চলারথে রিপোর্ট :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পৌর ছাত্রলীগের উদ্যোগে গতকাল রবিবার বিকেলে জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি সামি আহমেদ নাবিলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শেখ মঞ্জুরে মাওলা ফারানীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহবুবুল আলম খোকন, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, আজকের দিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কারামুক্ত হয়েছিল বলেই আজ বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে গেছে। বাংলাদেশকে পিছিয়ে নেয়ার জন্য এখনো বিএনপি- জামাত ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে তারা আবারো ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। সেজন্য দলের প্রতিটি নেতা-কর্মীকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
আলোচনা সভায় জেলা ছাত্রলীগসহ দলের অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের মধ্যে দিয়ে বয়ে যাওয়া প্রায় ১ কিলোমিটার লম্বা (বিরাসার-পাইকপাড়া) খালের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম শুরু করেছে পৌরসভা।
আজ ৯ অক্টোবর সোমবার বিকেল ৪টায় পৌর এলাকার পাইকপাড়া চকলেট ফ্যাক্টরীর সামনে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন পৌর সভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবদুল কুদদূস।
উদ্বোধনের পরপরই ভেকু নিয়ে খালের ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার কাজ শুরু করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পৌর সভার নির্বাহী প্রকৌশলী কাউছার আহমেদ, উপ-সহকারি প্রকৌশলী সুমন দত্ত, পৌর কাউন্সিলর মোঃ মিজানুর রহমান আনসারী, জামাল হোসেন, ওমর ফারুক জীবনসহ পৌর সভার কর্মকর্তা-কর্মচারীগন উপস্থিত ছিলেন।
পৌর সভার ৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোঃ মিজানুর রহমান আনসারী ও ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোঃ জামাল হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে খালপাড়ের বাসিন্দারা তাদের বাড়ি-ঘরের ময়লা আবর্জনা খালের মধ্যে ফেলে খালটি ভরাট করে ফেলেছে।
এছাড়াও খালের বিভিন্ন অংশে অবৈধ দখলবাজরা স্থাপনা নির্মাণ করে খালটি দখল করে রেখেছে। অতিমাত্রায় ময়লা-আবর্জনা ফেলে খালটি ভরাট করে ফেলায় খাল দিয়ে পানি নিষ্কাশন হয়না । ফলে সামান্য বৃষ্টি হলেই শহরে ব্যাপক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। খালটি পরিষ্কার করা হলে ও খালের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হলে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা ভালো হবে। ফলে বৃষ্টি হলেও শহরে কোন জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হবেনা।
এ ব্যাপারে পৌরসভার উপ-সহকারি প্রকৌশলী সুমন দত্ত বলেন, পৌরসভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পৌর এলাকার সকল খাল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও খালের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। এরই ধারাবাহিকতায় শহরের বিরাসার থেকে পাাইকপাড়া তিতাস নদী পর্যন্ত প্রায় ১ কিলোমিটার লম্বা খালের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কাজ ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে পৌর সভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবদুল কুদদূস বলেন, আমরা গুরুত্বপূর্ন এই খালটির পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করেছি। খালের পাশের রাস্তা সংস্কারের জন্য ৮০ লাখ টাকার টেন্ডার হয়েছে। খালের যে ময়লা-আবর্জনা আমরা অপসারণ করছি তা ডাম্পিংনে নেওয়া হয়েছে। এই খাল পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার পর টাউন খাল পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করবো। শুধু তাই নয়, পৌর এলাকায় যত পুকুর আছে সেইসব এলাকার কাউন্সিলরদের নিয়ে পুকুরগুলোও ব্যবহার উপযোগী করার ব্যবস্থা করবো।
চলারপথে রিপোর্ট :
মাদক মামলায় মো. জসিম মিয়া (৬২) নামের সশ্রম কারাদন্ডপ্রাপ্ত এক পলাতক আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ ৭ অক্টোবর শনিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের কোড্ডা গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। জসিম মিয়া ওই গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার সহকারী উপ পরিদর্শক বাপন চন্দ্র দাস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, জসিম মিয়ার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা ছিল। সেই মামলায় গত মে মাসে জসিম মিয়াকে দোষী সাব্যস্ত করে এক বছর তিনমাস সশ্রম কারাদন্ড দেন আদালত। একই সঙ্গে তিন হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে আরো একমাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেন। রায়ের পর থেকেই তিনি পলাতক ছিলেন। শনিবার সকালে তাকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম বলেছেন, সবাই মিলে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করতে হবে।
জেলা প্রশাসন আয়োজিত আইন-শৃংখলা সম্পর্কিত বিশেষ সভা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আজ ২৭ নভেম্বর বুধবার বিকেলে সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
জেলা প্রশাসক আরো বলেন, কেউ অনিরাপদ মনে করলে প্রশাসনকে জানাবেন। কেউ যাতে আইন-শৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি করতে না পারে এজন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। তিনি বলেন, দেশটা আমাদের, সবাই দেশটাকে ভালোবাসতে হবে। সবার মধ্যে দেশপ্রেম জাগ্রত করতে হবে।
সভায় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাবেদুর রহমান বলেন, সারা বিশ্বে বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। কেউ শান্তি বিনষ্ট করলে তাকে ছাড় দেয়া হবেনা। সবাইকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সাইফুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন ৬০ বিজিবির অধিনায়ক, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড: কামরুজ্জামান মামুন, প্রেসক্লাবের সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন, জেলা বিএনপির আহবায়ক অ্যাড: আবদুল মান্নান, সদস্য সচিব মোঃ সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, জেলা জামায়াতে ইসলামীর সাধারণ সম্পাদক মোবারক হোসেন, জেলা হেফাজতে ইসলামীর সভাপতি মুফতি মোঃ মোবারকুল্লাহ, হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের জেলা সভাপতি দিলীপ কুমার নাগ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর বিভূতি ভূষন দেবনাথ, বিটিজেএ’র সভাপতি আল-আমীন শাহীন, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি প্রবীর চৌধুরী রিপন প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সু-দীর্ঘকাল ধরে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির চমৎকার সম্পর্ক বিদ্যমান আছে। কাউকে এই সম্প্রীতি নষ্ট করতে দেয়া হবেনা।
বক্তারা বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় ও বিভিন্ন উপজেলার কিছু দুর্বৃত্ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিভিন্ন ধরনের স্ট্যাটাস দিয়ে, সামাজের বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের ছবি বিকৃত করে ছবি আপলোড করে ও ফেসবুকে লেখালেখি করে সামাজিক অস্থিরতা ও ধর্মীয় উম্মাদনা ছড়াচ্ছে। তাদেরকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
বক্তারা চট্টগ্রামের আইনজীবী হত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
বক্তারা জেলার প্রতিটি উপজেলায় প্রশাসনের উদ্যোগে আইন-শৃংখলা সম্পর্কিত বিশেষ সভা এবং শান্তি ও সম্প্রীতি সমাবেশ করার দাবি জানান এবং আগামী শুক্রবার জুমার নামাজের খুতবায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় ইমামদেরকে বয়ান ও জেলার বিভিন্ন উপাসনালয়ে তাদের উদ্যোগে কেউ যাতে সাম্প্রদায়িক-সম্প্রীতি নষ্ট করতে না পারে সেজন্য সভা করার আহবান জানান।
সভায় আইন-শৃংখলা সম্পর্কিত বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাগণ, জেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাগণ, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক দলের নেতৃবৃন্দ ও জেলার সূধীজনেরা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
‘দেশকে ভালোবাসব, নীতির পথে চলবো’ এই শ্লোগান নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের অসচ্ছল মেধাবী ছাত্র ছাত্রীদের মাঝে বৃত্তি প্রদানের অর্থ বিতরণ করা হয়েছে।
আজ ৮ জুন বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসন ও দুর্নীতি দমন কমিশন কুমিল্লা সমন্বিত কার্যালয়ের যৌথ আয়োজনে জেলার ৯টি উপজেলার ১৮ জন শিক্ষার্থীর মাঝে ২ লক্ষ ১৬ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম বলেন, দুর্নীতি প্রতিরোধে শিক্ষক অভিভাবক ও শিক্ষার্থী সহ সকলকে সম্মিলিত ভাবে এগিয়ে আসতে হবে। দুর্নীতি দমন কমিশন কুমিল্লা সমন্বিত কার্যালয়ের উপপরিচালক মোঃ ফজলুল হকের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক মোঃ সাইফুল ইসলাম ও জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ জুলফিকার হোসেন।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি কবি আবদুল মান্নান সরকার, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আরজু।
অনুষ্ঠানে দুর্নীতি দমন কমিশন কুমিল্লা সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ মাসুম আলী সহ জেলা ও উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক, অভিভাবক ও বৃত্তি প্রাপ্ত শিক্ষার্থীগণ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
মাদক সেবনরত অবস্থায় আটক করে ৭ যুবককে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সাথে তাদেরকে অর্থদন্ডও করা হয়। আজ ১১ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সকালে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুনতাহা তাসনিম মৌ এই অভিযান পরিচালনা করেন।
এ সময় তাদেও কাছ থেকে গাঁজা উদ্ধার করা হয়। কারাদন্ড ও অর্থদন্ডে দন্ডিতরা হলো, মোঃ অনিক, মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, মোঃ সাজিদ, মোঃ হেলাল উদ্দিন, মোঃ শাওন মিয়া, মোঃ সফিকুল ইসলাম ও মোঃ রিমন মিয়া। তাদেরকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সূত্র নিশ্চিত করেছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, পৌর এলাকার পুনিয়াউট ও কাউতলী সেতু এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে গাঁজা সেবনরত অবস্থায় ওই ৭জনকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৩৫ গ্রাম গাঁজা পাওয়া যায়। পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাদেরকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করেন।