চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারের উদ্যোগে বাংলা নববর্ষ ১৪৩০ ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৪তম জন্মজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও বিভিন্ন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ১৭ জুন শনিবার সকালে জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারের হলরুমে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও পুরষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট, ঢাকার মহাপরিচালক, প্রফেসর ড. হাকিম আরিফ।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে ও ঝিলমিল একাডেমি, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পরিচালক মনিরুল ইসলাম শ্রাবণের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মোঃ ইব্রাহিম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মোঃ জয়নাল আবেদীন, সাহিত্য একাডেমির সভাপতি কবি জয়দুল হোসেন।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারের সহকারী পরিচালক সাইফুল ইসলাম লিমন। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সাবেরা সোবহান সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মোঃ আবদুর রহিম, উদীচী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সংসদের সভাপতি জহিরুল ইসলাম স্বপন। আলোচনা সভা শেষে বিভিন্ন প্রতিযোগীতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গাছের ডাল কাটা নিয়ে সংঘর্ষে যুবলীগ নেতাসহ ৩ জন আহত হয়েছেন। আজ ২৯ আগস্ট মঙ্গলবার দুপুরে শহরের সরকার পাড়ায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন- নুরুল ইসলাম (৫০), আমাতু (৪০), রফিকুল ইসলাম (১৮)।
হাসপাতাল ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সরকার পাড়ার নুরুল ইসলামের বাড়ির গাছের ডাল কাটা নিয়ে স্থানীয় হারুন মিয়া ও বাচ্চু মিয়ার পরিবারের সাথে সংঘর্ষ হয়। এতে নুরুল ইসলামের পরিবারের ৩জন আহত হয়। শহর যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও আহত নুরুল ইসলাম জানান, গত ৪২ বছর যাবত মস্তু মিয়ার ভাই হারুন মিয়ার সাথে ৩৭ শতাংশ জায়গা নিয়ে নুরুল ইসলামের বিরোধ চলছিল। এ জায়গা নিয়ে দু’পক্ষের মামলা হয়েছে। আদালতের রায়ে নুরুল ইসলাম জায়গা পেয়েছে।
তিনি আরও বলেন, দুপুরে হারুন মিয়ার ছেলে আশরাফুল, সিরাজুল, সাইফুল, ও বাচ্চু মিয়ার ছেলে বিজয়, হৃদয়, বাক্কি তাদের বাড়ির গাছের ডাল কাটতে আসে। এসময় তাদেরকে বাধা দিলে তারা নুরুল ইসলাম, তার স্ত্রী আমাতু ও তার ছেলে রফিকুল ইসলামকে পিটিয়ে জখম করেন। আহত অবস্থায় তার স্ত্রী ও ছেলেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ডাক্তার তাদেরকে ঢাকায় রেফার করেছে। তিনি এ হামলার সঠিক বিচার দাবি করেন।
এ ব্যাপারে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসলাম হোসাইন জানান, পূর্ব শত্রুতার জেরে উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। এ ঘটনায় এখনো কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার মধ্যে দিয়ে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে।
একুশের প্রথম প্রহরে সোমবার দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অপর্ন করে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর আসনের সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
পরে গার্ড অব অনারের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় সম্মান প্রদর্শন করা হয়। এ সময় ১ মিনিট নিরবতা পালনের মাধ্যমে ভাষা শহীদদের স্মরণ করা হয়।
গার্ড অব অনারের পরে জেলা প্রশাসনের পক্ষে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহ্গীর আলম, জেলা পরিষদের পক্ষে চেয়ারম্যান আল-মামুন, জেলা পুলিশের পক্ষে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অপর্ন করে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পরে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি অফিস, রাজনৈনিক দল এবং সামাজিক সংগঠনের জন্য শহীদ মিনার উম্মুক্ত করে দেয়া হয়। পরে পর্যায়ক্রমে বিচার বিভাগ, পৌরসভার পক্ষে পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবির, জেলা আওয়ামীলীগ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব, সদর উপজেলা প্রশাসন, বাউনবাইরার কতা গ্রুপ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ,জেলা আওয়ামী যুবলীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিকদল ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারি বিভিন্ন দফতরের পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন।
পুষ্পস্তক অর্পন শেষে র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, একুশ আমাদের চেতনা, একুশের হাত ধরেই আমরা একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ পেয়েছি। তিনি বলেন একুশ আমাদেরকে একটি অসম্প্রদায়িক, ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত স্মার্ট বাংলাদেশ দেবে। একুশের হাত ধরেই সামনের দিকে এগিয়ে যাবো আমরা।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রচেষ্টায় আজকের এই দিনটি আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। আজ বাংলাদেশের পাশাপাশি পুরো বিশ্বে আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হচ্ছে। এটি আমাদের বাঙ্গালী জাতির জন্য গর্বের বিষয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
দেশের পূর্বাঞ্চলের অন্যতম প্রবেশদ্বার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা। ঢাকা-সিলেট ও কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে ব্রাহ্মণবাড়িয়া অংশে রয়েছে ৭৬ কিলোমিটার সড়ক।
আসন্ন ঈদ যাত্রায় যাত্রীদের ভোগাবে এই অংশের অন্তত ৪০ কিলোমিটার সড়ক।
দুটি সড়কে চারলেন প্রকল্পের নির্মাণ কাজের কারণে এ শঙ্কা দেখা দিয়েছে। সড়কের বেহাল দশা ও খানাখন্দের কারণে যান চালানো এখন বড় দায়। যানজট ও ধীর গতির কারণে প্রতিদিনই ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকতে হচ্ছে সড়কে। এতে একদিকে যেমন সময় নষ্ট হচ্ছে, তেমনি চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের।
সড়ক বিভাগ জানায়, ২০২০ সালের মার্চে শুরু হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ নৌ-বন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত ৫০ দশমিক ৫৮ কিলোমিটারের চারলেন সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের কাজ। এর আওতায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে আশুগঞ্জ নৌ-বন্দর থেকে খাঁটিহাতা বিশ্বরোড মোড় পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটার ও কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কে খাঁটিহাতা বিশ্বরোড মোড় থেকে ধরখার পর্যন্ত ২৪ কিলোমিটার আঞ্চলিক সড়ক রয়েছে।
তবে করোনাকালীন সময়সহ নানা জটিলতায় বড় এই প্রকল্পের কাজে অনেকটাই ধীরগতি এসেছে। ফলে এখনও শেষ হয়নি রাস্তা নির্মাণ কাজ। এ কারণে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে এই সড়ক ব্যবহার করে চলাচলে। এসব সড়ক দিয়ে প্রতিদিন বিভিন্ন ধরণের ৩০/৩৫ হাজার যানবাহন চলাচল করছে। এরমধ্যে যাত্রীবাহী যানবাহনের সংখ্যা প্রায় ২০ হাজার।
ঈদ মৌসুমে দেশের সব সড়ক-মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বেড়ে যায় কয়েকগুণ। এর ব্যতিক্রম হবে না ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা অধ্যুষিত এই রাস্তায়ও। এমতাবস্থায় আসন্ন ঈদে এ সড়ক ব্যবহার করে চলাচলে বেশ ভোগান্তি পোহাতে হবে ঘরমুখো যাত্রীসাধারণের।
চালক ও যাত্রীরা জানান, দুটি সড়ক দিয়ে বিপুল সংখ্যক যানবাহন চলাচল করার কারণে সড়কগুলোর অবস্থা করুণ। নির্মাণকাজ করতে সড়ক খুঁড়ে রাখাসহ একপাশ বন্ধ করে রাখায় প্রতিদিনই যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। সেই সঙ্গে তীব্র ধুলোবালির কারণে এসব পথে চলাচলকারীদের দুর্ভোগের অন্ত নেই।
তারা আরো জানান, সময় নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি সড়কে বিভিন্ন সময়েই ঘটেছে ছোটখাটো দুর্ঘটনা। ফলে ঝুঁকি নিয়েই সড়কে চলাচল করতে হচ্ছে তাদের। রাস্তার খানাখন্দ ও যানজটের কারণে এক ঘণ্টার যাত্রাপথ চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা লেগে যাচ্ছে।
এ সময় সড়কগুলো দ্রুত মেরামত করার দাবি জানিয়েছেন চালক ও যাত্রীরা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মীর নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে আশুগঞ্জ থেকে বিশ্বরোড পর্যন্ত যান চলাচলের উপযোগী করা হয়েছে। ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাত্রাকে নির্বিঘ্নে করতে অবশিষ্ট সড়ক দ্রুত মেরামত করা হবে।
সরাইল খাটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আকুল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, যানজট নিরসনে চালক ও হেলপারদের সচেতন করতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি হাইওয়ে পুলিশের সাতটি টিম সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে যানজট নিরসনে কাজ করছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে অবৈধ সীমানা প্রাচীর, টিনের ঘর ও চার চালা টিনের ঘর উচ্ছেদ করে প্রায় তিন শতক খাস জায়গা উদ্ধার করা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মোশারফ হোসাইন সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়নের সেন্দ গ্রামে এই ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সদর উপজেলার সুলতানপুর ও রামরাইল ইউনিয়নের অধীনে সেন্দ মৌজায় রামরাইল ইউনিয়নের শিলাউর গ্রামের সৈয়দ জাকির হোসেন বাহারের ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গা রয়েছে। জাকির হোসেনের জায়গার উত্তর পাশে রয়েছে সরকারি রাস্তা। সরকারি সার্ভেয়ার নিয়োগ করে সরকারি রাস্তার সীমানা নির্ধারণের জন্য ২০১৫ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি জাকির হোসেন বাহার জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেন। ২০১৫ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি জেলা প্রশাসক এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে নির্দেশ দেন। ওই বছরের ৮ মার্চ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সার্ভেয়ারকে নিয়ে মাপঝোঁক করে সরকারি রাস্তার সীমানা নির্ধারণ করেন।
সে সময় ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গা ও রাস্তার সীমানার উপর ছয়টি পিলার স্থাপন করে জাকিরকে বুঝিয়ে দেন। কিন্তু সেন্দ গ্রামের চার ভাই সেলিম মিয়া, মনির মিয়া, খোকন মিয়া ও মামুন মিয়া নিষ্পত্তিকৃত সীমানা নির্ধারণ লঙ্ঘণ করে সদর উপজেলা চেয়ারম্যান থেকে বরাদ্দ নিয়ে সরকারি রাস্তাটি বিভাজন করেন। পরে তারা জাকিরের জায়গা দখলের পায়তাঁরা শুরু করেন। এক পর্যায়ের তারা সরকারী রাস্তা দখল করে সীমানা প্রাচীর দিয়ে বাড়িঘর নির্মাণ করে বসবাস করা শুরু করেন। ২০২০ সালের ১২ জুলাই জাকির হোসেন বাহার নকশা অনুযায়ি সরকারি রাস্তাসহ তার ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গা উদ্ধারের জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে কাছে লিখিত আবেদন করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়নের সেন্দ গ্রামের চার ভাই সেলিম মিয়া, মনির মিয়া, খোকন মিয়া ও মামুন মিয়া সেন্দ মৌজার ১ নং বিএস খাস খতিয়ানভুক্ত ৫৬৩২ দাগে ২ দশমিক ৯৬ শতক খাস জায়গা অবৈধভাবে দীর্ঘদিন ধরে দখল করে রেখেছেন। সেখানে তারা অবৈধভাবে দুটি সীমানা প্রাচীর, একটি ভিটি পাকা টিনের ঘর ও একটি চার চালা টিনের ঘর নির্মাণ করে বসবসা করে আসছিলেন।
২০২০ সালে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের ( রাজস্ব) আদালতের এক উচ্ছেদ মামলার রায়ের নির্দেশনা এবং জেলা প্রশাসসক কার্যালয়ের এক চিঠি অনুযায়ী সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোশারফ হোসাইন অবৈধভাবে দখলদার চার ভাই সেলিম, মনির, খোকন ও মামুনকে প্রথমে গত ১০ এপ্রিল পরে গত ৫ জুনের মধ্যে ২ দশমিক ৯৬ শতক খাস জায়গা থেকে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু নির্ধারিত সময় পার হলেও তারা কর্ণপাত না করায় বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোশারফ হোসাইন সেখানে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে তাদের চার ভাইয়ের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেন। এসময় দুটি সীমানা প্রাচীর, একটি ভিটি পাকা টিনের ঘর ও একটি চার চালা টিনের ঘর উচ্ছেদ করে ২ দশমিক ৯৬ শতক খাস জায়গা উদ্ধার করেন।
এ ব্যাপারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সদর উপজেলা সহকারী কমিমশনার (ভূমি) মোশারফ হোসাইন জানান, অবৈধ স্থাপনাসহ দখল সরিয়ে নিতে তাদের দুই দফা নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কিন্তু দখলকারীরা কোনো কর্ণপাত করেননি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান চালিয়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে ২ দশমিক ৯৬ শতক খাস জায়গা উদ্ধার করা হয়েছে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের (রাজস্ব) আদালতের উচ্ছেদ মামলা মূলে খাস জমি থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। উক্ত অবৈধ স্থাপনা সমূহের কারণে সেখানে সরকারি রাস্তা নির্মান করা যাচ্ছিল না।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সম্পর্কে মহিলাদের অবহিতকরণ ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে তাদের সম্পৃক্তকরণ আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ১০ টি বিশেষ উদ্যোগ একটি বাড়ি একটি খামার, আশ্রয়ণ প্রকল্প, ডিজিটাল বাংলাদেশ, নারীর ক্ষমতায়ন, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, শিক্ষা সহায়তা কর্মসূচি, কমিউনিটি ক্লিনিক ও মানসিক স্বাস্থ্য, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি, বাল্যবিবাহ ও সন্ত্রাস বিরোধী কার্যক্রম, সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা সম্পর্কে অবহিতকরণ এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার লক্ষ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে আজ ১২ মে রবিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের হলরুমে এক মহিলা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর শোষণ ও বঞ্চনামুক্ত সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে বাংলাদেশ। ২০৪১ সালের মধ্যে ক্ষুধামুক্ত উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে জেলা তথ্য অফিস জনসচেতনতা মূলক কাজটি করে যাবে”।
জেলা তথ্য অফিসার মো: ফখরুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে উক্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সাইফুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা উপপরিচালক ভিকারুন নেছা।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা মাহফুজা খানম, সাবেক মহিলা কমিশনার হালিমা খাতুন প্রমুখ।