অনলাইন ডেস্ক :
বিশ্বব্যাপী শান্তিপূর্ণ, ন্যায্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গড়ে তোলার প্রয়াসে সামাজিক ন্যায়বিচারে বিনিয়োগ করার জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘একমাত্র সামাজিক ন্যায়বিচারই স্থায়ী শান্তি ও টেকসই উন্নয়নের ভিত্তি রচনা করতে পারে। বিশ্বব্যাপী শান্তিপূর্ণ, ন্যায্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনের প্রয়াসে সামাজিক ন্যায়বিচারকে আমাদের বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।’
আজ ১৪ জুন বুধবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় প্যালেস ডি নেশনস-এ ‘ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক সামিট-২০২৩’ এর পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই শীর্ষ সম্মেলনের মাধ্যমে একটি বৈশ্বিক জোট প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টসহ সকল আন্তর্জাতিক উন্নয়ন এজেন্ডার কেন্দ্রে সামাজিক ন্যায়বিচারকে স্থান দেওয়ার একটি সুযোগ করে দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বাংলাদেশের দৃষ্টিকোণ থেকে পাঁচটি পরামর্শ দেন।
শেখ হাসিনা তার প্রথম পরামর্শে বলেন, এই জোটটিকে একটি মান-নির্ধারক বা দরকষাকষির ফোরামের পরিবর্তে একটি পরামর্শমূলক বা অ্যাডভোকেসি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে গড়ে তোলাই বাঞ্ছনীয় হবে। দ্বিতীয়ত, বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সামাজিক ন্যায়বিচারকে এক আন্তর্জাতিক মহল কর্তৃক অন্য মহলের বিরুদ্ধে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের বিষয়ে এই জোটকে সতর্ক থাকতে হবে। তৃতীয়ত, এই জোটকে একটি নিয়মতান্ত্রিক বহুপক্ষীয় বাণিজ্য ব্যবস্থার আওতায় সামাজিক ন্যায়বিচারকে একটি সংরক্ষণবাদী হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার না করে, বরং এর ব্যাপক প্রসারে ভূমিকা রাখার বিষয়ে প্রচারণা চালাতে হবে। চতুর্থত, শোভনকর্ম এবং উৎপাদনশীল কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সম্পৃক্ত করার জন্য এ জোটের বিষয়ে আইএলও’র নিজস্ব অংশীজনদের থেকে ব্যাপক সমর্থন নিশ্চিত করতে হবে। পরিশেষে, আমাদের তরুণ সমাজকে সামাজিক ন্যায়বিচারের প্রবক্তা হিসেবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে এ জোটকে মনোযোগী হতে হবে।
তিনি বলেন, ‘বর্তমান শতাব্দীর বহুমাত্রিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিশ্বের জন্য আমাদের একটি নতুন সামাজিক চুক্তি তৈরি করতে হবে। এই সামাজিক চুক্তির মূল উদ্দেশ্য হবে- টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে সবার জন্য সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা।’
উল্লেখ্য যে, শ্রম অধিকার সুরক্ষায় বাংলাদেশ আইএলও’র দশটি মৌলিক সনদের মধ্যে আটটিতে অনুস্বাক্ষর করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পেশাগত স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিষয়ক দুটি নতুন মৌলিক আইএলও সনদ অনুস্বাক্ষরের বিষয়টিও আমরা সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করছি। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে, শ্রম অধিকার নিয়ে সোচ্চার কয়েকটি উন্নত দেশ এখন পর্যন্ত নিজেরা অধিকাংশ মৌলিক আইএলও সনদ অনুস্বাক্ষর করেনি। যেমন, একটি বড়ো শিল্পোন্নত দেশ মাত্র দুটি মৌলিক সনদ অনুস্বাক্ষর করেছে।’
শিশুশ্রমের ন্যূনতম বয়স নির্ধারণে বাংলাদেশ সম্প্রতি আইএলও সনদ ১৩৮ অনুস্বাক্ষর করেছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার আটটি ঝুঁকিপূর্ণ খাতকে শিশু শ্রমমুক্ত ঘোষণা করেছে। এছাড়া, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত এক লাখ শিশুকে উপানুষ্ঠানিক ও কারিগরি শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার কার্যক্রম চলছে।
তিনি বলেন, ‘আমি একটি সুস্থ ও নিরাপদ আগামী প্রজন্মের স্বার্থে শিশু শ্রমের অভিশাপ থেকে মুক্তি চাই।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আইএলও’র সুপারিশ অনুযায়ী ২০১৩ ও ২০১৮ সালে দুইবার বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ সংশোধন করেছে। অধিকন্তু, বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা, ২০১৫-এ সংশোধন করা হয়েছে। এ বছর নাগাদ শ্রম আইন, ২০০৬-এ আরও সংশোধনী আনার কাজ চলছে। ইতোমধ্যে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ প্রয়োগর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
তিনি জানান, শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল ও সাতটি শ্রম আদালতের সঙ্গে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার আরও ছয়টি শ্রম আদালত প্রতিষ্ঠা করেছে। এ ছাড়া, সামাজিক অংশীদারদের অংশগ্রহণে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি (এডিআর) কার্যক্রম প্রাতিষ্ঠানিকভাবে জোরদার করা হচ্ছে। পাশাপাশি, দেশের কারখানাগুলোর জন্য একটি ‘শিল্প পুলিশ’ ইউনিট গঠন করা হয়েছে।
সূত্র : বাসস
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগরে পণ্যবাহী ট্রাক এবং যাত্রীবাহী বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৩ জন আহত হয়েছেন।
আজ ১০ জুলাই বুধবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বীরপাশা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহত ট্রাকচালক গৌরাঙ্গ পালের বাড়ি রাজশাহী জেলার গোদাবাড়ি উপজেলায় ও হেলপার আবদুল মমিন কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলার বাসিন্দা।
এছাড়া অপর একজন আহত ব্যক্তির পরিচয় জানা যায়নি। জানা যায়, দুপুর ১২টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার বীরপাশা এলাকায় হবিগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী যাত্রীবাহী দিগন্ত পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা সিলেট অভিমুখী একটি পণ্যবাহী ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ট্রাকের চালকসহ তিনজন আহত হন। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে বিজয়নগর ও হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে ট্রাকের ভেতর আটকা পড়া ট্রাক চালক ও হেলপারকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়।
বিশ্বরোড খাটিয়াতা হাইওয়ে থানার ওসি আশীষ কুমার সান্যাল জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বাসটি অপর একটি যানকে ওভারটেক করতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। এতে বাস ও ট্রাকের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ঘটনার খবর পেয়ে হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুর্ঘটনা কবলিত দুটি যানকে উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে নেয়। পরে দুর্ঘটনা কবলিত দুটি যান অপসারণ করার পর মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। দুর্ঘটনার কারণে মহাসড়কে অন্তত এক ঘণ্টা যান চলাচল ব্যাহত হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রায় ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটে পরে ভোগান্তির শিকার হয় যাত্রী সাধারণ।
অনলাইন ডেস্ক :
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। ওই হামলায় এক হাজারের বেশি ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিক নিহত হয়। আহত হয় আরও অনেকে। ওই ঘটনার পর ট্রমার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি নাগরিকরা।
জবাবে সেই ৭ অক্টোবর থেকেই গাজা উপত্যকায় নির্বিচারে আগ্রাসন শুরু করে ইসরায়েল। সেই যুদ্ধ এখনও চলছেই।
এর মধ্যেই ভয়ঙ্কর ‘মগজ খেকো’ অ্যামিবা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে ইহুদিবাদী ওই ভূখণ্ডে। ইতোমধ্যে দেশটির হাসপাতালগুলোতে কয়েকশ’ মানুষ ছুটে গেছে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য।
সেফেডের জিভ মেডিকেল সেন্টারের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, বুধবার এনসেফালাইটিসে আক্রান্ত হয়ে সেফেডের জিভ মেডিকেল সেন্টারে হাসপাতালে ১০ বছর বয়সী এক শিশুকে ভর্তি করা হয়। ওই শিশুর অবস্থা গুরুতর। টাইবেরিয়াসের গাই বিচ ওয়াটার পার্কে সাঁতার কাটতে গিয়েছিল।
এর আগে ২৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তি মগজ খেকো অ্যামিবায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তিনিও তাইবেরিয়ার গাই বিচ ওয়াটার পার্কে সাঁতার কাটতে গিয়েছিলেন।
এই ঘটনার পর ইসরায়েলি স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওয়াটার পার্কটি বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেন। পরিবেশ স্বাস্থ্যকর্মীরা ইতোমধ্যে ওই ওয়াটার পার্ক পরিদর্শন করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন। কিন্তু ওয়াটার পার্কের পানিতে ‘মগজ খেকো’ অ্যামিবার কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি।
ইসরায়েলি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, টাইবেরিয়াসের গাই বিচ ওয়াটার পার্কে যাওয়া ২৫০ জনেরও বেশি মানুষ স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে গেছেন। পরে জানা গেছে, তারা কেউই ‘মগজ খেকো’ অ্যামিবায় আক্রান্ত হননি।
নেগেলেরিয়া ফাওলেরি নামে পরিচিত অ্যামিবা হ্রদ, নদী এবং উষ্ণ প্রস্রবণের মাটি এবং উষ্ণ মিষ্টি পানিতে বাস করে। ইউএস সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের তথ্যানুসারে, অ্যামিবাযুক্ত পানি নাকের নাকের ভেতর দিয়ে মস্তিষ্কে সংক্রমণ হয়। এ কারণে এটিকে সাধারণত ‘মগজ খেকো অ্যামিবা’ বলা হয়। এই অ্যামিবায় আক্রান্ত হয়ে মানুষের মৃত্যুর ঝুঁকি অনেক বেশি। সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল, জিউস নিউজ
ইসরায়েলের হামলার জবাবে নতুন করে ইরানের চালানো ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর জেরুজালেম ও তেল আবিবে বড় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। এতে একজন নিহত এবং আহত হয়েছেন প্রায় অর্ধশতাধিক মানুষ। পাশাপাশি অন্তত নয়টি ভবন ধ্বংস হয়ে গেছে।
ইসরায়েলের হারেৎজ সংবাদপত্রের খবর অনুযায়ী, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র তেল আবিবের কেন্দ্রস্থলে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় একটি উঁচু ভবনে আঘাত হানায় ভবনটির নিচের এক-তৃতীয়াংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তেল আবিবের শহরতলীর রামাত গানেও নয়টি ভবন ধ্বংস হয়েছে।
ইরান দেড় শতাধিক মিসাইল ছুঁড়েছে বলেও জানান সংবাদপত্রটি। এদিকে কিছুক্ষণ আগে (বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৮টার দিকে) জেরুজালেমের আকাশে ফের বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে বলে জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রের একটি নতুন ঢেউ ইসরায়েলের দিকে এগিয়ে আসছে। ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়, ইসরায়েল রাষ্ট্রের দিকে আরও একটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। আইডিএফ এর আগে নতুন করে হামলার বিষয়ে সতর্ক করেছিল এবং বলেছিল যে তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কার্যকর রয়েছে। তবে, তাৎক্ষণিকভাবে হামলায় হতাহতের কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার ভোররাতে ইরানে হামলা শুরু করে দখলদার ইসরায়েল। নৃশংস এই হামলায় ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা, বিজ্ঞানীসহ অন্তত ৭৮ জন নিহত হয়েছে। দখলদার বাহিনীর হামলায় আহত হয়েছেন তিন শতাধিক মানুষ। এই হামলার উপযুক্ত জবাব দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে ইরান।
চলারপথে রিপোর্ট :
স্বাধীনতার মহান স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছয়শত দুঃস্থ ও অসহায় পরিবারের মধ্যে “প্রধানমন্ত্রী উপহার” চাল বিতরণ করেছে জেলা পরিষদ। আজ ১৫ আগস্ট মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে চারটায় জেলা পরিষদ চত্বরে প্রধান অতিথি হিসেবে চাল বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
চাল বিতরণ উপলক্ষে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলাপরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম মাহমুদুর রহমান।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট ঘাতকেরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যা করে বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানাতে চেয়েছিলো। তারা দীর্ঘ ২১ বছর বাংলাদেশকে কার্যত পাকিস্তান বানিয়ে রেখেছিলো। ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় এসে দেশকে মুক্ত করেছিলো। পরে আবারো ওই অপশক্তি ক্ষমতায় এসে দেশকে পিছিয়ে নিয়ে যায়।
তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে শেখ সরকার ক্ষমতায় এসে দেশকে খাদ্যে সয়ংসম্পূর্ণ করতে পারে নি। বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার করতে পারে নি।
২০১৮ সালে শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতা এসে বাংলাদেশ একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। বর্তমানে আবারো একটি অপশক্তি সংবিধান বহির্ভূতভাবে দেশে নির্বাচন করতে চায়। তবে বাংলাদেশে সংবিধান অনুযায়ী জাতীয় নির্বাচন হবে। তিনি আগামী নির্বাচনকে জনগনকে নিজে বিচার বিবেচনা করে ভোট দেয়ার আহবান জানান। আলোচনা সভা শেষে ৬০০ পরিবারকে ১৫ কেজি করে চাল দেয়া হয়।