চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে সর্ব সাধারণের ব্যবহারের জন্য ইনপ্রুভড ল্যাট্টিন (ওয়াশরুম) উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আক্তার হোসেনের জায়গায় নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিমত জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া অফিসের নির্মাণকরা ইনপ্রুভড ল্যাট্টিনটি সাধারণ মানুষ ব্যবহার করতে পারবেনা। আক্তার হোসেন বিজয়নগর উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আক্তার হোসেনের উপজেলার মির্জাপুর গ্রামে একটি জায়গা রয়েছে। জায়গাটি স্থানীয় রাষ্ট্রু মিয়া নামে এক ব্যক্তি ভাড়া নিয়ে সেখানে একটি মুরগীর খামার গড়ে তুলেছেন।
উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় ৬৯টি ইনপ্রুভড ল্যাট্টিন স্থাপনের প্রকল্প নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ইতিমধ্যেই ৩০টির বেশি ইনপ্রুভড ল্যাট্টিন বাস্তবায়ন করেছে উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। প্রতিটি ল্যাট্টিন নির্মাণের ব্যয় ধরা হয়েছে চার লাখ থেকে সাড়ে চার লাখ টাকা। প্রতিটি ইনপ্রুভড ল্যাট্টিনের সাথে একটি সাব মারজিবল টিউবওয়েল রয়েছে।
সর্ব সাধারণের জন্য উপজেলার বিভিন্ন বাজার এলাকা এবং ২/৩টি বাড়ির মানুষের জন্য একটি করে ইনপ্রুভড ল্যাট্টিন ও নলকূপ স্থাপন করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, বিজয়নগর উপজেলার মির্জাপুর বাজার থেকে অনুমানিক ১০০/১৫০ গজ দূরে সাবেক চেয়ারম্যান আক্তার হোসেনের ব্যক্তি মালিকানাধীন একটি জায়গা আছে। জায়গাটি স্থানীয় রাষ্ট্রু মিয়া নামে এক ভাড়া নিয়ে মুরগির খামার নির্মাণ করেছেন। রাস্তার পাশে থাকা ওই জায়গাটি চারপাশে প্লাষ্টিকের নেট দিয়ে বেড়া দেয়া। এর ভেতরেই নির্মান করা হয়েছে।এর ভেতরে ইনপ্রুভড ল্যাট্টিন। সেখানে মুরগীর খামার থাকায় সাধারণ লোকজন এই ইনপ্রুভড ল্যাট্টিনটি ব্যবহার করতে পারেন না।
স্থানীয়দের অভিযোগ নিজেদের সুবিধার জন্যই সাবেক চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন সরকারি টাকায় এই ইনপ্রুভড ল্যাট্টিনটি নিজের জায়গায় নির্মান করেছেন। ইনপ্রুভড ল্যাট্টিনটি যে সাধারণ লোকজনের সুবিধার জন্য করা হয়েছে তা স্থানীয়রা জানেননা। অভিযোগকারীরা বলেন, একজন সাবেক চেয়ারম্যানের জায়গায় নির্মাণ করা ল্যাট্টিন ব্যবহার করতে কে যাবে? একটি সরকারি জায়গায় উম্মুক্ত স্থানে ইনপ্রুভড ল্যাট্টিনটি নির্মাণ করা দরকার ছিলো।
এ ব্যাপারে ইছাপুরা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন বলেন, জায়গাটির আশেপাশে মার্কেট আছে, সিএনজি পাম্প আছে। সকলই এই ইনপ্রুভড ল্যাট্টিন ব্যবহার করতে পারবেন। তিনি আমার জায়গায় ইনপ্রুভড ল্যাট্টিনটি নির্মান হলেও সাধারণ লোকজন এটি ব্যবহার করতে পারবেন। তিনি বলেন, জায়গার সামনে দেয়া প্লাষ্টিকের বেড়া খুলে ইনপ্রুভড ল্যাট্টিনটি সকলের ব্যবহারের উপযোগী করে দিবো। তিনি বলেন, ল্যাট্টিনটি এখনো উদ্বোধন করা হয়নি।
এ ব্যাপারে ইছাপুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াউল হক বকুল বলেন, ওই জায়গায় ইনপ্রুভড ল্যাট্টিনটি কিভাবে নির্মাণ করা হয়েছে, তা আমি জানিনা। আমাকে কেউ বিষয়টি অবহিত করেনি।
এ ব্যাপারে বিজয়নগর উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আমান উল্লাহ বলেন, আমরা সাধারণত কোন উম্মুক্ত জায়গা বা বাজার এলাকায় ইনপ্রুভড ল্যাট্টিন নির্মাণ করে থাকি। আবার গ্রামে ২/৩টি পরিবারের জন্যও ল্যাট্টিন নির্মাণ করে দেই।
তিনি বলেন, সাবেক চেয়ারম্যান আক্তার হোসেনের জায়গায় নির্মাণ করা ল্যাট্টিন সাধারণ মানুষ ব্যবহার করতে পারবেন বলে তিনি আমাকে আশ্বস্থ্য করেছেন। তবে এখনো ল্যাট্টিন নির্মাণের কাজ শেষ হয়নি। তিনি বলেন, সেখানে যে মুরগীর খামার আছে তা আমার জানা নেই। তবে ল্যাট্টিন নির্মাণ হলে তা সবাই ব্যবহার করতে পারবেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, নবীনগর ও বিজয়নগর এই তিন উপজেলার নির্বাচনের প্রচার প্রচারনায় ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। জয়ের আশায় প্রার্থীরা ভোটারদের কাছে গিয়ে ভোট চাইছেন, দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। প্রার্থী নিজে এবং তাদের কর্মী সমর্থকদের মাধ্যমে নিজ নিজ প্রতীকের প্রচার করছেন তারা। এদিকে ভোটারদের মতে, সৎ যোগ্য ও এলাকার উন্নয়নে যিনি ভূমিকা রাখবেন, যাকে সুখে দুখে পাশে পাওয়া যাবে, তাকেই তারা ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত করবেন। তবে ভোটার এবং প্রার্থী সকলেই আশাবাদী একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সাধারণ ভোটাররা সৎ, যোগ্য ও নিষ্ঠাবান প্রার্থীকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করতে চান। তবে জয়ের ব্যাপারে সকল প্রার্থীরাই আশাবাদী। আর তাই সেই আশায় প্রার্থীরা বিরামহীন চালিয়ে যাচ্ছেন নিজ নিজ প্রচার প্রচারণা। দিন যতই যাচ্ছে প্রার্থী, কর্মী ও ভোটারদের মধ্যে বাড়ছে আুৎসবের আমেজ। প্রার্থীর পক্ষে কর্মীরা সালাম জানাচ্ছেন ভোটারদেরকে। আগামী ৫ জুন চতুর্থ ধাপে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, বিজয়নগর ও নবীনগর উপজেলার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তিনটি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ১৯ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৫ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগর উপজেলার সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের দৌলতবাড়ি দরবার শরিফের ৮৩তম শানে রিসালাত (দঃ) ওরশে আউলিয়া মাহফিল শান্তিপূর্ণ ভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গত ১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারি শনিবার ও রবিবার দুই দিনব্যাপী মাহফিলে দৌলতবাড়ি দরবার শরিফের গদ্দিনিশীন পীর ও জাতীয় মিলাদ কমিটি বাংলাদেশ এর চেয়ারম্যান আল্লামা সৈয়দ নাঈম উদ্দিন আহমেদ এর সভাপতিত্বে লক্ষাধিক ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা অংশগ্রহণ করেন।
উক্ত শানে রিসালাত (দঃ) ওরশে আউলিয়া মাহফিলে বিদেশ থেকে আগত ও দেশবরেণ্য আলেম, পীর মাশায়েখগণ ধর্মীয় বিভিন্ন বিষয়ের গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন।
মাহফিলের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন, আঞ্জুমানে বাহা উদ্দিন এমাদিয়া দৌলতবাড়িয়া বাংলাদেশ এর মহাসচিব শাহজাদা সৈয়দ মাঈন উদ্দীন আহমেদ জুম্মান, দরবার শরিফের বড় শাহজাদা সৈয়দ সাঈম উদ্দিন আহমেদ, শাহজাদা সৈয়দ ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ, শাহজাদা সৈয়দ আখলাক উদ্দিন আহমেদ, শাহজাদা সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন আহমেদসহ দৌলতবাড়ি দরবার শরিফের পরিচালনা কমিটির সদস্যবৃন্দ ও খাদেমবৃন্দ।
১৯ ফেব্রুয়ারি শেষ রাতে দেশ ও বিশ্ব মুসলিম উম্মাহ শান্তি কামনায় দৌলতবাড়ি দরবার শরিফের গদ্দিনিশীন পীর আল্লামা সৈয়দ নাঈম উদ্দিন আহমেদ দোয়ার মাধ্যমে দৌলতবাড়ি দরবার শরিফের ৮৩তম শানে রিসালাত (দঃ) ওরশে আউলিয়া মাহফিল সমাপ্ত হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
‘সঠিক তথ্যে ভোটার হবো, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবো’-এ প্রতিপাদ্য নিয়ে ২ মার্চ শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে জাতীয় ভোটার দিবস পালিত হয়েছে।
এ উপলক্ষে শনিবার সকাল ১০ টায় একটি শোভাযাত্রা বের হয়ে উপজেলা পরিষদে এসে শেষ হয়। এর পর উপজেলা পরিষদ হল রুমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বিজয়নগর উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো: রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদী হাসান শাওন, বক্তব্য রাখেন ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউল হক বকুল, স্কাউটস সম্পাদক অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ইমরান খান সহ দপ্তরের কর্মকর্তা বৃন্দ।
এসময় বক্তারা বলেন: ভোটার হওয়া এবং ভোট দেওয়া প্রত্যেক নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার।
নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমেই একজন নাগরিক দেশের শাসন ব্যবস্থায় অংশ গ্রহণ করে থাকে এবং যোগ্য নেতৃত্ব দেওয়া দরকার। তাই সঠিক তথ্যে ভোটার হবো, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবো।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে বেশি দামে খেজুর বিক্রি ও মূল্য তালিকা না থাকায় ৩ দোকানিকে ৮ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
আজ ১৩ মার্চ বুধবার দুপুরে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহকারি পরিচালক মোঃ মেহেদী হাসান উপজেলার চম্পকনগর বাজারে অভিযান চালিয়ে এই জরিমানা করেন।
জরিমানাপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে মেসার্স লাকি স্টোরকে ৩ হাজার, মেসার্স শেখ সাদী স্টোরকে ৩ হাজার ও নজির মিয়ার ফল ভান্ডারকে ২ হাজার টাকা।
এ ব্যাপারে অভিযান পরিচালনাকারী ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহকারি পরিচালক মোঃ মেহেদী হাসান বলেন, রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল ও ভেজাল পণ্যের বিরুদ্ধে বাজারে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।
অভিযানের অংশ হিসেবে দুপুরে উপজেলার চম্পকনগর বাজারে অভিযান চালিয়ে সরকার নির্ধারিত মূল্য থেকে অতিরিক্ত মূল্যে সাধারণ খেজুর বিক্রির দায়ে নজির মিয়ার ফল ভান্ডারকে ২ হাজার ও মূল্য তালিকা না থাকায় লাকি স্টোরকে ৩ হাজার ও শেখ সাদী স্টোরকে ৩ হাজার টাকা করে ৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানার পাশাপাশি তাদের সর্তকও করা হয়। ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিগত ২০২২ – ২০২৩ অর্থ বছরের সার্বিক বিশ্লেষণে ‘সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা’ গড়ার প্রত্যয়ে এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ও সমাজে সুশাসন প্রতিষ্ঠার অভিলক্ষ্যে পেশাগত জ্ঞান, দক্ষতা, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ সহ ৭ টি ক্যাটাগরিতে বিচার বিবেচনায় বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এএইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ কে উপজেলা পর্যায়ের শ্রেষ্ঠ কর্মকর্তা হিসেবে শুদ্ধাচার পুরষ্কার ২০২২-২০২৩ প্রদান করা হয়।
২৫ জুন রবিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত শুদ্ধাচার পুরষ্কার ২০২২-২৩ বিতরন অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক শাহগীর আলম এ পুরস্কার হস্তান্তর করেন।
এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে বিজয়নগর উপজেলায় যোগদান করেন। তার কর্মদক্ষতায় বদলে গেছে উপজেলার সার্বিক চিত্র।
উপজেলার প্রতিটি দপ্তরের কর্মকান্ডে পূর্বের চেয়েও ফিরে এসেছে গতিশীলতা ও স্বচ্ছতা। কমেছে জনভোগান্তি আর বৃদ্ধি পেয়েছে জনসেবার মান। বিজয়নগর উপজেলাকে একটি উন্নত আধুনিক উপজেলা গড়তে তিনি নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে ইউএনও এএইচ ইফরান উদ্দিন আহমেদ অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, প্রিয় বিজয়নগরবাসীর জন্য এই পুরষ্কার অর্জন। এর প্রকৃত মালিক বিজয়নবাসী। সকলের সেবায় নিয়োজিত থেকে যেন সরকার আরোপিত সকল সিদ্ধান্ত সঠিক ভাবে বাস্তবায়ন করতে পারি সেজন্য সকলের দোয়া চাই।