চলারপথে রিপোর্ট :
পূর্ব বিরোধের জেরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় আট দাঙ্গাবাজকে আটক করেছে যৌথবাহিনী।এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ৮টি অবিস্ফোরিত ককটেল, ৩৬টি দেশীয় অস্ত্র ও ৪টি হেলমেট উদ্ধার করা হয়। আজ ১৯ অক্টোবর শনিবার সন্ধ্যায় পুলিশ ও সেনাবাহিনী যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে।
আটককৃত ব্যক্তিরা হলেন- মো. জসিম উদ্দিন (৫৫), জহিরুল মোল্লা (৩৫), মো. জাহাঙ্গীর মিয়া (৪৫), মো. রনি (১৪), মো. শামীম (১৬), আব্দুল রাফি (১৭), মো. মানিক মিয়া (১৯), মনির হোসেন (৪২)।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসাইন জানান, দুপুর থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বড়হরণ এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মাঝে থেমে থেমে সংঘর্ষে চলছিল। এতে উভয় পক্ষের ৩০ থেকে ৪০টি বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। সংঘর্ষে অনেকেই গুরুতর আহত হয়। পরে খবর পেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযান চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে ঘটনাস্থল থেকে আটজনকে আটকসহ ককটেল ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বড়হরণ গ্রামে উমেদ গ্রুপ ও এলেম গ্রুপের জাকিরের নেতৃত্বে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রায়ই ঘটছে সংঘর্ষের ঘটনা।
আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানি ॥ সংশ্লিষ্টদেরকে নোটিশ
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ব্রোকেন স্টোন বা চূর্ণ পাথরের ঘোষণা দিয়ে ভারত থেকে আমদানি হয়েছে ২৭০০ টন পাথরের ধুলা (ডাস্ট)। মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানির অভিযোগে ছাড়পত্র মিলছে না কাস্টমসের। যে কারণে প্রায় এক মাস ধরে আখাউড়া স্থলবন্দরে এই ডাস্ট বা ধুলাগুলো পড়ে আছে। কাস্টমসের গঠিত তদন্ত কমিটিও ডাস্ট উল্লেখ করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়িরা দাবি করেছেন, এতে প্রতিদিন লোকসান গুনতে হচ্ছে তাদেরকে। এ জন্য তারা কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে দায়ী করছেন। রপ্তানিমুখী আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে প্রথমবারের মতো চূর্ণপাথর আমদানি হয় গত ১৩ নভেম্বর। এরপর কয়েক দফায় মোট ২৭০০ টন আমদানি করে ভারতীয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এফকনস ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড। এ প্রতিষ্ঠানটি আশুগঞ্জ নদীবন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত মহাসড়ক চারলেনে উন্নীত করার কাজের জন্য পাথর আমদানি করেছে। আমদানিকৃত চূর্ণপাথরগুলো প্রতি টন আমদানি হয়েছে ১৩ মার্কিন ডলারে। এগুলো বন্দর থেকে ছাড়ানোর কাজ পায় সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট খলিফা এন্টারপ্রাইজ। তবে কাস্টমস থেকে ছাড়পত্র নিতেই বাঁধে বিপত্তি। প্রথমবারের মতো আমদানি হওয়ায় পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ছাড়পত্র দেওয়ার কথা জানায় কাস্টমস। পরবর্তীতে এগুলো পরীক্ষা করে পাথরের বদলে ডাস্ট আনা হয়েছে জানিয়ে আটকে দেয়া হয়। ফলে প্রতিদিনই বন্দর কর্তৃপক্ষকে মাশুল বাবদ প্রায় ৩৬ হাজার টাকা গুনতে হচ্ছে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে।
অভিযোগ উঠেছে- আমদারিকারক প্রতিষ্ঠান ভাঙা পাথরের ঘোষণা দিয়ে ডাস্ট এনেছে। এজন্য কাস্টমসের তরফ থেকে চার সদস্যের তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়। তদন্ত শেষে রিপোর্ট দেওয়া হয় ডাস্ট হিসেবে। তবে দ্রুত এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে বলে জানান কাস্টমসের কর্মকর্তারা।
এদিকে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে চূর্ণ পাথর বা ডাস্ট আমদানির অনুমতি না থাকায় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে আগামী ১০ দিনের মধ্যে তাদেরকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট খলিফা এন্টারপ্রাইজকেও কার্যার্থে একই চিঠি দেওয়া হয়। সিএন্ডএফ এর মালিক হলেন আখাউড়া পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মো.তাকজিল খলিফা কাজল।
খলিফা এন্টার প্রাইজের প্রতিদিন নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আমরা প্রথম দফা আনার পর বলা হয় সব আনার পর অনুমতি দেওয়া হবে। এখন বলা হচ্ছে এ ধরণের পাথরের অনুমতি নেই। এখন পাথর আটকে থাকায় আমরা লোকসানের মুখে পড়েছি।’
আখাউড়া স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ‘তদন্ত করে আমদানি করা পণ্য ডাস্ট হিসেবে পাওয়া গেছে। এ ধরণের পণ্য আমদানির অনুমতি নেই। এখন এ বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নিবেন।’
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার কালিসীমা গ্রামের দু’পক্ষের দফায় দফায় সংঘর্ষে কমপক্ষে ২৫জন আহত হয়েছে। এসময় উভয়পক্ষের দাঙ্গাবাজরা অর্ধশতাধিক বাড়িঘরে হামলা চালিয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে আজ ১৮ ফেব্রুয়ারি রবিবার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের কালিসীমা গ্রামে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের কালিসীমা গ্রামের খানিবাড়ি গোষ্ঠী ও সিরাজ আলী বাড়ির গোষ্ঠী একটি পক্ষ এবং দোলা বাড়ি গোষ্ঠী অপর একটি পক্ষ। একটি পক্ষের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের সদস্য বাবুল মিয়া ও অন্য একটি পক্ষের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আরজু মিয়া। উভয়পক্ষের সাথে রয়েছে এলাকার বর্তমান ও সাবেক চেয়ারম্যানের লোকজন। দীর্ঘদিন ধরে তাদের মধ্যে এলাকায় আধিপত্য নিয়ে মত বিরোধ চলে আসছিল। এরই জেরে শুক্রবার রাতে একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয়পক্ষের লোকজনের মধ্যে প্রথমে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
গতকাল শনিবার সকাল থেকে আজ ১৮ ফেব্রুয়ারি রবিবার দুপুর পর্যন্ত দফায় দফায় উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে সশস্ত্র সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
এসময় দাঙ্গাবাজরা কমপক্ষে অর্ধশতাধিক বাড়িঘওে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে এবং বেশ কয়েকটি বাড়িতে লুটপাট করে। দফায় দফায় সংঘর্ষে কমপক্ষে ২৫জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে মামুন (৩৮), সম্রাট (১৬), মনির (৪০), রামিম (২০), সাকিব (২০), বাছির মিয়া (৫১), সোহেল (৪০), তাজিম (১০), সাগর (২৪), আশিক (৩২), রোকসানা (৫০) ও আলম (৩৪) জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চিকিৎসা নিয়েছেন।
বাকি আহতরা জেলা শহরের বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসলাম হোসেন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। এ ঘটনায় ১৪জনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা আছে।
অনলাইন ডেস্ক :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের অস্থায়ী প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচনের ঘোষিত তফসিল স্থগিত করা হয়েছে। আজ ৫ জুন সোমবার মনোনয়ন জমাদানের শেষ তারিখে নির্বাচনের তফসিল স্থগিত করা হয়।
জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও অস্থায়ী প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচন-২০২৩ এর রিটার্নিং অফিসার মো. আমিনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. মলয় চৌধুরীর পরামর্শে এ তফসিল স্থগিত করা হয়েছে। গত ৩১ মে ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ১৪ জুন জেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে চেয়ারম্যান প্যানেল এর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তফসিলে ৪ জুন মনোনয়ন বিক্রয়ের শেষ তারিখ এবং ৫ জুন বিকেল ৪টা পর্যন্ত মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় নির্ধারিত ছিল।
মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিনে প্যানেল চেয়ারম্যান পদে জেলা পরিষদ সদস্য বাবুল মিয়া, আবুল কালাম আজাদ ও বিউটি কানিজ মনোনয়ন জমা দেন। তবে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী অনিবার্য কারণবশত ঘোষিত তফসিল স্থগিত করা হয়েছে। বিষয়টি সকল জেলা পরিষদ সদস্যদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের পরবর্তী নির্দেশনা অনুযায়ী শীঘ্রই নতুন তফসিল ঘোষণা করা হবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে জেলা পরিষদ সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান প্রার্থী বাবুল মিয়া জানান, আমরা মনোনয়নপত্র জমা দিতে এসে জানতে পেরেছি মন্ত্রণালয় থেকে সাময়িক সময়ের জন্য আমাদের নির্বাচনের তফসিল স্থগিত করা হয়েছে। তবে আমরা মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার ছিল জমা দিয়েছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
অবরোধের নামে জ্বালাও-পোড়াওয়ের প্রতিবাদে ‘বিএনপি জামায়াতের নৃশংসতা-বর্বরতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াও নারী সমাজ- এই স্লোগানে ৮ নভেম্বর বুধবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ।
জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি রেহানা বেগম রানীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাতের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন- জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম মহিউদ্দিন খোকন, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফারহানা মিলি, জেলা যুব মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলম তারা দুলি, সহ-সভাপতি মুক্তি খান প্রমুখ।
বক্তব্য রাখেন জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড: তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত বলেন, আজ আমরা অবরোধের নামে বিএনপি জামায়াতের নৃশংসতা বর্বরতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছি। যখন বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সারা বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে উন্নয়ন হচ্ছে, তখনই বিএনপি-জামায়াত ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। কিন্তু তারা এই ষড়যন্ত্র করে পার পাবে না। সারা দেশের মানুষ আজ তাদের ধিক্কার দিচ্ছে। তাদের অপকর্মের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে। আমরা তাদের এই হীন অপকর্মের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।