চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটে (ব্রি) কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তাদের মাসব্যাপী “আধুনিক ধান চাষাবাদ কৌশল এবং সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনা” শীর্ষক প্রশিক্ষণ কোর্স সমাপ্ত হয়েছে আজ ১২ জুন সোমবার।
এ উপলক্ষে গাজীপুরে ব্রি সদর দপ্তরের প্রশিক্ষণ ভবনের কনফারেন্স রুমে সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রশিক্ষণ বিভাগ আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে ব্রি’র মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর প্রধান অতিথি হিসেবে প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে সনদ বিতরণ করেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রশিক্ষণ বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রধান ড. মো. শাহাদাত হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রির উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণা সমন্বয়কারী ড. মুন্নুজান খানম।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কৃষিতত্ত বিভাগের সিএসও এবং প্রধান ড. মো. শহিদুল ইসলাম, ফলিত গবেষণা বিভাগের সিএসও এবং প্রধান ড. মো. হুমায়ুন কবির, খামার ব্যবস্থাপনা বিভাগের সিএসও এবং প্রধান সিরাজুল ইসলাম। প্রশিক্ষণার্থীদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন জাকিব হোসেন, নুরনাহার, মো. মনিরুজ্জামান।
প্রশিক্ষণে প্রথম স্থান অধিকার করেন নারায়নগঞ্জের বীজ প্রত্যয়ন কর্মকর্তা মুহাইমিনুল ইসলাম, দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন মানিকগঞ্জের কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের প্রশিক্ষক শামসুন্নাহার এবং তৃতীয় হন জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. রতন মিয়া। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন সিনিয়র লিয়াজুঁ অফিসার মোহাম্মদ আব্দুল মোমিন। অনুষ্ঠানে ব্রি’র সকল বিভাগীয় ও শাখা প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশ্যে ড. মো. শাহজাহান কবীর বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব কৃষি বিজ্ঞানীদের হাত ধরেই বাস্তবায়ন হবে। আপনাদের হাত ধরেই দেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে। সুতরাং, এই প্রশিক্ষণটি ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আধুনিক ধান উৎপাদন প্রযুক্তি সম্পর্কে নতুন অনেক জ্ঞান অর্জন করার সুযোগ পেয়েছেন। প্রশিক্ষণে ৩০ জন কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা অংশ নিয়েছেন। প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে ১৪ মে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কুমিল্লায় অস্ত্র-গুলিসহ সোহাগ নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের দৌলতপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে ৬০০টি ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। আজ ৫ মে শুক্রবার দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
গ্রেফতার মো. সোহাগ (৩৯) সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আব্দুর রহমানের ছেলে।
কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি আহাম্মদ কোতোয়ালী মোরশেদ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাতে দৌলতপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে সোহাগকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় সাদা রঙের একটি শপিং ব্যাগ থেকে দেশীয় রিভলভার, ২ রাউন্ড গুলি ও ৬০০টি ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে থানায় মামলা হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে জাতির বীর সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের চার উপদেষ্টা।
তারা হলেন- পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় সংযুক্ত আলী ইমাম মজুমদার, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয় দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং কৃষি মন্ত্রণালয় দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আজ ১৭ আগস্ট শনিবার বিকেলে স্মৃতিসৌধের শহিদ বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তারা।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ, প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয় সংযুক্ত আলী ইমাম মজুমদার সাংবাদিকদের বলেন, আমরা যারা নতুন চারজন উপদেষ্টা শপথ গ্রহণ করেছি তারা আগামীকাল কাজে যোগদান করবো। আমাদের সামনে বড় একটি চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশকে নতুন করে গড়ে তোলার। আমরা এখানে আজকে এসেছিলাম আমাদের বীর শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে। ৫২ থেকে ছাত্ররা আন্দোলন করে দেশের নতুন নতুন সূচনা ঘটিয়েছে। সেজন্যই আমাদের সামনে এখন বাংলাদেশকে পূর্ণ নির্মাণের বড় একটি চ্যালেঞ্জ। আমাদের প্রথম পদক্ষেপ হবে দেশটাকে গতিশীল করা এবং জনগণের সঠিক সেবা নিশ্চিত করা।
সাভার গণপূর্ত বিভাগ জাতীয় স্মৃতিসৌধের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, চার উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাবাহিনী ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। শ্রদ্ধা শেষে স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণ গাছ রোপন করেন, এরপর পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর শেষে বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটে চার উপদেষ্টা এলাকা ছেড়ে যান।
অনলাইন ডেস্ক :
গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে মোটরসাইকেল ভাড়া এনে ময়মনসিংহের গৌরীপুরে মোটর সাইকেল ছিনতাই ও চালককে ছুরিকাঘাতে আহত করা ছিনতাইকারী সাদ্দাম হোসেনকে গ্রেফতার করেছে গৌরীপুর থানার পুলিশ। তবে তার সহযোগী উজ্জ্বল মিয়া পলাতক রয়েছেন।
গ্রেফতারকৃত সাদ্দাম হোসেন শেরপুর জেলার সদর উপজেলার মির্জাপুর কান্দিপাড়া গ্রামের মৃত দুলাল মিয়ার ছেলে। পলাতক উজ্জ্বলের বাড়ি পার্শ্ববর্তী ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায়।
গৌরীপুর থানা ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২০ জুলাই সন্ধ্যায় ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালক সুজয় সাহাকে দুই হাজার টাকা চুক্তিতে গৌরীপুর নিয়ে আসেন সাদ্দাম ও উজ্জ্বল। রাত সাড়ে ১০টায় তাঁরা উপজেলার বোকাইনগর ইউনিয়নের বৃ-বড়বাগ গ্রামের মঞ্জু মিয়ার বাড়ির সামনে আসে। এসময় তাঁরা চালক সুজয় সাহাকে ছুরিকাঘাত করে মোটরসাইকেল ছিনতাইয়ের চেষ্টা করেন।
তাঁর চিৎকারে লোকজন ছুটে আসলে ছিনতাইকারীরা পালিয়ে যায়। আহত সুজয়কে এলাকাবাসী উদ্ধার করে গৌরীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাজেন্দ্র দেবনাথ তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সুজয় সাহা (২৬) গাজীপুর জেলার বাসন উপজেলার কড্ডা বাজার এলাকার উজ্জ্বল সাহার ছেলে।
এ বিষয়ে সুজয় সাহা বাদী হয়ে শুক্রবার সাদ্দাম ও উজ্জ্বলকে আসামী করে গৌরীপুর থানার একটি মামলা দায়ের করেন।
গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)) মাহমুদুল হাসান হাসান বলেন- পার্শ্ববর্তী ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা থেকে সাদ্দামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মোটর সাইকেল ও রক্তমাখা ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
রাজধানীর সচিবালয় এলাকায় আনসার সদস্যদের সাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়েছে। আজ ২৫ আগস্ট রোববার রাত সাড়ে ৯টায় সচিবালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহসহ অনেককে আটক রাখার খবরে সচিবালয়ের উদ্দেশে রওনা হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ সময় আনসার সদস্যরা শিক্ষার্থীদের ধাওয়া করে। এ সময় কয়েকজনকে লাঠিপেটা করে আনসার সদস্যরা। পরে শিক্ষার্থীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে আনসার সদস্যরাও পিছু হটে।
এর আগে রাত সাড়ে ৮টার দিকে হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম তাদের ফেসবুক পোস্টে আটক রাখার বিষয়টি জানালে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে জমা হতে থাকে। পরে রাত ৯টায় তারা সচিবালয়ের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মোতাসিম বিল্লাহ মাহফুজ এক ফেসবুক পোস্টে লেখেন, উপদেষ্টা নাহিদ ভাইসহ হাসনাত ও সার্জিস ভাইকে সচিবালয়ে অবরুদ্ধ করে রেখেছে বিপথগামী কিছু আনসার সদস্য ও ছাত্রলীগের প্রেতাত্মারা। আমরা সবাই মিলে সচিবালয়ে মার্চ করে তাদেরকে মুক্ত করে নিয়ে আসব। সবাই যোগ দিন, বিষয় সবাইকে অবগত করুন, অতীব জরুরি।
অনলাইন ডেস্ক :
ইহকালের শান্তি, পরকালের মাগফেরাত এবং বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর সুখ ও সমৃদ্ধি কামনায় গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ তীরে ৫৭তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের আখেরি মোনাজাত সম্পন্ন হয়েছে।
আজ ৪ ফেব্রুয়ারি রবিবার সকালে মোনাজাত পরিচালনা করেন তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের শীর্ষ মুরব্বি, কাকরাইল জামে মসজিদের পেশ ইমাম ও খতিব মাওলানা জুবায়ের আহমেদ।
সকাল ৯টা ১ মিনিটে আখেরি মোনাজাত শুরু হয়ে ৯টা ২৩ মিনিটে শেষ হয়। ২২ মিনিট পর্যন্ত চলেছে এবারের আখেরি মোনাজাত। এতে অংশ নেন লাখ লাখ মুসল্লি। এ সময় ধর্মপ্রাণ মুসল্লির ‘আমিন আমিন’ ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে টঙ্গীর তুরাগ তীর।
মোনাজাতে বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর হেদায়েত, ঐক্য, শান্তি, সমৃদ্ধি, ইহকাল ও পরকালের নাজাত এবং দ্বীনের দাওয়াত সর্বত্র পৌঁছে দেওয়ার জন্য দোয়া করা হয়। এছাড়া সব ধরনের গুনাহ থেকে মুক্তির জন্য আল্লাহর কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করা হয়।
আখেরি মোনাজাতে নিজের আত্মশুদ্ধি ও নিজ নিজ গুনাহ মাফের পাশাপাশি দুনিয়ার সব বালা-মুসিবত থেকে হেফাজত করার জন্য দুই হাত তুলে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের দরবারে সন্তুষ্টি অর্জনের আশায় উপস্থিত লাখ লাখ মুসল্লি প্রার্থনা করেন।
মোনাজাতের সময় পুরো টঙ্গী এলাকা ‘আমিন আমিন’ ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে। তারা সবাই ইহলোকের মঙ্গল ও পরলোকের ক্ষমা প্রার্থনা করে সুখ ও সমৃদ্ধি চেয়েছেন।
রাজধানীর অদূরে টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে এই আখেরি মোনাজাতে অংশ নেন কয়েক লাখ মুসল্লি। বাংলাদেশের তাবলিগের প্রধান মারকাজ কাকরাইলের মুরব্বি হাফেজ মাওলানা মো. জোবায়ের হাসান এ মোনাজাত পরিচালনা করেন। আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে টঙ্গী ময়দান ও আশপাশের এলাকায় স্থান না পেয়ে যে যেখানে পেরেছেন বসে পড়েন রাস্তায়, খোলা মাঠে বা বাসার ছাদে কিংবা যানবাহনেই। তবুও তাদের কোনো আক্ষেপ নেই। আখেরি মোনাজাতে যেকোনোভাবে অংশ নিতে পেরেই তারা খুশি।
আখেরি মোনাজাতকে কেন্দ্র করে রবিবার ভোর থেকে দলে দলে যোগ দেন হাজার হাজার মানুষ। মধ্যরাত থেকে ইজতেমা ময়দান এলাকায় বাস চলাচল বন্ধ থাকায় হেঁটেই রওনা হন মুসল্লিরা। তবে ঢাকার দক্ষিণাঞ্চল থেকে মেট্রোরেলে করে ইজতেমা এলাকায় এসেছেন অনেকে। এতে অফিস সময়ে হাজার হাজার মানুষের ভিড় দেখা গেছে মেট্রোরেল স্টেশনগুলোতে।
মতিঝিল, প্রেসক্লাব, কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট, মিরপুর-১০ এর মুসল্লিরা মেট্রোরেলে উঠে উত্তরা স্টেশনে আসেন। গতকাল মধ্য রাত থেকে গাজীপুরের ভোগড়া বাইপাস, চান্দনা চৌরাস্তা, বোর্ড বাজার, কলেজ গেট, বিমানবন্দর, উত্তরা, আব্দুল্লাহপুর, কামারপাড়া ও টঙ্গী রেলস্টেশন এলাকা হয়ে ঢাকা ও গাজীপুরের আশপাশের জেলার মুসল্লিরা দলে দলে ইজতেমা ময়দান এলাকায় এসেছেন।
আখেরি মোনাজাতে মুসল্লিরা দেশ, জাতি ও মানবতার জন্য দোয়া করছেন। বিশ্বশান্তি ও কল্যাণ চেয়ে মহান আল্লাহর দরবারে আকুতি জানাচ্ছেন। আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
বিশ্ব ইজতেমা আয়োজনে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এবারের ইজতেমায় সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব-আমিরাত, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, চাদ, ইথিওপিয়া, ফ্রান্স, জার্মানি, ভারত, পাকিস্থান, রাশিয়া, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ আফ্রিকা, স্পেন, সুইজারল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, মালয়েশিয়া, মরক্কো, নেপাল, কেনিয়া, কুয়েত, কাতার, বাহরাইন, জর্দান ও দুবাইসহ বিশ্বের ৬১টি দেশের প্রায় এক হাজার ৯০০ জন বিদেশি মুসল্লি অংশ নিয়েছেন।
এর আগে রবিবার ফজরের নামাজের পর থেকেই শুরু হয় হেদায়েতি বয়ান। এই বয়ান করেন পাকিস্তানের মাওলানা জিয়াউল হক। এরপর কিছু সময় নসিহতমূলক কথা বলেন ভারতের মাওলানা ইব্রাহিম দেওলা।
বিশ্ব ইজতেমায় অংশ নিতে দেশ বিদেশের লাখ লাখ মুসল্লি এসেছেন ইজতেমা ময়দানে। গত ২ ফেব্রুয়ারি থেকে তারা এখানে অবস্থান করে ইবাদত-বন্দেগি করেছেন।