চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগরে ৩৮৬ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ কাজী রফিকুল ইসলাম (৪৫) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ ২১ জুন বুধবার ভোরে উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের মির্জাপুর-সহদেবপুর সড়কে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত কাজী রফিকুল ইসলাম উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের খাটিঙ্গা গ্রামের কাজী তাজুল ইসলামের ছেলে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার ভোরে মির্জাপুর-সহদেবপুর সড়কের আবু তালেব মিয়ার বাড়ির পাশে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার শরীরে তল্লাশী চালিয়ে ৩৮৬ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। দুপুরে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্বাধীনতা কাপ মহিলা ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টের পুরস্কার বিতরণ সোমবার দুপুরে অনুষ্ঠিত হয়েছে। গভ. মডেল গার্লস উচ্চ বিদ্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে খেলো বাংলাদেশে স্পোর্টস সোসাইটি ও ভারত-বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মৈত্রী পরিষদ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। খেলো বাংলাদেশে স্পোর্টস সোসাইটি’র প্রধান উপদেষ্টা আ. ফ. ম কাউসার এমরানের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সদস্য সচিব জাবেদ রহিম বিজন। বিশেষ অতিথি ছিলেন, গভ. মডেল গার্লস স্কুলের প্রধান শিক্ষক পারভীন আক্তার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি দীপক চৌধুরী বাপ্পী, সহ-সভাপতি বিশ্বজিৎ পাল বাবু, প্রেসক্লাবের সাবেক আইসিটি সম্পাদক মুজিবুর রহমান খান, ভারত-বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মৈত্রী পরিষদ এর সভাপতি করবী চক্রবর্তী, সাধারন সম্পাদক সঞ্জয় দাস। সুষ্মিতা সাহার সঞ্চালনায় এতে স্বাগত বক্তব্য দেন খেলো বাংলাদেশে স্পোর্টস সোসাইটির সাধারন সম্পাদক শিশির সিকদার।
ব্যাডমিন্টন খেলায় এককে রূপালী চ্যাম্পিয়ন, অনিতা রানার আপ হন। দ্বৈতে রূপালী ও নন্দিনি চ্যাম্পিয়ন এবং জান্নাত ও লিটা রানার আপ হন। এককে ম্যান অব দ্যা ম্যাচ রূপালী ও দ্বৈতে জান্নাত। অতিথিরা খেলোয়ারড়দের হাতে নগদ টাকা ও ক্রেস্ট তুলে দেন।
এ সময় বক্তারা বলেন, ‘খেলো স্পোর্টস সোসাইটি নারীদের নিয়ে ক্রিকেট, ব্যাডমিন্টন খেলার মতো যেসব আয়োজন করছে সত্যিই প্রশংসনীয়। নারীদেরকে এগিয়ে নিতে হলে আমাদেরকে সুযোগ করে দিতে হবে। নারীরা এখন সমানতালে এগিয়ে চলছে’।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ২০ জন আহত হয়েছেন। ১৪ এপ্রিল রবিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বিজয়নগরের রামপুরা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
খাঁটিখাতা হাইওয়ে থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) সারুয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, সিলেট থেকে ছেড়ে আসা শ্যামলী পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে লোকাল দিগন্ত পরিবহনের বাসের বিজয়নগরের রামপুরা এলাকায় মুখোমুখি সংঘর্ষে হয়। এতে শ্যামলী পরিবহনের বাসটি সড়কের পাশে খাদে পড়ে যায়। এতে ২০ জনের মতো আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় ও জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠানো হয়েছে।
শ্যামলী পরিবহনের বাসে থাকা আহত সাইফুর রহমান বলেন, আমি ও আমার বন্ধু শ্রীমঙ্গলে ঘুরতে গিয়েছিলাম। শ্রীমঙ্গল থেকে ঢাকা ফেরার পথে আমাদের বাসের সঙ্গে অন্য একটি বাসের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এ সময় আমি ঘুমিয়ে ছিলাম। পরে দেখি বাস খাদে পরে গেছে। এরপর আমি জানালা ভেঙে বের হয়েছি।
খাটিখাতা হাইওয়ে থানার এসআই সারুয়ার হোসেন বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় ২০ জনের মতো আহত হয়েছেন। আহতদের জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে বিপণিবিতান তৈরির জন্য চার দশকের পুরোনো একটি পুকুর ভরাট করছেন স্থানীয় কয়েকজন। যদিও পরিবেশ সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী, জলাধার হিসেবে চিহ্নিত জায়গা ভরাট বা শ্রেণি পরিবর্তন করা যাবে না। প্রশাসনের নাকের ডগায় প্রতিদিন ট্রাক্টরে মাটি ফেলে ভরাট চললেও রহস্যজনক কারণে নীরব কর্তৃপক্ষ। দুই মাস ধরে পুকুর ভরাটের কাজ চলছে।
ভরাটকাজে জড়িত ব্যক্তিরা বলছেন, সবাইরে ‘ম্যানেজ’ করেই তাঁরা ভরাট করছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়েছেন। তবে প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা বলছেন, তাঁরা কাউকে পুকুর ভরাটের অনুমতি দেননি। একবার ভরাটের খবর পেয়ে ভরাট বন্ধ করে দিয়েছিলেন। আবার ভরাট শুরু হলে তাঁরা উদ্যোগ নেবেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, পুকুরটি বিজয়নগর উপজেলা পরিষদের ৫০০ মিটারের মধ্যে অবস্থিত। ইউএনও, সহকারী কমিশনারসহ (ভূমি) প্রশাসনের কর্মকর্তারা প্রতিদিন পুকুরের সামনে দিয়ে যাতায়াত করেন। তাঁরা এ বিষয়ে কোনো কিছু বলছেন না। দুই মাস ধরে মাটি ফেলার কাজ করলেও তাঁরা শুরু থেকে নীরব।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিজয়নগরের চান্দুরা-আখাউড়া সড়কে ইছাপুরা ইউনিয়নের মির্জাপুর মোড়ে রাস্তা-সংলগ্ন পুকুরটি ৪০-৫০ বছরের পুরোনো। পুকুরের পূর্ব দিকের বাসিন্দা জলফু মিয়া, তাঁর ছোট ভাই আজিজুল হক ওরফে মলাই মিয়া, করিম মিয়াসহ কয়েকজন পুকুরটির ৭২ শতকের মালিক। সাড়ে তিন মাস আগে পুকুরটি ভরাট করতে পানি সরানো হয়। এরপর জলফু, মলাইসহ পাড়ের বাসিন্দারা বিভিন্ন জায়গা থেকে ট্রাক্টর দিয়ে মাটি এনে ভরাটের কাজ শুরু করেন। পুকুরটি ভরাট করে সেখানে বিপণিবিতান নির্মাণ করা হবে বলে জানা গেছে। এ জন্য তাঁরা ইউএনও বরাবর আবেদন করেছেন বলে তাঁরা জানিয়েছেন।
প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইন-২০০০ অনুযায়ী, কোনো পুকুর, জলাশয়, নদী, খাল ভরাট করা বেআইনি। আইনের ৫ ধারা অনুযায়ী, প্রাকৃতিক জলাধার হিসেবে চিহ্নিত জায়গার শ্রেণি পরিবর্তন বা অন্য কোনোভাবে ব্যবহার, ভাড়া, ইজারা বা হস্তান্তর বেআইনি। কোনো ব্যক্তি এ বিধান লঙ্ঘন করলে আইনের ৮ ও ১২ ধারা অনুযায়ী পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা অনধিক ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
অন্যদিকে পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের (২০১০ সালে সংশোধিত) ৬ ধারায় উল্লেখ করা হয়েছে, ‘বলবৎ অন্য কোনো আইনে যা-ই থাকুক না কেন, জলাধার হিসেবে চিহ্নিত জায়গা ভরাট বা অন্য কোনোভাবে শ্রেণি পরিবর্তন করা যাবে না।’
বিজয়নগর উপজেলা ভূমি কার্যালয়ের নাজির মো. সৈয়দ মিয়া ও বুধন্তি ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ের তহসিলদার কাজল বণিক বলেন, তাঁরা যতটুকু জানেন, জমিটি নালা শ্রেণির। সেটি ভরাটের অনুমতির জন্য তাঁরা ইউএনওর কাছে আবেদন করেছেন বলে শুনেছেন।
বিজয়নগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেহেদি হাসান খান বলেন, অভিযোগ আসার পর ভরাট বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। আবার শুরু করলে তাঁরা ব্যবস্থা নেবেন। জমিটি জলাশয় না পুকুর শ্রেণির কাগজপত্র না দেখে বলা যাবে না। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ব্যক্তিমালিকানাধীন ও শ্রেণিভুক্ত না হলে ভরাটের অনুমতির জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করতে হবে। বাস্তবতার নিরিখে জমিটি কী হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে, তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পুকুরের মালিক আজিজুল হক বলেন, ‘আপনে আমারে কেন জিগাইতেছেন। ম্যাডামরে (ইউএনও) জিগান। ম্যাডামের কাছে সব কাগজপত্র জমা আছে। সব দিছি। জায়গাটি ২০০০ সালে আমরা কিনছি। এইডা পুকুর না, জলাশয়। এখানে জায়গা আছে ৭২ শতক। আমরার ভাই-বোনদের বাড়িঘরের প্রয়োজনে এইডা ভরাট করতাছি।’
তবে ইছাপুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াউল হক বলেন, ‘আনুমানিক ৪০ বছর ধরে পুকুর হিসেবে দেখতেছি। ভরাট বন্ধের জন্য বলেছি। বিষয়টি ইউএনওকেও জানিয়েছি।’
কোনো পুকুর ভরাটের জন্য কাউকে অনুমতি দেননি বলে দাবি করেন ইউএনও রুবাইয়া আফরোজ। তিনি বলেন, এ বিষয়ে খোঁজ নেবেন। প্রশাসনকে উৎকোচ দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যিনি এই অভিযোগ করছেন, তাঁকে রেকর্ড বা প্রমাণ থাকলে দেখাতে বলেন। আমি তো বলছি, আমাকে একটু সময় দিন।’ দুই মাস ধরে প্রশাসনের নাকের ডগায় ভরাট চলছে উল্লেখ করলে রুবাইয়া আফরোজ বলেন, ‘আমি খোঁজ নেব।’
চলারপথে রিপোর্ট :
বিএনপি-জামাতের নৈরাজ্য মোকাবেলায় সর্বদা সতর্ক থাকতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
তিনি বলেন, দেশ শান্তিশৃঙ্খলার সঙ্গে স্থিতিশীল থাকলে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব। আর আমি আগামী ৫ বছরের দায়িত্ব পালন করতে পারলে ৫০ শয্যা হাসপাতালকে ১০০ শয্যা করব, একটি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ করব, টিটিসি করব, সাবরেজিস্ট্রার অফিসের জন্য কাজ করব, একটি উপশহর করব, একটি ৫০ জনের মিলনায়তন করব, আপনাদের কোনো আশা আকাঙ্ক্ষা অপূর্ণ রাখব না।
২ ফেব্রুয়াির শুক্রবার বিকাল ৪টায় বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।
উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. জহিরুল ইসলাম ও ভিপি সোহেলের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর মৃধা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের সাবেক মহাপরিচালক প্রফেসর ফাহিমা খাতুন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি হেলাল উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল চৌধুরী মন্টু, সহ-সভাপতি হাজী মো. হেলাল উদ্দিন সহ জেলা, উপজেলা চেয়ারম্যান নাছিমা মুকাই আলী, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা লীগ, যুব মহিলা লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতারা।
গণসংবর্ধনার পর সন্ধ্যায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। সাবেক সংসদ সদস্য কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগমসহ দেশবরেণ্য সঙ্গীত শিল্পীরা গান পরিবেশন করেন।