চলারপথে রিপোর্ট :
তিন বছরের বেশি সময় ধরে বন্ধ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা সীমান্ত হাট চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আজ ১৫ জুন বৃহস্পতিবার দুপুরে সংস্কার কাজের জন্য ভারত-বাংলাদেশের যৌথ ইঞ্জিনিয়ারিং টিম হাটটি পরিদর্শন করেছে।
এসময় বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ারিং টিমের নেতৃত্বে ছিলেন কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সীমান্ত হাট ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য মো. আমিনুল এহসান খান। আর ভারতীয় তিন সদস্যের ইঞ্জিনিয়ারিং টিমের নেতৃত্ব দেন অনুরাগ সেন।
এরআগে ২০২০ সালের মার্চ থেকে করোনা মহামারির কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য কসবা সীমান্ত হাটের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় দুই দেশের হাট ব্যবস্থাপনা কমিটি। সম্প্রতি হাটটি খোলার বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হয়। তবে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় হাটের ভেতরের কিছু অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এগুলো সংস্কারের জন্য প্রাক্কলন করতে দুদেশের ইঞ্জিনিয়ারিং টিম হাট পরিদর্শন করে।
কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আমিমুল এহসান খান জানান, সপ্তাহের মধ্যে হাটের ক্ষতিগ্রস্ত অবকাঠামো সংস্কারে প্রাক্কলন করা হবে। এরপর সংস্কার কাজ শেষ করে দ্রুত সময়ের মধ্যে হাটটি উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে ক্রেতা-বিক্রেতাদের জন্য।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ২৮ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সকালে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে, রমজানের পবিত্রতার রক্ষার দাবিতে এবং মাহে রমজানকে স্বাগত জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলাম। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়ে কসবা পৌর শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় কসবা টাওয়ারের সামনে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত নেতা-কর্মী ও সমর্থক অংশ নেন।
এ বিক্ষোভ মিছিলের নেতৃত্ব দেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জামায়াত ইসলামের প্রচার সম্পাদক কাজী সিরাজুল ইসলাম, কসবা উপজেলা জামায়াত ইসলামের সভাপতি অধ্যক্ষ মো. ফরিদ উদ্দিন এবং সেক্রেটারি পীরজাদা শিবলী নোমানী।
পথসভায় বক্তারা মাহে রমজানের পবিত্রতা রক্ষা, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিরোধ এবং বাজার নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
অনলাইন ডেস্ক :
মিয়ানমারের সীমান্ত হাব মিয়াওয়াদিতে সরকারি একটি স্থাপনায় বোমা হামলায় পাঁচ সরকারি ও নিরাপত্তা কর্মকর্তা নিহত এবং ১১ জন আহত হয়েছেন। আজ ৪ সেপ্টেম্বর সোমবার একটি সূত্রের বরাত দিয়ে এএফপি এই তথ্য জানিয়েছে।
থাইল্যান্ডের সীমান্তবর্তী ওই শহরে ২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশ অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে পড়ার পর থেকে সামরিক বাহিনী ও জান্তাবিরোধী যোদ্ধাদের মধ্যে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে চলেছে।
সামরিক একটি সূত্র এএফপিকে জানিয়েছে, রবিবার সন্ধ্যার দিকে দুটি বোমা জেলা পুলিশের দপ্তর এবং প্রশাসন ভবনের দপ্তর থাকা ওই সরকারি কম্পাউন্ডে ফেলা হয়। এ ঘটনার পর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। এরপর আরও দুটি বোমা ফেলা হয়। এতে পাঁচজন নিহত এবং ১১ জন আহত হন। নিহতদের মধ্যে সামরিক এক কর্মকর্তা, দুই পুলিশ কর্মকর্তা ও প্রশাসনের দুই কর্মকর্তা রয়েছেন। ১১ জুনিয়র ও সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। এর মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা গুরুতর।
স্থানীয় পুলিশের একটি সূত্র এই হামলা ও হতাহতের ঘটনা নিশ্চিত করেছে। এ হামলার পেছনে কারা দায়ী সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।
জান্তা জানিয়েছে, হামলায় বেশ কয়েকজন নিরাপত্তা সদস্য ও সরকারি কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। জান্তা সরকারের পক্ষ থেকে অভ্যুত্থানবিরোধী পিপলস ডিফেন্স ফোর্সেস ও কারেন ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মিকে এ ঘটনার জন্য দায়ী করা হয়েছে।
এর আগে ২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে কয়েকটি সেনাছাউনি ও পুলিশ স্টেশনে একযোগে বোমা হামলা হয়েছিল। সেই হামলায় নিহত হয়েছিলেন ৮ জন সেনা ও পুলিশ কর্মকর্তা।
২০২১ সালে অভ্যুত্থান শুরুর পর থেকে ‘কারেন ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি’ ও ‘পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট’ জান্তা সরকারের বিরোধিতা অব্যাহত রেখেছে। বিশেষ করে মিয়াওয়াদিতে সবচেয়ে বেশি বিরোধিতার মুখোমুখি হয়েছে জান্তা সরকার। অনেক বিদ্রোহী থাইল্যান্ডে আশ্রয় নিয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
দক্ষিণ-পশ্চিম তাইওয়ানে আঘাত হেনেছে শক্তিশালী ভূমিকম্প। আজ ২৬ জানুয়ারি রবিবার সকালের এ ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫.১ (রিখটার স্কেলে)। এ তথ্য নিশ্চিত করেছে চীনের ভূমিকম্প নেটওয়ার্ক সেন্টার (সিইএনসি)।
সিইএনসি জানায়, এদিন স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ৩৮ মিনিটে তাইওয়ানের তাইনান শহরের কাছে ১০ কিলোমিটার গভীরে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। প্রাথমিকভাবে হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর পাওয়া যায়নি। নিকটবর্তী এলাকায় সুনামির কোনো সতর্কতাও জারি করা হয়নি।
গত এক সপ্তাহের মধ্যে এটা তাইওয়ানে আঘাত হানা দ্বিতীয় ভূমিকম্প। এর আগে, গত সপ্তাহে (২০ জানুয়ারি) দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে ৬.৪ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। সূত্র : ডেকান হেরাল্ড।
চলারপথে রিপোর্ট :
অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে আখাউড়া সীমান্ত থেকে দুই ভারতীয় নাগরিককে আটক করেছে বিজিবি।
আজ ৮ অক্টোবর মঙ্গলবার সকাল ৭টায় বিজিবির সরাইল ব্যাটালিয়নের ফকিরমোড়া বিওপির একটি টহলদল আব্দুল্লাপুর এলাকা থেকে তাদের আটক করে।
আটক ভারতীয়রা হলেন, পান্না রানী দেব (৫৪) ও তার ছেলে অভি দাশ (১৮)। বিজিবি জানায়, তারা ভারতের ধলায় জেলার কমলপুর থানার মানিক ভান্ডার এলাকার জহর লাল দাসের স্ত্রী ও সন্তান।
বিজিবি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, আটকদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তারা ৭ দিন আগে ভারতের ত্রিপুরা জেলার রামনগর থানার সরমালংগা গ্রামের বাসিন্দা ও মানবপাচারকারী দালাল মানিক দাশের সহযোগিতায় অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এরপর থেকে পান্না রানী দেব কিশোরগঞ্জ জেলায় তার শ্বশুর বাড়িতে অবস্থান করছিলেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ার হিরাপুর গ্রামের বাছির মিয়ার ছেলে ও মানবপাচারকারী দালাল মো. তোফাজ্জল হোসেন এবং নূরুল মিয়ার ছেলে মো. তৌহিদ মিয়ার সহযোগিতায় সীমান্ত পিলার ২০২২/৭-এস এর কাছ দিয়ে তারা ভারতে ফেরত যাচ্ছিলেন বলে জানায় বিজিবি। আটক ভারতীয় ও তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে আখাউড়া থানায় মামলা দায়ের করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিজিবি।
অনলাইন ডেস্ক :
বিয়ে একটি সামাজিক-পারিবারিক অনুষ্ঠান। এতে অংশ নিয়ে থাকেন বর-কনের আত্মীয় স্বজন ও প্রতিবেশিরা। বিয়ের বিভিন্ন ধরণ আছে। সমাজের মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থানের ওপর এসব নির্ভর করে। ধনীদের বিয়ে একরকম আবার গরীবের বিয়ে অন্যরকম। বিয়ে মানে আনন্দ-উৎসবের আমেজ। কিন্তু সেই বিয়েতে এবার সেই আমেজের কিছুটা হলেও বাটা পড়বে। কারণ বিয়ে অনুষ্ঠানের সব কিছু পুলিশকে জানিয়ে করতে হবে।
এখন থেকে বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠান আয়োজন করলে পুলিশকে জানাতে হবে। শুধু তাই নয়, বাড়িতে লাইসেন্স করা কোনো অস্ত্র আছে কি না তাও জানাতে হবে পুলিশকে। পাশাপাশি পুলিশের কাছে জমা দিতে হবে অতিথিদের নামের লিস্ট।
সম্প্রতি ভারতের বিহারে পুলিশের পক্ষ থেকে এমন আদেশ জারি করা হয়েছে। এমন আদেশ জারি করায় সাধারণ মানুষ মনে করে এতে বিয়ের আনন্দে ভাটা পড়বে। পাশাপাশি তারা অনেকটা বিরক্তও।
তবে পুলিশ বলছে ভিন্ন কথা। এর পক্ষে যুক্তি দিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীটি।
বিহার পুলিশের দাবি, রাজ্যের বহু বিয়েবাড়ির আনন্দ খুনখারাবিতে বদলে গেছে। এক মুহূর্তে বিয়ের আনন্দ মাটি। নিভে গেছে সব আলো। বিয়ে বাড়িতে এমন অস্থিরতা বন্ধ করতেই এই ব্যবস্থা।
পুলিশ আরো বলছে, বিয়েবাড়িতে আনন্দের মধ্যে গুলি চালিয়ে দেয় অনেকে। আকাশে গুলি ছুড়তে গিয়ে কখনো প্রাণ গেছে বরের তো কখনো বরযাত্রীর। কখনোবা অন্য কারো। এসব থামাতে হবে। তাই পুলিশের জানা উচিত কোথায় বিয়ে হচ্ছে।
রাজ্যের এডিজি সঞ্জয় সিং বলেন, আনন্দ করতে গিয়ে বিয়ে বাড়িতে অনেকের প্রাণ গেছে, অনেকে আহত হয়েছেন। কেননা আনন্দ করতে গিয়ে গুলি চালানো হচ্ছে। তাই বিয়েবাড়ি, ধর্মশালা বা ব্যাঙ্কোয়ট হল রয়েছে তাদের বলা হচ্ছে বিয়ের অনুষ্ঠান হলেই খবর দিতে হবে। পুলিশের গাইডলাইন অনুযায়ী, বিয়ে হল, লন, ব্যাঙ্কোয়েট হলে পর্যাপ্ত সংখ্যায় সিসিটিভি ক্যামেরা লাগাতে হবে।
প্রসঙ্গত বিহার, উত্তর প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, হরিয়ানাসহ বিভিন্ন জায়গায় বিয়েবাড়ি, জন্মদিন, বিবাহবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে আনন্দে মাত্রা ছাড়িয়েছে। মাতলামি তো রয়েছেই, গুলি চালিয়েও আনন্দ করতে দেখা গেছে। আর তাতে প্রাণ গেছে অনেকের। সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছে বিহার সরকার।