চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে একটি গরুসহ মোঃ সাগর মিয়া নামে এক চোরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার রাতে উপজেলার পাঠানপাড়া থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেফতারকৃত সাগর মিয়া উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের মোঃ শাহ আলমের ছেলে।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসলাম হোসেন বলেন, বুধবার সকালে উপজেলার লোপাড়া গ্রামের একজন কৃষক তার দুটি গরু ঘাস খাওয়ানোর জন্য মাঠে ছেড়ে দেন। দুপুর বেলা মালিক মাঠে গিয়ে দেখেন তার একটি গরু নেই। পরে গরুর মালিক সম্ভাব্য সকলস্থানে গরুটি খোঁজাখুঁজি করে গরুটি পায়নি।
রাত ৮ টার দিকে সাগর মিয়া ওই গরুটি উপজেলার পাঠানপাড়ার তারেক মিয়ার বাড়ির সামনে দিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়দের সন্দেহ হলে তারা সাগর মিয়াকে আটক করে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে গরুসহ সাগর মিয়াকে থানায় নিয়ে আসে। রাতের বেলা গরুর প্রকৃত মালিক থানায় এসে গরুটি সনাক্ত করেন।
এ ঘটনায় রাতেই সাগর মিয়ার বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা দায়ের করে আজ ১৫ জুন বৃহস্পতিবার সকালে সাগর মিয়াকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে বিভিন্ন অনিয়মের দায়ে ৩ প্রতিষ্ঠানকে ২৬ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
২০ ডিসেম্বর বুধবার দুপুরে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক মোঃ মেহেদী হাসান উপজেলার বিকেল বাজারে অভিযান চালিয়ে তিন প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেন।
জরিমানা দেয়া প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে আনন্দময় মিষ্টান্ন ভান্ডার, বোরহান হোটেল ও বাসির হোটেল। এ ব্যাপারে অভিযান পরিচালনাকারী ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহকারি পরিচালক মোঃ মেহেদী হাসান বলেন, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর মূল্য স্থিতিশীল ও ভেজাল পণ্যের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়তই বাজারে অভিযান করা হয়।
তিনি বলেন, বুধবার দুপুরে বিকেল বাজারে অভিযান চালিয়ে অস্বাস্থ্যকর ও অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে খাদ্য তৈরী ও খাদ্যে বিষাক্ত কালার পাওয়ায় আনন্দময় মিষ্টান্ন ভান্ডারকে ২০ হাজার টাকা, পঁচাও বাসি খাবার খোলা অবস্থায় ফ্রিজে রাখা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য সামগ্রী রাখার জন্য বোরহান হোটেলকে ৪ হাজার টাকা এবং একই অপরাধে বাসির হোটেলকে ২ হাজার টাকা করে মোট ২৬ হাজার জরিমানা আদায় করা হয়।
তিনি বলেন, বাজার স্থিতিশীল রাখতে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইল থানা পুলিশের হাজতখানা থেকে এক আসামী পালিয়ে গেছে। এ ঘটনাটি ঘটেছে ১২ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়। হাজত থেকে পলায়নকারী ওই আসামীর নাম হৃদয় (১৫) ওরফে গিট্টু। সে ময়মনসিংহের বাবুল মিয়ার ছেলে। তবে বর্তমানে বিজয়নগরের জালালপুর গ্রামে নানা বাড়িতে থাকতো।
পলাতক আসামি হৃদয়কে সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর গ্রাম থেকে মোবাইল চুরি সংক্রান্ত অভিযোগে একটি চুরির মোবাইলসহ গ্রেফতার করা হয়।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমরানুল ইসলাম জানান, পুলিশ থাকে গ্রেফতার করতে পারেনি। সে এখনও পলাতক আছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার একমাত্র গণগ্রন্থাগারটি গত ১০ বছরেরও অধিক সময় ধরে তালাবদ্ধ। এটি চালুর দাবিতে মানববন্ধন করেছেন উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী সরাইল শাখা।
আজ ১০ মার্চ রবিবার সকালে সরাইল সদরের শহিদ মিনার চত্বরে স্থানীয় সাহিত্যিক সাংস্কৃতিক সুশিল সমাজের ব্যক্তিবর্গের অংশ গ্রহনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
দীর্ঘ সময় ধরে গ্রন্থাগারটির কমিটি না থাকার কারণে এমন অচলাবস্থা তৈরী হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, ১৯৭৯ খ্রিষ্টাব্দে স্থাপিত ঐতিহ্যবাহী এই গ্রন্থাগারটি এক সময় এলাকার শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিদের পদচারণায় মুখরিত ছিল। দিনে রাতে আলো ছড়াতো গ্রন্থাগারটি। কিন্তু হঠাৎ করে এক সময় ছন্দ হারিয়ে ফেলে গ্রন্থাগারটি। দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকে। ২০১২ খ্রিষ্টাব্দে তৎকালীন ইউএনও’র প্রচেষ্টায় কমিটি হয়। সচল হয় গ্রন্থাগারটি। এ কমিটির মেয়াদ শেষ হলে আবারও তালাবদ্ধ হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় কেটে যাচ্ছে ১০ বছর। ফলে গ্রন্থাগারে রক্ষিত সহস্রাধিক মূল্যবান বই গুলোতে পোকায় ধরেছে। কিছু বইয়ের উপরে পড়েছে ধূঁলোবালির স্তুপ। সন্ধ্যার পর গ্রন্থাগারটির চারিদিকে বিরাজ করে ভূতুড়ে অবস্থা। সুযোগে মাদকাসক্তরা সেখানে আড্ডায় মেতে ওঠে। তাই উপজেলার একমাত্র গ্রন্থাগারটির প্রাণ ফিরিয়ে আনতে সংশ্লিষ্টদের চোখ ফিরাতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন স্থানীয় উদীচী।
উদীচী সরাইল শাখার সভাপতি মো. মোজাম্মেল পাঠানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- উদীচী জেলা শাখার সহসভাপতি আহমদ হোসেন, সম্পাদক ফেরদৌস আহমেদ, সরাইল পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মো. আইয়ুব খান, কমিউনিষ্ট পার্টি সরাইল শাখার সভাপতি দেবদাস সিংহ রায়, ঠিকাদার মো. শফিকুল ইসলাম সেলু, শিক্ষক মো. সামছুল আলম, সরাইল প্রেসক্লাবের সম্পাদক তৌফিক আহমেদ তফছির, উপলব্ধির নির্বাহী পরিচালক ও সাংবাদিক মো. শরীফ উদ্দিন ও শিল্পী মাহফুজা বেগম।
বক্তারা বলেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে যোগ্য লোকদের দ্বারা কমিটি গঠন করে গ্রন্থাগারটির তালা খুলে সচলাবস্থা ফিরিয়ে আনুন। মানুষ গ্রন্থাগারে আসুক। বই পড়ুক। সাহিত্য চর্চা হউক। নজরুল রবীন্দ্র জয়ন্তী হউক। সাংস্কৃতিক চর্চা বৃদ্ধি পাক।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একশত পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ নামধারি শ্রমিক নেতা আরব আলী (৩৬)কে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের সদর উপজেলার খাটিহাতা মোড় থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আরব আলী সরাইল উপজেলার কুট্টাপাড়া গ্রামের ঈমান আলীর ছেলে।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসেন জানান, মঙ্গলবার রাতে আরব আলী মোটর সাইকেলে করে যাওয়ার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে আটক করা হয়। পরে তার মোটর সাইকেল তল্লাশী করে মোটর সাইকেলের সিটের নিচে লুকানো থাকা একশত পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
ওসি আফজাল হোসেন আরো বলেন, আরব আলী একজন চিহ্নিত অপরাধী। সে প্রথম জীবনে খাঁটিহাতা বিশ্বরোড মোড়ে পলিথিন বিক্রি করতো। পরবর্তীতে সে টেম্পু চালাতো। এক সময় সে ডাকাত চক্রের সাথে জড়িয়ে পড়ে। তার বিভিন্ন থানায় বিরুদ্ধে ডাকাতি, চাঁদাবাজি ও মাদকের প্রায় এক ডজন মামলা রয়েছে। তিনি বলেন, আরব আলী জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগের সহ প্রচার সম্পাদক।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর রাতে ৯৮ বোতল ফেন্সিডিল সহ তাকে তার দুই সহযোগীকে গ্রেফতার করেছিলো জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। ওই মামলায় সে বেশ কিছু দিন হাজতবাস করেন ও পরে জামিনে মুক্তি লাভ করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে স্ব-মহিমায় উজ্জ্বল প্রায় চারশত বছরের প্রাচীন আরিফাইল শাহী জামে মসজিদ। এটি মুঘল আমলের অপরূপ স্থাপত্য শৈলীর সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। প্রাচীন স্থাপত্যকলা ও অপূর্ব নির্মাণশৈলীর মসজিদটি দেখতে অনেকটা তাজমহলের মতো।
এলাকায় জনশ্রæতি আছে ১৬৬২ সালে দরবেশ শাহ আরিফ সরাইল উপজেলার সদর ইউনিয়নের আরিফাইল গ্রামে অপরূপ স্থাপত্যশৈলী ও কারুকার্য সমৃদ্ধ দৃষ্টিনন্দন এই মসজিদটি নির্মান করেন। তার নামানুসারেই এই মসজিদটির নামকরণ করা হয়েছে আরিফাইল মসজিদ। এর গম্বুজ ও নান্দনিক কারুকার্য মুঘল আমলের উৎকর্ষতার পরিচয় বহন করে। বর্তমানে মসজিদটি পুরাকীর্তি হিসেবে তালিকাভুক্ত করে প্রতœতত্ত¡ বিভাগ। মসজিদের পাশেই রয়েছে জোড়া কবর যা আরিফাইল মাজার নামে পরচিত।
প্রাচীন এই মসজিদটিকে গায়েবি মসজিদ হিসেবে আখ্যায়িত করে বর্তমানে প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে মুসল্লিরা তাদের মনোবাসনা পূরন করার জন্যে এই মসজিদে এসে নামাজ পড়েন।
সরাইল উপজেলা সদর থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরেই আরিফাইল গ্রামে। আরিফাইল গ্রামে রয়েছে বিশাল বড় এক দিঘী। সাগরদিঘী হিসেবে পরিচিত এই দিঘীটির দক্ষিন পাড়েই অবস্থিত প্রাচীন এই আরিফাইল মসজিদটি। আরিফাইল মসজিদের দৈর্ঘ্য ৮০ ফুট ও প্রস্থ ৩০ ফুট।
এর চার কোনায় চারটি বুরুজ ও মোট তিনটি গম্বুজ রয়েছে। গম্বুজগুলো মসজিদের ভেতরের অংশকে তিন ভাগে বিভক্ত করেছে। সেগুলোতে সাজানো হয়েছে পদ্মফুলের ছবিতে। এর দেয়ালের পুরুত্ব ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি। চুন, সুরকি ও ইটের গাঁথুনি। মসজিদটির মূল গেইট থেকে শুরু করে মসজিদের ভেতরের বিভিন্ন অংশে চোখে পড়ে দৃষ্টিনন্দন কারুকার্য।
সর্বশেষ ২০১৮ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তৎকালীন জেলা প্রশাসক রেজুয়ানুর রহমান মসজিদটির সৌন্দর্য্যবর্ধনের কাজ করেন। মসজিদটি সংরক্ষনের জন্য পূর্বের কাঠামো ঠিক রেখে মসজিদটিতে টাইলস এবং চুনকাম করা হয়েছে। মসজিদটিতে প্রবেশ ও বের হতে একাধিক পথ রয়েছে। প্রাচীন এই মসজিদটির সঠিক ইতিহাস স্থানীয়দের জানা না থাকলেও এলাকাবাসীর কাছে এটি গায়েবি মসজিদ হিসেবে পরিচিত। তাই সওয়াব লাভের আশায় প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রচুর মুসল্লী এসে মসজিদটিতে নামাজ পরেন।
মোহাম্মদ আলী নামে স্থানীয় এক মুসল্লী বলেন, এই মসজিদটি কে সবাই গায়েবি মসজিদ হিসেবেই চিনে। এখানে মানুষ কিছু মানত করলে সেই মানত পূরণ হয়।
ইফতেফার হোসেন নামে স্থানীয় আরেক মুসল্লী বলেন, আমরা আমাদের বাপ-দাদাদের কাছ থেকে মসজিদের বিষয়ে শুনেছি। তারাও বলতে পারেননি এই মসজিদটি কে কবে প্রতিষ্ঠা করেছেন। তবে এটি আমাদের এলাকার একটি ঐতিহ্যবাহী মসজিদ। প্রতিদিন শত শত মানুষ এই মসজিদে এসে নামাজ আদায় করেন। আবার দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ এখানে আসেন মানত করতে। এখানে যদি কেউ মানত করেন সেই মানত আল্লাহতায়ালা পূরন করেন।
আমরা মসজিদের বাইরে যেন মানুষ নামাজ পড়তে পারেন সেজন্য খোলা জায়গাতে একটি ছাউনী করে দেয়ার জন্য দাবি জানাই।
স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল শুক্কুর বলেন, আমার বয়স এখন ৮৮। আমার দাদা বেঁচেছিলেন ১০৪ বছর। তিনিও মসজিদের সঠিক ইতিহাস বলতে পারে নি।
এদিকে মসজিদটির পাশেই জোড়া কবর রয়েছে। স্থানীয়দের ধারনা দরবেশ শাহ আরিফ এবং তার স্ত্রী এই জোড়া কবরে চিরনিদ্রায় শায়িত রয়েছেন।জোড়া কবর বর্তমানে আরিফাইল মাজার নামে পরচিত। এ ব্যাপারে আরিফাইল মসজিদের খতিব মুফতি মাওলানা আবদুল মজিদ বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় এটি একটি ঐতিহ্যবাহী মসজিদ। এই মসজিদে প্রতিদিন শত শত মানুষ নামাজ আদায় করেন। জুম্মারদিন এই মসজিদে মুসল্লীদের স্থান সংকুলান হয়না। মানুষ কষ্ট করে বাইরে দাড়িয়ে নামাজ আদায় করেন। তিনি মুসল্লীরা যাতে মসজিদের খোলা জায়গায় নামাজ আদায় করতে পারেন সেজন্য খোলা জায়গাতে একটি ছাউনী করে দেয়ার জন্য দাবি জানান।
এ ব্যাপারে সরাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর বলেন, মসজিদটি এখন প্রতœতত্ত¡ অধিদপ্তরের অধীনে। মসজিদটির পাশে জোড়া কবর রয়েছে। বিভিন্ন স্থান থেকে সাধারণ মানুষ এসে এখানে মানত করেন। টাকা পয়সা দান করেন। প্রতিমাসে কমপক্ষে দেড় থেকে দুই লাখ টাকা আয় হয়। এই টাকা সরকারি কোষাগারে জমা রেখে মসজিদটির উন্নয়ন কর্মকান্ড তরান্বিত করার আহবান জানান তিনি।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম বলেন, আমি মসজিদটি দেখতে গিয়েছিলাম। তবে সেখানে মাজারে টাকা তোলার বিষয়টি আমরা জানা ছিল না। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে মাজারের আয়ের বিষয়টি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।