অনলাইন ডেস্ক :
খেলাধুলা-শরীর চর্চার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এগুলোর মধ্যে দিয়ে মেধার বিকাশ হয়, দেশপ্রেম ও দায়িত্ববোধ বাড়ে।
আজ ৯ জুন শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে ‘শেখ হাসিনা আন্তব্যাংক ফুটবল টুর্ণামেন্ট ২০২৩’ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, খেলাধুলা, শরীর চর্চা, সংস্কৃতি চর্চা এগুলোর মধ্যে দিয়ে মানুষের যেমন মেধা বিকশিত হয়, ঠিক সেভাবে আমাদের দেশের মানুষের উজ্জীবিত হওয়া, আত্মবিশ্বাস বাড়ে, দেশের প্রতি ভালোবাসা বাড়ে, দায়িত্ববোধ বাড়ে, কর্তব্যবোধ বাড়ে।
তিনি বলেন, আমাদের ছেলেমেয়েরা যত বেশি খেলাধুলায় সম্পৃক্ত থাকবে ততবেশি আমি মনে করি শুধু লেখাপড়া না, পাশাপাশি খেলাধুলা, শরীর চর্চা, সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের সঙ্গে যেন সম্পৃক্ত থাকে আমি সেটিই চাই।
শেখ হাসিনা বলেন, আমি চাই বাংলাদেশ সব দিক থেকে বিশ্বে সেরা হবে। খেলাধুলা, অর্থনৈতিক উন্নতি, সবদিক থেকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে মর্যাদা নিয়ে চলবে। আত্ম মর্যাদা নিয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে যেতে হবে।
ফুটবলের সঙ্গে পারিবারিক সম্পর্কের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ফুটবলের সঙ্গে আমার পারিবারিক সম্পর্ক। আমার বাবা ফুটবল খেলতেন, আমার দাদা ফুটবল খেলোয়াড় ছিলেন। এমনকি আমাদের নাতিপুতিরাও ফুটবল খেলে। সেদিক থেকে ফুটবলের সঙ্গে আমাদের অন্য রকম সম্পর্ক রয়েছে। তার থেকে বড় কথা সারা বাংলাদেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা ফুটবল।
এ ফুটবল টুর্ণামেন্ট আয়োজনের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক অ্যাসোসিয়েশনের প্রশংসা করে তিনি বলেন, এ আয়োজন সারাদেশে একটা অভূতপূর্ব সাড়া জাগিয়েছে। এ আয়োজন যেন এখানেই থেমে না যায়। আমাদের দেশে অনেক খেলা আছে। সে খেলাগুলোও যেন আস্তে আস্তে যুক্ত করে এ ধরনের প্রতিযোগিতা যেন আরও চলতে পারে।
শেখ হাসিনা বলেন, প্রতিযোগিতার মধ্যে থেকে উৎকর্ষ সাধন হবে। আর এখান থেকে আমরা আন্তর্জাতিক পর্যায়েও এক সময় আমরা বিশ্বকাপ খেলতে পারবো। হয়তো বিশ্বকাপ একদিন জিততেও পারবো।
ব্যাংক অ্যাসোসিয়েশনের দাবির প্রেক্ষিতে একটি স্টেডিয়াম করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ব্যাংক অ্যাসোসিয়েশন আমার কাছে দাবি করেছে একটি স্টেডিয়াম, অবশ্যই একটি স্টেডিয়াম আমি করে দিবো। পূর্বাচলে একটি ক্রিকেট স্টেডিয়াম হচ্ছে, তার কাছে আরেকটা ফুটবল স্টেডিয়ামসহ আমাদের স্পোর্টসের জন্য যেন একটি স্টেডিয়াম হয় সেই ব্যবস্থাটা আমরা করে দিবো।
বৃষ্টির জন্য আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করে শেখ হাসিনা বলেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে শুকরিয়া আদায় করি, গত কয়েকদিন যেভাবে গরম পড়েছে, আল্লাহর মেহেরবানিতে গতকাল এবং আজকে বৃষ্টি হয়েছে, এ বৃষ্টি যেন আমাদের জন্য একটা শান্তির বারতা নিয়ে এসেছে। আমি জানি আমাদের কিছুটা অসুবিধা হচ্ছে, আমি জানি আমাদের এ অসুবিধা থাকবে না।
সমাপনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্টেডিয়ামে বসে এ টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধের খেলা উপভোগ করেন। প্রথমবারের মতো আয়োজিত এ টুর্নামেন্টে আল-আরাফাহ ব্যাংককে ২-১ গোলে হারিয়ে শিরোপা জয় করে ইউনিয়ন ব্যাংক।
প্রধানমন্ত্রী বিজয়ী এবং রানার্সআপ দলের মধ্যে ট্রফি ও পুরস্কার তুলে দেন।
পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে দুটো গান পরিবেশন করা হয়। গ্যালারি ভর্তি দর্শক ফাইনাল খেলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, যুব ও ক্রিড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল, সেনা বাহিনী প্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ এবং বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বাব) এর চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম মজুমদার।
৩৪টি ব্যাংকের অংশগ্রহণে গত ১৩ মে ‘শেখ হাসিনা আন্তঃ-ব্যাংক ফুটবল টুর্ণামেন্ট’ শুরু হয়। সেনাবাহিনীর স্পোর্টস বোর্ডের সহযোগিতায় এ টুর্নামেন্ট আয়োজন করে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংক্স।
চলারপথে রিপোর্ট :
কক্সবাজার থেকে টেকনাফে পাত্রী দেখতে গিয়ে পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের হাতে অপহরণের শিকার হন তিন বন্ধু। অভিযোগ উঠে, স্থানীয় সন্ত্রাসীদের সহযোগিতায় পাহাড়ি রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা তাদের অপহরণ করেছে। এরপর অপহরণকারীরা ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে তিন বন্ধুকে হত্যা করা হয়। আজ ২৪ মে বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় তিন বন্ধুর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে র্যাব ও পুলিশ।
নিহতরা হলেন- কক্সবাজার জেলার ঈদগাঁও উপজেলার জালালাবাদ সওদাগর পাড়ার মোহাম্মদ ইউছুপ, চৌফলদন্ডী ইউনিয়নের রুবেল ও কক্সবাজার শহরের নুনিয়াছড়া এলাকার ইমরান।
আজ বুধবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত পুলিশ ও র্যাব বিভিন্ন পাহাড়ে যৌথ অভিযান চালায়। এক পর্যায়ে বাহারছড়ায় পাহাড় থেকে সন্ধ্যায় তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল সাইফুল ইসলাম সুমন বলেন, টেকনাফ থেকে তিন বন্ধু নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে আমরা তাদের উদ্ধারের চেষ্টা করি। এক পর্যায়ে প্রযুক্তির মাধ্যমে এক অপহরণকারীকে আটক করা হয়। আটক ব্যক্তির স্বীকারোক্তি অনুযায়ী বুধবার বিকেলে টেকনাফ দমদমিয়াসংলগ্ন গহীন পাহাড় থেকে তিন বন্ধুর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় আমাদের অভিযান চলমান।
নিহতদের পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ২৮ এপ্রিল তিন বন্ধু কক্সবাজার থেকে টেকনাফে পাত্রী দেখার উদ্দেশ্যে রওয়া দেন। তাদের টেকনাফে সদর ইউনিয়নের লেঙ্গুর বিল এলাকার রোহিঙ্গা যুবক মোহাম্মদ শফির ছেলে হেলালের বাড়িতে যাওয়ার দেখার কথা ছিল। টেকনাফে পৌঁছানোর সিএনজিচালিত অটোরিকশাটি থামিয়ে একদল পাহাড়ি সন্ত্রাসী তাদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে পাহাড়ে নিয়ে যায়। এর দুদিন পর তাদের হাত-পা বেঁধে নির্যাতন করার একটি ভিডিও পরিবারের কাছে পাঠিয়ে ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে তাদের হত্যা করে সন্ত্রাসীরা।
নিহত ইমরানের বাবা ইব্রাহিম বলেন, গত ২৫ দিন আগে আমার ছেলেসহ তিন বন্ধু টেকনাফে বেড়াতে এসে অপহরণের শিকার হয়। ঘটনাটি শুনে টেকনাফ থানায় জানাই। কিন্তু পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
তিনি আরো বলেন, আজ পাহাড় থেকে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। কিন্তু এখনও ছেলের মুখ দেখিনি।
এ বিষয়ে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হালিম বলেন, আমি এখনও পাহাড়ে অবস্থান করছি। র্যাবসহ আমরা বাহারছড়া গহীন পাহাড় থেকে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করেছি। কিন্তু উদ্ধার হওয়া মরদেহগুলো কঙ্কাল হয়ে গেছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় ধান ক্ষেতে কাজ করার সময় বজ্রপাতে সাদির আলী (৪৫) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। আজ ৬ অক্টোবর শুক্রবার বিকেলে উপজেলার পানিউমদা ইউনিয়নের রোকনপুর গ্রামের হাওরে এ ঘটনা ঘটে। মৃত সাদির আলী রোকনপুর গ্রামের মৃত গোল মোহাম্মদের ছেলে।
জানা যায়, শুক্রবার টানা বৃষ্টির মধ্যে রোকনপুর গ্রামের হাওরে নিজের ফসলি জমিতে কাজ করছিলেন কৃষক সাদির আলী। এসময় হঠাৎ আকস্মিকভাবে বজ্রপাত হলে বজ্রাঘাতে কৃষক সাদির আলী ঘটনাস্থলে নিহত হন। পানিউমদা ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য হাফিজুর রহমান বলেন, হঠাৎ আকস্মিক ভাবে বজ্রপাত হলে আমার ওয়ার্ডের বাসিন্দা সাদির আলী মারা যান। পরে হাওরে কাজে থাকা অন্যান্য কৃষক তার মৃতদেহ বাড়িতে নিয়ে আসে।
এ বিষয়ে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুপম দাস অনুপ বলেন, বজ্রপাতে এক কৃষক মারা গেছেন বিষয়টি আমরা জেনেছি, নিহত কৃষকের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
প্রায় ৪ বছর আগে নির্মাণ শেষ হয় সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া-কালিগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের বারইয়া সেতুটি। কিন্তু সংযোগ সড়ক না থাকায় এখনো সেটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে রয়েছে। সাতকোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুটির দুই পাশে সংযোগ সড়ক নেই। এজন্য চলাচলে চরম বিড়ম্বনা পোহাচ্ছেন বারইয়া, ঝিকিরা ও কালিগঞ্জসহ অন্তত ১০-১৫ গ্রামের মানুষ। সেতুর দুই পাশে বাঁশ ও কাঠ দিয়ে মইয়ের মতো তৈরি করে পথচারীদের পারাপার হতে হচ্ছে।
স্থানীয়রা বলছেন, প্রায় ১৫ গ্রামের মানুষের যোগাযোগের অন্যতম রুট উল্লাপাড়া-কালিগঞ্জ সড়কের বারইয়া খেয়াঘাট এলাকায় স্থানীয়দের দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সেতুটি নির্মাণ করা হয়। কিন্তু নির্মাণের ৪ বছর পার হলেও সংযোগ সড়ক না করায় সেটি কোনো কাজেই আসছে না। ফলে প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেতুর দুই পাশের মই বেয়ে পার হতে হচ্ছে। অনেক সময় দুর্ঘটনার শিকার হতে হচ্ছে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্রে জানা গেছে, ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় ৩০ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতুটি ২০১৯ সালে নির্মাণ করা হয়। তবে ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হওয়ায় এখনো সেতুর দুইপাশে সংযোগ সড়ক নির্মাণ হয়নি।
উল্লাপাড়া উপজেলা প্রকৌশলী মো. আবু সায়েদ বলেন, বারইয়া গ্রামের সেতু নির্মাণ প্রকল্পের প্রাায় ৮০ ভাগ কাজ শেষ হয়ে গেছে। এখন সংযোগ সড়কের জন্য ভূমি অধিগ্রহণের লক্ষ্যে যথাসময়ে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসকের ভূমি অধিগ্রহণ শাখায় আবেদন করা হয়েছে। সেখান থেকে ভূমি জরিপের কাজও শেষ হয়েছে। কিন্তু ওই ভূমির অধিগ্রহণ মূল্য এখনো নির্ধারণ কাজ সম্পন্ন হয়নি। তাই সংযোগ সড়কের নির্মাণকাজ বন্ধ আছে। ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেই সেতুর বাকি কাজ শেষ করা হবে।
উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উজ্জ্বল হোসেন জানান, একটা ব্রিজ নির্মাণে বহুবিধ কাজ জড়িত থাকে। ব্রিজটি পরিদর্শন করা হয়েছে। স্থানীয় ভূমি মালিকদের সঙ্গে কথাও হয়েছে। আশা করছি দ্রুত অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণ করে সেতু দিয়ে জনসাধারণ ও যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সবাইকে দেশ ও জনগণের কল্যাণে একত্রে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
আজ ৪ মে বৃহস্পতিবার বঙ্গভবনের ‘ক্রেডেনশিয়াল হলে ‘শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমা ২০২৩’ উপলক্ষে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী নেতাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এ আহ্বান জানান।
বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশে রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, ‘মানুষকে আলোর পথ দেখাবেন। দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করবেন।’
তিনি বলেন, পৃথিবীর সব ধর্মই মানুষের কল্যাণের কথা বলে। প্রতিটি ধর্মেই অনেক ভালো বিষয় আছে। রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন সব সময় যা উৎকৃষ্ট তা গ্রহণ এবং যা নিকৃষ্ট তা বর্জন করারও উপদেশ দেন। ‘মানুষের কল্যাণের জন্যই ধর্ম, অকল্যাণের জন্য নয়’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মানুষের জন্যই ধর্ম, ধর্মের জন্য মানুষ নয়।’
শুধু নিজে বা পরিবারকে নিয়ে ভালো থাকার চিন্তা না করে সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চিন্তা করারও তাগিদ দেন রাষ্ট্রপতি।
মহামতি বুদ্ধকে মানবতা ও মুক্তির পথিক হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় সম্প্রদায়ের অংশ। এই অঞ্চল তথা বিশ্বে শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের লোকদের দায়িত্ব ও কর্তব্য অনেক বেশি বলেও মনে করেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন।
তিনি বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নেতাদেরকে মহামতি বুদ্ধের শিক্ষাকে নিজের জীবনে প্রতিফলিত করতে এবং অন্যদেরকেও উৎসাহিত করার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশসহ বিশ্বের বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের সঙ্গে মিশে আছে প্রাচীন বৌদ্ধবিহারসহ হাজার বছরের বৌদ্ধ ঐতিহ্য।’
মো. সাহাবুদ্দিন একটি সুখী-সমৃদ্ধ ও শান্তিময় বাংলাদেশ গড়তে গৌতম বুদ্ধের সুমহান শিক্ষা ও আদর্শকে সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রপতি সবাইকে সৎ ও সুন্দর জীবন-যাপনে উদ্বুদ্ধ হওয়া, ভালো কাজে অন্যকে অনুপ্রাণিত করা এবং নিজেদেরকে দেশের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিও গুরুত্বারোপ করেন।
বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষ্যে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের সাথে রাষ্ট্রপতি এবং তার সহধর্মিণী ড. রেবেকা সুলতানা আজ বিকাল চারটা থেকে করে প্রায় ঘণ্টাখানেক শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সাউন্ড সিস্টেমের মাধ্যমে বৌদ্ধ ধর্মীয় গান ও মিউজিকের সঙ্গে রাষ্ট্রপতি শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
বৌদ্ধ ধর্মীয় নেতারা রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনকে ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
অনুষ্ঠানে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান, বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের উপসংঘরাজ শ্রীমৎ ধর্মপ্রিয় মহাথের, ধর্ম সচিব কাজী এনামুল হাসান, চট্টগ্রাম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. প্রভাত চন্দ্র বড়ুয়া, রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) প্রধান বার্তা সম্পাদক সমীর কান্তি বড়ুয়া, বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান সুপ্ত ভূষণ বড়ুয়া এবং ট্রাস্ট সচিব জয়দত্ত বড়ুয়া উপস্থিত ছিলেন।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নেতা, রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার, বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশি মিশনের প্রধান এবং আট শতাধিক আমন্ত্রিত অতিথিসহ প্রায় সহস্রাধিক লোক অংশ নেন।
অনলাইন ডেস্ক :
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, নির্বাচনি মনোনয়ন পর্ব শেষ হলে বুঝা যাবে আওয়ামী লীগ জোটবদ্ধ নির্বাচনে যাবে কিনা। কিংবা আমাদের বিরুদ্ধে যারা দাড়াচ্ছেন কোন দল বেশি শক্তিশালী, কোন দল কম শক্তিশালী সেটা পরে বুজা যাবে। আমরা চাই নির্বাচনে সকলেই অংশগ্রহণ করুক। একটি উৎসব ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ তাদের আগামী দিনের সরকার পছন্দ করে নিবে।
আজ ২২ নভেম্বর বুধবার দুপুরে চাঁদপুরস্থ কদমতলা রোডের শিক্ষামন্ত্রীর বাসভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রতিটি সংসদীয় আসনেই আওয়ামী লীগের একাধিক যোগ্য প্রার্থী থাকে। তাই সকলের মনোনয়ন চাইবার গনতান্ত্রিক অধিকার রয়েছে। মনোনয়ন কাকে দেওয়া হবে সেটা মনোনয়ন বোর্ডের সিদ্ধান্ত কিন্তু চাইবার অধিকার সবার আছে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
এসময় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।