চলারপথে রিপোর্ট :
পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে ইতালি থেকে বিমানবন্দরে এসে হেলিকপ্টারযোগে বাড়ি ফিরলেন আখাউড়ার এক প্রবাসী পরিবার। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ইতালি থেকে ঢাকায় আসার পর সেখান থেকে হেলিকপ্টারে নিজ বাড়ির সামনে মাঠে এসে নামেন তারা। প্রবাসীদের এমন আগমন দেখতে ভিড় জমান হাজারও উৎসুক জনতা।
ইতালি প্রবাসী আতিকুল ইসলাম সেন্টু মৃধা আখাউড়া উপজেলা মনিয়ন্দ ইউনিয়নের মৃধা বাড়ির প্রয়াত হাজী ছনু মৃধার ছেলে। তিনি সপরিবারে ইতালিতে বসবাস করেন।
এ সময় প্রয়াত হাজী ছনু মৃধার ছেলে মাজেদুল ইসলাম মিন্টু মৃধাসহ পরিবারের অন্যরা আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। তারা জানান, বাবার অনেক স্বপ্ন ছিল এই মাঠে তার ছেলেরা একদিন হেলিকপ্টারে চড়ে অবতরণ করবে। আজ স্বপ্ন পূরণ হয়েছে কিন্তু বাবা জীবিত নেই।
এ সময় প্রবাস ফেরত ইতালি প্রবাসী পরিবারের সদস্যসহ স্থানীয় বাসিন্দারা সরকারের প্রশংসা করে বলেন, আগে যেখানে বিমানবন্দর থেকে বাড়িতে ফিরতে অনেক ভোগান্তি ও সময়ক্ষেপণ করতে হতো; অথচ এখন হেলিকপ্টারে চড়ে ঢাকা থেকে মাত্র ২০-২২ মিনিটে আখাউড়ায় নিজ বাড়িতে চলে আসা যায়।
এদিকে এলাকায় প্রথমবারের মতো হেলিকপ্টার অবতরণ করে। এই দৃশ্য ও হেলিকপ্টার দেখতে স্থানীয় বাসিন্দাসহ আশপাশের কয়েক গ্রামের নারী-পুরুষ-শিশুসহ কয়েক হাজার উৎসুক জনতার ভিড় জমে।
আখাউড়া থানার ওসি আসাদুল ইসলাম বলেন, ওই এলাকায় হেলিকপ্টার অবতরণের খবরে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখতে সক্ষম ছিল দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় ‘শয়তানের নিশ্বাস’ (ডেভিল ব্রেথ) দিয়ে লুটে নেয়া মোটরসাইকেল চক্রের সক্রিয় সদস্য জুয়েলকে (২৭) গ্রেপ্তার ও তার কাছে থাকা ৩টি দামি মোটরসাইকেল উদ্ধার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। গতকাল ২৫ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) এসআই রবিউল ইসলাম। এর আগে শনিবার রাতভর ঢাকা ও চট্টগ্রাম পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি পুলিশ) পৃথক দুটি দল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় অভিযান চালিয়ে জুয়েলকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
জুয়েলের বাড়ি আখাউড়া পৌরশহরের তারাগন গ্রামে। তার পৌর শহরের বাইপাস এলাকায় একটি মোটরসাইকেল ওয়ার্কশপ রয়েছে।
গোয়েন্দা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম রাউজান থানার বাসিন্দা মামুন মোটরসাইকেলে রাইড শেয়ারিং করেন। গত ২৭ জানুয়ারি একজন যাত্রী নিয়ে হাটহাজারী উপজেলায় যাওয়ার পথে মোবাইলে কৌশলে বিষাক্ত কেমিক্যাল যা ‘শয়তানের নিঃশ্বাস’ নামে পরিচিত ওই রাসায়নিক পদার্থ তার নাকের কাছে ধরে স্মৃতিভ্রম করেন। পরে তার কথামতো মামুন নিজেই প্রতারকের হাতে তুলে দেন তার রাইড শেয়ারিংয়ের মোটরসাইকেল ও তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন। এরপর দ্রুত সটকে পড়ে প্রতারক।
গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্তে নামে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা (ডিবি) দল। এরপর ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে বিভিন্ন সূত্র ধরে আসামিদের নাম ও ঠিকানা শনাক্ত করে ডিবি পুলিশ। পরে আখাউড়া থেকে গ্রেফতার করা হয় জুয়েলকে। এ সময় তার দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে ৩টি দামি বাইক উদ্ধার করে গোয়েন্দা পুলিশ। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখার এসআই রবিউল ইসলাম জানান, মূলত দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে এ চক্রের মূলহোতারা ভয়াবহ মাদক ‘স্কোপোলামিন’ অপরাধ জগতে ‘ডেভিলস ব্রেথ’ বা ‘শয়তানের নিশ্বাস’ নাকের কাছে ধরে স্মৃতিভ্রম করে মোটরসাইকেল লুট করে আখাউড়া নারায়ণপুর গ্রামের রাব্বি এবং জুয়েলের মোটরসাইকেল ওয়ার্কশপে নিয়ে আসা হতো। এখানে মোটরসাইকেলের চেসিস নম্বর ও কিছু মালামাল পরিবর্তন করে ভারতীয় টানা মোটরসাইকেল বলে অন্য জায়গায় বিক্রি করা হতো। তিনি জানান, এ চক্রের সদস্য রাব্বি পলাতক থাকলেও তার ভাই হৃদয়কে জিম্মি করে ৩টি বাইকসহ জুয়েলকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়। সবকয়টি মোটরসাইকেলই ‘শয়তানের নিশ্বাস’ দিয়ে লুটে আনা হয়েছে।
আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছমিউদ্দিন বলেন, ‘চক্রের সদস্য রাব্বি পলাতক। তাকে গ্রেফতার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে ছাত্র-জনতার ওপর সন্ত্রাসী হামলা করেছে জুয়াড়িরা। হামলায় তিন যুবক আহত হয়েছে। এদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
১৫ আগস্ট বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পৌর শহরের খড়মপুর এলাকায় জুয়া খেলায় বাধা দেওয়ায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন খড়মপুর গ্রামের আশিক খাদেম (৩০), নারায়ণপুর গ্রামের রিফাত (২৫) ও উমেদপুর গ্রামের আমজাদ (২৮)। তারা সবাই বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাথে যুক্ত ছিলেন। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
ছাত্র আন্দোলনকারীদের সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘ দিন ধরে খড়মপুর এলাকার রেললাইনের পশ্চিম পাশে জুয়ার আসর বসিয়ে সাধারণ মানুষের টাকা পয়সা লুটে নিচ্ছে একটি চক্র। বিষয়টি জানতে পেরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কিছু সচেতন ছাত্র ও স্থানীয় যুবকরা ওই এলাকায় যায়। জুয়াড়িদেরকে জুয়া বসানোর কারণ জানতে চাওয়ার সাথে সাথে তাদের ওপর হামলা করা হয়।
দুষ্কৃতিকারীরা ছাত্র-যুবকদেরকে এলোপাথারি মারধর করে ও ধারালো বস্তু দিয়ে আঘাত করে। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। হামলায় আশীষ, রিফাত ও আমজাদসহ কয়েকজন আহত হয়। আহতদেরকে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেওয়া হয়। তবে আশঙ্কাজনক হওয়ায় আশীষ খাদেমকে ঢাকায় পাঠানো হয়।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আখাউড়া উপজেলার সমন্বয়ক মোঃ শাহরীয়ার হাসান বলেন, জুয়া বসানোর বিষয়ে কথা বলতে চাইলে বাছির মিয়ার নেতৃত্বে তার সাঙ্গপাঙ্গারা আমাদের উপর অতর্কিত হামলা করে। হামলায় বেশ কয়েকজন আহত হয়। এ ব্যপারে আখাউড়া থানায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।
আহত আশীষ খাদেমের বাবা কাজল মোল্লা খাদেম বলেন, আশীষের শরীরে ধারালো বস্তুর ৫/৬টি আঘাত রয়েছে। পিঠের আঘাতটি খুব গভীর। তার একটি অপারেশন হয়েছে। এখনও আশঙ্কামুক্ত নয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে মাছ রফতানি করে ১ দশমিক ৬৮ কোটি ইউএস ডলার অর্থাৎ বাংলাদেশি ১৯০ কোটি টাকা বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়েছে। রফতানি হওয়া মাছের মোট পরিমাণ প্রায় ছয় হাজার ছয়শ’ ৬১ মেট্রিক টন।
আজ ৩১ জুলাই বুধবার আখাউড়া মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় আরো জানানো হয়, আখাউড়ায় গত বছর পাঁচ হাজার ৩২৫ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদন হয়। এর মধ্যে তিন হাজার ৬৮০ টনের চাহিদা মিটিয়ে এক হাজার ৬৪৫ মেট্রিক টন মাছ উদ্বৃত্ত থেকে যায়। আখাউড়া মোট পুকুরের সংখ্যা দুই হাজার ৩৪৮ টি যার আয়তন ৬১৩ দশমিক ৬০ হেক্টর। এছাড়া নদী আছে তিনটি। খালের সংখ্যা তিনটি। বিলের সংখ্যা ১৩টি যার আয়তন ১৬৫ হেক্টর। আটটি প্লাবন ভূমির আয়তন ১ হাজার ৪০০ হেক্টর।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গাজালা পারভীন রুহির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মনির হোসেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহবুদ্দিন বেগ, সংরক্ষিত ভাইস চেয়ারম্যান রোকসানা বেগম, কৃষি কর্মকর্তা তানিয়া তাবাসসুম, ধরখার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. শাফিকুল ইসলাম। মৎস্য কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিমের উপস্থাপনায় এতে সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা রওনক জাহান, সাংবাদিক জুটন বনিক, চাষী আবুল হাসেম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এর আগে অতিথিবৃন্দ উপজেলা পরিষদের পুকুরে মাছের পোণা অবমুক্ত করেন ও র্যালি অনুষ্ঠিত হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর অনুমতি দেওয়া হবে কিনা সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে আইনমন্ত্রী বলেন, এ ব্যাপারে আমার কাছে এখনও কোনো কাগজপত্র আসেনি। এজন্য তাদেরকে (বিএনপি) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করতে হবে। তারপর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত চাইতে পারে।
তিনি আরো বলেন, খালেদা জিয়া কারাদণ্ডে দণ্ডিত হওয়ার পরেও উনার দণ্ডাদেশ স্থগিত রেখে এভার কেয়ার হাসতালে ভালো চিকিৎসা পাচ্ছেন এটা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বদান্যতায়। সেক্ষেত্রে তারা (বিএনপি) আবেদন করার পরে সেটা দেখা যাবে।
বিএনপির হরতাল অবরোধ কর্মসূচির হুমকি প্রসঙ্গে অপর এক প্রশ্নের উত্তরে আইনমন্ত্রী বলেন, বিএনপি যদি আইন ভঙ্গ করে তাহলে আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে।
আজ ২৩ সেপ্টেম্বর শনিবার সকালে আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এর আগে সকাল পৌনে এগারটায় ঢাকা থেকে আন্ত:নগর মহানগর প্রভাতী ট্রেনে তিনি আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনে এসে পৌঁছেন। এসময় দলীয় নেতাকর্মীরা তাঁকে স্বাগত জানান। পরে তিনি সড়ক পথে নিজ এলাকা কসবা উপজেলার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ভাগ্য বদলের আশায় ১৭ বছর আগে সৌদি আরবে পাড়ি জমিয়েছিলেন ফায়েজ মিয়া। সেখানে দাম্মাম শহরে তিনি একটি বড় কোম্পানিতে কাজ করতেন। এবার দেশে এসে কোরবানির ঈদ করার কথা ছিল। এরই মধ্যে গত ১৪ মে কর্মস্থল সৌদি আরবের দাম্মামে হঠাৎ স্ট্রোক করে তিনি মারা যান। বুক ভরা আশা নিয়ে বিদেশ পাড়ি দেওয়া ফায়েজ বাড়ি ফিরেছেন ঠিকই কিন্তু জীবিত নয় কফিনবন্দি হয়ে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে ২১ দিনের মাথায় আজ ৪ জুন মঙ্গলবার দুপুরে তার মরদেহ নিজ জন্মভূমি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ার তারাগনে আসলে অশ্রুসিক্ত নয়নে শেষ বিদায় দেন আত্মীয়স্বজনসহ প্রতিবেশী।
বাদ আছর আখাউড়া উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের কালিনগর বাইতুল মামুর জামে মসজিদ মাঠে বাদ আসর জানাযা শেষে সাতপুকুরপাড়ে তার দাফন সম্পন্ন করা হয়। এর আগে, ভোরে সৌদি এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে সেখান থেকে পরিবারের সদস্যরা তার মরদেহ গ্রহণ করেন। এরপর সড়ক পথে নিহতের মরদেহ লাশবাহী একটি অ্যাম্বুল্যান্স করে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। নিহতের মরদেহ দুপুরে গ্রামের বাড়িতে পৌঁছালে শুরু হয় শোকের মাতম। পরিবার-পরিজন আর স্বজনদের আহাজারিতে বাতাস ভারী হয়ে ওঠে।
নিহতের মরদেহ এক নজর দেখেতে পাড়া প্রতিবেশী আত্মীয়স্বজনসহ এলাকার শত শত লোকজন তার বাড়িতে ভিড় করেন। ফায়েজ আখাউড়া পৌর শহরের তারাগন এলাকার মৃত আবুল কাশেমের ছেলে। তার পরিবারে স্ত্রী, ৩ মেয়ে ১ ছেলে রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রায় ১৭ বছর আগে ফয়েজ মিয়া সৌদি আরব পাড়ি জমান। সেখানে দাম্মাম শহরে তিনি একটি বড় কোম্পানিতে কাজ করতেন। সর্বশেষ গত প্রায় ৫ বছর আগে দেশে আসেন। এবার কোরবানির ঈদের আগে দেশে আসার কথা ছিল। গত ১৪ মে স্ট্রোক করে মায়াভরা এ পৃথিবী থেকে না ফেরার দেশে চলে যান।
চাচাতো ভাই আলাউদ্দিন বলেন, ফায়েজ একজন কর্মঠ লোক ছিল। দেশে থাকতে কাজ ছাড়া কিছুই বুঝতো না। পরিবারের সদস্যদের মুখে হাসি ফোটাতে অনেক কষ্ট করে বিদেশে যায়। এরপর এই পরিবারটা ভালই চলছিল। হঠাৎ করে এভাবে সে মারা যাবে তা কখনো ভাবতে পারছি না। দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে দুপুরে নিহতের মরদেহ গ্রামের বাড়িতে এসেছে। বাদ আসর জানাযা নামাজ শেষে তার দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।
মাওলানা হাফেজ নুরুল ইসলাম বাবুল বলেন, ফায়েজ খুব ভালো একজন মানুষ ছিল। ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন দেখতো বড় হওয়ার। এভাবে চলে যাবে তা কখনো ভাবতে পারিনি।