে রেলওয়ের বিভাগের মাধ্যমে স্থাপন করা হলে ট্রেন দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।
তরুণ উদ্ভাবক আবদুল্লাহ আল কাফি জানান, রেলে কোথাও ভেঙে গেলে বা কাটা হলে, সিগনাল বেজে উঠবে ও অটোমেটিক্যালি-রেলওয়ে সেফটি ডিভাইসের মাধ্যমে স্টেশন মাষ্টারের কাছে ফোন চলে যাবে। যার ফলে আর ট্রেন দুর্ঘটনার সুযোগ থাকবে না।
রেলে দুর্ঘটনা রোধে মাত্র ১০ হাজার টাকা খরচ করে ‘রেলওয়ে সেফটি ডিভাইস’টি উদ্ভাবন করেন তিনি। তবে এই ডিভাইসটি আরো শক্তিশালী করার জন্য গবেষণা ও সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন কাফি ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
মাধনগর রেলওয়ে স্টেশনের কর্তব্যরত স্টেশন মাষ্টার মো. মমিন উদ্দিন প্রামানিক বলেন, বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে রাবার ড্যাম ব্রিজের পিলারে ধাক্কা লেগে ১৮৭ মণ ধানভর্তি একটি নৌকা তলিয়ে গেছে। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
আজ ১০ অক্টোবর মঙ্গলবার ধানভর্তি নৌকাটি পানিতে ডুবে যাওয়ার ভিডিও ফেসবুক ছড়িয়ে পড়ে। এর আগে ৯ অক্টোবর সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের খেওয়ারচর জিঞ্জিরাম নদীর রাবার ড্যাম ব্রিজের নিচে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নুর ইসলাম নামে এক ব্যবসায়ী একই ইউনিয়নের আলগার চর গ্রাম থেকে ১৮৭ মণ ধান কিনে নৌকায় সায়দাবাদ ঘাটে যাচ্ছিলেন। পথে খেওয়ার চর এলাকায় জিঞ্জিরাম নদীর ওপর রাবার ড্যাম ব্রিজের পিলারে ধাক্কা লাগে নৌকাটির। এ সময় পানির তীব্র স্রোতের কারণে ধানভর্তি নৌকাটির মাঝখানে ভেঙে তলিয়ে যায়। এতে ১৮৭ মণ ধান ও একটি শ্যালোমেশিনসহ নৌকাটি তলিয়ে যায়। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৪ লাখ টাকা। স্থানীয়রা অনেক চেষ্টার পর মাত্র চার মণ ধান উদ্ধার করেন। তবে এ দুর্ঘটনায় নৌকায় থাকা ৬ জন মাঝি বেঁচে যান।
ক্ষতিগ্রস্ত ধান ব্যবসায়ী নুর ইসলাম জানান, ধারদেনা করে কোনোমতে এই ব্যবসা করে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছি। হঠাৎ এই ক্ষতি হয়ে গেলো। আমি পথে বসে গেলাম।
রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদ হাসান খান বলেন, ধানভর্তি একটি নৌকা ব্রিজের পিলারে থাক্কা লেগে নদীতে ডুবে গেছে। ওই নৌকাটিতে আনুমানিক ১৯০ মণ ধান ছিল বলে জানতে পেরেছি।