চলারপথে রিপোর্ট :
মাধ্যমিক শিক্ষাকে জাতীয়করণের দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে শরীয়তপুরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন জেলা শিক্ষক সমিতি। আজ ১৩ জুন মঙ্গলবার বেলা ১১টায় শরীয়তপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়। পরে শহীদ মিনারের সামনের সড়কে মানববন্ধন করেন তারা।
জেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি আনোয়ার কামালের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শেখ নুরুল আমীন রতনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হারুন অর রশিদ, সদস্য জিএম নুরুল হক, জেলার সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম খান, কোহিনুর সুলতানা দোলা, কোষাধ্যক্ষ সম্ভুনাথ পোদ্দার প্রমুখ। এতে জেলায় কর্মরত বিপুল সংখ্যক মাধ্যমিক শিক্ষক অংশগ্রহণ করেন।
চলারপথে ডেস্ক :
১ মে বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে অংশীদারিত্বের ৫০ বছর উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ওয়াশিংটন ডিসি পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী ইউনাইটেড এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইট ২৮ এপ্রিল স্থানীয় সময় বিকেল ৩টা ৩৫ মিনিটে ওয়াশিংটন ডিসির ডালাস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরান।
ওয়াশিংটন ডিসিতে ৭ দিনের সফর শেষ করে তিনি যুক্তরাজ্য ও কমনওয়েলথ রাজ্যের রাজা ও রানী হিসাবে তৃতীয় চার্লস এবং তার স্ত্রী ক্যামিলার রাজ্যাভিষেকে অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ৪ মে লন্ডনের উদ্দেশ্যে যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগ করবেন।
এর আগে গত ২৫ এপ্রিল, প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ চার্টার্ড ভিভিআইপি ফ্লাইট (বিজি১৪০৩) বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে (স্থানীয় সময়) টোকিওর হানেদা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
চলারপথে ডেস্ক :
বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাপান সফর করছেন। তিনি সে দেশে ব্যস্ত সময় পার করছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অপার সম্ভাবনা ও সুযোগের কথা তুলে ধরে জাপানি ব্যবসায়ী নেতাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগ নিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন ।
আজ ২৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকালে জাপানের রাজধানী টোকিও’র একটি হোটেলে বাছাই করা জাপানি ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ আহ্বান জানান। এ সময় দুই দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বাংলাদেশের ব্যবসায়িক পরিবেশের উন্নতি অব্যহত রাখবো এবং ব্যবসার ক্ষেত্রে সবারজন্য সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করবো। আসুন বিনিয়োগ করুন।
বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান জাপানি ব্যবসা ও বিনিয়োগের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, করোনা মহামারির চাপের মধ্যেও বাংলাদেশ ও জাপানের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রথমবারের মতো ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করেছে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, গত কয়েক বছরে বাংলাদেশে কাজ করা জাপানি কোম্পানির সংখ্যা ক্রমাগত বেড়েছে, বিশেষ করে ২০১৪ সালে দুই দেশে যখন ‘ব্যাপক অংশীদারিত্ব’ এবং বিগ-বি উদ্যোগে প্রবেশ করি।
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, তিনি নিশ্চিত জাপানি ব্যবসায়ীরাও এই ক্রমবর্ধমান এই ধারা অনুসরণ করছেন এবং তারা তাদের বিদ্যমান ব্যবসা সম্প্রসারণ করবেন, বাংলাদেশে নতুন ব্যবসা খুলবেন।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, জাপানে আমাদের দূতাবাস বাংলাদেশে আপনার উদ্যোগকে সহযোগিতা করতে এবং সহজতর করতে প্রস্তুত।
এ সময় জাপানি ব্যবসায়ী নেতাদের আশ্বস্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই, আমাদের সরকার এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো বাংলাদেশে জাপানি বন্ধুদের ব্যবসায়িক প্রচেষ্টাকে সহযোগিতা করতে সব সময় আগ্রহী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিগত ৫ দশকে জাপান-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের দৃষ্টান্তমূলক ফল দেখে আগামী বছরগুলোতে বাংলাদেশে জাপানের বড় উদ্যোগ প্রত্যাশা করছি।আশা করি আপনার সার্বিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবে। সমাবেশে জাপানি কোম্পানিগুলোর উথাপিত বেশকিছু নিয়ন্ত্রক ও নীতিগত সমস্যা সমাধান করার কথা জানান প্রধানমন্ত্রী।
বাংলাদেশের উদার বাণিজ্য নীতির কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের বৈদেশিক বিনিয়োগ ব্যবস্থা সবচেয়ে উদার।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিযোগিতামূলক খরচ, প্রচুর মানবসম্পদ, উচ্চ ক্রয়ক্ষমতা, বিশাল অভ্যন্তরীণ ভোক্তা বাজার এবং ক্রমবর্ধমান মধ্যবিত্ত থাকায় বাংলাদেশ দ্রুত বিনিয়োগের অত্যন্ত আকর্ষণীয় গন্তব্য হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে।
আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশাধিকার উন্নত করার মাধ্যমে এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক কেন্দ্র হয়ে উঠতে বাংলাদেশের প্রচেষ্টার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সারা দেশে অর্থনৈতিক অঞ্চল হাই-টেক/সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক স্থাপন করছি। বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে সংযোগের কেন্দ্র হিসাবে নিজেকে স্থাপন করার জন্য একটি পরিকল্পিত অবকাঠামোগত ভিত্তি তৈরি করছে।
অনুষ্ঠানে জাপানের শীর্ষ ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ নিয়ে তাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মুক্তিযোদ্ধাদের ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ লেখা স্মার্টকার্ড প্রদানের সিদ্ধান্ত দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত যারা আবেদন করবেন তাদেরটা আগে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত মাসিক সমন্বয় সভায় এমন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট শাখাকে নির্দেশনা দিয়েছেন জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক একেএম হুমায়ূন কবীর।
নির্দেশনায় তিনি বলেন, ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত যে বীর মুক্তিযোদ্ধারা স্মার্টকার্ডের জন্য আবেদন করবেন, তাদের মুক্তিযোদ্ধা গেজেট অনুসারে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় থেকে যাচাইপূর্বক বীর মুক্তিযোদ্ধা খচিত স্মার্টকার্ড দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
জানা গেছে, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্রের চিপসের নিচে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ শব্দ দুটি স্থাপনের বিষয়ে গত বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত সভায় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। এতে সর্বসম্মতিক্রমে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ স্থাপনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় পত্রের মাধ্যমে তাদের সম্মতি দেয়। তবে কোনো বীর মুক্তিযোদ্ধা জাতীয় পরিচয়পত্রে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ শব্দ দুটি স্থাপনের জন্য আবেদন করলে তা মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ভেটিং করিয়ে সন্নিবেশের সিদ্ধান্ত হয়।
জাতির সেরা সন্তানদের সম্মানার্থে কে এম নূরুল হুদার বিগত কমিশন ২০২২ সালে এই কার্যক্রম শুরু করেছিল। ওই বছর ১৩ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ১০০ জন মুক্তিযোদ্ধার হাতে স্মার্টকার্ড তুলে দেওয়াও হয়।
বিগত কমিশন বাংলাদেশ গেজেটে প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী ১ লাখ ৮৩ হাজার মুক্তিযোদ্ধাকে বিশেষ এ স্মার্টকার্ড দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এক্ষেত্রে প্রথমবারের মতো কোনো একটি সুনির্দিষ্ট শ্রেণীর জন্য স্মার্টকার্ডের নকশায় পরিবর্তন আনেন তারা। তবে কোনো আলোচনা না করে মুক্তিযোদ্ধাদের বিশেষ স্মার্টকার্ড দেওয়ার এখতিয়ার নির্বাচন কমিশনের নেই বলে মন্ত্রণালয় আপত্তি জানালে সেই উদ্যোগ বন্ধ হয়ে যায়।
বর্তমানে সে উদ্যোগটিই মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে চালু করছে কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন বর্তমান কমিশন। এক্ষেত্রে কোনো মুক্তিযোদ্ধা বিশেষ এ কার্ড নেওয়ার জন্য কেবল আবেদন করলেই নির্বাচন কমিশনার যথাযথ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে তা নিষ্পত্তি করবেন।
অনলাইন ডেস্ক :
জুলাই বিপ্লবে শহীদদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা হবে জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ছাত্র-জনতার ওপর আওয়ামী লীগ সরকারের নিপীড়ন সকলের সামনে তুলে ধরতে হবে। দেশ গড়ার যে সুযোগ পাওয়া গেছে সেটি সর্বোচ্চভাবে কাজে লাগাতে হবে।
আজ ৮ সেপ্টেম্বর রোববার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে নিজ কার্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
ড. ইউনূস বলেন, বাংলাদেশের জন্ম থেকে এই সুযোগ আর আসেনি। শিক্ষার্থীদের দেখছি আর ভাবছি, কী একটা স্বপ্ন আমাদের সামনে, জাতির সামনে তোমরা নিয়ে এসেছ। যে সুযোগ তোমরা আমাদের হাতে তুলে দিয়েছ, এটা যেন হাতছাড়া না হয়। এই সুযোগ হাতছাড়া হলে বাংলাদেশ আর রাষ্ট্র থাকবে না। এটা শুধু রাষ্ট্র না, পৃথিবীর সম্মানিত রাষ্ট্রে যেন পরিণত হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছে তাদের স্মরণ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, যারা শহীদ হয়েছে আজকে তারা আমাদের সঙ্গে বসতে পারত। কিন্তু সেই সুযোগ তাদের দেওয়া হয়নি। যখন হাসপাতালে আহতদের দেখার জন্য যাই, তাদের দিকে তাকাতে কষ্ট হয়।
ড. ইউনূস বলেন, একজন তরুণকে যখন দেখতে যাই তখন সে জিজ্ঞেস করে স্যার, ক্রিকেট খেলব কীভাবে? ক্রিকেট খেলার কথা তার মাথা থেকে সরছে না। যতবার দেখি, মনে প্রশ্ন জাগে এটাই আমরা বাংলাদেশ বানিয়েছি? কালকে একটা হাসপাতালে গেলাম, আবার সেই দৃশ্য। তরুণ প্রাণ, অনেকের মাথার খুলি উড়ে গেছে। অনেকের শরীরে গুলি রয়ে গেছে। বেঁচে আছে।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, যতবার শুনি, যতবার দেখি, আবার নতুন করে প্রতিজ্ঞা করতে হয়, যে স্বপ্নের জন্য তারা প্রাণ দিয়েছে সেই স্বপ্নকে আমরা বাস্তবায়ন করব। এটা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, আমি সাক্ষাতের সময় যে দৃশ্য দেখছি সেটা তো সবাই দেখছে না। যারা হাসপাতালে আসছেন তারা হয়তো অনুধাবন করতে পারছে। মানুষকে জানাতে হবে, বোঝাতে হবে। কী নৃশংসতা ছিল।
এর আগে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় শাপলা হলে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত মতবিনিময় সভা চলে।
ছাত্রজনতার গণ-অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। এরপর গত ৮ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের অনুরোধে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এরপর তিনি দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, পত্রিকার সম্পাদক, ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন। এরই অংশ হিসেবে আজ নিজ কার্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন ড. ইউনূস।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে সরকারি চাকরিসহ ৪ দফা দাবিতে ফের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে ইনস্টিটিউট অব লাইভস্টক সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (আইএলএসটি) শিক্ষার্থীরা। এসময় আইএরএসটি প্রধানের কার্যালয় অবরুদ্ধ করে বিক্ষুব্ধ শিক্ষাক্ষর্থীরা। লাগাতার কর্মসূচি দেওয়ার হুমকী দেন বিক্ষুব্ধরা।
আজ ৪ ডিসেম্বর বুধবার দুপুরে আইএলএসটি ভবনের সামনে রাস্তা অবরোধ করে কর্মসূচিতে অংশ নেন প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী। ডিপ্লোমা ইন লাইভস্টক স্টুডেন্ট ফেডারেশন নাসিরনগর শাখার উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। বেশকিছুধিন ধরে ক্লাশ বর্জন করে শিক্ষার্থীরা এ কর্মসূচি পালন করে আসছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষার্থীদের চার দফা দাবি মেনে না নিলে সারা দেশে আইএলএসটির পুরো কার্যক্রম বন্ধ করে দিবেন বলে জানা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
বক্তব্য বিডিএলএসএফ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আয়াতুল্লাহ খান শিহাব, নাসিরনগর শাখার সভাপতি আহসান হাবিব, সাধারণ সম্পাদক তাহমিদ নিশাত ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আশিকুল হক আরফান ও ফারাহ সাদিয়া পুতুল।
মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, ডিপ্লোমা ইন লাইভস্টক (আইএলএসটি) অধিদপ্তরের ২০২০সালে গঠিত অর্গানোগ্রামে দু’হাজারের উপরে নতুন পদ সৃস্টি করা হয়েছে। যা ডিপ্লোমাধারীদের জন্য মুখ্য পদ। কিন্তু এ পদে তাদের বাদ দিয়ে নন-টেকনিক্যাল প্রার্থীদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া ২০২৩ এর অর্গানোগ্রাম অনুযায়ী উপসহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের জন্য ৭২টি পদ সৃস্টি করা হয়েছে। সেখানেও তাদের নিয়োগ না দিয়ে নন-টেকনিক্যাল প্রার্থীদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।
তারা বলেন, এখন পর্যন্ত চারটি ব্যাচ আইএলএসটি থেকে পাস করেও চাকরী পায়নি। তারা বেকার। নুতন চারটি ব্যাচ বের হবে। তাদেরও চাকরীর নিশ্চয়তা নেই। আর কোন শিক্ষার্থী পড়তে আসছেনা। এটি বেকার তৈরির একটি কারখানা।
বক্তারা আরও বলেন, লাখ লাখ টাকা খরচ করে পড়ালেখা করেও চাকরী না পেয়ে বিপদগামী হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। যদি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা না হয় তাহলে আমাদের সার্টিফিকের আগুনে পুড়িয়ে ফেলা হোক। আরো নতুন নতুন ইনস্টিটিউট স্থাপনের কাজ করছে। প্রতি বছর হাজার হাজার বেকার যুবকই বের হবে।
শিক্ষার্থীদের চার ধফা দাবির মধ্যে অন্যতম হলো-অর্থমন্ত্রণালয় কর্তৃক নিয়োগবিধি মোতাবেক উপসহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (কৃত্রিম প্রজনন ও প্রাণিস্বাস্থ্য) পদে দ্রুত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে তা কার্যকর করা। ভিএফ ও সমমানের পদে ডিপ্লোমা ইন লাইভস্টক থেকে পাস করে বের হওয়া শিক্ষার্থীদের যুক্ত করে ৭০ শতাংশ পদে অগ্রাধিকার দিয়ে নিয়োগ কার্যক্রম চুড়ান্ত করা। ওভারশিয়ার (কৃষি, বায়ার এবং ডেইরি) বায়ার ওভারশিয়ার ও ডেমনস্ট্রেটর পদসমূহে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া। নবসৃষ্ট গ্রেড-৩, গ্রেড-৫, গ্রেড-৬ ও গ্রেড-৯ পদ সমূহের বিপরীতে খসড়া নিয়োগবিধির আলোকে পূরণকৃত সকল নিয়োগ এবং পদোন্নতি বাতিল করা।
নাসিরনগর শাখার সভাপতি আহসান হাবিব বলেন, বিছুদিন আগে বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে ফ্যাসিস্ট সরকারকে পতন ঘটিয়েছি। কিন্তু আমাদের আইএলএসটির শিক্ষার্থীরা এখনো বৈষম্যের শিকার হচ্ছি। আমাদের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে নন-টেকনিক্যাল লোকদের নেওয়া হচ্ছে। ডিপ্লোমা ইন লাইভস্টক (আইএলএসটি) অধ্যক্ষ ডাঃ কাজী রফিকুজ্জামান বলেন, শিক্ষাথীদের সকল দাবিই যৌক্তিক। কিন্তু উপর মহলকে তাদের দাবির গুরুত্বটি বুঝতে হবে এবং বুঝাতে হবে।