অনলাইন ডেস্ক :
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ২০০টি ভাষণ সংবলিত ‘ভায়েরা আমার’ শিরোনামে একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ ১২ জুন সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকের শুরুতেই বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন তিনি। ‘ভাইয়েরা আমার’ নামটি প্রধানমন্ত্রীর নিজের দেওয়া। এ ছাড়া বইটির ভূমিকাও লিখেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভাষণসমগ্রটির সংগ্রহ, সংকলন ও সম্পাদনা করেন প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার নজরুল ইসলাম। বইটি প্রকাশ করে জিনিয়াস পাবলিকেশন।
জাতির পিতার এই ভাষণসমগ্রের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এতে এখন পর্যন্ত পাওয়া সকল ভাষণ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বইটির দুইশ’ ভাষণের মধ্যে বাংলাদেশ বেতারের আর্কাইভস থেকে প্রাপ্ত টেপ/সিডি হতে একশ’র বেশি ভাষণ সংগ্রহ করা হয়; যা শ্রুতিলিখনের মাধ্যমে বইটিতে সংযোজন করা হয়েছে। প্রতিটি ভাষণের যথার্থতা ও নির্ভরযোগ্যতা যথাযথভাবে যাচাই করা হয়েছে। বইটিতে প্রতিটি ভাষণের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হাইলাইট করে আলাদাভাবে প্রদর্শন করা হয়েছে। এছাড়া সূচিতে ভাষণের বিষয়বস্তু, সাল ও তারিখ উল্লেখ করা হয়েছে।
জাতির পিতার ভাষণ শুধু বাংলাদেশেই নয় সমগ্র বিশ্বে এক অমূল্য দলিল। ভাষণসমগ্রটির ভূমিকাতে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, ‘নতুন প্রজন্ম, বিশেষ করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী এবং সমর্থকদের বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শুধু পড়া নয়, সেগুলোর মর্মার্থ অনুধাবন করে নিজ নিজ জীবনে অনুশীলন করতে হবে।’ প্রধানমন্ত্রী আরও উল্লেখ করেন, ‘জাতির পিতা সোনার বাংলা গড়তে সোনার মানুষ চেয়েছিলেন। এই সোনার মানুষ হতে হলে জাতির পিতার আদর্শ ও জীবনাচরণ চর্চা করা অত্যাবশ্যক।’
ভাষণসমগ্রটি রাজনীতিবিদ, শিক্ষক, গবেষক, শিক্ষার্থী, ও আগামী প্রজন্মের জন্য একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ দলিল হিসেবে বিবেচিত হবে মর্মে মন্তব্য করেন এর সম্পাদক নজরুল ইসলাম।
অনলাইন ডেস্ক :
দেশের সার্বিক পরিস্থিতিতে সহযোগিতা ও নিরাপত্তার জন্য সেনা সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। আজ ৭ আগস্ট বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। একই সঙ্গে নিরাপত্তা প্রয়োজনে কয়েকটি সেনা ক্যাম্পে যোগাযোগের নম্বরও দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, বর্তমান পরিস্থিতিতে জনসাধারণের জানমাল ও সরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসমূহের সার্বিক নিরাপত্তা প্রদানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন রয়েছে।
যেকোনো নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড, হানাহানি এবং প্রাণনাশের হুমকির সম্মুখীন হলে নিকটস্থ সেনাবাহিনী ক্যাম্পে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হলো। এক্ষেত্রে মিথ্যা তথ্য প্রদান ও গুজবে আতঙ্কিত হয়ে সেনাবাহিনীকে বিভ্রান্ত করা থেকে বিরত থাকুন। সেনাবাহিনী ক্যাম্পের সহায়তা প্রাপ্তির লক্ষ্যে নিম্নলিখিত নম্বরসমূহে যোগাযোগ করুনঃ
চট্টগ্রাম বিভাগ
১। ব্রাহ্মণবাড়িয়া ০১৭৬৯-৩২২৪৯১, ০১৭৬৯-৩৩২৬০৯
২। চাঁদপুর ০১৮১৫-৪৪০৫৪৩, ০১৫৬৮-৭৩৪৯৭৬
৩। ফেনী ০১৭৬৯-৩৩৫৪৬১, ০১৭৬৯-৩৩৫৪৩৪
৪। লক্ষীপুর ০১৭২১-৮২১০৯৬, ০১৭০৮৭৬২১১০
৫। কুমিল্লা ০১৩৩৪-৬১৬১৫৯, ০১৩৩৪-৬১৬১৬০
৬। নোয়াখালী ০১৬৪৪-৪৬৬০৫১, ০১৭২৫-০৩৮৬৭৭
৭। কক্সবাজার এবং চট্টগ্রাম জেলার লোহাগড়া, পটিয়া, চন্দনাইশ, বাঁশখালী এবং সাতকানিয়া উপজেলা ০১৭৬৯১০৭২৩১, ০১৭৬৯১০৭২৩২
৮। চট্টগ্রাম (লোহাগড়া, পটিয়া, চন্দনাইশ, বাঁশখালী এবং সাতকানিয়া উপজেলা ব্যতিত) ০১৭৬৯২৪২০১২, ০১৭৬৯২৪২০১৪
ঢাকা বিভাগ
১। মাদারীপুর ০১৭৬৯০৭২১০২, ০১৭৬৯০৭২১০৩
২। কিশোরগঞ্জ ০১৭৬৯১৯২৩৮২, ০১৭৬৯২০২৩৬৬
৩। টাঙ্গাইল ০১৭৬৯২১২৬৫১, ০১৭৬৯২১০৮৭০
৪। গোপালগঞ্জ ০১৭৬৯-৫৫২৪৩৬, ০১৭৬৯-৫৫২৪৪৮
৫। রাজবাড়ী ০১৭৬৯-৫৫২৫১৪, ০১৭৬৯-৫৫২৫২৮
৬। গাজীপুর ০১৭৮৫৩৪৯৮৪২, ০১৭৬৯০৯২১০৬
৭। মুন্সিগঞ্জ ০১৭৬৯০৮২৭৯৮, ০১৭৬৯০৮২৭৮৪
৮। মানিকগঞ্জ ০১৭৬৯০৯২৫৪০, ০১৭৬৯০৯২৫৪২
৯। নারায়ণগঞ্জ ০১৭৩২০৫১৮৫৮
১০। নরসিংদী ০১৭৬৯০৮২৭৬৬, ০১৭৬৯০৮২৭৭৮
১১। শরিয়তপুর ০১৭৬৯০৯৭৬৬০, ০১৭৬৯০৯৭৬৫৫
১২। ফরিদপুর ০১৭৬৯০৯২১০২, ০১৭৪২৯৬৬১৬২
ঢাকা মহানগর
১। লালবাগ, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, শ্যামলী, আগারগাঁও, মহাখালী, তেজগাঁও, এ্যালিফেন্ট রোড এবং কাঁটাবন ০১৭৬৯০৫১৮৩৮, ০১৭৬৯০৫১৮৩৯
২। গুলশান, বারিধারা, বনানী, বসুন্ধরা, বাড্ডা, রামপুরা, শাহজাহানপুর, উত্তরখান, দক্ষিণখান এবং বনশ্রী ০১৭৬৯০১৩১০২, ০১৭৬৯০৫৩১৫৪
৩। মিরপুর-১ হতে মিরপুর-১৪, খিলক্ষেত, উত্তরা এবং হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর ০১৭৬৯০২৪২১০, ০১৭৬৯০২৪২১১
৪। ঢাকার মতিঝিল, সেগুনবাগিচা, কাকরাইল, শান্তিনগর, ইস্কাটন, রাজারবাগ, পল্টন, গুলিস্তান এবং পুরান ঢাকা ০১৭৬৯০৯২৪২৮, ০১৭৬৯০৯৫৪১৯
বরিশাল বিভাগ
১। বরিশাল ০১৭৬৯০৭২৫৫৬, ০১৭৬৯০৭২৪৫৬
২। পটুয়াখালী ০১৭৬৯০৭৩১২০, ০১৭৬৯০৭৩১২২
৩। ঝালকাঠি ০১৭৬৯০৭২১০৮, ০১৭৬৯০৭২১২২
৪। পিরোজপুর ০১৭৬৯০৭৮২৯৮, ০১৭৬৯০৭৮৩০৮
ময়মনসিংহ বিভাগ
১। শেরপুর ০১৭৬৯২০২৫১৬, ০১৭৬৯২০২৫২৪
২। নেত্রকোণা ০১৭৬৯২০২৪৭৮, ০১৭৬৯২০২৪৪৮
৩। জামালপুর ০১৭৬৯১৯২৫৪৫, ০১৭৬৯১৯২৫৫০
৪। ময়মনসিংহ ০১৭৬৯২০৮১৫১, ০১৭৬৯২০৮১৬৫
খুলনা বিভাগ
১। বাগেরহাট ০১৭৬৯০৭২৫১৪, ০১৭৬৯০৭২৫৩৬
২। কুষ্টিয়া ০১৭৬৯-৫৫২৩৬২, ০১৭৬৯-৫৫২৩৬৬
৩। চুয়াডাঙ্গা ০১৭৬৯-৫৫২৩৮০, ০১৭৬৯-৫৫২৩৮২
৪। মেহেরপুর ০১৭৬৯-৫৫২৩৯৮, ০২৪৭৯৯২১১৫৩
৫। নড়াইল ০১৭৬৯-৫৫২৪৫৬, ০১৭৬৯-৫৫২৪৫৭
৬। মাগুরা ০১৭৬৯-৫৫৪৫০৫, ০১৭৬৯-৫৫৪৫০৬
৭। ঝিনাইদহ ০১৭৬৯-৫৫২১৫৮, ০১৭৬৯-৫৫২১৭২
৮। যশোর ০১৭৬৯-৫৫২৬১০, ০১৭৬৯-০০৯২৪৫
৯। খুলনা ০১৭৬৯-৫৫২৬১৬, ০১৭৬৯-৫৫২৬১৮
১০। সাতক্ষীরা ০১৭৬৯-৫৫২৫৩৬, ০১৭৬৯-৫৫২৫৪৮
রাজশাহী বিভাগ
১। রাজশাহী ০১৭৬৯১১২৩৮৬, ০১৭৬৯১১২৩৮৮
২। চাঁপাইনবাবগঞ্জ ০১৭৬৯১১২০৭০, ০১৭৬৯১১২৩৭২
৩। পাবনা ০১৭৬৯১২২৪৭৮, ০১৭৬৯১১২৪৮০
৪। সিরাজগঞ্জ ০১৭৬৯১২২৪৬২, ০১৭৬৯১২২২৬৪
৫। নাটোর ০১৭৬৯১১২৪৪৬, ০১৭৬৯১১২৪৪৮
৬। নওগাঁ ০১৭৬৯১২২১১৫, ০১৭৬৯১২২১০৮
৭। জয়পুরহাট ০১৭৬৯১১২৬৩৪
৮। বগুড়া ০১৭৬৯১১২৫৯৪, ০১৭৬৯১১২১৭০
রংপুর বিভাগ
১। রংপুর ০১৭৬৯৬৬২৫৫৪, ০১৭৬৯৬৬২৫১৬
২। দিনাজপুর ০২৫৮৯৯২১৪০০, ০২৫৮৯৬৮২৪১৪
৩। নীলফামারী ০১৭৬৯৬৮২৫০২, ০১৭৬৯৬৮২৫১২
৪। লালমনিরহাট ০১৭৬৯৬৮২৩৬৬, ০১৭৬৯৬৮২৩৬২
৫। কুড়িগ্রাম ০১৭৬৯৬৬২৫৩৪, ০১৭৬৯৬৬২৫৩৬
৬। ঠাকুরগাঁও ০১৭৬৯৬৬৬০৬২, ০১৭৬৯৬৭২৬১৬
৭। পঞ্চগড় ০১৯৭৩০০০৬৬২, ০১৭৬৯৬৬২৬৬১
৮। গাইবান্ধা ০১৬১০৬৫২৫২৫, ০১৭৫৪৫৮৫৪৮৬
সিলেট বিভাগ
১। সিলেট ০১৭৬৯১৭৭২৬৮, ০১৯৮৭৮৩৩৩০১
২। হবিগঞ্জ ০১৭৬৯১৭২৫৯৬, ০১৭৬৯১৭২৬১৬
৩। সুনামগঞ্জ ০১৭৬৯১৭২৪২০, ০১৭৬৯১৭২৪৩০
৪। মৌলভীবাজার ০১৭৬৯১৭৫৬৮০, ০১৭৬৯১৭২৪০০
অনলাইন ডেস্ক :
আন্দোলনের নামে দেশে ২০১৩-১৪ সালের মতো আগুন সন্ত্রাসের পুনরাবৃত্তি যাতে কেউ করতে না পারে সে ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ ৩০ জুলাই রবিবার প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে আট বিভাগের ৩৪ জেলায় আরও ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে এ কথা বলেন। এ নিয়ে সারাদেশে ৯,৪৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মীয়মান ৫৬৪টির মধ্যে পাঁচ ধাপে ২৫০টি মসজিদ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানাচ্ছি যাতে কেউ ২০১৩-১৪ সালের মতো আগুন সন্ত্রাসের পুনরাবৃত্তি করে বাংলাদেশের ক্ষতি করতে না পারে।’
শনিবার বেশ কয়েকটি বাসে ‘বিএনপির অগ্নিসংযোগের’ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তাদের চরিত্র আপনারা ভালো করেই জানেন, এরা সন্ত্রাসী। গতকালও (শনিবার) তারা বেশ কয়েকটি বাসে আগুন দিয়েছে। তারা ২০১৩-১৪ সালেও চলন্ত বাস, ট্রেন ও লঞ্চে আগুন দিয়ে মানুষকে জীবন্ত পুড়িয়ে মেরেছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষ গতকাল তাদের (বিএনপি) ভয়ঙ্কর চেহারা দেখেছে, কারণ তারা আবারও আগুন সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটিয়েছে। তারা (বিএনপি) ইসলামের নামে রাজনীতি করেছে, কিন্তু ইসলামের প্রতি তাদের ভালোবাসা নেই। ইসলামের প্রচার ও প্রসারে তাদের কোনো অবদানও নেই।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা এবং তাবলিগ জামাতের জন্য টঙ্গীতে এক টুকরো জমি বরাদ্দ করে সারাদেশে ইসলামের সত্য বাণী ছড়িয়ে দেওয়ার কাজ শুরু করেছিলেন।
তিনি বলেন, সৌদি আরবে হজের পর টঙ্গীতে দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম সমাবেশ করার জন্য বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিও অর্জন করেছিলেন। দেশবাসী যাতে স্বল্প খরচে সৌদি আরবে পবিত্র হজ পালন করতে পারে সেজন্য বঙ্গবন্ধু হিজবুল বাহার জাহাজ কিনেছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালে জাতির পিতার আন্তরিক উদ্যোগে অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের (ওআইসি) সদস্যপদ লাভ করে।
তিনি বলেন, তার সরকার সারাদেশে ৫৬৪টি মডেল মসজিদ নির্মাণ করে সমাজে ইসলামের প্রকৃত চেতনা ছড়িয়ে দিতে যথাসাধ্য চেষ্টা করছে। সরকার প্রতিটি জেলায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অফিস স্থাপন এবং বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উন্নয়ন করেছে।
প্রধানমন্ত্রী আলেম-ওলামা, ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের নামাজের সময় মসজিদে, বিশেষ করে জুমার নামাজের সময় সামাজিক হুমকি সম্পর্কে ওয়াজ করতে বলেন, যাতে যুবকরা জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, মাদক, দুর্নীতি এবং অন্যান্য অভিশাপ থেকে দূরে থাকতে পারে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আলেম-ওলামাদের এমনভাবে ওয়াজ করা উচিত যাতে যুবকরা জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ এবং মাদকের সাথে জড়িত না হয়।’
প্রধানমন্ত্রী এর আগে প্রথম ধাপে ২০২১ সালের ১০ জুন, দ্বিতীয় ধাপে ২০২৩ সালের ১৬ জানুয়ারি, তৃতীয় ধাপে গত ১৬ মার্চ এবং চতুর্থ ধাপে গত ১৭ এপ্রিল ৫০টি করে মডেল মসজিদ উদ্বোধন করেন। অবশিষ্ট মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
মডেল মসজিদ এবং ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের মধ্যে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থা সহ ওজু ও নামাজের জন্য আলাদা জায়গা রয়েছে।
এছাড়া হজযাত্রীদের নিবন্ধন ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, ইমাম প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, গবেষণা কেন্দ্র ও ইসলামিক লাইব্রেরি, অটিজম কর্নার, দাফনের আগে আচার ব্যবস্থা, গাড়ি পার্কিং সুবিধা, হিফজখানা, প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা ও কোরআন শিক্ষার ব্যবস্থা, ইসলামিক সাংস্কৃতিক কার্যক্রম এবং ইসলামী দাওয়াতের জন্য কনফারেন্স রুম, ইসলামী বই বিক্রয় কেন্দ্র, মসজিদের সাথে দেশি-বিদেশি অতিথিদের জন্য বোর্ডিং সুবিধা থাকবে মসজিদে।
‘এ’ ক্যাটাগরির অধীনে ৬৪টি জেলা ও সিটি করপোরেশন এলাকায় লিফট সুবিধা ও ২,৩৬০.০৯ বর্গমিটার প্রতিটি ফ্লোর স্পেসসহ প্রায় ৬৯টি চারতলা মসজিদ নির্মাণ করা হচ্ছে। ‘বি’ ক্যাটাগরির অধীনে প্রতিটি ১৬৮০.১৪ বর্গমিটার ফ্লোর স্পেসসহ ৪৭৫টি মসজিদ তৈরি করা হচ্ছে। এ ছাড়া উপকূলীয় অঞ্চলে ‘সি’ ক্যাটাগরির অধীনে প্রতিটি ২,০৫২.১২ বর্গমিটার ফ্লোর স্পেসসহ ১৬টি মসজিদ নির্মাণ করা হচ্ছে।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান এবং এর সচিব এমডি এ হামিদ জমাদ্দার অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া।
অনুষ্ঠানে কক্সবাজার সদর উপজেলা ও খুলনা জেলার ফুলতলা উপজেলার স্থানীয় সংসদ সদস্য, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সরকারি কর্মকর্তা, আলেম-উলামাসহ সাধারণ মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের ওপর একটি ভিডিও-ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।
সূত্র : বাসস
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ২০ এপ্রিল রাঙামাটির নানিয়ারচর বুড়িঘাটের চিংড়ি খালের ছোট দ্বীপে চির নিন্দ্রায় শায়িত থাকা বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফের শাহাদাৎ বার্ষিকী।
বাঙ্গালী জাতির এই শ্রেষ্ঠ সন্তান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ১৯৭১ সালের এই দিনে বুড়িঘাটে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সাথে সম্মুখ সমরে মর্টার শেলের আঘাতে শহীদ হয়েছিলেন।
উইকিপিডিয়ার তথ্যে ৮ ই এপ্রিল থাকলেও মূলত তারিখটি হবে ২০ এপ্রিল ১৯৭১।এই দিনটি নানিয়ারচরবাসীর জন্য রক্তে ঝরা দিন।
এ মহান বীর ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে ২০শে এপ্রিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে সম্মুখ যুদ্ধে শহীদ হয়েছিলেন । ২৬মার্চ যুদ্ধ শুরু হলে সহকর্মীদের সঙ্গে তিনিও ছুটে আসেন পার্বত্য চট্টগ্রামে। রাঙামাটি জেলার নানিয়ারচর উপজেলার বুড়িঘাটে শত্রু বাহিনীর নৌযান একাই ধ্বংস করেন ।
বাঙালীর এই মহান যোদ্ধা ১৯৪৩ সালের পহেলা মে ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলার পিতা ইমাম মুন্সি মেহেদি হাসান এবং মাতা মুকিদুন্নেসার ঘরে জন্মগ্রহণ করেন ।
পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর ২নং কমান্ডো ব্যাটেলিয়ানের দুই কোম্পানি সৈনিক ৭টি স্পিড বোট ও ২টি লঞ্চ রাঙামাটি-মহালছড়ি নৌপথের আশেপাশে অবস্থানরত মুক্তিবাহিনীর উপর আক্রমণ করে। ৬টি লঞ্চে অস্ত্র গোলাবারুদ মজুদ ও মর্টার সজ্জিত ছিলো। পাকিস্তানী বাহিনী মুক্তিবাহিনীর অবস্থান টের পাওয়া মাত্রই তাদের অবস্থানের উপর মর্টারের গোলাবর্ষণ শুরু করে। তাদের এই অতর্কিত আক্রমণে মুক্তিবাহিনীর সদস্যরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে।
এই সুযোগে হঠাৎ পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কমান্ডো ব্যাটেলিয়নের দুই কোম্পানি সৈন্য, বেশ কয়েকটি স্পীড বোট এবং দুটি লঞ্চে করে বুড়িঘাট দখলের জন্য আক্রমন করে। মর্টার আর ভারী অস্ত্র দিয়ে চালানো আক্রমণে প্রতিহতে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখেন বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ। এই লড়াকু সৈনিকের একসময় পাকবাহিনীর মর্টারের গোলার আঘাতে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় তার দেহ।
বাংলার অসীম সাহসী বীর মুন্সি আব্দুর রউফ এর দেহ পরবর্তীতে বীরমুক্তি যোদ্ধা দয়ালকৃষ্ণ চাকমা উদ্ধার করে বুড়িঘাটের চিংড়ি খাল সংলগ্ন টিলায় সমাহিত করেন।
১৯৯৬ সালে তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর)-এর উদ্যোগে সমাহিত স্থানটিতে নির্মিত করেন বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফের সমাধি সৌধ।
মুক্তিযুদ্ধে তার অবদান বিবেচনা করে বাংলাদেশ সরকার তাকে বীরশ্রেষ্ঠ খেতাবে ভূষিত করেন এবং বাংলাদেশ রাইফেলস ১৯৭৩ সালে সিপাহী মুন্সি আব্দুর রউফকে ল্যান্স নায়েক পদে মরোণোত্তর পদবিতে পদোন্নতি প্রদান করেন, বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ তার জীবনের বিনিময়ে রক্ষা করেন সহযোদ্ধার জীবন এবং পাকিস্তানী বাহিনীর বহু সৈন্যকে প্রতিহত করেছেন।
পার্বত্য অঞ্চলের দূর্গম নানিয়ারচর বুড়িঘাটে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হওয়া এই মহান বীরকে নিয়ে নানিয়ারচরবাসী গর্ববোধ করেন।
অনলাইন ডেস্ক :
নির্ধারিত সময়ে লাইসেন্স নবায়ন না করায় ১৪টি ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারের (আইএসপি) লাইসেন্স বাতিল করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। লাইসেন্স বাতিল হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোকে আগামী ১০ দিনের মধ্যে কমিশনের কাছে তাদের লাইসেন্স জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গত ৩ সেপ্টেম্বর এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় বিটিআরসি।
বাতিল হওয়া আইএসপিগুলো হলো- বর্নিল নেটওয়ার্ক সিস্টেম লিমিটেড, আইটি নেক্সট টেকনোলজি, সাইবার কমিউনিকেশন, নিউ জেনারেশন ইন্টারনেট সার্ভিসেস লিমিটেড, এশিয়ান সিটি অনলাইন (বিডি) লিমিটেড, আপন এন্টারপ্রাইজ, স্পার্কিং ওয়ার্ল্ড রেইন আইসিটি, সেগুন বাগিচা সেফনেট অনলাইন স্পিড অনলাইন, ভেস্টেল ক্যাবল টিভি নেটওয়ার্কস লিমিটেড, ওয়েব সলিউশন, চাঁদপুর নেট, এয়ারনেট কমিউনিকেশন।
বিটিআরসি জানায়, এসব আইএসপির সব ধরনের কার্যক্রম সম্পূর্ণ অবৈধ ও বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ আইন-২০০১ অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
এই আইএসপিগুলোর সঙ্গে কোনো চুক্তি বা কোনো ধরনের আর্থিক লেনদেন না করতে সবাইকে সতর্ক করেছে বিটিআরসি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ঘুস দিয়ে মসজিদের অনুমোদন নিলে সেখানে নামাজ পড়া নাজায়েজ হবে বলে মন্তব্য করেছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মুক্তাদির চৌধুরী।
আজ ৩০ জানুয়ারি মঙ্গলবার সচিবালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়সভায় তিনি এ কথা বলেন।
রাজউকে মসজিদের নকশা অনুমোদনের ক্ষেত্রে ঘুস চাওয়ার অভিযোগের জবাবে গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, রাজউকে ঘুস দিয়ে যে মসজিদের অনুমোদন নিতে হয়েছে, সেখানে নামাজ পড়া নাজায়েজ হবে।
সেই মসজিদ ভেঙে ফেলা উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
দুর্নীতি রোধ ও সরকারি ভবন নির্মাণে অপচয় কমানোর চেষ্টা করা হবে জানিয়ে র আ ম উবায়দুল মুক্তাদির চৌধুরী বলেন, বালিশকাণ্ডের মতো ঘটনা যেন আর না ঘটে। এ জন্য দুর্নীতির ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতিগ্রহণ করা হবে। তিনি বলেন, কিছু দিন দেখেন কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়। যেসব প্রকল্প বা প্রতিষ্ঠান নিয়ে অভিযোগ আছে তা খতিয়ে দেখা হবে।
মন্ত্রণালয়ের সচিব ও গৃহায়ণের চেয়ারম্যান প্লট নিয়েছেন- এমন অভিযোগের জবাবে মন্ত্রী বলেন, যদি আইনের বাইরে কিছু করা হয়, এ ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মানহীন ও অপ্রয়োজনীয় ভবন নির্মাণ করা হবে না বলেও আশ্বাস দেন তিনি।