চলারপথে রিপোর্ট :
জামালপুরে সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ১৮ জুন রবিবার বেলা ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণ থেকে সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি দীপক চৌধুরী বাপ্পীর নেতৃত্বে বের হওয়া বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেন জেলায় কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা।
মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে স্থানীয় একটি বিপণী বিতানের সামনে গিয়ে শেষ হয়। এরপর সেখানে অনুষ্ঠিত হয় প্রতিবাদ সভা।
সাংবাদিক ইউনিয়ন সভাপতি দীপক চৌধুরী বাপ্পীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেনের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জসিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক বাহারুল ইসলাম মোল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফরহাদুল ইসলাম পারভেজ ও কোষাধ্যক্ষ আজিজুল সঞ্চয়, সরাইল প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম বাবুল, আখাউড়া রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক জুটন বণিক, যমুনা টেলিভিশনের স্টাফ রিপোর্টার শফিকুল ইসলাম এবং আশুগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আল মামুন।
সভায় বক্তারা বলেন, দেশে সাংবাদিক নিপীড়ন ও হত্যাকাণ্ড বেড়েই চলেছে। সভ্য দেশে এসব চলতে দেওয়া যেতে পারে না। অবিলম্বে নাদিমসহ যেসব সাংবাদিক হত্যাকাণ্ড ঘটেছে- সেগুলোতে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ১৪ জুন বুধবার বিকাল ৪টায় বঙ্গবন্ধু স্কয়ার (পৌর মুক্ত মঞ্চ) মাঠে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে এবং স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী যুবলীগের উদ্যোগে শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি অ্যাড. শাহানুর ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে অডিও কলে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র. আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার, জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র হেলাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি হাজী মোঃ হেলাল উদ্দিন, যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জেলা আইন কর্মকর্তা (পিপি) অ্যাড. মাহবুবুল আলম খোকন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা যুবলীগের সহ সভাপতি ইখতিয়ার উদ্দিন স্বপন, মাহমুদুর রহমান জগলু, এহছানউল্লাহ্ মাসুদ, আশেক মাহমুদ, যুগ্ম সম্পাদক জহিরুল ইসলাম জহির, মিনহাজ নবী খান পলাশ, সাংগঠনিক সম্পাদক সালাউদ্দিন সরকার, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক অ্যাড. এনামুল হক কাজল, মশিউর রহমান লিটন, অ্যাড. আল- মনির রমজান, খোকন কান্তি আচার্য্য, শাহে আলম কিরণ, উপজেলা যুবলীগের পক্ষ থেকে শামস্ আলম, এম. এ আজিজ, আলী আজম, জসিম উদ্দিন রানা, আমজাদ হোসেন রনি, ইমরান আলী মামুন, আকবর হোসেন লিটন, আল-আমিন সওদাগর, রায়হান আলী ভূঁইয়া, রফিকুল ইসলাম মাষ্টার, রাসেল খান, সফিকুল ইসলাম, সাইফুর রহমান মনির, মতিউর রহমান সরকার, আশরাফুল ইসলাম রিপন, সালাউদ্দিন চেয়ারম্যান, মফিজুর রহমান রনি, অ্যাড. জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লি. এ কর্মচারী নিয়োগে প্রশ্নপত্র ফাঁস ও ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ আনা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে অবিলম্বে নিয়োগ বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়েছে।
আজ ১২ মার্চ রবিবার বেলা সাড়ে ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরতলীর বিরাসারে বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লি. এর প্রধান কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি পালিত হয়। সচেতন ছাত্র সমাজের ব্যানারে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন কাজী খায়রুল আলম, মো. নুরুজ্জামান, আব্দুল আলিম, কাজী নুরুল আমিন আকাশ ও আতাউর রহমান রিপন মিয়া।
এ সময় বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, গ্যাস ফিল্ডস-এর কিছু কর্মকর্তা ২০২১ সালে বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানিতে এ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির আলোকে রাষ্ট্রদ্রোহী ও বিস্ফোরক মামলার আসামিদের অর্থ লেনদেনের মাধ্যমে ও প্রশ্নপত্র ফাঁস করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন।
তারা আরো বলেন, এ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় মুক্তিযোদ্ধাদের কোটা উপেক্ষা করাসহ যোগ্য প্রার্থীদের বঞ্চিত করে কর্মকর্তারা তাদের আত্মীয় স্বজনদের নিয়োগ দিয়েছেন। তারা অবিলম্বে এ নিয়োগ বাতিল করে নতুনভাবে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়ার দাবি জানান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লি. এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শোয়েব, জিএম ও এডমিন মাহমুদুন নবী মিলনকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলার মাধ্যমিক পর্যায়ে সকল শিক্ষার্থীর মাঝে ৫০ হাজার গাছের চারা বিতরণ করা হয়েছে।
আজ ৯ সেপ্টেম্বর শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে স্থানীয় অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে প্রধান অতিথি হিসেবে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী শিক্ষার্থীদের হাতে চারা গাছ তুলে দেন।
সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র মোঃ হেলাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন, উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট লোকমান হোসেন, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ মোশারফ হোসেন, প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) মোঃ আসলাম হোসেন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম. এ. এইচ মাহবুব আলম।
শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলআমিনুল হক পাভেল।
অনুষ্ঠানে র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, সদর উপজেলায় ৬৩টি মাধ্যমিক স্কুলের প্রায় ৫০ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে চারগাছ বিতরণ করা হচ্ছে। গাছ আমাদের ছায়া, অক্সিজেন ও ফল দেয়। গাছ আমাদের কাঠ দেয়, সেই কাঠ থেকে আমরা আসবাবপত্র তৈরি করতে পারি। একটি জনপদে শতকরা ২৫ ভাগ বনায়ন থাকলে তাকে আদর্শ ভ‚ভাগ বলেন। গ্রীণ পৃথিবী হিসেবে গ্রীন ব্রাহ্মণবাড়িয়া বানাতে হবে। তাই বেশি করে গাছ লাগাতে হবে।
তিনি আরো বলেন, গাছ ধ্বংস না করে বেশি করে গাছ লাগাতে হবে। শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যত। শিশুরা যেনো আগামীতে সুন্দর পৃথিবীতে বসবাস করতে পারে, তাই বেশি করে গাছ লাগাতে হবে। তিনি আরো বলেন, যেভাবে উষ্ণতা বাড়ছে, তা থেকে রক্ষা পেতে গাছ লাগানো ছাড়া বিকল্প কিছু নেই। তাই আমরা গাছ লাগাবো ও গাছের যত্ম নিব, যেনো গাছ বড় হতে পারে। তাহলে ভবিষ্যত প্রজন্ম একটি সুন্দর পৃথিবী পাবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অধিক দামে কাপড় ও ফল বিক্রির দায়ে চার প্রতিষ্ঠানকে ২৩ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
আজ ২৫ মার্চ সোমবার দুপুরে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহকারি পরিচালক মোঃ মেহেদী হাসান শহরের হালদারপাড়া ও মসজিদ রোডে অভিযান চালিয়ে এই জরিমানা করেন।
এ ব্যাপারে অভিযান পরিচালনাকারী ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহকারি পরিচালক মোঃ মেহেদী হাসান জানান, পবিত্র রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল ও ভেজাল পণ্যের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়তই বাজারে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
অভিযানের অংশ হিসেবে সোমবার দুপুরে শহরে হালদারপাড়ায় কাপড়ের দোকান ও মসজিদ রোডে ফলের দোকান ও ফলের দোকানে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এ সময় দেখা যায় হালদারপাড়ার ফড়িং ও ফ্রেঞ্জি নামে কাপড়ের দোকানে এক দাম লিখে রাখা হয়। কিন্তু তারা অনেকের কাছে লিখে রাখা দামের কম দামেও বিক্রি করছিলেন। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে ফড়িংকে ১০ হাজার ও ফ্রেঞ্জিকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
তিনি বলেন, মসজিদ রোডে বেশি দামে ফল বিক্রি করায় দায়ে ২ দোকানিকে ৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানার পাশাপাশি তাদের সর্তকও করা হয়। ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
মাদক সেবনরত অবস্থায় আটক করে ৭ যুবককে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সাথে তাদেরকে অর্থদন্ডও করা হয়। আজ ১১ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সকালে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুনতাহা তাসনিম মৌ এই অভিযান পরিচালনা করেন।
এ সময় তাদেও কাছ থেকে গাঁজা উদ্ধার করা হয়। কারাদন্ড ও অর্থদন্ডে দন্ডিতরা হলো, মোঃ অনিক, মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, মোঃ সাজিদ, মোঃ হেলাল উদ্দিন, মোঃ শাওন মিয়া, মোঃ সফিকুল ইসলাম ও মোঃ রিমন মিয়া। তাদেরকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সূত্র নিশ্চিত করেছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, পৌর এলাকার পুনিয়াউট ও কাউতলী সেতু এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে গাঁজা সেবনরত অবস্থায় ওই ৭জনকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৩৫ গ্রাম গাঁজা পাওয়া যায়। পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাদেরকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করেন।