চলারপথে রিপোর্ট :
লোকামানপুর এলাকায় ট্রেনের সাথে ধাক্কা লেগে মোটরসাইকেল আরোহী স্বামী-স্ত্রী নিহত হয়েছেন। লোকমানপুর রেলস্টেশন সংলগ্ন দোডাঙ্গি রেল ক্রসিং অতিক্রম করার সময় রাজশাহীগামী ট্রেনের ইঞ্জিনের সাথে মোটর সাইকেলের সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই স্বামী-স্ত্রী নিহত হন। এরা হলেন বাগাতিপাড়া উপজেলার জামনগর পশ্চিমপাড়া গ্রামের মৃত তছলিমের ছেলে মফিজুর রহমান (৬০) ও তার স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন (৫০)। নিহতরা মাড়িয়া গ্রাম থেকে মোটরসাইকেলে করে জামনগর যাচ্ছিলেন।
নাটোরের বাগাতিপাড়া বাগাতিপাড়া মডেল থানার ওসি সফিউল আযম খান মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আজ দুপুর আড়াইটার দিকে মফিজুর রহমান শ্বশুরালয় মাড়িয়া গ্রাম থেকে তার স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনকে সঙ্গে নিয়ে মোটর সাইকেলে করে নিজ বাড়ি বাগাতিপাড়া উপজেলার জামনগর পশ্চিমপাড়া গ্রামে ফিরছিলেন। পথে লোকমানপুর রেল স্টেশন এলাকার অদুরে দোডাঙ্গি রেল ক্রসিং অতিক্রম করার সময় রাজশাহীগামী ট্রেনের ইঞ্জিনে সাথে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ হয়। ট্রেনের ধাক্কায় মোটরসাইকেল ছিটকে পরে দুমরে মুচরে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। বিষয়টি ঈশ্বরদী রেলওয়ে থানাকে অবহিত করার পর তারা ঘটনাস্থলে রওনা হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
ঈদের ছুটি একদিন বাড়ানো হয়েছে। আগামী ২৭ জুন থেকে ঈদের ছুটি শুরু হবে। ফলে ২৭-৩০ জুন পর্যন্ত ছুটি ভোগ করতে পারবেন সরকারি চাকরিজীবীরা। আজ ১৯ জুন সোমবার মন্ত্রিসভা বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে বৈঠক সূত্র জানিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটি পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটি এক দিন বাড়ানোর সুপারিশ করেছিল। সরকারি ফোরামের সুপারিশের পাশাপাশি বেসরকারি ফোরাম যাত্রী কল্যাণ সমিতিও একদিন ছুটি বাড়ানোর দাবি জানিয়েছিল।
২০২৩ সালের সরকারি ছুটির তালিকা অনুযায়ী, ২৮ থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত ঈদুল আজহার সরকারি ছুটি। ১ জুলাই শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২৯ জুন ঈদুল আজহা উদযাপিত হতে পারে। ফলে সাধারণ ছুটি পড়বে চারদিন। আর একদিন বাড়ানো হলে সাপ্তাহিক ছুটিসহ তা পাঁচ দিন হবে। সোমবার সন্ধ্যায় চাঁদ দেখা কমিটির সভাও অনুষ্ঠিত হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
জাতীয় পাট দিবস আজ ৬ মার্চ। পাটের সাথে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের পটভূমি বিবেচনায় ২০১৬ সালে প্রতি বছর জাতীয়ভাবে এই দিনে দিবসটি পালনের ঘোষণা দেয়া হয়। ২০১৭ সাল থেকে প্রতিবছর বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। দিবস উদযাপনকারী প্রতিষ্ঠান বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় বলছে, কালের পরিক্রমায় কৃত্রিম তন্তুর (পলিথিন) ব্যবহার বৃদ্ধি পেলেও বর্তমান টেকসই উন্নয়নের যুগে বিশ্বব্যাপী পরিবেশবান্ধব পাট ও পাটজাত পণ্যের ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়েছে। এরই প্রেক্ষাপটে পাটজাত পণ্যের প্রসার ও বাজার সম্প্রসারণের লক্ষ্যে পাটচাষি, পাটজাত পণ্যের উৎপাদনকারী ব্যবসায়ী, বহুমুখী পাটজাত পণ্যের উদ্যোক্তা, পাটজাত পণ্যের ব্যবহারকারী সবাইকে সম্পৃক্ত করে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে দেশব্যাপী এ দিবস উদযাপিত হয়।
এ বছর জাতীয় পাট দিবস উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা এবং পাঁচ দিনব্যাপী বহুমুখী পাটপণ্য মেলা ও ১৫ দিনব্যাপী তাঁতবস্ত্র মেলার আয়োজন করা হয়েছে।
আজ কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন। তেজগাঁওয়ের মনিপুরিপাড়ায় জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার (জেডিপিসি) সম্মেলন কক্ষে এ অনুষ্ঠান হবে।
এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে দেশব্যাপী আরো বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে মন্ত্রণালয়।
অনলাইন ডেস্ক :
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, আগামী চার বছরে গ্যাসের শতভাগ প্রিপেইড মিটার স্থাপন করা হবে।
আজ ১৭ ফেব্রুয়ারি শনিবার জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম লিমিটেডের প্রধান কার্যালয় পরিদর্শন এবং বঙ্গবন্ধু কর্নার ও প্রিপেইড মিটার প্রকল্পের ডাটা সেন্টার উদ্বোধন শেষে একথা বলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, গ্যাস মিটার স্থাপন করলে অপচয় কমে যাওয়াসহ অনেক সুবিধা রয়েছে। আমরা যত দ্রুত সম্ভব প্রিপেইড মিটার স্থাপন শেষ করতে চাই। এখন বিশ্বব্যাংক, এডিবিসহ অনেকে অর্থায়ন করতে চায়। তারা প্রায় ৩০ লাখ মিটার কানেক্ট করবে।
জালালাবাদ গ্যাসের সার্ভিস দেখে তিনি বলেন, এখানে কোনো সিস্টেম লস নেই, কোনো অবৈধ সংযোগও নেই। ডাটা সেন্টার চমৎকার মনে হয়েছে। জালালাবাদ গ্যাসের মোট ২ লাখ ২১ হাজার ১৪৫ গ্রাহকের মধ্যে আবাসিক গ্রাহক রয়েছেন ২ লাখ ১৯ হাজার ৩৪৫ জন। ইতোমধ্যে ৫০ হাজার গ্রাহককে প্রিপেইড মিটার দেওয়া হয়েছে। আরও দেড় লাখ মিটার স্থাপনের প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।
জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম লিমিটেড পরিদর্শনকালে সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব ও কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নসরুল হামিদের সঙ্গে ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
অর্থায়নের সুদহার কমাতে উন্নয়ন সহযোগীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ ১৪ মার্চ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীতে হোটেল সোনারগাঁওয়ে বাংলাদেশ ও এডিবির অংশীদারিত্বের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী জানান, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) সহায়তা প্রায় ৩ গুণ বেড়েছে। বর্তমানে এডিবির ক্রমবর্ধমান অবদান দাঁড়িয়েছে ২৮ দশমিক ৩৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। এডিবির পোর্টফোলিওতে বাংলাদেশ এখন তৃতীয় বৃহত্তম গ্রাহক।
‘এডিবি আমাদের উন্নয়ন সহযোগী। গত ৫০ বছরে আমাদের উন্নয়নে এডিবির বিশেষ সহযোগিতা রয়েছে’ বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি এডিবির উদার সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। এসময় তিনি সংকটকালীন সময়ে সহায়তা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।
সরকার প্রধান বলেন, চলমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে আমি দক্ষতা উন্নয়ন, স্বাস্থ্য, আইসিটি ভিত্তিক উদ্যোক্তা, মানসম্পন্ন অবকাঠোমো, জলবায়ু পরিবর্তন, মানবসম্পদ উন্নয়নের ওপর কৌশলগত গুরুত্বারোপসহ অর্থায়নে নমনীয় পদ্ধতি এবং উদ্ভাবনী অর্থায়নের জন্য এডিবির প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি। টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য বেসরকারিখাতকে কাজে লাগানো একইভাবে গুরুত্বপূর্ণ। যা বিনিয়োগবান্ধব ব্যবসার পরিবেশ তৈরিতে অবদান রাখবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
‘আমি আশা করি, এডিবির সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও সৃদৃঢ় হবে, শক্তিশালি হবে।’ যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী
অনলাইন ডেস্ক :
বহুল আলোচিত বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদ সদস্যদের হাতে এনে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে দেওয়া আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন নিষ্পত্তি করেছেন আপিল বিভাগ।
ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করেছেন আদালত। বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে আর থাকছে না। বিচারপতিদের অপসারণ করা যাবে সুপ্রিম কোর্ট জুডিশিয়াল কাউন্সিলের মাধ্যমে। আজ রোববার প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৬ বিচারপতির আপিল বেঞ্চে ষোড়শ সংশোধনীর রিভিউ শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
ফলে ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় বহাল থাকবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী। এখন থেকে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের হাতে থাকবে। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
আজ ২০ অক্টোবর রোববার প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৬ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ রায় দেন। এ রায়ের ফলে দীর্ঘ আট বছর পর নিষ্পত্তি হলো গুরুত্বপূর্ণ এ রিভিউ আপিলের।
বহুল আলোচিত বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদ সদস্যদের হাতে এনে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে দেওয়া আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন শুনানির দিন গত ১৫ আগস্ট আজকের দিন ধার্য করা হয়। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৫ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।
আদালতে রিভিউ আবেদন শুনানির জন্য উপস্থাপন করেন রিটকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।
এর আগে বেশ কয়েকবার সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে দেওয়া আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন কার্যতালিকায় এলেও শুনানি হয়নি।
গত বছরের ২৩ নভেম্বর বহুল আলোচিত বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদ সদস্যদের হাতে এনে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে দেওয়া আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ ৬ জন বিচারপতি শুনতে পারবেন বলে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন আপিল বিভাগ।
২০১৭ সালের ২৪ ডিসেম্বর বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদ সদস্যদের হাতে এনে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে দেওয়া আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন দাখিল করা হয়।
আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় রাষ্ট্রপক্ষ ৯০৮ পৃষ্ঠার এ রিভিউ আবেদনে ষোড়শ সংশোধনীর পক্ষে ৯৪টি যুক্তি দেখিয়ে আপিল বিভাগের রায় বাতিল চাওয়া হয়েছে।
২০১৭ সালের ৩ জুলাই তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির আপিল বেঞ্চ ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করেন। ৮ মে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি শুরু হয়। ধারাবাহিকভাবে ১১ দিন শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
আপিল শুনানিতে আদালতে মতামত উপস্থাপনকারী ১০ অ্যামিকাস কিউরির (আদালতের বন্ধু) মধ্যে শুধু ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর পক্ষে মত দেন।
অপর ৯ অ্যামিকাস কিউরি ড. কামাল হোসেন, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এম আই ফারুকী, আব্দুল ওয়াদুদ ভূঁইয়া, প্রাক্তন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এফ এম হাসান আরিফ ব্যারিস্টার এম. আমিরুল ইসলাম, বিচারপতি টিএইচ খান, ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ, ফিদা এম কামাল, এ জে মোহাম্মদ আলী সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর বিপক্ষে তাদের মতামত তুলে ধরেন।
২০১৬ সালের ১১ আগস্ট সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে দেওয়া রায় সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। পরে এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ।
২০১৬ সালের ৫ মে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী, বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ বলে রায় ঘোষণা করেন।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের বিধানটি তুলে দিয়ে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী পাস হয়। ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর ৯৬ অনুচ্ছেদে পরিবর্তন এনে বিচারকের অপসারণের ক্ষমতা সংসদ সদস্যদের হাতে পুনরায় ফিরিয়ে দেওয়া হয়। যেটি ১৯৭২ সালের সংবিধানেও ছিল।
দেশের প্রথম সংবিধানে সংসদের হাতে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা রাখা হয়। তবে ১৯৭৫ সালে সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীতে রাষ্ট্রপতিকে এ ক্ষমতা দেওয়া হয়। পরবর্তীতে আবারও পঞ্চম সংশোধনীতে বিচারক অপসারণে নিষ্পত্তির ভার দিতে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠন করা হয়। এরপর পঞ্চম থেকে পঞ্চদশ সংশোধনী পর্যন্ত বিচারপতি অপসারণ নিয়ে আর নতুন কোনো সংশোধনী আসেনি। তবে ২০১৪ সালে ষোড়শ সংশোধনীতে বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতাপ্রাপ্ত হয় জাতীয় সংসদ। তৎকালীন প্রধান বিচারপতির এস কে সিনহার তৎপরতায় হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগ ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করা হয়। পরে আওয়ামী লীগ সরকার এর রিভিউতে যায়।